গোজোর ড্রয়িং
আমার বড়দের সকলকে প্রণাম জানাই। আজকে আমি অনেকদিন পর নিয়ে এসেছি একটি অ্যানিমে ক্যারেক্টার এর ড্রইং। যেটি খুব ফেমাস ক্যারেক্টার ।এক নামে সবাই চেনে ।যার নাম গোজো ।যেহেতু এ একটি অনেক পাওয়ারফুল ক্যারেক্টার এবং স্মার্ট ক্যারেক্টার ।পুরো অ্যানিমেস সিরিজের মধ্যে তাই এটিকে সবাই এক নামে চেনে। আর কয়েকজনের এই ক্যারেক্টারটাকে খুব ভালো লাগে।
আর সব থেকে খুশির কথা আমি বলি অনেকদিন পর আমি স্কুলে গিয়েছি আজকে । একমাস হতে চলল। কোন বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়নি। হ্যাঁ, আমি একটি বন্ধুর সঙ্গে ফোনে বা ভিডিও কলে মাঝে মাঝে কথা বলি ।কিন্তু আরেকটি বন্ধুর নাম্বার আছে কিন্তু সে ফোন ধরতো না। আমরা ভাবতাম হয়তো সেই ইচ্ছা করেই ফোন ধরে না। তারপর স্কুলে গিয়ে জানা গেল যে তার মায়ের ফোনটি মাঝে দুর্গাপুজোর আগে খারাপ হয়ে গেছে।
ও কোন গেমও খেলতে পারছে না ,শুধুই ইউটিউব দেখতে পাচ্ছে। কারণ ফোন হ্যাংও করছিল। তাই সে কোন গেম ডাউনলোড করার সাহসও পাচ্ছিল না, আর যদি ডাউনলোড করতো, তাহলে ওই ফোন হ্যাং করে। আর চালানোর অবস্থায় থাকতো না।
আর আমরা এই নাম্বার এর জিনিসটা করেছি গরমকালে ছুটির সময়। কারণ গরম কালে ছুটিতে প্রায় এক মাস কোন বন্ধুর সঙ্গে কথা হবে না। তাই আমরা তার আগেই সবাই মিলে মানে তিনজন মিলে ভেবেছিলাম যে তিনজন তিনজনের নাম্বার সেভ করব ।যাতে পুজোর মধ্যে কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে গেলে কারোর না কারোর হেল্প লাগতে পারে।
এবং সেই দিনই আমাদের কম্পিউটার ম্যাম প্রজেক্ট দিয়েছিল করার জন্য ।তাই ইচ্ছা হলেই রাজদীপ বা অভিরূপের মধ্যে একজনকে ফোন করতাম। আর জেনে নিতাম ,ওখানে কি লিখতে হবে। আরো অন্য কিছু। ওরাও আমাকে ফোন করতো। আস্তে আস্তে আমরা ফোনে কাজ করতে করতে মাঝে মাঝে ওদের মধ্যে কোন ছবি আঁকা হলে আমাকে দেখা তো, যদি রাজদীপ্ আঁকতো তাহলে আমাকে বা অভিরূপকে ফোন করতো, না হলে এক কল করতো।
মানে অ্যাড ভিডিও কল ।তারপর আমরা দেখে রেটিং দিতাম নিজের মতন। দশের মধ্যে। আর যেহেতু তিনজনের ভালো ছবি আঁকতে পারতাম। তাই তিনজন তিনজনকে দেখাতাম। যে কার ছবিটি ভালো হয়েছে। আর কি ভুল হয়েছে। সেই ছবিটা কেউ কিছু মনে করত না। আর শুনতোও ।
কয়েকজন দেখি কিছু ভুলভ্রান্তি হলে, তাকে বলতে গেলে, সে রেগে ওঠে। কিন্তু আমাদের মধ্যে সেটি ছিল না। আমরা ভুল হলে ধরিয়ে দিতাম। আর ভালো হলে সোজা কোথায় ভালো বলতাম। আর দ্বিতীয় কথা অভিরূপ আর আমি দুজনই ড্রইং শিখি, একটি স্যারের কাছেই। তাই দুজনের মিলন হতেই থাকে। শুধু ও অন্য জায়গায় ড্রইং শেখে ,মানে রাজদীপ।
যাইহোক এবার ছবি আঁকায় ফিরে আসি।
লিংক
প্রথম ধাপ
প্রথম ধাপে আমি মুখের jawlineটি একে নিচ্ছি আর শার্টের কলারটি এবং পুরো শার্টটি করে নিচ্ছি।
দ্বিতীয় ধাপ
দ্বিতীয় ধাপে আমি চোখের ব্যান্ড, কান, নাক এবং মুখ একে নিচ্ছি।
তৃতীয় ধাপ
এই ধাপে আমি চোখের ব্যান্ডটা কালো রং করে নিচ্ছি।
চতুর্থ ধাপ
চতুর্থ ধাপে আমার নজরে গোজর মাথাটা ঠিক ন্যাড়া ন্যাড়া লাগছিল ,তাই আমি প্রথমেই তার ন্যাড়া মাথাটাকে ভরাট করতে চুল এঁকে নিলাম।
পঞ্চম ধাপ
পঞ্চম ধাপে আমি শার্টের কলারটার অন্ধকার বোঝাতে কালো রং করে নিচ্ছি। তারপর একটু চুলে অন্ধকার ভাবটা আনার জন্য কয়েকটা দাগের মতন জিনিস একে নিচ্ছে।
ষষ্ঠ ধাপ
ষষ্ঠ ধাপে আমি কালার করা শুরু করে দিয়েছি প্রথমে skin কালারটি করে নিচ্ছি। আর একটু অন্ধকার বোঝাতে হালকা ব্রাউন কালার ইউজ করেছি।
সপ্তম ধাপ
এবার আমি জামার রংটা করছি।
অষ্টম ধাপ
চুলের জায়গাটায় আমি বুঝতে পারছিলাম না কি রং করব, তার পরে মনে হল বেগুনি রংটা করি
ফাইনাল
এভাবেই একটা অ্যানিমেল ক্যারেক্টারের ড্রইং আমি করে ফেললাম।