কার্তিক পুজো সাকসেসফুল
নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। কার্তিক নিয়ে অনেকগুলো পোস্ট হয়ে গেছে। আজকে কিন্তু শেষ পোস্ট। আর কার্তিক ঠাকুর নিয়ে আপনাদের ডিস্টার্ব করবো না ।আর আমার পাশের বাড়ি মৌসুমী বৌদিদেরও ডিস্টার্ব করবো না। কার্তিক নিয়ে শেষ পোস্টে লিখেছিলাম ,ওদের রিএকশন ছিল কেমন, যখন ওরা কার্তিক ঠাকুরটা দেখল, যাইহোক আজকে আমি শেয়ার করতে চলেছি ঠিক তার পরের দিনের কথা।
আগের দিন রাতে সব হাসি মজা নিয়ে আমরা খুব নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়লাম ।পরের দিন সকাল বেলায় আমি কাপড় মেলতে ছাদ এ গিয়েছি। বৌদি ঘুরঘুর করছে। আর ওদের বাড়িতে কার্তিক ফেলা হয়েছে, সেটা নিয়ে পাড়াতে একটা হৈ হুল্লোড় রয়েছে ।স্বাভাবিকভাবে যাদের যাদের বাড়িতে কার্তিক ফেলা হয় ,তারা সকলেই জানতে পেরে যায়। আমি কিছুই না ।শুধুমাত্র মৌসুমী বৌদিকে ডেকে বললাম ,কার্তিক ফেলেছে ।পুজো করো। রান্না কর ,খেতে হবে তো।
তাতেই উনি আমাকে উত্তর দিলেন ,যে "নিজে যখন কার্তিক ফেলেছো ,তাহলে নিজে এসে পুজো করো,নিজে এসে সমস্ত কিছু আয়োজন করো।" আমি তো কিছুতেই স্বীকার করছি না ।আমি কেন কার্তিক ফেলতে যাব ,কি করেই বা ফেলব। ঈশান যখন আসলো, তখন ওউ স্বীকার করছে না। কিন্তু বৌদি, সেই একটানা ধরেই রয়েছে, যে আমি এই কাজ করেছি।
পরে আমি বাবা, মা যখন হাসাহাসি করছি, ওই সময় বৌদি এসেও বাবাকে বলতে লাগলো ।তোমরা কার্তিক টা কখন ফেললে। এসব কথা বলতে বলতে কেউ আমরা স্বীকার করিনি একবারও যে কার্তিক ফেলেছি। শুনেছি কার্তিক যারা ফেলে, তাদের স্বীকার করতে নেই ।এ কারণে আমরা এই সমস্ত কিছুই স্বীকার করিনি। কিন্তু বৌদিরা ঠিক ধরেছিল। আর তারপরে কিছুক্ষণ বাদে বৌদির শাশুড়ি অর্থাৎ জেঠি এসে আমাদের বাড়িতে সবাইকে নিমন্ত্রণ করে গেল পুজোর জন্য। নিমন্ত্রণ পেয়ে আমি তো ভীষণ খুশি।
কার্তিক পুজো তো একটা নমুনা ।সবাই মিলে একটু গল্প হবে ,খাওয়া-দাওয়া হবে, এটাই সবথেকে মজার বিষয়।। বৌদির বাড়িতে সন্ধ্যা বেলা থেকে জোগাড় শুরু হয়ে গেছে। বৌদির বাবার বাড়ির সবাই এসেছে, বৌদির মা বাড়ি চলে গিয়েছিল ,সেও সাথে সাথে ব্যাক করেছে। আমি সকাল থেকে একবারও বৌদিদের বাড়িতে যেতে পারিনি কারণ শোরুমে কিছু কাজ ছিল।বাড়িতে সন্ধ্যে দিয়ে তারপর রেডি হয়ে বৌদিদের বাড়িতে চলে। গিয়ে দেখি অনেক লোকজন। লুচি ,আলুর দম হবে। সাথে কার্তিক পুজোর জন্য আয়োজন করা চলছে।
আলুর দম কে বানাবে ,বোঝা যাচ্ছিল না ।কারণ সবাই এক একটা কাজে ব্যস্ত ছিল। তাই আমাকে বৌদি একবার বলাতে ,আমি রাজি হয়ে গেলাম। মোটামুটি কুড়ি পঁচিশ জনের আলুর দম আমি এর আগে কখনোই বানাইনি।। বেশ সাহস নিয়ে এগিয়ে পড়লাম রান্নাঘরে। তারপর দেখতে দেখতে আলুর দম তৈরি হয়ে। খেতেও কিন্তু দুর্দান্ত হয়েছিল।
যাই হোক সবাই মিলে খাওয়া-দাওয়া হল। এদিকে ঠাকুর মশাই এসে পূজও সারলো। বৌদি বেশ সাজুগুজু করে কার্তিকের জন্য বসেছিল। আর কার্তিক ও ভাবছিল কার্তিকের মাকে কত সুন্দর দেখতে লাগছে।পুজো হয়ে যাওয়ার পর সবাইকে প্রসাদ দিলাম। সবাই এক এক করে খাওয়া দাওয়া করে নিলাম। আমাদের বাড়িতে আমার সেজোপিসিরা এসেছিল। ওরাও প্রসাদ খেল। সবমিলিয়ে বেশ একটা শীতের আবহাওয়ায় ছোটখাটো ফিস্ট হয়ে গেল। তবে কার্তিক কি কি খেয়েছে, তা কিন্তু আমি একদম দেখিনি। হয়তো কার্তিকের মা জানে।
আজকে এখানেই শেষ করছি। পরের বছর যদি আবার কার্তিক ফেলা হয়, তাহলে আবার কিন্তু পাঁচ/ছদিন ধরে কার্তিক নিয়ে গল্প শুনতে হবে আপনাদের।🫢
বাহ এতদিনে তাহলে তোমার কার্তিক পূজার পোস্ট শেষ হলো। তবে কার্তিক ভেড়া থেকে শুরু করে পূজোতেও বেশ সকলে মিলে অনেক আনন্দ করলাম। ঠিকই বলেছ একটা ছোটখাটো পিকনিকেই বলতে হবে। তবে পরের বছর সাবধানেই থাকবো। কার্তিক ফেলার আগেই নিজেরা সবকিছুই বন্দোবস্ত করে নেব। যাতে কোন অসুবিধা না হয়।
0.00 SBD,
0.97 STEEM,
0.97 SP