Better Life With Steem || The Diary game ||9 June 2024||
[Edit by Collage Maker]
গতরাতে একটুও ভালো ঘুম হয়নি।কেন হয়নি জানিনা!!!তবে সারারাত্র এপাশ ওপাশ করে কেটেছে। অনেক সময় এরকম ঘুম না হলে ভোরের দিকে একটু ঘুম আসে।আজকে তাও আসেনি।তাই ভোরেই ঘুম থেকে উঠে গেলাম। মাথাটা কেমন যেন হালকা ঝিমঝিম করছিল।
মেয়ের নাস্তা রাতেই রেডি করে রাখি তাই সকালে খুব একটা ঝামেলা হয় না।এরপরে বাকি সবার নাস্তা গুছিয়ে ছেলেকে রেডি করে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। সাড়ে আটটার দিকে পৌঁছে গেলাম। এদিকে আকাশ বেশ মেঘলা।মনে হচ্ছে যেন ঝুম বৃষ্টি হবে।বৃষ্টির অপেক্ষায় বেশ কিছুদিন থেকে দিন গুনছি। কিন্তু বৃষ্টি কেন যেন দেখা দিচ্ছে না।একেবারেই রোদ নেই এবং বেশ অন্ধকার পরিবেশ।
যথারীতি ছেলেকে ক্লাসে দিয়ে ক্যান্টিনে গিয়ে আগে নাস্তা করে নিলাম।সাধারণত আমার নাস্তায় যা থাকে তাই। দুটি রুটি,একটু ভাজি আরেকটা ডিম পোচ।নাস্তা শেষ করে এক কাপ চা খাব ভাবলাম তখনই শাহিনা ভাবি বলল যে আজকে সবার জন্য উনি চটপটি নিয়ে এসেছেন।হাঁটতে যাবো ভেবেছিলাম কিন্তু কেন যেন ভালো লাগছে না। মাথাটা একটু ঝিমঝিম করছে।বেশ কিছুক্ষণ বসে রইলাম।
অন্যান্য দিন খুব ঘোরাফেরা করি কিন্তু আজ সেটাও করতে ইচ্ছে করছে না।পরে এক কাপ রং চা খেলাম।ভাবলাম একটু ভালো লাগবে। সাড়ে বারোটায় ছেলের ছুটি হয়ে গেলে ছেলেকে নিয়ে মেয়ের কলেজে গেলাম। সেখান থেকে মেয়েকে নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। কিন্তু আজকে এরকম জ্যামে পড়বো তা কল্পনাও করিনি।সাধারণত ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের মধ্যে আমি বাসায় পৌঁছে যাই।কিন্তু আজ প্রায় দেড় ঘন্টা লাগলো।
আড়াইটার দিকে আমি বাসায় পৌছালাম। এরপর এসে গোসল করে খেয়ে নিলাম কারণ ততক্ষণে আমার বেশ ক্ষুধা লেগেছে। তাই কারো জন্য আজকে আর অপেক্ষা করলাম না।দুপুরের খাবার শেষে সবার জন্য চা বানালাম। চা খেয়ে কিছুক্ষণ বসলাম।বেশ অবসন্ন বোধ হচ্ছিল। মাথা ঝিমঝিম বেড়েছে।
এমন সময় কুরিয়ার সার্ভিস থেকে ফোন আসলো যে আপনার পার্সেল এসেছে। এসে নিয়ে যান।গতকাল আমার ভাগ্নি ফোন দিয়েছিল।ও আম পাঠিয়েছে। তাই ভাবলাম সন্ধ্যার দিকে আম আনতে যাব।যেহেতু আমার মোবাইল নাম্বার দেয়া তাই আমাকেই যেতে হচ্ছে। যাওয়ার সময় ছেলেকেও নিয়ে গেলাম।
সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস মতিঝিলে এত বড় ভাবে হয়েছে যে কোথায় কোনটা তা বোঝাই মুশকিল।ওরা আম কাঁঠালের জন্য আলাদা একটি ব্রাঞ্চ খুলেছে।তাদের থেকে খোঁজ নিয়ে সেখানে গেলাম।যেয়ে দেখি চারিদিকে শুধু আমার কাঁঠালের কার্টুন আর বস্তা। অবশেষে আমি আমার সিরিয়াল নাম্বারটা বলাতে তারা খুঁজে বের করে আমের কার্টুন নিচে নামিয়ে দিল।
এরপর বাসায় চলে আসলাম। ততক্ষণে মাগরিবের আজান দিয়ে দিয়েছে। আমি কার্টুন নিচে রেখে বাসায় চলে আসলাম। বিল্ডিং এর লোককে বললাম যে বাসায় পৌছে দিতে। ওরা বাসায় পৌঁছে দেয়ার পরে বস্তা থেকে আম খুলে দেখি গরমে বেশ কিছু আম পেকে গেছে।
আমার ভাগ্নি জানে হিমসাগর আম আমার কত পছন্দ!!! ও কোথা থেকে আম নিয়েছে তা জানি না তবে নিয়মিত আমার জন্য বিভিন্ন জিনিস পাঠাতে ও কখনোই ভুলে না। আসলে আমরা সম্পর্কে খালা-ভাগ্নী হলেও সমবয়সী ও একই সাথে লেখাপড়া করেছি।এ কারণে আমাদের সম্পর্কটা অনেকটাই বন্ধুর মতো।
রোগী নিয়ে প্রচন্ড ব্যস্ত থাকে ও।এরপরও সময় করে সব সময় আমার জন্য বিভিন্ন জিনিস পাঠায়।যেখানে আমার পাঠানোর কথা উল্টো ওই আমার জন্য সব করে।ভাবলাম ভাগ্নি কে এই সময় ফোন দিলে ও ব্যস্ত থাকবে।তাই রাতে ফোন দেব। আমগুলো আমার রুমে এনে ঠান্ডার মধ্যে খুলে ছড়িয়ে দিলাম।যাতে আর বেশি পেকে না যায়।এতগুলো আমি কি করবো আসলে বুঝতে পারছি না।কারণ এত আম তো একসাথে খাওয়া সম্ভব নয়। দেখি কি করা যায়!!!
এরপর ঘরের বেশ কিছু কাজ শেষ করে পোস্ট লিখতে বসলাম।আজকে আবার আমাদের টিউটোরিয়াল আছে। তার জন্য নিজেকে ফ্রি করে নিচ্ছি।আমি বেশিরভাগ সময়ই ক্লাস গুলোর কথা ভুলে যাই।এদিকে আমার ছেলে খেয়ে ঘুমাতে চলে গেছে।অনেক ভোরে উঠাতে ইদানিং রাত জাগতে পারে না।আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। ভালো থাকবেন।
Device | Name |
---|---|
Android | vivo v19 |
Camera | triple camera 48mp+8mp |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Shot by | @hasnahena |
TEAM 5
Thank you for your support.
আসলে বিভিন্ন চিন্তাভাবনায় থাকলে মানুষের ঘুমের সমস্যা হয়ে থাকে।তবে আপনার ক্ষেত্রে অন্য কারনেও এমন হতে পারে।আপনি বাচ্চাকে স্কুলে দিয়ে প্রতিদিনের মতো আজকেও ক্যানটিনে নাস্তা করে নেন।আপনার ভাগ্নি আমের পার্সেলে পাঠিয়েছে কুরিয়ার করে।আবার রাতে টিউটোরিয়ালের জন্য অপেক্ষা করেন।ধন্যবাদ আপনার মুল্যবান দিনলিপি শেয়ার করার জন্য।