বর্ধমান হ্যান্ডিক্রাফট অফিস
নমস্কার বন্ধুরা। এখন আমি অনেকটাই সুস্থ আছি। গতকালও খুব শরীরটা খারাপ ছিল। জ্বর থেকে ওঠার পর শরীর এতটা দুর্বল হয়ে যাবে আমি ভাবতেও পারিনি। কিন্তু আজ সকাল থেকে ঘুম থেকে ওঠার পর শরীরটা ভালই লাগছে। তাই গতকাল পোস্ট করতে না পারলেও আজকে পোস্ট করছি।
আমি বলেছিলাম মূর্তিটি কলকাতা অফিসে জমা না নেওয়ায় আমাদের আবার বর্ধমান যেতে হয়েছিল। আমরা প্রায় পনে দুটো নাগাদ বর্ধমান রওনা হয়েছিলাম কলকাতা থেকে। পনে দুটো অব্দি কলকাতাতেই ছিলাম।কাগজপত্র যেগুলো দরকার আরো পড়েছিল ,সেগুলো বানিয়ে নিচ্ছিলাম।
সাধারণত সরকারি অফিস চারটে অবধি খোলা থাকে ।কিন্তু যেহেতু এরকম কম্পিটিশনের ব্যাপার চলছে ।তাই অফিস ওরা ছটা অব্দি খোলা রাখবে বাবা ফোন করে সেটা শুনে নিয়েছিল। আসলে কৃষ্ণনগর বর্ধমানের অনেক কাছে। আর বর্ধমান অফিসে বাবার অনেক চেনা মানুষ রয়েছে, তাই আগে যদি জানা যেত বর্ধমান যেতে হবে ,তাহলে আমরা কলকাতাতে যেতামই না।
গাড়িতে ওঠার আগেই বুঝতে পেরেছিলাম বর্ধমান পৌঁছতে পৌঁছতে চারটে বেজে যাবে। কিন্তু তারপরে অফিস যদি না খোলা থাকে। তাই সেখানকার অফিসারের সাথে কথা বলে রাখা হয়েছিল এবং তারাও জানিয়েছিল এই অ্যাওয়ার্ডে অংশগ্রহনকারী আইটেমগুলো জমা নেওয়ার জন্যই ওনারা প্রায় ছটা সাতটা অব্দি এই কিছুদিন হল অফিস খোলা রাখছে।
কারণ অনেক দূর দূর থেকে লোকজন জমা দিতে আসছে। আর অনেকেরই অনেক কিছু ঠিক ভাবে জানা নেই অথবা ভুল হয়ে যাচ্ছে। প্রতিবছর যে জিনিসটা হয়ে আসছে ,সেই জায়গায় যদি নিয়ম এদিক থেকে ওদিক করা হয় ,অনেকের আওতার বাইরে যে, সেটা বুঝবে।যদিও আমরা অনলাইনের রুল্সগুলো ভালোভাবে পড়েছিলাম, কিন্তু সেখানে এই টাইপ কোনো লেখা ছিল না। কিন্তু আমরা যদি কোনো অংশগ্রহণকারীর সাথে সরাসরি কথা বলতাম তাহলে হয়তো এই মিস্টেকগুলো হত না।
আমি গত দিনে যে পোস্ট করেছিলাম তার পরবর্তী লেখাগুলোই আজকে লিখছি। আপনাদের বুঝতে অসুবিধা হলে আগের পোস্টটি পড়ে দেখতে পারেন। রওনা দেওয়ার পরেই প্রচণ্ড খিদে পেয়ে গিয়েছিল ।কারণ দুপুরে খাওয়া-দাওয়া হয়নি। সকালবেলায় হোটেলে খাওয়া দাওয়া করা হয়েছিল , সেই চাকদা তে। কিন্তু তখন হোটেলে খাওয়া-দাওয়ার সময় অল্প ছিল। আর আমাদের তাড়াতাড়ি বর্ধমানও পৌঁছাতে হবে। তাই আমি বাবাকে বললাম হোটেলে না দাঁড় করাতে।
আশেপাশে কোন দোকান বা কোন জায়গা থেকে হালকা কিছু কিনে নেব, এটাই ঠিক করা হলো। বর্ধমান যেতে পাশে একটা বড় রেস্টুরেন্ট পরল ।তার সাথেই ছিল মঞ্জিনিস ,একদম গায়ে লাগানো ।আমি তো দেখেই খুব খুশি হয়ে গেলাম। কারণ যা চাই সব ওখানেই পাওয়া যাবে।
গাড়ি থামিয়ে ওখান থেকে পছন্দমত চিকেন সিক্সটি ফাইভ রোল দুটো, চিকেন বার্গার একটা, স্প্রিং চিকেন রোল দুটো, দুই ধরনের পেস্ট্রি আর একটা ক্রিম রোল আর একটা কেক নিয়েছিলাম। গাড়িতে বসে আমি কেক আর বার্গার খেয়েছি। বাকি বাবা এবং আমাদের যে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাকে দিয়েছি।
দেখতে দেখতে খুব তাড়াতাড়ি আমরা পৌঁছে গিয়েছিলাম তখন বাজে সাড়ে তিনটে। ওখানে যাওয়ার সাথে সাথে দেখি প্রচুর মানুষের ভিড় ।অনেকেই জমা দিতে এসেছে অনেক দূর থেকে। অনেকেরই ভুলবশত আমাদের মতন কলকাতা যাওয়া হয়েছিল ,তারাও ফিরে আবার বর্ধমান এসছে।
দফতরের উচিত ছিল খুব ভালোভাবে নোটিফিকেশনে হোক বা নোটিশে হোক দিয়ে দেওয়া যে ,কে কোথায় জমা দেবে। তাহলে মানুষকে এত সমস্যায় পড়তে হতো না। আমি সাথে সাথে ডকুমেন্টগুলো ঠিকঠাক করতে লাগলাম ।আমরা এক সেট ডকুমেন্ট নিয়ে গিয়েছিলাম আরো দুই সেট বানাতে হল।
সবকিছু ঠিকঠাক করা হলো এবং আমাদের ওখান থেকে বার হতে হতে প্রায় ছটা পার হয়ে গিয়েছিল। ফেরার পথে আমি এতটাই ক্লান্ত ছিলাম যে গাড়িতে শুয়ে শুয়ে আসছিলাম। বাড়িতে এসে বেশি রাত করিনি। তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম সেদিন। আজ এখানেই শেষ করছি। পরে অন্য কিছু নিয়ে আবার হাজির হব।
এইরকম কোনো প্রতিযোগিতার বিষয়ে আমার একদমই জানা ছিল না। আপনার শরীরটা খারাপ ছিল এটা জেনে একটু খারাপই লাগলো। তবে এটা জেনে ভালো লাগলো যে ধারনা করা নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই আপনারা নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছেছিলেন।
আপনার আজকের লেখার মাধ্যমে আরো একটা তথ্য জানতে পারলাম যে ভারতীয় দাপ্তরিক অফিস ছুটির বা বন্ধ হওয়ার সময় বিকেল চারটা। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি লেখা আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।