Better Life with Steem||The Diary Game|| 17 April 2024||
Edited By Canva |
---|
প্রিয় বন্ধুরা,
আমার নিজের লেখা ব্লগে আপনাদের সকলকে স্বাগতম।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলে অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া এবং আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি।আজকেও আমি আপনাদের সাথে একটি ডায়েরি গেম শেয়ার করব। তা হলো: একটি আনন্দময় দিন অতিবাহিত করলাম যা কখনো ভুলার নয়।
পোস্ট লেখার শুরুতে বলি আমি দীর্ঘ এক সপ্তাহ যাবত স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করতে পারিনি। কারণ আমি যেহেতু শুভ কাজ সম্পন্ন করেছি।এজন্য দীর্ঘ এক সপ্তাহহ যাবত পোস্ট করতে পারিনি। কারণ অনেক ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে দিনগুলো অতিবাহিত করেছি।
যাইহোক আলহামদুলিল্লাহ তারপর আল্লাহর অশেষ রহমতে দিনটা অনেক ভালো কেটেছে। যাইহোক এখন পোস্ট লেখা শুরু করা যাক। প্রতিদিনের মতো সকাল সকাল ঘুম থেকে জেগে উঠি। ঘুম থেকে জেগে উঠে পূর্বের মত ফ্রেশ হয়ে, রুমে এসে কিছু সময় বসে থাকি।
এমন সময় ভাইয়া আমাকে সকালের খাবার খাওয়ার জন্য ডেকেছিল। তখন আমি ভাইয়ার সাথে সকালের খাবার সম্পন্ন করি। আর আজকের সকালের খাবার হিসেবে ছিল গরম গরম ভাতের সাথে ছোট মাছের তরকারি এবং বেগুন ভর্তা। যাইহোক সকালের খাবারটা সকলে মিলে যথাসময়ে সম্পন্ন করি।
সকালের খাবার সম্পন্ন করে ঘড়িতে দেখলাম প্রায় এগারোটা বেজেছে। তখন ভাই, আমি এবং আমার আপু তিনজনে মিলে মার্কেটের উদ্দেশ্য বের হয়েছিলাম। কারণ আজকে যেহেতু আমার বিবাহের দিন। তাই তিনজনে মিলে মার্কেটে গিয়েছিলাম।
মার্কেটে গিয়ে প্রথমে আমরা একটা দর্জির ঘরে গিয়েছিলাম। সেই দর্জির ঘরে গিয়ে পাঞ্জাবির পায়জামাটা সেলাই করেছিলাম। কারণ পায়জামাটার সেলাইটা খুব হালকা ছিল। এজন্য দর্জির কাছে গিয়ে সেই পায়জামাটা সেলাই করেছিলাম। পায়জামাটা সেলাই করার সময় সেই দর্জির ঘরে গিয়ে একটা ছবি তুলে রেখেছিলাম।
যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো। যাইহোক ছবি তুলে তিনজনে মিলে সরাসরি চলে গেলাম কসমেটিকের দোকানে।কসমেটিকের দোকানে গিয়ে বিয়ের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কিনেছিলাম।
যাইহোক কসমেটিকের দোকানে গিয়ে কসমেটিকের দোকানদারকে বললাম যেহেতু আপনি পরিচিত মানুষ তাই বিয়ের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় যে জিনিসগুলো খুবই প্রয়োজন সেই গুলো দিবেন।কসমেটিকের দোকানদার বলল ঠিক আছে,
আমি তাহলে যেগুলো প্রয়োজন সেগুলো দিবো। আমাদের কথা মতো বিয়ের নিত্য প্রয়োজন জিনিসগুলো দিয়েছিল।যখন জিনিসগুলো আমাদের সামনে আনলো। তখন আমি একটা ছবি তুলে রাখি। যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো। যাইহোক ছবি তুলে কসমেটিকের দোকানদারকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম।
কত টাকা বিল হয়েছে? তখন দোকানদার বলল ৭৫০০ টাকা বিল হয়েছে। যাইহোক তখন আমরা কসমেটিকের দোকানদারকে বললাম আমরা কোন দামাদামি করবো না। সোজা সাত হাজার টাকা বিল রাখেন। তখন আমাদের কথামতো ৭০০০ টাকা বিল রেখেছিল।
কারণ কসমেটিকের দোকান আমাদের বাড়ির পাশেই থাকে। এই হিসাবে ভালই কম ধরেছে জিনিসের দাম। যাইহোক দোকানদারকে বিল দিয়ে আমরা সরাসরি বাড়িতে চলে আসি। বাড়িতে চলে এসে এগুলো নির্দিষ্ট জায়গা রেখে দেই।
বাড়িতে এসে খেয়াল করলাম ঘড়িতে দেখলাম দুপুর একটা পার হয়ে গেছে। তাই তখন আমি ভাইয়া আপু তিনজনে মিলে দুপুরের খাওয়া শুরু করেছিলাম। দুপুরের খাবার সম্পন্ন করে কিছু সময় বিশ্রাম নিই। বিশ্রাম নেওয়ার এক পর্যায়ে দেখতে পেলাম আমার মামাতো ভাইয়ের বউ এসেছে। তখন বাড়ির ভেতরে এসে আমাকে দেখে বলল চলো তোমাকে মেহেদী দিয়ে দিব।
তখন আমি তার কথা মত বাড়ির ওখানে বসেছিলাম। যখন বসেছিলাম তখন মামাতো ভাইয়ের স্ত্রী আমাকে মেহেদি দিয়েছে। যাইহোক যখন মেহেদী দিয়েছিল তখন ছোট ভাই একটা ছবি তুলে রেখেছিল।যা
আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো।
যাইহোক মেহেদী দিয়ে প্রায় এক ঘন্টা যাবৎ বসে থাকি। এক ঘন্টা যাবত বসে থেকে এক পর্যায়ে দেখলাম বাড়ির ভিতরে অনেক লোকজন এসেছে। অর্থাৎ মামাতো ভাইয়ের স্ত্রী এবং ছোট ভাইয়ের স্ত্রী এবং প্রতিবেশী চাচি, খালা এবং ছোট বোন, ভাতিজি আরো অনেকে অনেকজন এসেছিল।
তারা এসে বলেছিল যে আমাকে গোসল করাতে হবে। তখন কিছুক্ষণ পরেই ভাই আমাকে কোলে করে নিয়ে টিউবওয়েল পারে গিয়েছিল।টিউবওয়েল পারে গিয়ে আমাকে সকলে মিলে গোসল করে দিল।গোসল করে দেওয়া অবস্থায় ছোট ভাই একটা ছবিও তুলে রেখেছিলাম। যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো।
যাইহোক ছবি তুলে প্রায় ২০ মিনিটের মত গোসল করে দিল। গোসল সম্পন্ন করে দিয়ে নতুন লুঙ্গি পড়লাম তখন আমার ভাইয়া কোলে করে নিয়ে পাটিতে বসিয়ে দিয়েছিল। যাইহোক যখন পাটিতে বসে ছিলাম তখন ঘড়িতে খেয়াল করে দেখতে পেলাম ঘড়িতে তিনটা বেজেছে।
তাই দেরি না করে পাটিতে বসে আগেই দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে নিলাম। নফল নামাজ পড়া শেষ হলে পাঞ্জাবি পায়জামা পরে নিলাম। এরপর ১০ মিনিট মতো রুমে বসে রইলাম। রুমে বসে থাকা অবস্থায় আমাদের বাড়িতে সকলে আসলে তারা আমাদেরকে রেডি হতে বলল,
তখন আমার ভাই বলল আমরা আগে রেডি হয়ে বসে রয়েছি। তখন বলল তাহলে এখন বিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হওয়া যায়। তখন আমরা রেডি হয়ে বিয়ে বাড়িতে যাওয়ার আগে আমার মা এবং বাবা ও চাচিকে সালাম জানিয়ে বিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলাম।
যাইহোক বিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়ে আমাদের বাড়ির পিছন থেকে অটোতে করে নদীর ঘাটে গিয়েছিলাম। কারণ বিয়ে বাড়িতে যেতে নৌকা দিয়ে যেতে হবে। আর এই নদীটা একটু ছোটই। তাই এই নদী পার হতে ৩০ মিনিটের মত সময় লাগবে।
যাইহোক আমরা অটো থেকে নেমে নৌকা ঘাটে গিয়েছিলাম নৌকা ঘাটে গিয়ে দেখতে পেলাম একটা নৌকা রিজার্ভ করা হয়েছিল। আর এই নৌকাটা রিজার্ভ করা হয়েছিল পনেরশো টাকা দিয়ে। যাইহোক নৌকারই রিজার্ভ করাতে আমাদের নদীর ঘাটে দেরি করতে হয়নি।
সরাসরি আমরা অটো থেকে নেমে নৌকাতে গিয়ে বসেছিলাম। নৌকাতে বসলেই নৌকাটা পাঁচ মিনিট পরেই বিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়। যাইহোক নৌকাতে যাওয়ার সময় নৌকার মাঝে ছোট ভাই একটা ছবি তুলে রেখেছিল। যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
ছবিতে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন ছবিতে আমি এবং আমার পাশে অনেক লোকজন বসে রয়েছি।যাইহোক নৌকাতে যেতে প্রায় ৩০ মিনিটের মত সময় লেগেছিল। ৩০ মিনিট পর নৌকাটা ঘাটে গিয়ে পৌঁছেছিল।নৌকা ঘাটে পৌঁছলে আমরা সময়মতো নৌকা থেকে নামলাম।
নৌকা থেকে নামলে বিয়ের লোকজন সবাই অটো দিয়ে চলে গেল এবং আমি এবং ভাইয়া একটা বাইক নিয়ে বিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে গেলাম। বিয়ে বাড়ি বাইক দিয়ে যেতে প্রায় ১৫ মিনিটের সময় লাগলো। পনের মিনিট পর দেখতে পেলাম লোকজন আগে গিয়ে গেটের সামনে দাঁড়িয়েছে।
কারণ বিয়ে বাড়িতে গেট সাজানো হয়েছিল। সেই গেটে সামনে গিয়ে লোকজন দাঁড়িয়ে ছিল। কারণ বিয়ে বাড়ির কিছু পোলাপান মিলে এই গেটটা সাজিয়েছে। আর এই গেট বাবদ কিছু টাকা খরচ হয়েছে। সেই টাকা তোলার জন্য তারা লোকজনকে আটকে রেখেছে।
যাইহোক সময় মতো আমি এবং ভাই গেটে গিয়ে পৌঁছলাম। তখন আমাদেরকে দেখে সবাই বলল বর এসেছে। এবার টাকা না দিলে গেট দিয়ে ঢুকতে দিবোনা।যাইহোক তখন আমি ও ভাই গিয়ে গেটের কাছাকাছি দাড়িয়ে গেলাম।। তখন আমাদের সামনে চারটি গ্লাসে শরবত।
কিন্তু শরবতের মতো মনে হলেও চার গ্লাসে শরবত ছিল না, অর্থাৎ দুইটি গ্লাসে শরবত ছিল আর বাকি দুটি ক্লাসে লবণ এবং চিনি এবং মরিচ মিশিয়ে দিয়ে শরবতটা তৈরি করেছিল। কিন্তু আমি শরবতের গ্লাসটায় হাতে নিয়ে খাওয়া শুরু করে দিয়েছিলাম।
কারণ আমার এক ছোট ভাই আগে হতেই দেখেছিল যে কোন গ্লাসে শরবত মিক্সচার করলো এবং কোন গ্লাসে মরিচের গুড়া মিক্সচার করেছে। যাইহোক ছোট ভাই আমাকে আগে হতেই কানে কানে বলে দিয়েছিল তাই আমি সরাসরি গিয়ে শরবতের গ্লাসটা হাতে নিয়ে খাওয়া শুরু করেছিলাম।
শরবত খাওয়া শেষ হলে মিষ্টি দিয়েছিল। তখন মিষ্টিটা খেয়েছিলাম এবং মিষ্টি খাওয়া শেষ হলে পোলাপান যে গেট তৈরি করেছিল তারা টাকা দাবি করেছিল।আর বলছিল আমরা কষ্ট করে গেট তৈরি করেছি এবং টাকা খরচ করে বিভিন্ন আইটেম তৈরি করেছি। আপনারা এখন আমাদের কত টাকা দিবেন দিয়ে যান।
যেহেতু তারা গেটে বিভিন্ন আইটেম তৈরি করেছিল। এজন্য তাদেরকে ১৫০০ টাকা দিয়েছিলাম।যাইহোক তারপর তারা কিছু দাবি করেছিল।। কিন্তু বললাম আমরা যা দিয়েছি তোমরা তা রেখে দাও। তখন তারা রেখে দিল। আর কেচি দ্বারা রশিটি কেটে দিলে, আমরা সকলে গেটে প্রবেশ করলাম।
গেটে প্রবেশ করে আমাকে একটা টুলের উপরে রেখে আমার ওয়াইফের নানা কলসির ভিতরে আমের ডাল ভিজে রেখেছিল। সেই পানিটা আমার পায়ের নিচে ঢেলে দিয়ে আমাকে এক হাজার টাকা হাতে দিয়েছিল। তখন আমি তাকে আগে হতেই তার হাতে ৫০০ টাকা দিয়েছিলাম।
যাইহোক ৫০০ টাকা দিলে সেই টাকা রেখে দিয়ে।আমাকে কোলে করে নিয়ে আমার জন্য যে বসার ব্যবস্থা করেছিল সেখানে বসিয়ে দিল। তখন আমি, ভাই এবং আমার সাথে দুইজন ছোট ভাই গিয়েছিল এই চারজন সেখানে বসে ছিলাম বসে থাকার পাঁচ মিনিট পরেই আমাদের সকলের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছিল। সেইগুলো আমাদেরকে খেতে দিয়েছিল।
যখন খাবার খেতে দিল তখন আমরা খাবার খাওয়া শুরু করি। আর আমি যেহেতু বর তাই আমার জন্য স্পেশাল খাবারের ব্যবস্থা করেছিল। যাইহোক যখন খাবার আমার সামনে দিল। তখন ছোট ভাই একটা ছবি তুলে রেখেছিল।যা আপনাদের শেয়ার করে দেখানো হলো।
যাইহোক ছবি তোলা শেষ হলে আমরা খাওয়া শুরু করেছিলাম। যাইহোক স্পেশাল খাবারের আয়োজন করেছিল। সেই স্পেশাল খাবার গুলো আমি, ভাইয়া এবং ছোট ভাই দুজন সেই খাবার গুলো খাওয়া শুরু করেছিলাম। যাইহোক প্রায় ২০-২৫ মিনিট যাবত খাবার খেয়েছিলাম। খাবার খাওয়া শেষ হলে আমরা হ্যান্ডওয়াশ দ্বারা হাত পরিষ্কার করেছিলাম।
হাত পরিষ্কার করে ১০ মিনিটের জন্য একটু বাইরে গিয়ে ঘুরে আসি। ১০ মিনিট পর ঘুরে এসে যেখানে খাবারের ব্যবস্থা করেছিল। সেই আসনগুলো পরিষ্কার করে দিয়েছিল। পরিষ্কার করে দিলেন আমরা আগের মত সেখানে গিয়ে বসেছিলাম। সেখানে বসলে ২০ মিনিট পর হুজুর আমাকে কেবলামুখী করে বসিয়ে সরাসরি বিয়ে পরানোর উদ্দেশ্যে কালেমা পাঠ করানো হয়।।
তখন আমি কালেমা পাঠ করে হুজুরের সাথে তিনবার কবুল বলেছিলাম। যাইহোক হুজুর যখন কবুল করতে বলল তখন আমি হুজুরের সাথে তিনবার আলহামদুলিল্লাহ বলেছিলাম। যাইহোক যখন বিয়েটা পড়ানো হয়। তখন বিয়েটা পড়ানো শেষে ঘড়িতে লক্ষ্য করলাম। দেখতে পেলাম সন্ধ্যা সাতটা বেজেছিল।
যাইহোক বিয়ে পড়ানো শেষে হুজুর মোনাজাত করে দেয় এবং মোনাজাত করে দিলে যেহেতু সন্ধ্যা সাতটা বেজেছে। তাই আমাদের পক্ষের লোকজন মেয়ে পক্ষকে বলেছিল। যাইহোক যেহেতু বিয়ে পড়ানো শেষ। তাই দেরি না করে মেয়েকে বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
বিয়ে পড়ানো শেষে আমাকে নিয়ে যায় মেয়ে যেখানে বসে রয়েছে সেই রুমে নিয়ে যায়।সেই রুমে নিয়ে গিয়ে মেয়ের কাছে বসিয়ে দেয়। যাইহোক মেয়ের কাছে বসিয়ে দিলে তখন আমি বসে গিয়েছিলাম।সেই বসানো অবস্থায় কিছু ছবি তুলে রেখেছিল। যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো।
আমি যখন বসেছিলাম এবং বসার পাঁচ মিনিট পরেই আমার শাশুড়ি এক গ্লাস দুধ নিয়ে আমাকে খাইয়ে দিয়েছিল। আমাকে এক গ্লাস দুধ খেয়ে অর্ধেক রেখে দিয়েছিল আর বাকি অর্ধেক দুধ আমার শাশুড়ি আমার বউকে খাইয়ে দিয়েছিল।যাইহোক দুধ খাওয়ার সময় একটা ছবি তুলে রেখেছিল। যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো।
যাইহোক দুধ খাইয়ে দিয়ে মা শাশুড়ি আমার হাতে ৫০০ টাকা দিলে আমিও তাকে ৫০০ টাকা দিয়েছিলাম। যাইহোক দুধ খাওয়া শেষ হলে। কিছু সময় আমি এবং আমার স্ত্রী কিছু সময় বসে ছিলাম। বসে থেকে আমাদের পক্ষের লোকজন বলল চলো আর দেরি না করে এখন তাহলে আমাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হওয়া যায়।
যাইহোক তখন আমাদের পক্ষে লোকজন মেয়ে পক্ষের লোকের থেকে বিদায় নিয়েছিল। বিদায় নেওয়ার আগে আমার স্ত্রীকে আমার বাবার হাতে তুলে দেয় এবং তুলে দিলে তখন আমার বাবা তাকে গ্রহণ করে নিয়েছিল। আমার বাবার যখন গ্রহণ করে নিয়েছিল।
তখন আমার শ্বশুর বাবা আমার স্ত্রীকে আমার হাতে তুলে দিল তখন আমি তাকে গ্রহণ করে নিয়েছিলাম। যাইহোক আমার স্ত্রীকে গ্রহণ করে নিয়ে দশ মিনিট পরে আমাদের বাড়ির উদ্দেশ্য বের হয়। আমাদের আগে হতেই অটো ঠিক করা ছিল।তখন আমাদের শশুর বাড়ি থেকে বিদায় নিয়ে সরাসরি নৌকা ঘাটে পৌঁছেছিলাম।
নৌকা ঘাটে পৌঁছে সকলে মিলে নৌকাতে উঠেছিলাম। নৌকাতে উঠলে নৌকা ওয়ালা ২০ মিনিট পরে নৌকা ছেড়ে দিয়েছিল। নৌকাটা প্রায় ৩০ মিনিট পর ঘাটে গিয়েছিল। তখন আমরা সকলেই নৌকা থেকে নেমে যেহেতু আমাদের বাড়িতে যেতে অটোতে যেতে হয়। তাই আগে হতে অটো ঠিক করা হয়েছিল।
সেই অটো করে বাড়িতে পৌঁছেছিলাম। যাইহোক বাড়িতে পৌঁছে যখন বাড়িতে আসলাম তখন ঘরে ঢোকার আগে আমাকে এবং আমার বউকে শাড়ির উপরে মুড়ি ফেলে দিয়ে বলল দেখি কে কত মুড়ি সংগ্রহ করতে পারে। তখন আমি এবং আমার বউ শাড়ির উপরে মুড়িগুলো সংগ্রহ করে ঘরেতে উঠেছিলাম।
এ ঘরেতে উঠে দেখতে পেলাম কে কতগুলো সংগ্রহ করেছি। যাইহোক হিসাব করে দেখল আমি সবচেয়ে বেশি মুড়ি সংগ্রহ করেছিলাম। যাইহোক সংগ্রহ করার পর রুমের ভিতরে আমাকে এবং আমার বউকে বসিয়ে দিলে। তখন আমরা দুজন পাটির উপরে বসে ছিলাম।
আর পাটির উপর বসলে তখন একটা ছবিও তুলে রেখেছিল। যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো। যাইহোক এভাবে প্রায় রাত বারোটা পর্যন্ত দিনটা অতিবাহিত হয়। যখন রাত বারোটা বেজেছিল। তখন আমাকে আর আমার বউকে বাসর ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছিল।
তখন আমরা বাসর ঘরে গিয়ে আমি এবং আমার বউ দুজনে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করেছিলাম। যাইহোক নফল নামাজ আদায় করে আল্লাহর কাছে দুজনে মোনাজাত করেছিলাম। যেহেতু আমাদের দুজন দুইজনকে আগে হতে ভালো লেগেছিল।
আর বলতে গেলে এটা আমাদের ভালোবাসার বিয়ে। তাই আমরা দুজন দুজনকে পছন্দ করে বিয়ে করেছি। তাই আলহামদুলিল্লাহ আমি এবং আমার বউ দুজনেই অনেক খুশি। কারণ আমরা দুজন দুজনকে আগে হতেই পছন্দ করেছি।পরিশেষে দুই পরিবারের সম্মতিতে আমরা এই বিয়েটা করেছি।
তাই আলহামদুলিল্লাহ আমি এবং আমার বউ দুজনেই অনেক খুশি। তাই আপনারা সকলে দোয়া করবেন আমাদের দাম্পত্য জীবন যেন সুখের হয়। আমরা দুজনই যেন সারা জীবন একসাথে সুখ শান্তিতে আমরা বসবাস করতে পারি। পাশাপাশি মা-বাবার খেদমত করতে পারি।
এছাড়া আল্লাহর ইবাদত বন্দেগী করতে পারি। এটাই আল্লাহর কাছে চাওয়া। যাইহোক আপনারা সকলে দোয়া করবেন আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদের সকলকে সবসময় ভালো রাখে এবং সবাইকে যেন উত্তম রিজিকের ব্যবস্থা করেন।এটাও আল্লাহর কাছে চাওয়া।
যাইহোক বলতে গেলে বিয়ের দিন টা খুবই ব্যস্ততার মধ্যে কেটেছিল। যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো। যাইহোক এটাই ছিল আমার বিয়ের দিনের সারা দিনের সকল কার্যক্রম। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
বন্ধুরা আজকে আর লিখব না। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি । আপনাদের মাঝে আজকে যে কথাগুলো শেয়ার করলাম। আশা করি আপনাদের অবশ্যই ভাল লাগছে। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করবেন । ভালো থাকবেন সকলে ।আল্লাহ হাফেজ।
Device | Name |
---|---|
Android | Realme C15 |
Camera | 8MP camera |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @hafizur46n |
প্রথমে আপনাকে অভিনন্দন জানাই। আপনার ভবিষ্যৎ জীবন অনেক সুন্দর হোক। আপনার বিয়ের সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনাদের দুজনকে একসাথে বেশ সুন্দর মানিয়েছে মাশাআল্লাহ।
বিয়ের সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন
@hafizur46n ভাই অভিনন্দন 🥳
বড় ভাই তোমার নতুন জীবনের জন্য শুভেচ্ছা জানাই। তবে আমি তোমার বিয়েতে থাকতে পারলাম না। চলে আসতে হয়েছে কর্মজীবনের জন্য, তবে বিয়ের দাওয়াত খেতে না পারলাম ঈদের সময় কিন্তু ছাড়বো না 😉
যাই হোক ভাবিকে নিয়ে সুখ সমৃদ্ধময় জীবন অতিবাহিত করো, অনেক অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা রইল ❤️
ছোট ভাই তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ে সেই অনুযায়ী মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য। ভালো থাকবে ছোট ভাই
بَارَكَ اللَّهُ لَكَ, وَبَارَكَ عَلَيْكَ, وَجَمَعَ بَيْنَكُمَا فِي خَيْرٍ
আল্লাহ তায়ালা আপনাদের দাম্পত্য জীবন বরকতময় করুন।
এই সম্পর্ককে দুনিয়া থেকে জান্নাত পর্যন্ত স্থায়ী করুন
মন থেকে আপনাদের জন্য দোয়া ও ভালোবাসা প্রিয়।
ভাই আপনাকে অনেক অভিনন্দন। আপনার শশুরবাড়ি নদী পথে যেতে হয়। আমার মামার বাড়িও নদী পথেই যেতে হয়। আপনি আপনার বিয়ের প্রতিটা বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন যেটা পড়ে ভালো লাগলো। আপনাদের দুজনকে মানিয়েছেন ভালো।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।