SEC17/W2| While making decisions, what do you prefer to follow: heart or mind?
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। কনটেস্টে লেখার জন্য এত সুন্দর একটি বিষয় পেয়েছি যা লেখার জন্য আমার তর সইছিল না।
আজকের লেখার বিষয়টি এমন একটি বিষয় যা আমাদের প্রতিদিনের জীবনের সাথে জড়িত। সিদ্ধান্ত প্রতিদিনই আমাদেরকে কম-বেশি বহুবার নিতে হচ্ছে। তাই এ বিষয়ে লিখতে আমি যথেষ্ট স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেছি।@meraindia কে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি এতো চমৎকার একটি বিষয়ে কনটেস্ট আয়োজন করার জন্য।
লেখা শুরু করার পূর্বে নিয়ম অনুযায়ী আমি আমার তিনজন বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানাতে চাই।
তারা হলেন-
কে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। তাহলে চলুন মূল লেখায় যাই।
What is your preference while making decisions, heart or mind? |
---|
পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্য ছিলাম আমি।সৌভাগ্যবশত আমার পরিবারে সবারই স্বাধীনতা ছিল নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়ার। খুব বেশি বড় সিদ্ধান্ত না হলেও ছোটখাটো বিষয় বাবা-মা সব সময় সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুমতি দিতেন।তাই নিজের মতামতকে আমি শৈশব থেকে প্রকাশ করতে পারতাম।
কিন্তু এখন যখন পুরনো দিনের কথা ভাবি তখন দেখি যে আমি সিদ্ধান্ত নিতাম আসলে হৃদয় দিয়ে। হয়তো বা বিবেক-বুদ্ধি দিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার বয়স তখন ছিল না।তবে এখনো বহু সিদ্ধান্ত আবেগ দিয়ে নিলেও আমি এটিকে বিভক্ত করে ফেলেছি। জীবনে কিছু কিছু সিদ্ধান্ত আমি একদম কঠোর ভাবে নিয়ে রেখেছি। কোনমতেই আমার এই সিদ্ধান্তের নড়চড় হবে না। এবং সেটা অবশ্যই নিজের মস্তিষ্ক দ্বারা। ওখানে আবেগের কোন স্থান নেই।
আর কিছু কিছু জায়গা আমি ছেড়ে দিয়েছি।সেখানে আমি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আবেগকেই পশ্রয় দেই। তাই বলতে পারছি না যে আমি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে একটি বিষয়কে বেছে নেই। বরং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে হৃদয় ও মস্তিষ্ক দুটোকেই ব্যবহার করি। অন্যদের মতামত শোনার চেষ্টা করি ও তাদেরকে প্রাধান্য দেই। মূলত হৃদয় ও মস্তিষ্কের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নেয়ার পক্ষে আমি।
Do you think we need both in terms of making decisions? Describe reasons. |
---|
আমি অবশ্যই মনে করি সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে হৃদয় ও মস্তিষ্ক দুটোরই সমন্বয় খুবই জরুরী। আমার সিদ্ধান্ত শুধু আমাদের নিজের উপরেই বর্তায় না বরং তা আমার পরিবারের সদস্য, চারপাশের লোকজন সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপরেই ছাপ থাকে। তাই গোঁড়ামি একেবারেই করা উচিত নয়।
কিছু সিদ্ধান্তের উদাহরণ দিতে পারি।যেমন- যে মানুষটি আমাকে অবহেলা করে আমি কখনো তাকে তার উত্তর দেই না। আমি এটা ভাবি যে কেউ আমাকে পছন্দ না করতেই পারে। আমাকে তার ভালো না লাগতেই পারে। এতে জবাব দেওয়ার কিছু নেই। এটাই আমার সিদ্ধান্ত।
কিন্তু কেউ যখন আমাকে অপমান করে তখন আমি সহ্য করি না। কারণ আমি কখনো কাউকে আমাকে অপমান করার অধিকার দেইনি।তখন আমি অবশ্যই প্রতিবাদ করি এবং সেটা তীব্র ভাবে।এটি আমার সিদ্ধান্ত এবং এটি অবশ্যই আমি মস্তিষ্ক দ্বারা নিয়েছি।
অপরপক্ষে আমার পরিবারের সদস্য তারা যত আমার সাথে যত খারাপই করুক বা যত কষ্টই দিক না কেন কিছু সময় অভিমান করলেও আমি তাদেরকে একটা সময় ক্ষমা করে দিই। এবং আমি খুব দ্রুত ভুলে যাই। কারণ আপনজনকে যদি আমি ক্ষমা করতে না পারি তাহলে আমি কেমন মানুষ?
কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আমার দায়িত্ববোধ,আমার পছন্দ,আমার ধার্মিকতা ও আমার নীতি-নৈতিকতা এই সবগুলোই আমাকে একসাথে সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তাই আমি বলব সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আমি হৃদয়ও মস্তিষ্ক দুটোকেই ব্যবহার করি।
Are you an emotional or a practical person in real life? |
---|
সত্যিকার অর্থে ব্যক্তিগতভাবে আমি খুবই আবেগপ্রবণ একজন মানুষ। তবে আমি তৎক্ষণাৎ আবেগ প্রকাশ করি না। যে কোন ঘটনা ঘটলে আমি প্রথমে সময় নিই। পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করি। কি হয়েছে, কি হয়ে গেল, কেমন হলো, কেন হলো এই প্রশ্নগুলোর উত্তর মেলাতে থাকি।
সত্যিকার অর্থে এরপরে যখন দেখি আমি খুব কষ্ট পেয়েছি তখন আমি মনস্তাত্ত্বিকভাবে ভেঙে পড়ি। নিজের ভেতরে প্রচন্ড রাগ ও ক্ষোভ তৈরি হয়। পুরনো কথাগুলো মনে পড়ে মন ভারী হয়ে যায় আমার।কিন্তু কিছু সময় বা কিছুদিন যাওয়ার পরে আমি আবার নিজেকে মানিয়ে নিই এবং ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করি। সত্যিকার অর্থে এখন মনে হয় নিজেকেই ভুলে যেতে যে বারবার বলি এটা করতে করতে এখন আমি প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো ও ভুলে যাই।
আমি একই সাথে কঠোর এবং কোমল।আমার ঘরের সদস্যরা আমাকে খুব কঠোর বলে এবং আমার ঘরের বাইরের পরিবারের মানুষগুলো আমাকে খুব কোমল বলে। তাই আমি নিজেও জানিনা আমি সত্যিকার অর্থে কঠোর নাকি কোমল ।তবে আমি অতি আবেগপ্রবণ এবং সূক্ষ্ম অনুভূতি সম্পন্ন।এটি আমি জানি। এর জন্য আমাকে অনেক বেশি ভুগতে হয়।
Do you have any suggestions for youth which one they should follow in their day-to-day lives? |
---|
ফেসবুকে একটি ঘটনাক্রমে এক নারীর মুখ থেকে আসা একটি বক্তব্য খুব ভাইরাল হয়েছে।বক্তব্যটি কিছুটা এরকম যে-
এখন অনেকেই বিভিন্ন ঘটনায় এই লাইনটি উদ্ধৃত করে উদাহরণ দিয়ে থাকে। যুবসমাজকে আমি বলব এই লাইনটি যদি ও একটি অল্প শিক্ষিত মেয়ে বলেছিল কিন্তু এই লাইনটির গভীরতা অনেক বেশি।এটা সত্যিই আমাদের জীবনে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে।আবেগ দিয়ে কাজ না করে বিবেক দিয়ে কাজ করা উচিত।
লেখাপড়া শিখে মানুষের মতো মানুষ হয়ে এবং সঠিক শিক্ষা কে জীবনে কাজে লাগিয়ে সফল হতে পারার মধ্যে যে আনন্দ তা ভুল পথে চললে কখনোই পাওয়া যাবে না। সফল হতে গিয়ে অন্যায় ও অনৈতিকতাকে আশ্রয় দেয়া যাবে না। তাহলে বিবেকের দংশনে তাড়িত হতে হবে। জীবনটা খুবই অল্প সময়ের।এখানে বড় বড় ভুল করলে তার জন্য পস্তাতেও হবে অনেক বেশি।
তাই এমনটি করার সুযোগ নেই। যৌবন অমূল্য সম্পদ।একে হেলায় হারানো কখনোই উচিত হবে না। তাই যুবকদের উচিত হবে তারা আবেগ দিয়ে না ভেবে মস্তিষ্ক দিয়ে ভাববে। জীবনের গতিকে সঠিক পথে রাখতে হবে। একবার সফলতার সিঁড়ি অতিক্রম করতে পারলে পরবর্তীতে বহু সিদ্ধান্ত হৃদয় দিয়ে নিতে পারবে।
সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল কথাটি হলেও কিন্তুু কথাটি একদম সত্যি,
তখন আমার আবেগ কাজ করেছে বিবেক কাজ করেনি,,
আমিও মাঝেমধ্যে আপনার মত হয়ে যাই, সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে গিয়ে সিদ্ধান্ত টা কে পরিস্থিতির সাথে ঠিকভাবে নিতে পারি না,,
তবে আমাদের উচিত আবেগটা কে কাজে না লাগিয়ে বিবেক তাকে দিয়ে পরিস্থিতি পরিবেশ বুঝে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।
কারণ, একটা সিদ্ধান্ত আমাদের অনেক দূরে নিয়ে যেতে পারে আবার একটা সিদ্ধান্ত আমাদেরকে একদম নিচে নামিয়ে দিতে পারে।।
জেনে ভালো লাগলো আপনি আপনার পরিবারে ছোট সদস্য ছিলেন ,তাই আপনি ছোটবেলা থেকে হৃদয় এবং মন দিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারতেন তবে আমার বেলা কিন্তু বিপরীত ছিলো।।
তবে বড় হওয়ার সাথে সাথে নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিজেই শিখেছি তবে দুর্বলতা টা একটা জায়গায় তাহলে ,,আমার ভিতরে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আবেগ প্রবণতা বেশি কাজ করে।।
যাইহোক ভালো থাকবেন এবং আপনার প্রতিযোগিতার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।।।
Both are really close. I will rather choose actually to follow the heart and the mind as it depends on the situation and when it is actually quite needed at that particular time
এই আকর্ষণীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । প্রতিযোগিতার প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর আপনি খুব সুন্দরভাবে সাজিয়েছেন।আপনি দারুন বলেছেন:
আমি আপনার সাথে একমত। কোন কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হলে হৃদয় ও মস্তিষ্ক দুটোকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ।কারন হুট করে কোন সিদ্ধান্ত নিলে অনেক সময় তা আমাদের ক্ষতির কারণও হতে পারে ।
আপনার জন্য রইল শুভকামনা ।
¡Saludos amiga!😊
Cuando notamos nuestra evolución al momento de decidir nos sorprendemos porque, allí comprendemos que era necesario experimentar cómo era decidir de manera independiente con estos elementos ya que, de ello se iba a desprender la facultad de aprender a decidir con equilibrio.
Te deseo mucho éxito en la dinámica, un fuerte abrazo💚
এনগেজমেন্ট চ্যালেঞ্জের ১৭ এর দ্বিতীয় সপ্তাহের কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার সাথে আমিও একমত, আসলেই কোন কিছু সিদ্ধান্ত নিতে গেলে মন এবং মস্তিষ্ক উভয়ের প্রয়োজন রয়েছে।
সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Your experience is good, I read your post, interesting part is when you think about the old days, you see that you actually took decisions with my heart. Maybe at that time I was not old enough to take decisions based on rationality. However, many decisions were taken emotionally, so I have divided them. I have taken some decisions in life very strictly. There will be no hesitation in this decision of mine. And that of course through one's own brain. There is no place for emotions there.
But my dear emotions are also necessary. Best of luck
Upvoted. Thank You for sending some of your rewards to @null. It will make Steem stronger.
সত্যি বলেছেন, কনটেস্টের বিষয়বস্তু বড়ই চমৎকার। সকলেরই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে হৃদয় এবং মস্তিষ্ক দুটোরই প্রয়োগ করা উচিত কিন্তু আমি সেটা পারি না। কনটেস্টের প্রতিটি প্রশ্নের আপনি খুব সুন্দরভাবে উত্তর দিয়েছেন। এই প্রতিযোগিতায় আপনার সাফল্য কামনা করি।
Dear friend thanks for the invite, I have already submitted my entry, the combination of heart and mind is key to making well-rounded decisions. By considering both emotional and rational aspects, we can ensure that our choices are not only beneficial for ourselves but also for those around us. Let us strive to lead with compassion and intelligence in our day-to-day lives.