আমার আজকের সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত কিছু সময়।
- আসসালামু আলাইকুম, আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং আমিও আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি । প্রথমেই সৃষ্টি কর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি আবার নতুন একটি ভোরের আলো দেখতে পেয়ে, এবং আপনাদের মাঝে ফিরতে পেরে, বর্তমানে শ্বশুর বাড়িতে আছি প্রত্যেকটা মুহূর্ত ভীষণ ভালো কাটছে আমার।তাই আমি নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেছিলাম খুব ভোরে, তবে বিছানা ছাড়ি নি, কারণ শহরের তুলনায় গ্রামে প্রচুর শীত, সকাল বেলা তো আরো শীত থাকে, তবে বাসায় কাজের লোক থাকলেও বাড়ির বউ বলে কথা এত বেলা করে ঘুমানো টা কেউ অন্য চোখে দেখতেও পারে , তাই একটু এদিক সেদিক করেই উঠে ফেললাম।
তবে আমার শাশুড়ি আম্মা ভীষণ ভালো মনের মানুষ তিনি বলতে ছিল এত সকালবেলা উঠলে ঠান্ডা লেগে যাবে,, তবে আমিও ইচ্ছা করেই উঠেছি,এরপরে হাতে ব্রাশ টা নিয়ে একটু ঘোরাঘুরি করলাম সেই সাথে খুব সুন্দর কয়েকটা ফটোগ্রাফি তুললাম। লাউের চারা, লাল শাকের গাছ, শসার বীজ মাত্র বের হয়েছে। এগুলো আমাদের উঠোনের পারেই লাগানো হয়েছে,,।
লালশাকগুলো এত বেশি সুন্দর ছিলো। আর রান্না করার পরে এত লাল টকটকে হয়ে যায় যেমনটা শহরের লাল শাক থেকে পাওয়া যায় না। আর লাউের গাছ দুটো বেশ বড় হয়ে উঠেছে আশা করা যায় পরবর্তীতে এসে লাউ খাওয়া যাবে। এরপরে ব্রাশ করে হাত মুখ ধুয়ে নিলাম।
আমি সবার জন্য চা তৈরি করেছিলাম কারন, শীতে সকালে সবার এক কাপ চা চাই, তবে আমি চা খাইনি নিজের জন্য দুটো ডিম এবং মেয়ে এর জন্য একটা একটু কড়া ভেজে নিয়েছিলাম । এরপরে হালকা রোদে বসে খেয়ে নিলাম শীতের সময় রোদে বসে খাবার খেতে তো আমার অনেক ভালো লাগে।। তবে একটা বিষয় কিন্তু খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, আশেপাশে পাখি আছে কি না থাকলে তো একদম,, বুঝতেই পারছেন কোন বিষয়টা কথা অবগত করতে চাচ্ছি কারণ ওর তো কথা বলতে পারে না আসলেই 🚬তো একদম করে দিবে🫣
যাই হোক এরপর একটু শাশুড়ি আম্মার কাছে সাহায্য করলাম,, আমার মেয়ে বলছিলো আজ বিরিয়ানি খাবে আর আমার শাশুড়ি আম্মা অনেক মজা করে বিরিয়ানি রান্না করতে পারে। আর তার নাতি খেতে চেয়েছে সে রান্না করবে না এটা কি করে সম্ভব,, তাই সকালে হালকা নাস্তার পরে আমার শাশুড়ি আম্মা বিরিয়ানি রান্না শুরু করলো,,। তাই আমিও তাকে একটু হেল্প করলাম।
অন্যদিকে আমার শ্বশুর গিয়েছিলো হাটে , আমাদের এখানে প্রতি সপ্তাহে দুইদিন করে হাট মেলে, বুধবার ও শনিবার, আর হাট থেকে আমার শশুর অনেক মজার মজার খাবার এনেছিলো,পেয়ারা, বুন্দিয়া, মনেক্কা একদম গাছের পাকা কলা, সেই সাথে বেশ কিছু সবজি । আর এটা এই আমার হাতে দিলো,কারণ বিশেষ করে আমি বুন্দিয়া অনেক পছন্দ করি, প্রথমেই নিজে খাওয়া শুরু করলাম।
এরপরে আমি সবার জন্য নিয়ে গেলাম, সবাই মিলে খেলাম। আর সেই সাথে তো হাজারো গল্প রয়েছে। এর মাঝে দুপুরের আজান হলো, গোসল শেষ করে নামাজ পড়ে সবাই মিলে আমার শাশুড়ি আম্মার হাতের মজাদার কাচ্চি বিরিয়ানি খেলাম।। দুপুরে খাবার খেতে খেতে শাশুড়ি আম্মার সাথে ঠিক করলাম কালকে বাবার বাড়িতে যাবো।
যদি ও আমাদের গ্রামে কিছু নিতে হয়েছে শীতের সময় জামাই মেয়েকে আনতে যাওয়া,শীতের সময় ভরা পিঠা খাওয়ানো তবে আমার বাবা ব্যবসার ক্ষেত্রে বাড়ির বাহিরে থাকে, আর আমার ভাই ঢাকায় পড়ালেখার জন্য রয়েছে, আমাকে নিতে আসার জন্য আম্মু ছাড়া কেউ নেই, আর চাচাতো ভাই-বোনরাও অনেকেই ব্যস্ত পড়ালেখা,ও কর্মক্ষেত্রে দূরে থাকে,,।
যেহেতু, বর্তমানে ফোনের যুগ তাই আমার আম্মু ফোন করেই দাওয়াত দিলো।ও শাশুড়ি আম্মার সাথে এক পর্যায়, কথা একদম পাকা,কালকে যাচ্ছি। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে কিছুটা সময় রেস্ট নিয়ে আমি ব্যাগ গুছিয়ে নিলাম যাওয়ার জন্য।।
- যেহেতু কিছু করার নেই এখন তাই বিকাল বেলা আপনাদের জন্য পোস্টার রেডি করলাম। যাইহোক সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, এবং আমার সাথেই থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।।।
গ্রামে শহরের তুলনায় শীত অনেক বেশি পরে। আমি শীতের সময় এক রাত শশুড় বাড়িতে ছিলাম তখন দেখেছি শীত কাকে বলে।
গ্রামের শাকসবজি বাগান গুলো দেখতে খুব ভালো লাগে। আর খেতেও ভালো হয়।
আপনার শাশুড়ী মা রান্না করতে পছন্দ করেন এটা আগেও আপনার অনেক লেখা থেকেই জানতে পেরেছি।আজকেঅ তার হাতের বিরিয়ানির ছবি ফেখে মনে হচ্ছে খেতে খুব ভালো হয়েছে।
বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়াটা আমি খুব মিস করি।কতদিন যাওয়া হয় না মা-বাবার কাছে। আর কোনদিন যাওয়াও হবে না।
যতদিন সম্ভব মায়ের কাছে থেকে আসুন।ভালো থাকবেন সবসময়।