ভাইপোর জন্মদিন
নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন ।আমিও ভালো আছি। আজ একটু ব্যস্ততার কারণে আপনাদের কাছে পোস্ট শেয়ার করতে দেরি হয়ে যাচ্ছে। যাইহোক আজকে আমি আমার গতকালের মুহূর্তগুলো শেয়ার করব । কারণ গতকাল ছিল আমার পিসতুতো দাদার ছেলের জন্মদিন।
আমার পোস্ট যারা প্রতিনিয়তই পড়ে থাকেন তারা আমার এই দাদার ছেলের সম্পর্কে জানবেন ।আমার দাদার ছেলের নাম হলো নিলয়। দাদা বলতে আমার পিসির ছেলে ।নিলয় অনেক সাধনার ফল। অনেক তপস্যার ফল। অনেক বছর পরে ও দাদার বাড়ি আলো করে এসেছে।অনেক বছর পর ওদের সন্তান হওয়ার জন্য ওরা সত্যিই খুব আনন্দিত।
নিলয় গত পরশু দুই বছরের হলো। এক বছরের সময় ওর জন্মদিন করা হয়েছিল। এবারেও করা হলো। ও সবার খুব আদরের। ওটুকু বাচ্চা এত সুন্দর কথা বলে , না শুনলে বিশ্বাস হবে না। দুই বছরের নিলয় পুরো পাকা বুড়োর মত কথা বলে।
আমি ওর পিসি হই। ওদের বাড়িতে আয়োজন ছিল রাতের বেলা। যদিও সকাল থেকেই খাওয়া দাওয়া। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে আমরা কেউ যেতে পারিনি সকাল থেকে। তাই সকাল দুপুরে খাবার পাঠিয়ে দিয়েছিল বৌদি। রাতে গিয়েছিলাম।
আমি যখন পিসির বাড়ি পৌঁছলাম ,তখন প্রায় সাড়ে আটটা বাজে। গিয়ে দেখি নিলয় বাবু খুবই দুষ্টুমি করছে ।সকলের সাথে খেলা করছে ,আর যেভাবে বুড়ো মানুষের মতো পাকা পাকা কথা বলে সে রকম ভাবে কথা বলছে।
আমাকে দেখেই বলল হেপি বার্থডে টু ইউ। ওর যে জন্মদিন , সেটা ও জানে। ও তাই আমাকে জানালো যে ওর জন্মদিন, উইশ করতে হবে ।ওর বলার আদব-কায়দা এতই কিউট যে ধরে মনে হয় ওকে খুব আদর করি। ওর
পছন্দের খাবার হল ডিম। কিন্তু বলার সময় বলে 'ডম খাব '। আবার 'ব্যথা'কে বলবে 'বিথা'। ওর আতো আতো কথাগুলো খুবই মিষ্টি।
যাওয়ার পর দেখি বাড়ি ভর্তি লোক। আমি সোজা নিলয়ের কাছে গেলাম। ওকে তখন আমার বড় বৌদি রেডি করছে। ওকে পাউট করতে বললাম। আমার দেখা দেখি পাউট করল। একটু আদর খেলো। তারপর কেক কাটতে হবে। তাই সেই জায়গায় চলে গেলাম ।
কেক কাটার সময় ছেলের কত আনন্দ। ওর মুখে হাসি দেখে সবারই খুব ভালো লাগে। যাইহোক কেক কাটার পর খাওয়া দাওয়া করা হলো। মেনু ছিল - ভাত , স্যালাড, ভেজ ডাল, আলু পটল এচোর দিয়ে তরকারি, ফ্রাইড রাইস, চিকেন, চাটনি, পায়েস, মিষ্টি ,হজমোলা ,কোল্ড ড্রিংকস।
প্রত্যেক বছর আমাদের পরিবারের সকলে মিলেই ওর জন্মদিন পালন করা হয় । তাই বেশি জনকে ডাকা হয় না। মোটামুটি ৭০-৮০ জন মিলে থাকা হয়। ওর অন্নপ্রাশনের সময় অনেক লোক হয়েছিল। তবে প্রত্যেক বছরই ইচ্ছা দাদা বৌদির যে ,ছোট করে হলেও জন্মদিন পালন করবে। এবং এটাতে আমরাও একমত। এত বছর পরে ছেলে হয়েছে প্রত্যেক বছর যদি জন্মদিন পালন করতে চায় ,তাতে ক্ষতি কি।
ঠাকুর ওর মঙ্গল করুক। আপনাদের সাথে নিলয়ের জন্মদিনের মুহূর্তগুলো শেয়ার করতে পেরে আমারও খুব ভালো লাগলো। আপনারা ওকে আশীর্বাদ করবেন ও যেন অনেক ভালো মানুষ হয় এবং সুস্থ থাকে। আপনারাও ভালো থাকুন। আজকে আমি এখানেই শেষ করছি।
যাইহোক আপনি আপনার ভাইপোর জন্মদিনে অনেক আনন্দ উল্লাস করেছেন যেটা এই পোস্ট করে বোঝা যায়, এবং আপনি অনেক সুন্দর করে আপনার ভাইপোর জন্মদিনের বিষয়টি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
তোমার ভাইপো কে জানাই আমার তরফ থেকে জন্মদিনে অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। জন্মদিন মানেই অনেক আনন্দ মজা করে কাটানো মুহূর্ত। যাইহোক সেদিন খুব আনন্দ করেই কাটিয়েছো। আমার ভাইপোর জন্মদিনের সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
নিলয় নামটা আমার অনেক পছন্দের, আর হ্যাঁ প্রতিটি মানুষের বছর শেষে তার জন্মদিন চলে আসে আর একেক মানুষ একেক ভাবে সেটি পালন করে থাকে।। আজ আপনার, দাদার ছেলের জন্মদিন খুবই চমৎকার ভাবে সবাই মিলে উদযাপন করেছে দেখে অনেক ভালো লাগলো।।
পোস্ট পড়ার আগেই আপনার ও আপনার ভাইপোর পাউট করা ছবিটা নজর কেড়ে নিয়েছে।
নিলয় নামটা আমার এক ভাগ্নের তাই যতবারই নামটা পড়ছিলাম খুব পরিচত মনে হচ্ছিল। ওর জন্মের কথা কোন আপনার কোন এক পুরোনো পোস্টে পড়েছিলাম আমি।
ওর জন্মদিনের দিন যেতে না পারলেও রাতে গিয়েছিলেন।
আপনার ভাইপো একজন ভালো মানুষ হোক এই কামনা করি।