A trip to the hilltops and tea plantations is a different experience || পাহাড়ের চূড়ায় এবং চা বাগানে ভ্রমণের এক অন্যরকম অনুভুতি
প্রিয় পাঠক,
সবাইকে আমার বাংলা লেখায় স্বাগতম। আমি মাঝেমধ্যেই আপনাদের মাঝে ভ্রমণের বেশ কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে উপস্থিত হই। আমি যে জায়গায় অবস্থান করতেছি সেই জায়গা দিয়ে ঘোরাফেরা করার মত অফুরন্ত সুযোগ। তাইতো সময় পেলেই ঘুরতে যাই চা বাগানে ও পাহাড়ের চূড়ায়।
তাইতো ছুটির দিন সময় নিয়ে আমি এবং ইয়াসিন ভাই দুজনে মিলে বিকাল বেলায় বের হলাম চা বাগান পরিদর্শন এর উদ্দেশ্যে। যেহেতু নতুন দুটি গেঞ্জি ক্রয় করেছি এর মধ্যে থেকে একটি কলার যুক্ত গেঞ্জি পরিধান করে মাথায় ব্যান্ড পরে বের হলাম।
যেহেতু ছুটির দিন তাইতো হেঁটে হেঁটেই চলছি আমাদের সেই গন্তব্য স্থলে। গন্তব্যস্থল নোয়াপাড়া চা বাগান এবং মিনি সাজেক।
অবশ্য আমাদের এই বাজার থেকে অটো গাড়িতে উঠলে কাঙ্খিত জায়গায় নিয়ে যাবে মাত্র ১০ টাকায়। কিন্তু আমরা রেল পথ ধরে হেঁটে হেঁটে যাব ৩০ মিনিটে। দুজনে গল্প করতে করতে চললাম।
রেল পথ ধরে হাঁটার সময় |
---|
ও আচ্ছা যাওয়ার পথে একটি মিরিন্ডা ক্রয় করলাম। এই পানি জাতীয় দ্রব্যের দাম ৪৫ টাকা। ক্রয় করার একটি কারণ হচ্ছে যাচ্ছি আমরা হেঁটে হেঁটে যাওয়ার পথে ঠান্ডা এই মিরিন্ডা দিয়ে গলা ভিজিয়ে নেব; হাঁ হাঁ হাঁ।
আমি জানি পানি দাঁড়িয়ে পান করলে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারপরেও দাঁড়িয়ে পান করতেছি কেননা হাঁটাহাঁটির পথে। তবে আমি দাঁড়িয়ে পানি পান করি না।
হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে মিরিন্ডা খাওয়ার সময় |
---|
চলছি আর গল্প করছি ইয়াসিন ভাইয়ের সাথে। চলতে চলতে কখন পথের শেষ ঘনিয়ে এসেছে বুঝতেই পারলাম না। অবশেষে রেলপথ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মাঠের দিকে চললাম। মাঠ বিশাল বড়। রমজান মাসে যখন আমরা ইফতার এর আয়োজন করেছিলাম; ঠিক এই জায়গা দিয়েই যেতে হয়।
সেই বড় একটি মাঠ অতিক্রম করে সামনের দিকে হাঁটতে শুরু করলাম। যতই যাচ্ছি ততই যেন সবুজ শ্যামল প্রকৃতি চা বাগানে ভরপুর। সামনে তাকাই বামে তাকাই ডানে তাকায় পেছনে তাকাই শুধুই চা বাগান।
বিস্তৃত চা বাগানে একাকীত্ব আমি |
---|
হেঁটে হেঁটে ভ্রমণ তাইতো টাকার কোন খরচ নেই! এই দিক থেকে অবশ্য কিছুটা সাশ্রয়। অবশ্য আপনারা বলতে পারেন; আপনি যে জায়গায় থাকেন সেই জায়গা জুড়ে ভ্রমণের এক অন্যরকম জায়গা। আমিও বলি হ্যাঁ এই জায়গাটি সত্যিই ভ্রমণ করার মত।
বিস্তৃত চা বাগানে একাকীত্ব আমি |
---|
এই চা বাগান বেশ কিছু সময় উপভোগ করলাম এরপর আরো সামনে হাঁটতে শুরু করলাম সামনেও যেন সারাক্ষণ দেখতে পাচ্ছি চা বাগান ব্যতীত কিছুই নেই 🤣
- কি আর করার আছে এরপরেও হাঁটতেছি; কেননা আমাদের যাওয়ার আরো একটি স্থান এর নাম হচ্ছে মিনি সাজেক।
এজন্য সামনের পথ ধরে হেঁটে হেঁটে চলছি পাহাড়ের রাস্তা; এ কারণে উঁচু নিচু রাস্তা এবং একটু পরপরই যেন অনেক উপরে উঠতে হয় পাহাড়ের চূড়ায়। মিনি সাজেক নাম শুনতে কিন্তু অনেক আকর্ষণীয় মনে হচ্ছে।
যেহেতু আমি ইতিপূর্বে এই জায়গায় আসি নাই অর্থাৎ মিনি সাবের নামের এই স্থানটিতে। তাইতো বল আগ্রহ ছিল এই জায়গায় আসা এবং নাম শোনার পর আমি ভেবেছি হয়তোবা জায়গাটি অনেক চমৎকার এবং দর্শনীয় কিছু রয়েছে।
পাহাড়ের চূড়ায় মিমি সাজেক |
---|
চলে এসেছি আমরা সেই মিনি সাজেক নামের এই স্থানটিতে। আসলে এই জায়গায় দাঁড়ালে আপনাকে মনে হবে আপনি নিজে অনেক অনেক উপরে দাঁড়িয়ে আছেন। গাছের উপর দিয়ে যেন আপনি দৌড়াতে পারবেন এমন একটি মাঠের মতো স্তর দেখা যায় সবুজ সবুজ ঘাস।
আবার দেখতে পাবেন কোথাও কোথাও অনেক বড় বড় পাহাড় আবার কোথাও দেখতে পাবেন একদম নিচু জায়গা এবং শুধু বালি আর বালি। অবশ্য বর্ষাকালে এই জায়গাগুলো দিয়ে প্রচন্ড পরিমাণে পানি এর স্রোত হয়। তবে সেই স্রোত দেখার অপেক্ষায় এখন পর্যন্ত আছি।
এক বাস্তব অপূর্ণতা |
---|
ঠিক এই সময় সূর্য ডুবু ডুবু ভাব! অর্থাৎ একদম সন্ধ্যা ঠিক সেই সময় সূর্য হাতে নিয়ে ছবি ওঠার একটি অপূর্ণ দৃশ্য। যদিও ছবির মধ্যে পূর্ণতা পেয়েছি সূর্য হাতের মুঠোয় কিন্তু ইহা আদৌ পূর্ণতা নয় অপূর্ণতা বাস্তব।
এভাবে চমৎকার চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি উঠেছিলাম এবং চমৎকার আবহাওয়া উপভোগ করেছি পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থান করে।
আসলে এগুলো ভালো লাগে মন প্রফুল্ল করে তুলে। আগে জন্যই মাঝেমধ্যে ঘুরতে বের হই যেহেতু আমার অবস্থান থেকে আশেপাশেই ঘোরাফেরা করার জায়গা অফুরন্ত।
এখানেই আমি ইতি টেনে সমাপ্তি ঘোষণা দিচ্ছি আজকের এই লেখার। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং প্রকৃতির মাঝে নিজেকে বিস্তৃত করুন।
@meraindia
account @null
account for price increase.
প্রিয় ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার দারুন একটি মহুর্তের ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য। ভ্রমন সত্যি আমাদের মনের খোরাক মেটায়। আমাদের আনন্দ দেয়। আমরা যখন মানসিকভাবে ক্লান্ত ও পরিশ্রান্ত থাকি ঠিক তখনি সবুজের মাঝে হাড়িয়ে যাওয়া সত্যি দারুন একটি ব্যপার।
চা বাগান এবং মিনি সাজেকে আপনি ও আপনার ভাই বেশ কিছু সময় পার করেছেন। আপনাদের অনুভূতি এবং কিছু ফটো আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ভালো থাকবেন ভাই। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
একদমই সঠিক কথাই বলেছেন সবুজ শ্যামল প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাওয়া সত্যিই দারুন ব্যাপার যদি ক্লান্ত মন থাকে এর পরেও।
ধন্যবাদ জানাই আপনার চমৎকার একটি মতামত উপস্থাপনের জন্য।
https://twitter.com/Md_Jakaria121/status/1788997396367831466?t=752rtYSP2hYagCi4SppySA&s=19
চা বাগানের মাঝে হারিয়ে যাওয়ার একটা আলাদা শান্তি আছে। আমার কাছে মনে হয় যে চা বাগান এ গেলে মন যতই অশান্ত থাক না কেন শান্ত হবেই।
চা বাগানের ঘন সবুজ পরিবেশটাই এমন যে যতই ক্লান্তি থাক না কেন নিমেষে দূর হয়ে যায়।
আমরা আগে প্রতিবছর শ্রীমঙ্গলে যেতাম চা বাগানে ঘুরতে।
আর আমার কাছে মনে হয় বৃষ্টির দিন ভালো করে শুরু হওয়ার আগে চা বাগানে ঘুরতে যাওয়াই সবচেয়ে ভালো। যদিও বৃষ্টির সময় চা বাগান৷ আরো সবুজ হয়ে দেখতে খুব সুন্দর হয় হয়। কিন্তু এ সময়টাতে জোকের উৎপাতও বেড়ে যায়।
আপনার চা বাগানে তোলা ছবিগুলো চমৎকার হয়েছে।
ভালো থাকবেন সব সময়।
একদমই সঠিক কথাই বলেছেন যতই মন অশান্ত থাকুক না কেন, মনকে প্রফুল্ল করার জন্য চমৎকার এই সবুজ শ্যামল প্রকৃতি চা বাগানে গেলে ভালো লাগবেই।
আপনার চা বাগানের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমারও মন চাচ্ছে চা বাগানে ঘুরতে যাওয়ার। তবে আমাদের এখানে আশেপাশে চা বাগান আছে বলে আমার জানা নেই। কাজের ফাঁকে আজ বন্ধুকে সাথে নিয়ে প্রকৃতির ভালোবাসা উপভোগ করতে গিয়ে খুব ভালো করেছেন কারন মাঝে মাঝে কাজের একঘেয়েমি ভাব দুর করারও প্রয়োজন আছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সময় নিয়ে চলে আসেন মাধবপুর, হবিগঞ্জ। এই জায়গাতেও বেশ ঘোরাফেরা করার জায়গা রয়েছে চা বাগান রয়েছে পাহাড় রয়েছে।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
পাহাড়ি এলাকা আমার প্রিয়। পাহাড়ি এলাকায় ঘুরতে যেতে খুব ইচ্ছা করে। সময় ও সুযোগ হলে একদিন অবশ্যই যাবো। ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যিই আমার কখনো চা বাগান ভ্রমণ করার সুযোগ হয়নি। আপনি কাজের ফাঁকে ফাঁকে দেখি প্রায় সময় কোথাও না কোথাও ভ্রমন করেন।
আসলে আমাদের প্রত্যেককেই কাজের ফাঁকে একটু নিজেকে সময় দেওয়া উচিত।
আপনার এক ভাইসহ আপনারা রেললাইন দিয়ে হেঁটে হেঁটে গন্তব্যস্থলে পৌঁছেছেন।
চা ভ্রমণের ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর ছিল।
চা ভ্রমণের সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমাদের কর্মজীবনের ব্যস্ততা থাকবেই, পারিবারিক ব্যস্ততা থাকবেই এরই মাঝখান থেকে আমাকে আপনাকে প্রকৃতির মাঝে সময় দিতে হবে ভালো থাকার জন্য মন ফ্রেশ রাখার জন্য প্রফুল্ল রাখার জন্য।
রেল পথ ধরে হেঁটে হেঁটে যাওয়া বেশ মজাই আলাদা। ধন্যবাদ চমৎকার একটি মন্তব্যের জন্য।
আপনার পোস্টটা পড়ে আমার খুব ভালো লাগলো। সবুজ প্রকৃতি কার না ভালো লাগে। তাতে আবার পাহাড়। আমার কোনদিন সুযোগ হয়নি পাহাড়ে যাওয়ার। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। আমার তো চা বাগান খুবই ভালো লাগে। ভালো থাকবেন।