Better Life With Steem | The Diary game | 07 - Nov - 2023 | Where to go if there is no field to play sports?
আধুনিকতার ছোঁয়ায় মানুষ রংবেরঙের পরিবর্তন নিয়ে এসেছে নিজের মধ্যে এবং সকল ক্ষেত্রে। আধুনিকতা মূলত কি? মানুষ কিন্তু আগের চেয়ে এখন অনেক সুন্দর ভাবে জীবন যাপন পার করতেছে।
আমি যদি বলতে চাই তাহলে এই আধুনিকতায় পরিণত হয়েছে কিভাবে এবং পূর্বের অবস্থা কেমন ছিল আমার বাস্তব চিত্র আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে চাই কিন্তু আজকে নয় আজকে আমি আপনাদের মাঝে দৈনন্দিন কার্যক্রমের লেখা উপস্থাপন করব। ইনশাল্লাহ আগামীতে তুলে ধরা হবে।
সকালবেলায় আমাকে দোকানে যেতে হবে। সাইফুল কাকা স্কুলে চলে যাবে ৮:৩০ মিনিটে। তাই আমাকে বাবা বলল তুমি আজকে দোকানে বসো আমি চড়ে যাচ্ছি। যাইহোক সকালে আমার কাজ হচ্ছে দ্রুত খাবার খেয়ে কাকার জন্য ভাত নিয়ে যাওয়া দোকানে।
দোকানে অবস্থান করলে নিত্য নতুন গ্রাহকের সাথে পরিচয় এবং তাদের সাথে কথোপকথন লেনদেন। আমি লক্ষ্য করে দেখলাম অধিকাংশ ছোট বাচ্চা পোলাপান, তারা জেলি খেতে বেশি পছন্দ করে।
দ্রব্য | BDT | steem price |
---|---|---|
রোবো | 5 | 0.23 |
জেলি | 5 | 0.23 |
এই জেলি মূলত ৫ টাকা দামের রোবো এর মত। রোবো এবং জেলি এর মূল্য একই। এখানে একজন ছোট বাচ্চা একটু পরপর আসবে এবং বলবে দোকানদার জেলি দেন। তার মামি এর খাতায় দাম লেখিয়ে দিয়ে যায়। তার থেকে অনুমতি নিয়ে আসে।
যখন সেই ছোট বাচ্চা আসে নিজের কোন কাজে তখন তাকে বলে, আমার জন্য এইটা নিয়ে আসো ওইটা নিয়ে আসো। তো ওই ছেলেটি বলে আমার ভালো লাগে না, আমার ভাল লাগে না, মানে অনেক রাগান্বিত হয়ে গেছে দেখছি। বসে না তো একেবারেই ছোট, মানুষ সম্ভবত সাত থেকে আট বছর হবে।
আচ্ছা এর পর আরো একটি কাস্টমারের কথা আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব এবং উপস্থাপন করব সেই দ্রব্য। আমি যেই দ্রব্যাদির মূল্য সঠিক জানিনা, আমি তাৎক্ষণিকভাবে সাইফুল কাকাকে কল দেই।
কেননা প্রাইস জানা না থাকলে সমস্যা। তাৎক্ষণিকভাবে কল দিয়ে জেনে নিয়েছিলাম এই ক্ষয়েরের জন্য। একজন বয়স্ক মহিলা মানুষ এসেছে, বলতেছে বাবা বিশ টাকার ক্ষয়ের দাও। কল দিয়ে জেনে নেওয়ার পর পঞ্চাশ গ্রাম মেপে দিলাম।
দেখে মনে হচ্ছে পাথরের মত ওজন হবে কিন্তু এত কম ওজন তা কল্পনার বাইরে। খয়ের অত্যধিক পরিমাণে শক্ত। বয়মের মধ্যে ছিল আমি ভেবেছিলাম হারিয়ে ভেঙে পরিমাপ করা যাবে কিন্তু না, হাত দিয়ে ভাঙ্গা যায়নি।
শেষ পর্যন্ত সেই আধুনিকতার যুগ থেকে বেরিয়ে এসে দাঁড়িপাল্লা দিয়ে ওজন নেওয়ার সেই পাথর দিয়ে ভেঙে ভেঙে আধুনিকতার মিটারে ওজন নিয়ে এরপর বয়স্ক মহিলাকে ২০ টাকার খয়ের দিয়ে দিলাম।
দুপুরে পর্যাপ্ত পরিমাণে রোদ। বিশেষ করে আমাদের দোকান দক্ষিণ-পশ্চিম সদরে, এই কারণে সকালের রোদ সামান্য পরিমাণে আসে। বিশেষ করে দুপুর বারোটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত একটানা রোদ আমাদের দোকানের মধ্যেই প্রবেশ করে।
যে কারণে এই আপেল কমলা অর্থাৎ ফল জাতীয় দ্রব্যাদি এবং আরো কিছু দ্রব্য দিয়ে রয়েছে যেগুলো দোকানের ভেতরে নিয়ে আসতে হয়। আপনার লক্ষ্য করে দেখতেই পারতেছেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে রোদ।
আমি দুপুরে বাড়িতে চলে এসেছি। যেহেতু গোসল করতে হবে খাওয়া-দাওয়া করতে হবে নামাজ পড়তে হবে, তাই দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে আসলাম। এটিকে দেখতে পারতেছি বাবা বাড়িতে চলে এসেছে।
আমি তো মহা খুশি, তার মানে দুপুরের পরে আমাকে আর যেতে হবে না দোকানে। দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর একটু রেস্ট নিলাম।
বিকেল বেলায় বাবা আমাকে কল দিয়েছে তাড়াতাড়ি দোকানে যাওয়ার জন্য। দোকানে যাওয়ার পর বাবা বাজার করে আনলো। লাউ এর দাম ৫০ নাকি ৭০ টাকা আমার সঠিক খেয়াল নেই।
অবশ্য আমি বাবাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম লাউ এর দাম কত নিয়েছে। আচ্ছা যাই হোক বাজার থেকে লাউ কিনেছে এবং মাছ কিনেছে। মাছের দাম নিয়েছিল 150 টাকা। ছোট মাছ আমাদের এখানে চিহাসি মাছ নামে ডাকা হয়।
বাজার থেকে আসার পর আসরের নামাজের পরে খেলাধুলা শুরু করব আমরা। আমি সহ ইব্রাহিম মাসুম এবং সিয়াম। সাথে আছে আবু তালহা এবং ওমর ফারুক ওদেরকে নিয়েছে যেহেতু ছোট মানুষ বল নিয়ে আসা যাবে ওদের দিয়ে আর দুই একবার করে ব্যাটিং দিয়ে দেব খেলাধুলা করুক খুশি থাক।
কিন্তু শেষের দিকে এসে দোকানদার এখান দিয়ে যাচ্ছে আমাদের কি খেলাধুলা করতে দেখে স্ট্যাম নিয়ে চলে যাচ্ছে। মাসুম দোকানদারের কাছ থেকে নিয়ে আবার স্ট্যাম লাগাচ্ছে তখন আবারো নিয়ে চলে যাচ্ছে।
সামনেই আমি আমাকে অতিক্রম করে যেতে হবে। দোকানদার অবশ্য আমার ফুবা লাগে। যাই হোক বলতে গেলে অনেক কথা, আমি তার কাছ থেকে কোনরকম করে রেখে দিলাম আর বললাম আর খেলবে না কোন সমস্যা নেই।
খেলতে না দেওয়ার কারণ হচ্ছে দোকানের টিনে বল লাগে এবং টিন নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য তিনি খেলতে দেবে না। এই কথাগুলো শুধুমাত্র আজকের নয় অনেক দিন হল, এগুলো নিয়ে স্টোরি আছে আমাদের বলতে গেলে অনেক কথা।
শেষ পর্যন্ত আমরা চারজন ব্রীজের উপর আসলাম যেহেতু খেলতে দেবে না। মন খারাপ হয়ে গেল কি আর করার আছে। শেষ পর্যন্ত ব্রিজের উপর বেশ কিছু সময় বসে থাকার পর মাগরিবের আযান দিলো। এরপর নামাজ আদায় করে বাসায় চলে গেলাম যার যার মত।
দৈনন্দিন কার্যাবলী এ পর্যন্তই সমাপ্তি রাখছি। দেখা হবে পরবর্তী কোনো লেখা নিয়ে সে পর্যন্ত সঙ্গেই থাকুন।
@meraindia
account
https://twitter.com/Md_Jakaria121/status/1722288944702947705?t=_ODPrabOdB2Ocib2IWMnEw&s=19
আপনার দিন লিপিটি পড়ে জানতে পারলাম আপনার দিনের কার্যক্রম গুলো। দোকানে যেয়ে সকালেবসেছেন,কারন আপনার কাকা স্কুলে যাবে।আর আপনার বাবা গেছে চরে।যখন কোন জিনিসের দাম ঠিক মতো বলতে পারছেন না তখন আবার কাকার কাছ থেকে সঠিক দাম জেনে পন্য সামগ্রী বিক্রি করেছেন। বিকালে খেলতে দেয়নি বলে কয়েকজন বন্ধু্মিলে ব্রিজে সময় কাটিয়েছেন। খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
TEAM 2
Congratulations! This post has been upvoted through Curation Team#2. We support quality posts , good comments anywhere and any tags.Thank you so much