Better Life with Steem|| The Diary Game||1 November 2024||
Photo edited by canva
আসসালামু আলাইকুম,,,
আশা করছি সবাই যে যেখানে আছেন ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি। আর আপনাদের মাঝে আমার কার্যক্রম শেয়ার করতে পেরে আমার আরো বেশি ভালো লাগে। এটা যেন এখন একটা রীতিমতো অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। যদিও মাঝে মধ্যে বাদ যায় তবে, ভালো লাগার জায়গা থেকে কিন্তুু প্রতিদিন আপনাদের সাথে বসা।
আজ সকালে ঘুমটা ভেঙ্গেছে আমার আম্মুর ফোন পেয়ে, তখন প্রায় সাড়ে পাঁচটা বাজে আমার ফোন বাজার শব্দ পেয়ে আমি লাভ দিয়ে উঠে পড়েছি। সেই সাথে আমার হাজবেন্ডের ঘুমটা ভেঙ্গে ছিলো,এরপরে উঠে তাড়াতাড়ি ফোনটা রিসিভ করি এবং তার সাথে কথা বলা শেষ করি। কথা বলা শেষ করে আমি বারান্দায় বসে ছিলাম বসে বসে পাখির কিচিরমিচির ডাক শুনছিলাম। তখন চারদিকে কোন শব্দ নেই কোন যানজট নেই একদম নিরিবিলি একটা পরিবেশ,তাই পাখির ডাক গুলোই বেশি কানে লাগছিলো।
এরপরে বারান্দা থেকে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে,সকালের নাস্তার জন্য ফ্রিজ থেকে দুধ বের করলাম, ডিম সিদ্ধ করলাম, এবং রুমে পাউরুটি আনা ছিলো সেগুলো সাজিয়ে সকালের নাস্তাটা আমরা শেষ করলাম। আমরা বলতে আমি এবং আমার মেয়ে আমার হাজব্যান্ড সকালে কিছুই খাইনি কারণ তার নাকি ডায়েট করা প্রয়োজন 😏 এরকম কথা শুনলে আমার হাসি পায়,, যখন মজার মজার খাবার থাকে তখন আর ডায়েট করার কথা মনে থাকে না এরকম বাঙালির।
সকালের নাস্তা শেষ করে আমি মেয়েকে একটু পড়তে বসিয়ে ছিলাম। মেয়েকে পড়ানোর পাশাপাশি নিজেও একটু পড়ার দিকে মন দিয়েছিলাম। পড়ানো শেষ করে, দেখলাম এবার সংসারের কাজে মন দিতে হবে,,যেহেতু প্রতি শুক্রবার আমার হাজব্যান্ড বাজার করে, কিন্তুু এ সপ্তাহে এখনো বাজার শেষ হয়নি তাই আমি বাজারে পাঠাইনি, সে জন্য আমি তাকে রুম ঝাড়ু দেওয়ার একটা কাজে দিলাম,,,কারণ প্রতিদিন আমি রুম ঝাড়ু দেই তাই আজ যেহেতু তার ছুটির দিন তাই আমি তাকে আজ রুমগুলো পরিষ্কার করতে দিলাম।
এরপরে সে রুমগুলো ঝাড়ু দিয়ে মুছেও দিয়েছিলো বোনাস হিসাবে। এবং আমি দুপুরে রান্নার জন্য সব কিছু গুছিয়ে নিলাম, আজ যেহেতু শুক্রবার হাজবেন্ড নামাজে যাবে এবং এসে দুপুরের খাবার খাবে তাই সবকিছু গুছিয়ে সময়ের আগেই করে নিলাম। রান্নাবান্না শেষ করে, আমি ময়লা গুলো মেয়েকে নিয়ে গিয়ে নিচে ফেলে দিয়ে আসলাম। কারণ রান্না করার শেষে যদি ময়লা ফেলানো না হয় তাহলে আমার কাছে খুবই বিরক্ত লাগে।
ময়লা ফেলে বাসায় আসার সময়, আমার মেয়ে বলছিলো সে নিচে কিছু সময় থাকবে, কিন্তু এই দুপুর বেলা থাকার তো কোনো সময় না, গোসল করা খাওয়া-দাওয়া বিশ্রাম নিতে হবে তা রেখে এখন তার ঘুরতে ইচ্ছা করছে, এরপরে আমি তাকে হাত ধরেই জোর করে নিয়ে আসলাম এবং লিফটে এসে ওর সাথে কথা বলতে বলতে লিফটে চাপ না দিয়েই দাঁড়িয়ে রইলাম কিছু সময় । এরপরে বাসায় চলে আসি।
বাসায় এসে মেয়েকে নিয়ে গোসল শেষ করলাম, অন্যদিকে হাসবেন্ড জুম্মার নামাজ আদায় করতে গিয়েছেন। আর আমি ও নামাজ পড়লাম এরপরে মেয়েকে দুপুরের খাবার দিলাম, কারণ আমার মেয়ের খাবার খেতে অনেক টা এই দেরি লাগে সেই কারণে ওকে সব সময় আগেই খাবার দিয়ে থাকি। তবুও দেখা যায় আমার খাওয়া শেষ হয়ে যায় ওর শেষ হয় না, পরবর্তীতে হাত দিয়ে খাইয়ে দিতে হয়। মাঝে মধ্যে খুবই কষ্ট লাগে কবে যে একটু বড় হবে,,,।
এরপর আমরা সবাই মিলে দুপুরে খাবার-দাবার শেষ করলাম, এবং আমি খানিক টা সময় বিশ্রাম নিয়েছিলাম। যেহেতু এখনের বেলা ছোট হয়ে এসেছে তাই খুব দ্রুতই দুপুর গড়িয়ে বিকাল হয়, তাই তো আসরের আযানের শব্দ শুনে উঠে নামাজ আদায় করলাম,এবং নামাজ শেষে আমি বারান্দায় গিয়ে একটু গাছে পানি দিলাম।
পানি দেওয়া শেষ করে ঝাল মুড়ি খেতে ইচ্ছা করছিলো।ঝালমুড়ি আমি অনেক পছন্দ করি কিন্তুু পিয়াজ কাটো, মরিচ কাটো সাথে আরো উপকরণের প্রয়োজন পড়ে, তাই আমার নিজের হাতে তৈরি করে খেতে ইচ্ছা করে না। তাই হাজবেন্ড কে গিয়ে বললাম তার হাতের ঝালমুড়ি সে স্বাদ,,, প্রথমে সে কিছুতেই রাজি হতে চাচ্ছিল না পরবর্তীতে সে তৈরি করেছে এ ঝালমুড়ি টা ।।। সত্যিই আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগে ছিলো।।মাজা এই ঝাল মুরি টা খেয়ে আমি আজকের বিকাল শেষ করি।
সন্ধ্যা বেলার দিকে আর যাব না, রাতের কথা বাদ দিলাম অনেক কিছুই করেছি,প্রতিদিনের মতো সব টা করা হয়েছে,,তাই আমি আমার আজকের পোস্টটা এখানেই শেষ করছি। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।।।।
মায়ের ফোন পেয়ে ঘুম ভেঙে যায় মায়ের সাথে কথা বলা শেষ হয়ে যাওয়ার পরে বারান্দায় গিয়ে বসে থাকেন আসলে সকালে আমাদের আশে পাশের পরিবেশ গুলো অনেক সুন্দর থাকে কারণ তখন গাড়ি চলে না মানুষজন চলাচল করে না তাইতো পরিবেশ অনেক ঠান্ডা থাকে এবং পাখির ডাক শুনতে সকালে খুবই ভালো লাগে। যাইহোক একটি দিনের কার্যক্রম সুন্দর ভাবে সাজিয়ে উপস্থাপনা করার জন্য ধন্যবাদ।