Better Life with Steem|| The Diary Game|| 22 October 2024
সবাইকে আমার আজকের পোস্টে স্বাগতম। আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, সাথে ভালো ও আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ, অন্য দিনের তুলনায় আজ কিছুটা সুস্থ বোধ করছি।তাই আবারও আপনাদের মাঝে হাজির হলাম আমার আজকের সারাদিনের কার্যক্রম নিয়ে।
অন্যদিনের তুলনায় আজ আমি খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠেছি, ফজরের আজান শুনে ঘুম টা ভেঙ্গে গিয়েছিলো,এরপরে উঠে নামাজ আদায় করে,বেশ কিছুটা সময় বসে বসে কাটিয়েছি বারান্দায়, এরপরে সকালের নাস্তা তৈরি করেছিলাম। হাজবেন্ডের জন্য নুডুলস আর আমার জন্য এক মগ দুধ চা,আর সেই সাথে ছিল নিজের হাতে তৈরি করা পাউরুটি।
এরপরে দুই জনে মিলে সকালের নাস্তা টা শেষ করি, ইদানিং আমার হাজবেন্ডের একটা রোগে ধরেছে, রোগ টা হচ্ছে বেশি বেশি ফোনের সাথে থাকা,ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ টা শেষ করেই ফোন হাতে নিয়েছে, সকালের নাস্তা টা শেষ করে ফোন হাতে, তাতে সমস্যা নেই কিন্তুু, প্রত্যেক দিন অফিসে যাওয়ার আগেই এই তার একটা কথা আজ দেরি হয়ে গেল,,,। এ কথা টা শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে যাচ্ছি কয়েক দিন ধরে ,,, তাই আজ ইউনিফর্ম পড়ার সময় আমিও একদম হুমকি দিয়ে দিলাম,,,পরবর্তীতে যখন দেখবো অকারণে ফোন হাতে, তখন এই দশ তালা থেকে একদম নিচে ছুঁড়ে ফেলে দিবো।
এরপরে দুই জনের কথা শেষ করলাম ও,সে অফিসে চলে গেলো।আর আমি প্রত্যেক টা রুম গুছিয়ে নিলাম, রুমগুলো গোছানো শেষ করেই দুপুরের রান্নার জন্য প্রস্তুতি নিতে ছিলাম, তরকারি গুলো কেটে এবং মসলা বেটে সবকিছু রেডি করে নিলাম। এবং রান্না শুরু করার আগে আমি ও আমার মেয়ে দুই টা ডিম সিদ্ধ খেয়ে নিলাম।
এরপরে দুপুরের রান্নাটা শেষ করে, রান্না করে রুম গুলো মুছে দিলাম, এরপরে মেয়েকে নিয়ে গোসল করলাম এর মধ্যেই জোহরের আজান হলো তাই, আমিও সাথে সাথে নামাজ আদায় করে নিলাম। নামাজ শেষ করে মেয়ে কে নিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।
দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করতেই হাজবেন্ড চলে আসলো, এরপরে আবার তাকে খাবার খেতে দিলাম। এর মধ্যেই আবার আমার আব্বু কল দিলো তাই তার সাথেও বেশ কিছুটা সময় কথা বললাম, আব্বুর সাথে কথা বলা শেষ করেই আমি কিছুটা সময় বিশ্রাম নিয়ে ছিলাম।
এখন দিন এতটা এই ছোট হয়ে এসেছে যে, দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে একটু বিশ্রাম নেওয়ার পরে দেখতে দেখতে বিকাল হয়ে যায়, আজ বিকাল বেলা আমি তৈরি করেছিলাম তালের বড়া,তালের বড়া টা আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে, আপনাদের কাছে কেমন লাগে জানাতে কিন্তুু ভুলবেন না, পরবর্তীতে আমরা সবাই মিলে বিকালের নাস্তা টা এই তালের বড়া দিয়েই করেছি৷
এরপরে বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলো,মাগরিবের নামাজ আদায় করে প্রতিদিনের মতো মেয়েকে নিয়ে একটু পড়তে বসে ছিলাম।তো মেয়েকে পড়ানো পরে লিখতে দিয়েছিলাম।এবং আমি বললাম তুমি লিখো আমি গিয়ে গ্যাসের চুলা টা অফ করে আসি। তবে গ্যাসের চুলা অফ করার পরে আমি আবার কি যেন একটা কাজ করছিলাম,এরপরে রুমে এসে দেখি মেয়ে আমার লেখা শেষ করার আগেই ঘুমিয়ে পড়েছে।
আজ দুপুর বেলা ঘুমায় নি, যার কারণে এই অবস্থা,আমিও মাঝে মধ্যে যেদিন দুপুর বেলা একটু রেস্ট না করি বা একটু না শুয়ে থাকি,সেই দিন সন্ধ্যা হলে ঘুম আসে।এরপর আর কি করার মেয়ে কে জায়গা মত গিয়ে শুয়ে দিলাম।এরপরেও রাতে আর ও কিছু কাজ করেছি খাওয়া দাওয়া, দাঁত ব্রাশ করা ইত্যাদি।
- তবে, আমি আজকের পোস্ট শেষ করছি। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।।।
বেশ ভালো লাগলো আপনার সুস্থতার কথা শুনে অসুস্থ থাকলে আসলেই কোন কিছু ভাল লাগেনা কাজের প্রতি মন বসে না। ছোটবেলায় আমরা যে কত বই পড়তে পড়তে ঘুমিয়েছি তা ঠিক নাই।
আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবে আমাদের কাছে উপস্থাপনা করেছেন আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন।
আমি মনে করি একটা মানুষকে সুস্থ স্বাভাবিক রাখতে তার মন এবং শরীর ভালো থাকাটা খুবই জরুরী যেহেতু আমি অসুস্থ কাটিয়ে সুস্থ হয়েছি তাই আলহামদুলিল্লাহ।।
একদম ঠিক মাঝে মাঝে আমি আমার ছোটবেলা ফিরে পাই আমার মেয়ের মাঝে ও এমন কিছু কিছু কান্ড কালাপ করে যেগুলো দেখলে নিজেকে ফিরে পাই।।।
আমাদের ডাক্তার ও ঠিক এই কথাগুলোই বলে একজন মানুষের দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার পেছনে তার মানসিক শান্তি খুবই প্রয়োজন মানসিক অশান্তি থাকলে কোন ঔষধ ভালো কাজ করে না। পরিবারের সদস্যের অসুস্থর কথা শুনলে যেমন মনটা খারাপ হয়ে যায় তদ্রূপ তারা সুস্থ হয়ে উঠলে অনেক খুশি লাগে আলহামদুলিল্লাহ আপনি এখন সুস্থ।
আপনার সুন্দর একটি পোস্ট পড়ে ভালই লাগলো । আপনার সারাদিনের কর্মব্যস্ততা সম্বন্ধে জানতে পারলাম।
আসলে এটা শুধু আপনারই সমস্যা নয, এটা আমাদের সকলেরই সমস্যা। ঘুম থেকে উঠে ফোন হাতে নেওয়া এবং রাতে ঘুমাতে যাবার সময় হাতে ফোন নেওয়া, এটা একটা আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে ।
নিজে সুস্থ থাকি কিংবা অসুস্থ থাকি তারপরও পরিবারের সকল সদস্যদের জন্য খাবার তৈরি করা, বাচ্চাদের সামলানো সব কিছুই মেয়েদের করে নিতে হয় । আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
প্রথমে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য ঠিক কথা আমরা প্রত্যেকেই এমন একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছি ফোন ছাড়া যেন সময় কাটে না,,, তবে এটা কিন্তু আমাদের প্রত্যেকের জন্যই খুবই ক্ষতিকারক।।
আর জেনে শুনেও আমরাই ক্ষতির দিকে ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। একদম ঠিক মাঝে মাঝে মনে হয় মেয়ে ছেলে হলে ভালো হতো এত এত চাপ আর নিতে হতো না।। কিন্তু দিনশেষে শুকিয়ে আদায় করি সৃষ্টিকর্তার কাছে তিনি আমাকে যেভাবে এই দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন তাতেই আলহামদুলিল্লাহ।।।
ওরে বাবা! আপনার হুমকি শুনে তো মনে হয় সে খুব ভয় পেয়েছিলো তাই না। ভয় পেয়ে কি ভদ্র ছেলের মতো ফোনটাও রেখে দিয়েছিলো?
সত্যি বলতে এই রোগটা আমাদের অধিকাংশ মানুষের মধ্যে দেখা যায়। সব সময় ফোন নিয়ে ঘাটাঘাটি করতেই থাকে লোকজন বিনাকারণে যেটা আমাদের চোখের জন্যেও অনেক ক্ষতিকর। তাই বলে দশ তালা ফেলে দিয়েন না 😁
না না ভয় পেয়ে যদি ফোনটা রেখে দিতে তাহলে তো কাজই হতো। তবে আমি আমার হুমকি ধমকি দিয়েই যায়।।
এই অভ্যাসে নিজেও দিন দিন পরে যাচ্ছি।কিন্তু কি আর করার এমন নেশা,,মাঝে মাঝে নিজেকেই কন্ট্রোল করতে পারে না।
তবে আমাদের প্রত্যেকের উচিত এই রোগ টা থেকে দূরে থাকা।
ধন্যবাদ আপনাকে ভালো লাগলো পোস্ট পরে।
আপনার আজকের পোস্ট সত্যিই সুন্দর এবং জীবন্ত! আপনার প্রতিদিনের কার্যক্রম এবং পরিবারের প্রতি যত্নশীলতা সত্যিই প্রশংসনীয়। মেয়ের ঘুমিয়ে পড়ার ঘটনা খুব মিষ্টি! আশা করি, আগামীদিনগুলোও এভাবে সুখে কাটবে। সবাইকে ভালো রাখার জন্য অনেক দোয়া! আল্লাহ হাফেজ!