ছোটাছুটি

in Incredible India2 months ago (edited)

নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ? গতকাল আমার পরীক্ষা থাকার কারণে আমি আপনাদের সাথে আমার পোস্ট শেয়ার করতে পারিনি ।এজন্য আমি দুঃখিত। কিন্তু কি করি বলুন, গতকালকে অর্থাৎ ১৮ তারিখ এত প্রেসারে ছিলাম ,সময় হয়ে ওঠেনি। ভাবলাম আজকে গতকালের সমস্ত কিছুই শেয়ার করতে থাকি। তাই চলে এলাম আপনাদের কাছে।

1000083632.jpg

আমার পরীক্ষার সেন্টার ছিল কলকাতায়। এই পরীক্ষাটা হল নেট পরীক্ষা, নেট পরীক্ষার মাধ্যমে একজন ক্যান্ডিডেট পিএইচডির জন্য এলিজেবল হতে পারে এবং প্রোফেসর এর জন্য এলিজিবল হতে পারে। যাইহোক আমার সেন্টার ছিল দমদমের কাছে।

বেশ অনেকদিন পরে আমার দমদমের ওদিকে যাওয়া। আমি দমদমে যেখানে থাকতাম তার আশেপাশের সেন্টারটা পড়েছে। তাই সেই সূত্রে আমাকে মেসে যেতেই হবে। মেসে এখনো আমার জুনিয়ররা রয়েছে এবং তাদের সাথে আমার সম্পর্ক এখনো ভীষণ ভালো। এ কারণে থাকা নিয়ে তো কোন সমস্যায় নেই ।তাই আগে থেকেই বলে রেখেছিলাম যে, আমি রাতে থাকবো।

20240618_090808.jpg

ট্রেনে করে কলকাতা যাওয়া হয় না ।হয়তো ডিসেম্বর মাসে শেষ ট্রেনে করে দমদম নেমেছিলাম ।আর এর মাঝে কাজের সূত্রে গাড়িতে করে কলকাতা যাওয়া এবং কাজ সেরে বাড়ি ফিরে আসা হয়েছিল। বেশ অনেকদিন পরে ট্রেনে উঠলাম ।সকাল বেলায় তাড়াতাড়ি স্নান করে ,খাওয়া দাওয়া করে, রেডি হয়ে নিলাম ।আমাদের কৃষ্ণনগর থেকে কলকাতায় যেতে প্রত্যেকদিন সকাল আটটা চল্লিশে একটা লেডিস স্পেশাল ট্রেন থাকে। সেই ট্রেন এ উঠে পৌঁছে গেলাম দমদমে।

যেহেতু পুরো ট্রেনটা লেডিস । তাই ট্রেনে খুব একটা বেশি ভিড় হয় না। তাই বেশ আরামে যেতে পেরেছি। দমদম নেমে বেশ মজা লাগছিল ।কারণ অনেকদিন পরে আসছি। তারপর ওখান থেকে চলে গেলাম মেসের দিকে। মেসের সবার সাথে অনেকদিন পরে দেখা হয়ে বেশ ভালো লাগলো। কিছুক্ষণ জমিয়ে সবার সাথে গল্প করলাম। যেহেতু আমার পরীক্ষার টাইম ছিল তিনটের সময়। তাই মেসে আমি বেশ কিছুক্ষণ থাকতে পেরেছি।

20240618_110959.jpg

যখন দুপুর একটা বাজে ,তখন আমি রওনা হলাম সেন্টারে দিকে। সেই জায়গা খুঁজতে খুঁজতেই আমার সময় পার হয়ে গেছে ।তাই আমি ঠিক করলাম একটা ক্যাব বুক করে সেন্টারে পৌঁছে যাব। সেই মতই দুটোর মধ্যে ক্যাব বুক করে সেন্টারে পৌঁছে গেলাম। আর দেখলাম আমার মেস থেকে এর দূরত্ব বেশি না। কিন্তু জায়গাটা বেশ ভেতরের দিকে। তাই হয়তো আমার আসতে গেলে অনেক সমস্যায় পড়তে হতো।যেহেতু আমার চেনা নয়।

আড়াইটা নাগাদ সেন্টারের গেট বন্ধ হওয়ার কথা ছিল। আমি তার আগেই ঢুকে গিয়েছি। সকাল থেকে খাওয়া-দাওয়া টা ঠিক মতো হয়নি। সেই সকাল বেলায় ভাত খেয়ে এসেছিলাম । যেহেতু জার্নি করা অভ্যেস অনেকদিন আগেই ত্যাগ করেছি, তাই শরীরটাও কেমন ঝিমিয়ে যাচ্ছিল। তার ওপর প্রচণ্ড গরম ।তাই কিছুই ভালো লাগছিল না।

সেন্টারে যখন ঢুকলাম ,আমি যেখানে বসেছি, মাথার উপরে একটা ফ্যানও ছিল না। শরীরটাও ভালো লাগছিল না। তারপর চোখে মুখে জল দিয়ে আবার স্যারদের বলে একটা ফ্যানের নিচে গিয়ে পরীক্ষা দিতে বসলাম।

এই নেট পরীক্ষা যদিও ব্লেন্ডেড মুডে হয় ।প্রতিবছর এসি রুমে কম্পিউটারে পরীক্ষা দিতে হয়। কিন্তু এবার কেলেঙ্কারি এক কান্ড ।এই গরমের মধ্যেই অফলাইন করেছে এরা, এতগুলো বছরে নেট পরীক্ষা অফলাইন হতে কখনোই দেখিনি ।তাই ভীষণ বিরক্ত লাগছিল। সকাল থেকে দৌড়াদৌড়ির পর এক্সাম সেন্টার থেকে বেরিয়ে আমি ভীষণ পরিমাণে হাপিয়ে উঠেছিলাম।

20240618_111231.jpg

কিন্তু ফেরার পথে আর ক্যাব বুক করিনি, সবার সাথে কথা বলে কিছুটা দূর হেঁটে এগিয়েই অটো পেয়ে গিয়েছিলাম দমদম এর। আর দমদম থেকে আমার মেস বেশি দূর নয়। সবমিলিয়ে গতকালের সকাল বেলা খুব ছোটাছুটির উপর দিয়ে গিয়েছে।।

পরীক্ষার প্রেসার এর জন্য আমি অনেক ছবি তুলতে পারিনি ।এমনকি সেন্টারের ছবিও তোলার চান্স পাইনি। তাই ট্রেন জার্নি র কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আজ এখানেই শেষ করছি ।সকলে সুস্থ থাকুন ।ভালো থাকুন। আগামীকাল বাকি কথা বলব ।

Sort:  
Loading...
 2 months ago 

সত্যিই অনেক ছোটাছুটির মধ্যেই দিনটা পার করেছেন। এই গরমের ভিতর এত দৌড়াদৌড়ি করলে হাপিয়ে ওঠাটাই স্বাভাবিক। তবুও যে আপনি সময় মতন পরীক্ষার হলে পৌঁছাতে পেরেছেন সেটাই অনেক। এই পরীক্ষাটি কম্পিউটারের মাধ্যমে এসি রুমে নেওয়া হয়, তাহলে তো বলতে হয় আপনার এবার ভাগ্য খারাপ। কারণ এই গরমের ভেতরে অফলাইনে পরীক্ষা নিয়েছে তারা। যাহোক আপনার জন্য শুভকামনা রইল জানি আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেতে পারেন। ভালো থাকবেন।

 2 months ago 

এই ছোট্ট ছুটি কাটানোর জন্যই তো মানুষ এত কিছু করে, আপনি এই ছোট্ট ছুটি টি কিসের জন্য পাঠিয়েছেন অবশ্য আপনার ফ্যামিলির সাথে কাটানোর জন্য। এই ছুটিটুকু কয়জন মানুষ পাই বলেন। আপনার মতন অনেক মানুষ আছে যারা এই ছোট ছোট টুকু নিয়ে পারেনা। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনার সবকিছু ছুটির বিষয়টা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।