Lifestyle The Diary Game . . 03-07-2024

in Incredible India3 months ago

Memories Photo Collage.png
Photo edited by canva

প্রিয় বন্ধুরা, সবাই কে আমার আজকের পোষ্টের স্বাগতম।

সকাল বেলা,

তখন প্রায় ছয় টা বাজে,খেয়াল করলাম হাজবেন্ড ঘুম থেকে উঠে গিয়েছে, তাই আমিও উঠলাম। উঠে হাতমুখ ধুয়ে নিলাম।শরীর টা খারাপ লাগছিলো তাই আর, রান্না করি নি গতকাল কে ভাত, তরকারি ছিলো ও টা কে গরম করে দিয়েছি। হাজব্যান্ড খেয়ে অফিসে চলে গেলো,আর আমি বারান্দায় গিয়ে একটু হাঁটাহাঁটি করছিলাম আকাশ টা মেঘলা তবে, সূর্য টা ওঠার চেষ্টা করছিলো। হালকা ঠান্ডা বাতাস ছিলো আর তার কিছুক্ষণ পরেই বৃষ্টি শুরু হলো।এরপরে মেয়ে কে নিয়ে আমিও সকালের খাবার খেয়ে নিলাম।

মধ্য দুপুর,

আমি ঢাকায় আসার পরে, বাসার বেলকনি তে কিছু গাছ লাগিয়ে ছিলাম।আমি বাসায় থাকতে পানি দিতাম যত্নও করতাম,ঈদের ছুটিতে বাসা থেকে যাওয়ার কারণে, গাছ গুলো অর্ধেকের বেশি পাখিতে খেয়ে ফেলেছে।তাই আজকে বাকি গাছ গুলো তুলে ফেলেছি।কেমন জানি লাল হয়ে আসতে ছিলো,চোখের সামনে গাছগুলো এভাবে মারা যাবে না,এটা সহ্য করার মতো নয়, তার থেকে ভালো শাকগুলো রান্না করে খেয়ে নিজে কে শান্তি দেই।


তাই চিন্তা করলাম আজ দুপুরে এই শাক গুলো ভাজি করবো, এরপর আমি গিয়েছিলাম ফ্রিজের কাছে,গতকাল রাতে আমার হাজবেন্ডের বন্ধুর বউ পায়েস রান্না করে পাঠিয়ে ছিলেন। আমি আবার ঠান্ডা করা পায়েস খেতে বেশি পছন্দ করি। তাই ফ্রিজে রেখে দিয়ে ছিলাম আর এখন বের করে কিছুটা পরিমাণ খেয়ে নিলাম।খুবই মজা হয়ে ছিলো,,,। আমার কাছে মনে হয় ঠাণ্ডা হলে এই পায়েসের স্বাদ টা দ্বিগুণ বেড়ে যায়।

দুপুর বেলা,

তখন প্রায় ১২:৪০ বাজে দুপুরে রান্নার জন্য সবকিছু গুছিয়ে রান্না বসিয়ে দিলাম। আজ দুপুর রান্না করেছিলাম শাক ভাজি, বেগুন ভাজি,সাথে ছিলো মাছের তরকারি,দুপুর রান্নাবান্না শেষ করে রুমগুলো পরিষ্কার করে, মেয়ে কে নিয়ে গোসল করে নিয়েছিলাম। এরপরে মেয়ে কে দুপুরে খাবার খাইয়ে দিলাম। অন্যদিকে হাসবেন্ড আসলো তাকে নিয়ে আমিও দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।

দুপুরে খাবার পর্ব শেষ করে, বেশ কিছু টা সময় রেস্ট নিয়ে ছিলাম।এবং রেস্ট নিতে নিতে আমি আমার আম্মুর সাথে কিছু টা সময় কথা বলছিলাম,সবার খোঁজ খবর নিচ্ছি না। সবাই ভালো আছে, জেনে নিজের কাছেও ভালো লাগছিলো।তবে, আমার নানী কয়েক দিন ধরে বেশ অসুস্থ,শুনে কিছু টা খারাপ লাগলো,সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।

বিকাল বেলা,

আজ বিকালে নাস্তার জন্য আগে থেকে ভাবছি চটপটি তৈরি করব। তাই এই জন্য সবকিছু গুছিয়ে রেখে ছিলাম।আর এখন চটপটি টা তৈরি করে নিলাম,আমি আজ দুই রকমের চটপটি তৈরি করেছিলাম। মেয়ের জন্য ঝাল ছাড়া আর আমাদের জন্য ঝাল দিয়ে। আমি ছোট বেলা থেকে চটপট একটু বেশি পছন্দ করি,তাই চেষ্টা করি মাঝেমধ্যে এই বাসায় তৈরি করার।আর হ্যাঁ আপনারা কি চটপটি পছন্দ করেন জানাতে কিন্তুু ভুলবেন না।

সন্ধ্যা ও রাতের বেলা,

সন্ধ্যায় মেয়ে কে পড়তে বসিয়ে ছিলাম, সাথে নিজেও বই নিয়ে বসে ছিলাম। কিছু টা সময় পড়ানোর পরে আমার শাশুড়ি আম্মা ফোন দিলো তার সাথে কথা বললাম।কথা বলা শেষ করে মেয়ে কে রাতের খাবার খাইয়ে দিলাম, সাথে নিজেও খেয়ে নিলাম।এর মাঝে হাসবেন্ড বাইরে গিয়েছিলো,তিনিও বাসায় আসলো তাকে রাতে খাবার দিলাম। এরপরে ঘুমিয়ে গেছিলাম।

Sort:  
Loading...
 3 months ago 

আসলে আমিও আপনার মতন চটপটি খেতে পছন্দ করি, আমি যখনই সময় পাই তখনই আমার দোকানের পাশে একটি দোকান আছে সেখানে চলে যাও এবং এখান থেকে চটপটি খাই। আসলে এখানকার চটপটি মজা তাই আমি যখনই সময় রয়েছে সেখানে গিয়ে চটপটি খেয়ে আসি।

যাইহোক আজকে আপনার পোস্টে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 3 months ago 

ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর একটি তোমার জন্য এবং জেনে ভালো লাগলো আপনি ও চটপটি খেতে পছন্দ করেন।

 3 months ago 

যাইহোক আজকে আপনার সারাদিনের সকল কার্যক্রম আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই, এবং আপনার মতন আমিও শাক খেতে অনেক পছন্দ করি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনি অনেক সুন্দর একটি রেসিপি কথা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 3 months ago 

সূর্য টা ওঠার চেষ্টা করছিলো।

এটা কিন্তু ভালো বলেছেন কারন প্রতিদিন আকাশ মেঘলা থাকছে এবং সূর্যের মুখ দেখার সুযোগ হচ্ছে না।

বাসায় কিছু সবজি গাছ লাগিয়েছিলেন সেটা দেখেছিলাম তবে সেগুলো মারা যাচ্ছে তাই সেগুলোর সৎ ব্যবহার করলেন।নিজে সবজি লাগিয়ে সেটা খাওয়ার আনন্দটাই অন্যরকম। বিকালে সবার জন্য চটপটি বানিয়েছিলেন। ছোট বাচ্চারা বড়দের মতো ঝাল খেতে পারে না।

 3 months ago 

কমেন্ট পড়ে হাস ছিলাম। কি করব বলুন সদ্ব্যবহার না করে কি আর থাকতে পারি। আমিতো চাই মানুষ আমাকে সৎ ভাবুক আর না ভাবুক এই গাছ গুলোর সাথে কিভাবে অসৎ ব্যবহার করবো বলেন।

তাই ওদের কষ্ট সহ্য না করতে পেরে সবজি গুলো রান্না করে নিলাম। খেয়ে নিজেকে শান্তি দিব এবং ওরাও শান্তি পাবে।