জন্মদিনের মুহূর্ত - প্রথম পর্ব
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন। গতকাল আমি জন্মদিন সেলেব্রেশন এর প্ল্যানিং নিয়ে পোস্ট করেছিলাম আজকে জন্মদিনের দিনে কি কি হল ,তা লিখতে চলেছি।
প্রথমত বলতে চাই বাঙালির টাইম মানে সঠিক টাইম হবে না। যদি কেউ বলে সাড়ে আটটায়, তাহলে ধরে নিন ওটা নটা থেকে সাড়ে নটা বাজবে। তার থেকেও দেরি হতে পারে । তবে কারেক্ট টাইমে কখনো বাঙালি কাজ করতে পারে না ।
এই কথা মাথাতে রেখে আমরা সবাইকে বলে রেখেছিলাম নটার মধ্যে চলে যেতে। এর আগেই সাড়ে ছটা নাগাদ আমার বাবা বেরিয়ে গিয়েছিল মাছ মাংস কেনার জন্য। সাথে ওর বাবা ছিল, মানে আমার ভদ্রলোকের । তারপরে ওরা ফার্মের ওই জায়গায় পৌঁছে সমস্ত কিছু গোছগাছ করছিল। রাধুনীরা সাতটা নাগাদ সমস্ত কিছু নিয়ে ওইখানে পৌঁছে যায়। যেহেতু ওরা চিনতে পারবে না, তাই দাদা আর ও মিলে ওদের সাথে করে নিয়ে যায় ফার্মে।
সব থেকে বড় কথা এই চারটে ছেলে পুরো সকাল থেকে যা খেটেছে, ধারণার বাইরে। যাইহোক আমরা ধীরে সুস্থে রেডি হতে লাগলাম। আমি নিজেই সবাইকে নটা নাগাত বলেছি, এদিকে আমার দেরি হয়ে গেল। বাড়িতে আমি, মা আর ভাই ছিলাম। সবাই মিলে রেডি হয়ে নিয়ে জেঠুর বাড়িতে চলে গেলাম। তারপর জেঠুর বাড়ি থেকে গাড়ি করে পৌঁছে গেলাম ওদের বাড়িতে। ওদের বাড়ি থেকে সবাই মিলে ফার্মের দিকে রওনা দিলাম।
যেহেতু আমরা কেউ ওদের ফার্ম চিনি না ,তাই ওর মা আর বৌদি ছিল আমাদের সাথে। তারপর পৌঁছে যাওয়ার সাথে সাথে। আমি জাস্ট অবাক হয়ে চারিদিক দেখছিলাম। চারিদিকে খালি সবুজ আর সবুজ। অপরূপ জায়গা। যেই না পুকুরের কাছে এসে পৌঁছলাম ,পুকুরের হাওয়া টা এত সুন্দর লাগছিল। সেদিনকে শীতটা কম ছিল। বেশ রোদ উঠেছিল। আমি তাড়াতাড়ি ফটোগ্রাফি করে নিলাম কিছু।
তারপর যেখানে আমাদের সমস্ত কিছু আয়োজন। সেখানে পৌঁছে গেলাম। দেখলাম চারজন ছেলে মিলে সমস্ত কিছু একদম ঠিকঠাক ভাবে সাজিয়ে রেখেছে। যেহেতু আমরা অল্প মানুষ ছিলাম। তাই তিনটের টেবিলেই কাজ হয়ে যাবে। সবমিলিয়ে খুবই ভালো লাগছিল ডেকোরেশনটা। ওদিকে রাঁধুনি রান্না বসিয়ে দিয়েছে অনেকক্ষণ আগে।
এক এক করে যখন সবাই এসে হাজির, আমরা ছবি তুলতে লাগলাম। নানারকম পোস দিয়ে, আমাদের মেয়েদের যা কাজ। অনেক অনেক ছবি তোলা হলো। এই ছবিগুলো আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিলাম। সবাই অনেকদিন পর এরকম মজা মজা করতে পারছে দেখে সবাই খুব আনন্দ এ ছিল।
আসলে সবাই সব সময় নানান কাজে ব্যস্ত থাকে ।বিশেষ করে মায়েরা ।এরকম ছোটখাটো পিকনিক অবশ্যই প্রয়োজন। এ কারণে আমার জন্মদিনের বাহানায় একটা ছোট্টখাটো পিকনিক হয়ে গেল। এটা একটা বেশ মজার বিষয়। এবং সে দিন সবাই মিলে খুবই আনন্দ করা হয়েছিল।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে, আপনার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন সবাই চেয়েছিল, আপনার জন্মদিনটি একটু ভিন্নভাবে করার জন্য, আত্মীয়-স্বজন সবাই মিলে একসাথে হবে আপনার জন্মদিনের উদযাপন করবে। এই জন্মদিন টি আপনার স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমার কাছে আপনার পরিবারের জন্মদিনের আইডিয়াটা অস্থির হয়েছে। যা বলে শেষ করা যাবে না, আপনার পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম এই জন্মদিনে অনেক মজা করেছেন আপনি। এত সুন্দর একটি আনন্দ মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিদি। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
আপনার পোস্টটি খুবই আনন্দদায়ক এবং প্রাণবন্ত! বাঙালির টাইম ম্যানেজমেন্ট নিয়ে আপনার মজার মন্তব্য সত্যিই হাস্যকর, এবং পিকনিকের মুহূর্তগুলোও অনেক সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। চারপাশের সবুজ প্রকৃতি, পুকুরের শান্ত বাতাস এবং জমকালো ডেকোরেশন সবকিছু মিলে সত্যিই দারুণ এক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে, পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে এমন বিশেষ মুহূর্তগুলো ভাগ করে নেওয়া জীবনের অনেক সুন্দর স্মৃতি তৈরি করে। আশা করছি, আরও অনেক আনন্দের মুহূর্ত কাটবে আপনার জীবনে।
জন্মদিনের দিন পরিবারের সকলের সাথে সময় কাটাতে খুব ভালো লাগে। সেদিন খুব মজা আনন্দ করে দিনটা কাটিয়েছো। নতুন বছরের প্রত্যেকটা দিন তোমার ও সুন্দরভাবে কাটুক এই কামনাই করি। সুন্দর পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো।