হঠাৎ করেই শায়েস্তাগঞ্জ যাওয়া"
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু, কেমন আছেন বন্ধুরা ?আশা করি ভালো আছেন ,সুস্থ আছেন ,আমি আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ।
আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি বিষয় শেয়ার করব হঠাৎ করে শায়েস্তাগঞ্জ যাওয়া তা নিয়ে আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে চলে আসলাম। কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
অফিসে থাকাকালীন একটি বন্ধুর ফোন আসেন কল করার কারণ হচ্ছে আকিজ গ্লাস চাকরি হচ্ছে, একদিন থাকার জন্য আমার বাসায় আসবে তারপর পরের দিন চলে যাবে। আসার অনুমতি দিয়ে দেই।
আমি অফিস শেষ করে বাসায় গিয়ে এখন রেস্ট নিয়ে বন্ধু কল দেই শাহাপুর চলে আসে এবং তাহাকে রিসিভ করে বাসায় নিয়ে আসি এবং। ওর সাথে কিছুক্ষণ গল্প করে অফিস থেকে আসার পর গোসল করা হয় নাই তাই গোসল করে। আমারা সাথে আর কিছুক্ষণ গল্প করলাম।
বন্ধু বলল আরএফএল কোম্পানিতে যাবে ঘুরতে তাই আমি আর এক বন্ধু মূলত কোম্পানিটি শায়েস্তাগঞ্জে। বাংলাদেশে যতগুলো গ্লাস সিরামিক কোম্পানি আছে সবগুলোর মধ্যেই আমাদের কলেজের ভাই ব্রাদার বন্ধুরা আছে কেননা আমাদের কলেজটা বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম এবং একটি তাই ঐখান থেকেই বাংলাদেশের সিরামিকস সেক্টর বা গ্লাস সেক্টর বা অন্যান্য সেক্টরে গিয়ে থাকে।
তাই অনায়াসে সকল ফ্যাক্টরিতে আমরা ঘুরতে যেতে পারি। আমি রেডি হয়ে দুজন বন্ধু মিলে শাহপুরে চলে আসি গাড়ি জন্য অপেক্ষা করি কিন্তু ৫ মিনিট অপেক্ষা করে একটি ম্যাক্সি পাই। ওইটা দিয়ে আমরা অলিপুড় উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
আমি কোথাও গেলে প্রথমে ভাবি ওই রাস্তাটা শর্টকাট আছে কিনা কারণ আমি শর্টকাট রাস্তাটা খুবই পছন্দ করি ।এখানে সময় কম লাগে এবং সহজেই গন্তব্যস্থলে চলে যায়।
ওলিপুর থেকে সিএনজি নিয়ে শায়েস্তাগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যায় এবং। আরএফএল কোয়াটার একটু দূরে একটু হেঁটে যেতে হবে এবং পাঁচ মিনিট হাঁটার পর ,কোয়াটারে পৌছালাম এবং বন্ধুদের সাথে দেখা করে খুবই ভালো লাগলো। আমাকে দেখে তারা অনেক খুশি হয়ে গেল আমি অনেক খুশি হলাম।
ঘন্টা খানেক থাকার পর কিছু খাবার খাই এবং একটু রাত হয়ে আসছে তাই তাড়াতাড়ি করে আমার বাসায় আসার উদ্দেশ্যে শায়েস্তাগঞ্জ রেল স্টেশনে সিএনজি দিয়ে ওলিপুরে চলে আসি।
আমার বাসায় বন্ধু আসায় ব্যাচেলর থাকি তাই মূলকথা আমি রান্না করতে পারি না । তাকে কি খাওয়াবো তাই বিয়ানী হাউস থেকে তাকে বিরানি খাবার উদ্দেশ্যে আমার প্রিয় বিরানি হাউস চলে আসি।
ওইখান থেকে খাবার খাওয়া শেষ করে একটু রাত হয়ে গেছিল গাড়ি পেতে কষ্ট হয় ।তাই, ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করি গাড়ি পাওয়ার যায় নাই।
তারপর আরো পাঁচ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার পর একটি লেগুনা আসে ওটা উঠে বাসার উদ্দেশ্যে আসি মাঝ পথে ডিজেল শেষ হয়ে যায় তাই একটি স্টেশন থেকে ডিজেল নিয়ে আবার বাসার উদ্দেশে রওনা দিয় বাসা পর্যন্ত চলে আসি।
রুমে আসতে ভাবি কল দেই আমি কি শায়েস্তাগঞ্জ থেকে বাসায় আসা হয়েছে কিনা। আমি তারপর ভাবির সাথে দেখা করি এবং রাত্রের খাবার দিয়ে দেয়। আমি না করে খাবারটা আমার রুমে নিয়ে আসি এবং। আমি জাকারিয়া শরিফুল আর আমার ফ্রেন্ড অনেক রাত পর্যন্ত গল্প করি।
আজকের পোস্ট এ পর্যন্তই সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আসলে যারা ব্যাচেলার থাকে তাদের তাদের একটা সমস্যা হয়েছে তারা যদি রান্না করতে না পারে যদি তার বাসায় কোন মেহমান আসে তাহলে তাকে হোটিলে নিয়ে যাওয়া লাগে, ঠিক আপনার মতন আপনি যেমন ব্যাচেলর আছেন আপনি রান্না করতে পারেন না আপনার বন্ধুকে নিয়ে আপনি বিরানি হাউজে চলে গেছেন। তাছাড়া আর কোন তো উপায় নাই , যাইহোক আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর ছিল আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাই আপনার মত আমিও যেখানেই যাই প্রথমে আগে শর্টকাট রাস্তাটা খুঁজে বের করি যাতে করে আমি সেখানে অল্প সময়ের ভিতরে পৌঁছাতে পারি। তবে এমন রাস্তাতে অনেক সময় বিপদের সম্মুখীন হতে হয় যদি গ্রাম অঞ্চলে হয়ে থাকে।
আমার একটি কথা এখনো মনে পড়ে আমার বাসা বাসা থেকে একটু দূরে আনুমানিক পাঁচ কিলোমিটার পরে একটি বাজার রয়েছে তবে সেখানে যেতে আরো একটি রাস্তা রয়েছে ২ কিলোমিটার মত হবে আমি একদিন রাত্রে ওই শর্টকাট রাস্তা দিয়ে বাড়িতে আসছিলাম ওই রাস্তায় আবার অনেকগুলো বাজারে ছিল হঠাৎ করে বাঁশঝাড়ের মধ্য দিয়ে শাশা শব্দ শুরু হলো আমি একা তাই অনেকটাই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম এমনকি বাড়িতে এসে আমাকে ঝাড়াতে হয়েছিল,😭
ভাই সব জায়গায় তো শর্টকাট রাস্তা চলে না, কথায় আছে না অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিতে হবে। ঠিক আছে আপনি সময় বাঁচানোর জন্য শর্টকাট রাস্তা আমরা সব সময় ইউজ করে থাকি। আমি কখনো গ্রামের রাস্তা শর্টকাট খোঁজার চিন্তাও করি না কারণ ওইখানে অন্ধকার থাকে বন জঙ্গল দিয়ে হাঁটতে হয় তাই একটু ভয় থাকে সেজন্যই একটু ঘুরে যেতেও।
ভাই আপনি সঠিক বলছেন সব সময় আমাদের অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়াই উচিত কেননা যদি আমরা এভাবে শর্টকাট রাস্তা দিয়ে চলতে থাকে তাহলে হয়তোবা আমার মত অনেকেই বিপদের সম্মুখীন হতে পারে।
ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার কমেন্টটি পড়ে খুব সুন্দর একটি রিপ্লাই দেওয়ার জন্য আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাল থাকবেন।
বন্ধু চাকরি হয়েছে শুনে ভালো লাগলো আর এই জন্য আপনার এখানে আসবে।। কেউ আসতে চাইলে তাকে আগায় নিয়ে আসা দায়িত্ব।। বন্ধু এসেছে গল্প হবে না তা তো হয় না। বন্ধুর সাথে সারাদিনই বেশ ব্যস্ততার সাথে কেটেছে।। আর মাঝে মাঝে আমাদের অনেক জায়গায় যেতে হয় প্রিপারেশন ছাড়াই।।
কোন আত্মীয়-স্বজন বা কেউ আসলে কাউকে আগে নিয়ে আসা এবং তাকে আগে দেওয়া হচ্ছে বাঙালির একটি ঐতিহ্য। যারা প্রথমে কোথাও আসে না চিনার জন্য তাদেরকে আগায় নিয়ে আসে। ব্যস্ততার মধ্য থেকেই সময় বের করে বন্ধুদের সময় দেওয়াটা খুবই মুশকিলের কেননা যারা চাকরি করে তাদের টাইম সীমাবদ্ধ থাকে।
একজন সঠিক বলেছেন আত্মীয়-স্বজন এগিয়ে নিয়ে আসা আবার এগিয়ে দেওয়া বাঙালির একটি ঐতিহ্য।। আর হ্যাঁ চাকরি জীবনে সময় বের করে কাউকে সময় দেওয়া সত্যিই কষ্টসাধ্য ব্যাপার।।
প্রয়োজনের সময় একজন বন্ধুর পাশে বন্ধুকেই দাঁড়াতে হবে তাহলে বন্ধুত্ব টিকে থাকবে আজীবন। আপনার বন্ধু প্রয়োজন হয়েছে আপনার বাসায় থাকার আর আপনি তাকে আসতে বলে ভালো করেছেন। বিরিয়ানি হাউস থেকে প্রিয় বিরিয়ানিও খপয়েছিলেন। কাজের ফাঁকে ঘোরাঘুরিও করা দরকার।
আমরা যারা বাড়ির বাইরে থাকি ওখানে কোন মেহমান বাদ দিয়ে সাজানো আসলে আপ্যায়ন করা থাকতে দেওয়া খুব কষ্টকর হয়ে যায়। কেননা বাড়িতে আসলে তাদের আপ্যায়নের কোন কমতি থাকে না কিন্তু ব্যাচেলার বাসায় আসলে কি দিয়ে আপ্যায়ন করব তাই মনে থাকে না। মূলত আমি রান্না করতে পারি না এবং আমার বাসায় রান্না হয় না তাকে কিভাবে আপ্যায়ন করব সেটাই ভাবছিলাম তাই প্ল্যান আসলো বিরানি হাউসে নিয়ে তাকে বিরিয়ানি খাওয়ানো। উনিও খুশি থাকবে আমিও খুশি থাকব।
আপনার বন্ধুর আকিজ গ্লাসে চাকরি হওয়ার কারণে একদিনের জন্য আপনার কাছে বেড়াতে আসে। আপনি অফিসের কাজ শেষ করে তাকে রিসিভ করে নিয়ে আসেন।
এরপর বন্ধুর কোথায় তাকে নিয়ে ঘুরতে বের হন। একটা ম্যাক্সি নিয়ে বের হন আপনারা। কোথাও ঘুরতে গেলে আপনি শর্টকাট রাস্তা পছন্দ করেন। সত্যি বলতে এই কাজটা গুগল ম্যাপ অনেক সহজ করে দিয়েছে। তাকে লোকেশন দিলেই সবচেয়ে ভালো রাস্তাটা সে বের করে দেয়।
আপনারা দুজনে মিলে বিরিয়ানি খান। ফেরার পথে একটু ঝামেলা হওয়ার পর ভালো মতোই ফেরত আসেন।
সিলেট অঞ্চলের অনেক গ্লাস এন্ড সিরাম ভিক্টোরিয়া আছে এগুলোর মাধ্যমে অনেক বন্ধুবান্ধব আছে তাদের সাথে দেখা করার জন্য আমার জন্য দুই বন্ধু বের হয়ে পড়লাম। কেননা বাংলাদেশের যত গ্লাস এন্ড সিরামিকস কোম্পানি আছে সকল কোম্পানির মধ্যেই আমাদের কলেজের বড় ভাই অথবা বন্ধু আছে তাদের সাথে দেখা করা আড্ডা দেওয়া কথা বলা অহর হইতে হয়ে থাকে।
এখনকার ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়ে সময় নষ্ট করার মত একদমই সময় নেই এবং সময়কে কাজে লাগানো টা আমাদের বুদ্ধিমানের কাজ।
আমরা যারা ব্যাচেলার আছি তাদের বাসায় যদি কেউ বেড়াতে আসে তাহলে তাদের খাওয়ানোর খুবই মুশকিল হয়ে পড়ে মূলত আমি রান্না করতে পারি না
আমি আরেকজনের বাসায় সাবলেট খাবার খায় কিন্তু একজন আত্মীয় আসাই তাকে কি করে খাওয়াবো তাদের বাসায় এজন্য বিরিয়ানি হাউজে নিয়ে গেলাম।
বন্ধু বান্ধবদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার আনন্দই আলাদা। বন্ধুরা এক সাথে মিলিত হলে জীবনের কত গল্প নিয়ে আলোচনা হয়। আর বন্ধুদের সাথে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে যাওয়ার মধ্যে যে কতটা শান্তি কতটা সুখ মিলে। আর একজন প্রকৃত বন্ধু, বন্ধুর জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়াই কাম্য। আর সেই কাজটি আপনি আপনার বন্ধুর জন্য করেছেন। চাকরি বাইভা দিতে আসা বন্ধুর থাকার জায়গা নেই। আপনি তাকে থাকার জায়গাসহ ঘুরতে নিয়ে বেরিয়েছেন এবং অন্য বন্ধুদের সাথে সাক্ষাৎও করিয়েছেন এটাই একজন প্রকৃত বন্ধুর কাজ। আর জীবনে কখনো শর্টকাট রাস্তা খুঁজবেন না। তাহলে বিপদের সম্ভাবনা থাকে । ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন ঈশ্বরের কাছে এই প্রার্থনা করি।
ধন্যবাদ।