Better Life With Steem The Diary game 09 December 2023
Photo edited by canva
Hello,
Everyone,
এরপরে উঠে দেখি আমাদের বাসায় যে খালাম্মা কাজ করে উনি চলে এসেছে মূলত উনি প্রতিদিন 10:00 টা দিকে আসে এবং 1:00 টা দিকে চলে যায় তবে আজ একটু সকালে এসেছে, এরপরে সকালের রান্নার জন্য আমি এখানে খিচুড়ি বসিয়ে দিয়েছি, এটা হল ছোট চালের খিচুড়ি, খেতে ভীষণ মজাদার হয় এই চাল দিয়ে খিচুড়ি রান্না করলে। খিচুড়ির সাথে ছিল গত কালকের মুরগির মাংসের তরকারি, এবং সাথে দুই টা ডিম বেজে নিয়েছি। এইতো এই দিয়ে সবাই সকালের নাস্তা করে নিলাম।
সকালের নাস্তা শেষে, খালাম্মা কে চাল জাড়ার কথা বলেছিলাম। কেননা, আজ তেমন কোন একটা কাজ নেই। আর যেটা আছে ওগুলো আমি করে নিতে পারব। তাই আমি তাকে চাল গুলো বের করে দিচ্ছিলাম এবং তিনি বসে জাড়তে ছিলেন। এরপরে আমি ও আমার মেয়ে গিয়ে গোসল করে আসলাম। এর ভিতরে খালাম্মার চাল থেকে তুষ বের করা হয়ে গিয়েছে, তাই তিনি চলে গিয়েছেন।
যেহেতু, আমি সকালে একটু বেশি করে খিচুড়ি রান্না করেছিলাম তাই আর দুপুরে রান্না করতে হয়নি। তাছাড়া আমার শ্বশুরের আজ কে দুপুরে একটা বিয়ে দাওয়াত আছে, সেখানে উনি গিয়েছেন। তাই, আমি এবং আমার শাশুড়ি আম্মা মিলে সকালের খাবার টা খেয়ে নিলাম। খাওয়ার পরে বিশ্রাম নিতে ছিলাম, এর মাঝে আমার আম্মু ফোন দিলো তাই, তার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে নিলাম। বাড়ির সবাই কেমন আছে আব্বু, ভাইয়া তাদের খবর টা ও নিলাম, আম্মু বারবার বলছিলো কবে, আমার পরীক্ষা শেষ হবে এবং কবে আমি বেড়াতে যাব।
আম্মুকে ফোন দেওয়ার সময় এই স্ক্রিনশ টটা রেখেছিলাম।
দুপুরে আম্মুর সাথে কথা বলা শেষে খানিক টা কাজ করেছিলাম, তবে কোন কাজে কেমন জানি মন বসে ছিল না,, তাই আমি জানালার পাশে বসে খোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবতে ছিলাম অনেক কিছু অনেক কথা,,,,, মাঝে মাঝে খুব খারাপ লাগে, কিন্তুু কেন সেটা আমি নিজেও বলতে পারব না! আকাশ টা মেঘলা মেঘলা আবহাওয়া ছিল, আর সেই সাথে আমার মন টা মেঘলা হয়েছিল, যাই হোক তবুও আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে, সব সময় শুকরিয়া আদায় করি।
আলহামদুলিল্লাহ, অনেক ভালো আছি। হয়তো আমি আমার বাবার বাড়ি যেতে পারছি না বলে খারাপ লাগছে তবে, এমনও তো মানুষ আছে যাদের বাবার বাড়ি যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নিজেকে তো সান্ত্বনা দিলাম এই বলে এবার মন টা কে ভালো করার জন্য, একটু আচার নিয়ে বসেছি খাওয়ার জন্য,এই আচার টা আমার আম্মু হাতের বেশ মজা হয়েছে খেতে।
সন্ধ্যায় মেয়ে কিছু খেতে চাইছিল না, তাই আমি গরম দুধের সাথে পাউরুটি ভিজিয়ে খেয়ে নিলাম, এরপরে মেয়ের সাথে দুষ্টামি করার ফাঁকে এক, দুই, পড়াতে ছিলাম। এবং নিজেও কিছুটা সময় বই পড়ে ছি, এবং রাতের খাবার খেয়ে নিলাম, অন্যদিকে শাশুড়ি আম্মা মেয়ে কে রাতের খাবার খেয়ে, ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছে,,,, এরমধ্যে আমাদের সাপ্তাহিক হ্যাংআউট শুরু হয়ে গিয়েছে, তাই আমিও জয়েন্ট করলাম। এবং ম্যামের মূল্যবান বক্তব্য শুনছিলাম কি যে ভালো লেগেছে,,, হ্যাংআউট ক্লাস টা অনেক আনন্দের মধ্যে কেটেছে।। এইতো এই ছিল আমার আজকের দিনের কার্যক্রম কেমন লেগেছে অবশ্যই জানাবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
ক্লাসের সময় নিয়েছি।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে কিছুই আমার জন্য সব কিছু রেডি করে নিয়েছেন। আসলেই ঠিক পাশ করা সহজ কিন্তু ভালো রেজাল্ট করা অনেক বেশি কঠিন। ভালো রেজাল্ট করলে ভালো একটা চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মন দিয়ে পড়াশোনা করুন অবশ্যই ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন।
দুপুরে আপনার শ্বশুরের দাওয়াত ছিল সেজন্য আপনি এবং আপনার শাশুড়ি মিলে দুপুরের খাবার খেয়ে নিয়েছেন। উনি দাওয়াত খাওয়ার জন্য ওখানে গিয়েছে আপনাদের বাসায় যে খালাম্মা কাজ করে তিনি তার কাজ করে বাসায় চলে গেছেন। বিকেলবেলা মেয়েকে নিয়ে একটু হাঁটাহাঁটি করেছেন। এবং বাবার বাড়ি নিয়ে একটু চিন্তা করেছেন। সন্ধ্যায় মেয়ের সাথে দুষ্টামি করেছেন হ্যাংআউট এ জয়েন করেছেন। আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
সকালে ঘুম থেকে উঠে খিচুড়ি রান্না করেছেন।সকালে বেশি করে খিচুড়ি রান্না করাত জন্য আর দুপুরে রান্না করতে হয় নাই।।এছাড়া আপনার শশুরের দাওয়াত থাকার জন্য খাওয়ার লোকও কম ছিলো।
আপনার দিনলিপি এত সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
Thank you
আপনার ৯ তারিখ দিনলিপি আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন ।আপনি সংসার সামলানোর সাথে সাথে আপনার পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছেন ।একটি মেয়ের কতটা ধৈর্য হলে সংসারের চিন্তা ,সন্তানের চিন্তা এবং তার সাথে নিজের পড়াশোনা চিন্তা করা যায় সত্যিই অনেক কষ্ট কর।
আপনার পড়াশোনার সাথে সাথে আপনি আপনার বাচ্চার সাথে সময় কাটাচ্ছেন এবং তাকে খেলার ছলে এক দুই শেখাচ্ছেন । বর্তমান সময়ে বাচ্চারা একদমই খেতে চায় না ।তাদের নানান রকম বাহানা থাকে। বাচ্চাদের খাওয়ানো একটা কঠিন কাজ মনে করি।
আপনার জন্য রইল শুভকামনা ।আপনার ভবিষ্যৎ ভবিষ্যৎ আর উজ্জ্বল হোক ।
Thank you
আপনি সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে বই পড়তে বসলেন। তারপর সকালে খিচুড়ি রান্না করলেন এবং বেশি করে রান্না করেন দুপুরে খাওয়ার জন্য। কারণ আপনার শ্বশুর আজ ঘরে খাবে না দাওয়াত খাবে তার জন্য মানুষ কম থাকার কারণে দুপুর বেলায় খিচুড়ি খেয়ে নিলেন। আপনি লেখাপড়ার পাশাপাশি সব কিছু ভালো করে সামলে নিচ্ছেন খুব ভালো।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভবিষ্যৎ আরো উজ্জ্বল করুন থ্যাঙ্ক ইউ।
Thank you
ছোট চালের খিচুড়ি অনেক মজা হয় এইটা ঠিক বলেছেন। আজ কয়েকদিন যাবত আকাশ মেঘলা মেঘলা ভাব নিয়ে আছে। আর মায়ের সাথে কথা বললে মনের মধ্যে একটা প্রশান্তি কাজ করে একটা ভালে লাগা কাজ করে। পরিক্ষা পাশ হলে হয় না ভালো করতে হয় সুন্দর একটা কথা বলেছেন। আপনার পরিক্ষার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন নিজের যত্ন নিবেন আর আপনার পরবর্তী লেখার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
Thank you
ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। সকাল বেলা আপনি খিচুড়ি রান্না করেছেন ছোট চাল দিয়ে আর ছোট চাল এর খিচুড়ি আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।আর তার পরে আপনাদের বাসায় কাজ করতে আসে আর আপনি তাকে চাল বের করে দিয়েছেন।আর আপনার দুপুরে রান্না করতে হয়নি ।আপনি অনেক সুন্দর একটি দিন কাটিয়েছেন আর তা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।
ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
"পাশ করা সহজ কিন্তুু, ভালো রেজাল্ট করা কঠিন।" আপনার এই কথাটার সাথে আমি একমত। তার ওপর আপনার নিজের সংসার সামলে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হচ্ছে। এটা যে কতোটা কষ্টকর ব্যাপার, যে ভুক্তভোগী সেই জানে। আপনার পরীক্ষার জন্য আমার তরফ থেকে শুভকামনা রইল।
Thank you
আপনার সব থেকে একটা বিষয় আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আপনি সংসারের পাশাপাশি পড়াশোনার দিকেও মনোযোগ দেন। একজন মানুষ হয়ে সংসার সামলানো এবং পড়াশোনা করা অনেকটা চাপ হয়ে যায়। তারপরও আপনি পড়াশোনা করে যাচ্ছেন এই দিক দিয়ে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।শুভকামনা রইল আপনার ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য।
Thank you
Thank you
পরীক্ষার কথা আসলে ঠিক বলেছেন পাস করা সহজ কিন্তু ভালো রেজাল্ট করা কঠিন।আর যারা বিবাহিত বা সংসারে ব্যস্ত তাদের জন্য এটি আরো বেশি কঠিন।আপনার পরিস্থিতি আমি খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারছি কারণ আমি নিজেও অনেকটুকু পড়াশোনা বিয়ের পরে করেছি। যাই হোক আপনি সকালে খিচুড়ি রান্না করলেন আর সাথে আগের দিনের মুরগির মাংস ও দুটো ডিম ভেজে নিয়েছেন। এরপর আপনার কাজের সহকারীকে চাল ঝাড়তে দিয়েছিলেন।এরপরে একে একে সারা দিনের সমস্ত কাজ শেষ করেছেন। আর সন্ধ্যায় হ্যাং আউটে উপস্থিত থাকার জন্য জলদি জলদি সব কাজ শেষ করে নিয়েছেন। আপনার মত এই কাজটি আমিও করি। যাই হোক আপনার দিনলিপি পড়লাম।খুব ভালো লাগলো।
Thank you