সেলিব্রেশন প্ল্যানিং
নমস্কার বন্ধুরা। প্রথমেই সকলকে নতুন বছরের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। সকলের নতুন বছর ভালো কাটুক। আর এবারে সকলের ভালো কাটবেও। কথায় আছে , মঙ্গলে ঊষা বুধে পা ,যথা ইচ্ছা তথা যা। বছরের প্রথম দিন বুধবার পড়ছে। বুধবার সব থেকে শুভ। তাই বছর অবশ্যই ভালো কাটবে। এর সাথেই দেখতে গেলে সালের শেষ সংখ্যায় ৫ আছে। পাঁচ সংখ্যাটিকেও শুভ সংখ্যা হিসেবে ধরা হয়। তাই আশা করছি নতুন বছর সকলের ভালো হবে।
যাইহোক আমি গতকাল আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম জন্মদিন পালন করার জন্য যে স্পট চুজ করা হলো ,সেটা কিভাবে করা হলো ,সেটা নিয়ে। আজকে আমি শেয়ার করছি পরের গল্পগুলো।মোটামুটি আমরা টোটাল ১৩-১৪ জন হচ্ছিলাম। সাথে রাঁধুনিরা ছিল। আর ওদিকে যারা ওদের ফার্ম দেখাশোনা করে, তাদেরও ধরা হয়েছিল।
দু-তিন দিনের মধ্যে আমার আর ওর বাড়ি মিলে সবাই আয়োজন শুরু করে দিল। ডেকোরেটর বুক হয়ে গেল। যেহেতু গ্যাস ,ওভেন, চেয়ার, টেবিল, বাসন আরো এটা সেটা সমস্ত কিছু লাগবে। ডেকোরেটরের ব্যাপারটা পুরোপুরি ওর দাদাই দেখল।
এরপরে মুদিখানার টোটাল একটা ফর্দ বানিয়ে ফেলা হলো। কত কি লাগবে ,কতটা পরিমাণ করে, সেগুলো সমস্ত কিছু ঠিক করে নেয়া হলো। বাবা জন্মদিনের একদিন আগেই সমস্ত মুদিখানার বাজার করে নিয়ে আসলো।
আমাদের পরিচিত একজন ক্যাটারিং এর কাকুর সাথে কথা বলে, বাবা সমস্ত কিছু ঠিক করলো। সাথে দুটো রাঁধুনি ঠিক করলো। এর সাথেই ঠিক হয়ে গেল মেনু।
সকাল বেলার মেনুতে ছিল লুচি ,আলুর দম আর গুড়ের সন্দেশ। সাথে চা ,কফি ।তারপরই ছিল পনির পকোড়া এবং চিকেন পকোড়া।
তারপরে দুপুরবেলায় ছিল - সাদা ভাত ,ভেজ ডাল ,আলুর চিপস ,দই কাতলা ,পনিরের তরকারি, খাসির কষা মাংস ,চাটনি ,পাপড়, আর দু রকমের মিষ্টি ।মিষ্টি ছিল সরপুরিয়া আর খেজুরের রসগোল্লা। তারপরে ছিল জল জিরা অর্থাৎ মাসালা কোক। আর ছিল হজমোলা।
এর মাঝেই প্রচুর কমলা লেবু কেনা হয়েছিল, যে যত পরিমাণে খাওয়ার খেয়েছে। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত আয়োজন। জন্মদিনের আগের দিন সমস্ত সবজি বাজার করে রাখা হলো। বাবা আর দাদা মিলে সমস্ত বাজার করে নিয়ে এসেছিল। আর মাছ মাংসের বাজার , ওর বাবা আর আমার বাবা মিলে করে ফেলল।
আসলে কিছু কিছু সময় অনেক লোক বলতে চাইলেও বলা যায় না। কারণ বেশিরভাগ মানুষ আমার বাড়ির কাছে ।বিশেষ করে আমার পরিবারের ।আমিও চাইছিলাম একটু ছোট করেই করতে। আর এই সূত্রে আমার ওদের ফার্ম দেখা হয়ে গেল ।কারণ আমি দু বছর তিন বছর ধরে কতবার যে যেতে চেয়েছি ফার্মে ,তার ঠিক নেই।
আসলে আমার খুব গ্রাম ভালো লাগে ।গ্রামের এলাকা ,সবুজ মাঠ, গাছপালা, পুকুর এগুলো সত্যিই আমার অনেক পছন্দ। বিশেষ করে শীতের সময় গ্রামের দিকে যেতে খুবই ভালো লাগে। আমি বহুবার যাওয়ার জন্য জেদ করেছি কিন্তু সুযোগ হয়নি । কোন না কোন বাধা এসে দাঁড়িয়েছে। অবশেষে এই সূত্রে যে সেদিনকে ওই জায়গায় যেতে পেরেছি । এটাতেই আমি অনেক শান্তি পেয়েছি।
যাইহোক আজকে এখানেই শেষ করছি পোস্ট। পরের দিন শেয়ার করব সকাল থেকে কি কি হলো। আমার জন্মদিন কিভাবে সেলিব্রেট হল আর আমরা কত কত মজা করলাম, সেই সমস্ত মুহূর্তগুলো।
সত্যিই দিদি আপনার পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম।আপনি খুব আনন্দ উপভোগ করেছেন, এটা করারই কথা নিজের জন্মদিনে তো সবাই আনন্দে থাকে। আপনার আরেকটি বিষয় পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম। আপনি গ্রাম অনেক ভালোবাসেন, আমিও গ্রাম অনেক ভালোবাসি গ্রামের পরিবেশ, গ্রামের মানুষগুলো, গ্রামের প্রাকৃতিক সবকিছুই আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। এত সুন্দর একটি আনন্দ মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
আপু আপনাকে জানাই নতুন বছরের শুভেচ্ছা এবং এমন সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আয়োজন এবং প্রস্তুতিগুলোর বিবরণ পড়ে খুব ভালো লাগলো। গ্রাম আর সবুজের প্রতি আপনার ভালোবাসা একদম হৃদয়ছোঁয়া। জন্মদিন উদযাপনের গল্পের জন্য অপেক্ষা করব। শুভকামনা রইল।
🤗 Hi @isha.ish! Your contribution is excellent! 🚀
Hey friend! 🎉 Come check out your awesome post on my shiny new front-end! It's still a work in progress but I'd love to hear what you think! View your post here ✨
আমাদের সাথে যাদের ভাল সম্পর্ক হয়ে ওঠে আমরা চাইলেও কিন্তু আমাদের অনুষ্ঠান গুলোকে ছোটখাট ভাবে করতে পারি না। কারণ তাদের সাথে আমাদের ভালো সম্পর্ক আছে, তাদেরকে অবশ্যই সেই অনুষ্ঠানের মধ্যে ইনভাইট করতে হয়। আপনি আসলে ও নামের একজনকে বা একজনের কথা বলেছেন। ওই মানুষটাকে জানার বেশি আগ্রহ রইলো,🤔 আর যে জায়গায় আপনার যাওয়ার অনেক বেশি ইচ্ছা ছিল। আপনি সেই জায়গায় যেতে পেরেছেন পরিবারের সাথে সময় কাটাতে পেরেছেন জানতে পেরে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।