দাদা বৌদি
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি আপনারা সকলে ভাল আছেন। গতকাল আমি শেয়ার করেছিলাম হঠাৎ করেই আমাদের কলকাতায় আসার কথা। এবং সে কাজ সুস্থভাবে মিটে গিয়েছে তার জন্য আমি খুবই কৃতজ্ঞ ভগবানের কাছে। সব কাজ মিটে যাওয়ার পরে কি করলাম, আজকে তাই নিয়ে লিখছি।
সেদিন সকাল বেলায় তাড়াহুড়োর মধ্যে খাওয়া-দাওয়া করা হয়নি। তাই প্রচন্ড খিদে পেয়ে গিয়েছিল। অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আমি ম্যাপে খুঁজছিলাম ভালো একটা রেস্টুরেন্ট। আমরা সবাই এত চিন্তা মুক্ত ছিলাম যে একটু রিলাক্স করতে চাইছিলাম ভালো কোথাও খাওয়া-দাওয়া করে। যাকে সোজা কথায় বলে চিল করা। খোঁজাখুঁটির মধ্যে হঠাৎ করে মা বলে বসল ,কোথাও বিরিয়ানি পাওয়া যায় না এখানে। তখনই আমার প্রথমেই ব্যারাকপুরের কথা মনে পড়ে গেল।
তাই অফিসের ওখান থেকেই রওনা দিলাম শিয়ালদা স্টেশনের উদ্দেশ্যে।শিয়ালদা থেকে আবার ট্রেনে উঠে নেমে পড়েছিলাম ব্যারাকপুরে। ব্যারাকপুরে দাদা বৌদির বিরিয়ানি খুব বিখ্যাত। ওদের অনেকগুলো আউটলেট আছে।। রাস্তার ধারে ছোট্ট মতো যে আউটলেট আছে যেটাতে আমি এর আগে একবার খেয়েছি। তবে দাদা বৌদির যে একটা বড় রেস্টুরেন্ট আছে সেখানে কখনো যাওয়া হয়নি।
তবে এই দুটো আউটলেট এর দূরত্ব খুবই কম। ব্যারাকপুর নেবেই স্টেশন থেকে ওই আউটলেট হাঁটাপটে দুমিনিট। আমরা সোজা চলে গেলাম। আর মটন বিরিয়ানি অর্ডার করে ফেললাম। আমি সিরিয়াসলি খুবই স্যাটিসফাইড ওদের বিরিয়ানি খেয়ে। এর আগে কখনোই এভাবে ব্যারাকপুর স্টেশনে নামা হয়নি। কলকাতাতে থাকতে বন্ধুরা অনেকবার জেদ করেছে, কিন্তু আলসেমি করে আসিনি। খুব খুব ভালো বিরিয়ানি হয়েছিল। তাই বাড়ি ফেরার পথে দু প্লেট বিরিয়ানি নিয়ে এসেছিলাম।
বাড়ি আসতে আসতে আমাদের ৬:১৫ বেজে গেছে। খাওয়া-দাওয়া হয়ে যাওয়ার পরে ব্যারাকপুর থেকে এবার ট্রেন ধরে কৃষ্ণনগর ব্যাক করি। সব থেকে বড় কথা আমি খুব স্বস্তি পেয়েছি যে আমার বাবা চিন্তামুক্ত হয়েছে। কারণ সত্যিই একটা মানুষ চিন্তা করলে তার শরীর খুব খারাপ করে যায়। যেহেতু বয়স হচ্ছে, বাবা তাই বেশি চিন্তা নিতে পারেনা। চাপমুক্ত চিন্তামুক্ত মেজাজ কাজ করতে সক্ষম হয়। আর যেহেতু জানেনই আমার বাবা একজন শিল্পী। তাই শিল্পীর পক্ষে চিন্তামুক্ত থাকা কতটা জরুরি, তা হয়তো সবাই জানে।
কিছু কিছু সময় হঠাৎ ডিসিশন নিলে, পস্তাতে হয় ঠিকই। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি ,কিছু কিছু সময় আমাদের হুট করে ডিসিশন নেওয়া উচিত। অনেক সময় বেশি প্ল্যান, অতিরিক্ত ভাবার পরে সে কাজ ভেস্তে যেতে পারে। আসলে সবটাই ঈশ্বরের ওপর। সময় না হলে কোন কিছু ঠিকঠাক হয় না। আর যা হতে চলেছে ,তার ওপর আমাদের কারোরই হাত নেই। তাই সব সময় ভগবানে বিশ্বাস রাখা উচিত। আমাদের মাথার উপর যিনি আছেন। তিনি কখনোই আমাদের খারাপ করবেন না। কথাতে আছে ভগবান যা করেন মঙ্গলের জন্যই করেন। এ কথাটা আবারও প্রমাণিত হয়েছে সেদিন।
আজ এখানেই পোস্ট শেষ করছি ।সকলে ভালো থাকবেন।
🤖 Hi @isha.ish 🤗! I'm a bot created by @luciojolly to support you! 🌟
TEAM 1
Congratulations! Your post has been upvoted through @steemcurator03. Good post here should be..