হান্ডিক্রাফট সার্ভিস সেন্টার
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ? টানা দুদিন জ্বর আর তারপর আজকে সকালেও কিছুক্ষণ জ্বর ছিল। তারপরে আর দুপুর থেকে জ্বর আসেনি, শরীরের মধ্যে কেমন যেন হাফ লেগে আছে, কোন কাজ করতে পারছিনা, মাথা তুলতে পারছি না ,শরীর ভীষণ অসুস্থ।
যখন করোনা হয়েছিল তখন যেমন শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল, আমার সেরকমই হয়েছে ।এখন যে হুট করে এরকম হবে, আমি বুঝতে পারিনি। আমি আপনাদের বলেছিলাম যে ১৮ তারিখের পরীক্ষার জন্য আমাকে কলকাতা যেতে হয়েছিল ,সেই নিয়ে আমি পোস্ট লিখেছি ।১৯ তারিখে আবার ফিরে এসেছিলাম ।কিন্তু ফিরে এসে শান্তি ছিল না।
বাবার কাজের জন্য আমাকে অনেক ছোটাছুটি করতে হয়েছে । ১৯ তারিখেও ঠিকভাবে রেস্ট পাইনি। চোখের পাতা এক করতে পারিনি। ১৯ তারিখের দুপুরে যে ঘুমটা দরকার ছিল, সেটা হয়নি ।কুড়ি তারিখে সকাল বেলাতেই কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি।
কলকাতায় আমাদের গন্তব্যস্থল ছিল ডিসি বিল্ডিং হ্যান্ডিক্রাফট অফিসে। বাবা যে মৃৎশিল্পের সাথে যুক্ত ,আপনারা তা জানেন ।মৃৎশিল্পের জন্য প্রত্যেক বছর অ্যাওয়ার্ড এর ব্যবস্থা করা হয় এবং অ্যাওয়ার্ড এর জন্য মূর্তি সাবমিট করতে হয়। এবারে বাবাও সাবমিট করবে। বাবা যেহেতু উত্তরকাশী থেকে এসছিল কিছুদিন আগেই। তাই হাতে বেশি সময় পায়নি ।কুড়ি তারিখে ছিল লাস্ট ডেট। ডকুমেন্ট যা যা লাগবে সমস্ত কিছু আমি গুছিয়ে দিয়েছিলাম বাবাকে। বাবা শুধু মূর্তির কাজে ব্যস্ত ছিল।
আমি বাবার সাথে সকালবেলায় বাবার তৈরি মূর্তি এবং ডকুমেন্টস নিয়ে রওনা দিলাম কলকাতার উদ্দেশ্যে আমাদের গাড়ি করেই। কলকাতা পৌঁছেও গেলাম। কিন্তু কলকাতাতে গিয়ে অফিস থেকে জানতে পারলাম যে এই মূর্তি এবং কাগজপত্র সবই বর্ধমান অফিসে জমা করতে হবে কারণ নদীয়া জেলা বর্ধমান হ্যান্ডিক্রাফট এর আওতায় পড়ছে। কিন্তু গত বছর এটি ছিল না। আমাদের কলকাতা অফিসেই জমা করতে হয়েছিল।
আমাদের তো পুরো মাথায় হাত পড়ে গেল। এছাড়াও অনেক কিছু ডকুমেন্টস যেগুলো আমরা নিয়ে যায়নি, আমাদের জানা ছিল না,সেগুলোও ওনারা বলে দিলেন ।সেই মতোই কাজ শুরু হয়ে গেল।
মূর্তিটি ঠিকভাবে প্যাক করে রাখা ছিল। বর্ধমান অফিস থেকে ঘুরে আবার কলকাতা অফিসেই মূর্তিগুলো চলে আসে ।তাই বাবা একজন অফিসারকে বলে, মূর্তিটি ওখানে রাখারই ব্যবস্থা করে দিল। কিন্তু আমাদের যেতে হবে বর্ধমানে। কলকাতা থেকে বর্ধমান যেতে বেশ অনেকটাই সময় লাগে প্রায় দু ঘন্টা।
যখন বুঝতে পারলাম কিছুতেই কলকাতা অফিসে কাজ হবে না ,তখন পুরো মাথায় হাত পড়ে গিয়েছিল। ওখানে বেশি দেরি করলাম না, বর্ধমানের দিকে রওনা হলাম।
কলকাতায় যাওয়ার সময় আমি মনে মনে কত খুশি ছিলাম। কারণ কাগজপত্র এবং মূর্তিটি জমা দিলেই আর কোন কাজ নেই। ভেবেছিলাম তারপরে ধীরে সুস্থে বাড়ি ফিরে আসবো। সাথে জুডিওতে একটু শপিংও করব। আমরা ভাবতে পারিনি এরকম একটা বাজে অবস্থায় পড়তে হবে। আসলে ভগবানের লীলাখেলা এটাকেই বলে। আমার যাওয়ার কথা কলকাতা ।ভগবান যদি লিখে থাকে বর্ধমান নিয়ে যাবে ,তাহলে যেভাবেই হোক নিয়ে যাবে।
আমি ভীষণ বিশ্বাস করি ভগবানে। রাস্তায় যেতে যেতে চিন্তা মুক্ত ভাবে গিয়েছি। কিন্তু কলকাতায় পৌঁছেই শুরু হয়ে গিয়েছিল দৌড়ঝাপ। কলকাতায় যাওয়ার সময় একটা জায়গায় দেখলাম হাট বসেছে। সেদিন কে বৃহস্পতিবার ছিল। আমি কাঁঠাল খেতে খুব ভালোবাসি। টলি টলি কাঁঠাল দেখে আমার তো খুব লোভ লাগছিল ।কিন্তু হাতে সময় কম ছিল ।তাই গাড়ি দাঁড় করিয়ে কাঁঠাল নিতে পারিনি। তাছাড়া আমার বাড়িতেও কাঁঠাল ছিল। পরিচিত যারা আছে তারা নিজেরা কাঁঠাল খায় না ,কিন্তু আমরা ভালবাসি দেখে আমাদের বাড়িতে দিয়ে যায়।
যাই হোক আজ আমি এখানেই শেষ করছি শরীর ভালো নেই। ভাবতে পারিনি যে আজ যেটুকুনি লিখছি, তা লিখতে পারবো। কিন্তু হঠাৎ শরীরটা একটু ঠিক লাগায় ,লিখে ফেললাম । আগামীকাল চেষ্টা করব বর্ধমান যাওয়ার কথা শেয়ার করার।
আপনি আপনার ব্যক্তিগত সারা দিনের সকল কিছু আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন, যেটা আমার কাছে ভালো লেগেছে, সেই সাথে সাথে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি আপনি যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।
TEAM 7
Congratulations! Your post has been upvoted through steemcurator09.