করিম মিয়ার তিনটা বিয়ের শেষ পর্ব।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,
আজকে শুক্রবার দিনটা আমার অনেক ভালোই কেটেছে সারাদিন কঠোর পরিশ্রমের পর সন্ধ্যেবেলা লিখতে বসা নিজের অনুভূতি শেয়ার করা নিজের কাছে অনেক ভালো লাগা কাজ করে। আমি ধারাবাহিক ভাবে করিম মিয়ার তিনটা বিয়ের এর গল্প শেয়ার করছি অনেকের অবগত আছেন। আজকে এই গল্প শেষ পর্ব উপস্থাপনা করব।
Edited by Canva
করিম মিয়া বিগত যে দুই টি বিয়ে করছে তার পেছনে প্রত্যেকটার কারণ রয়েছে। আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে যে যারা অধিক বিয়ে করে তাদের চরিত্র খারাপ। কিন্তু অনেকেই আবার প্রস্তুতি শিকার হয়ে বিয়ে করতে হয়।
করিম মিয়া দ্বিতীয় স্ত্রী হারানোর পর অনেকটা হতাশ হয়ে পড়ে কি করবে ভেবে উঠতে পারছিল না দুই সন্তান মা হারা হয়ে গেছে। তার মনের ভিতর একটি ভয় ঢুকে গেছে যে তার স্ত্রী মারা যায় কোন না কোন ওছিলায়। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে আর বিয়ে করবেন না যদি তৃতীয় বিয়ে করে আর ওটাও মারা যায় তাহলে সমাজের লোক অন্য চোখে দেখবে এটাও একটি কারণ সে ভাবছে।
বিভিন্ন চিন্তা এবং টেনশনে তার শরীরের অবস্থা খুবই খারাপ কিন্তু তাকে যে বেঁচে থাকতে হবে তার দুই সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য এই মনোবল নিয়েই করিম মিয়ার এখনো বেঁচে আছে। করিম মিয়া তার স্ত্রীদেরকে খুবই ভালোবাসতো কোন কিছুর অভাব বুঝতে দিত না । আর এই ভালোবাসার মানুষগুলো পৃথিবী থেকে বিদায় নিলে নিজে বেঁচে থাকার কোন মানেই হয় না এটাই ভাবে অনেকেই যারা প্রিয় মানুষদেরকে অধিক ভালোবাসো।
করিম মিয়া তার সংসার দেখভাল করার জন্য একজন কাজের মেয়ে রেখে দিল। কাজের মেয়েকে প্রত্যেক মাসে ৫০০০ টাকা করে দিতে হতো। তার বাড়ির সমস্ত কাজ করে দিত এবং তার সন্তানদেরকে দেখভাল করতো পাশাপাশি তাদেরকে পড়াতো।
যে মেয়েটিকে করিম মিয়া বাড়ির কাজের জন্য রেখেছিল সে একজন ডিভোর্সি মেয়ে তার বাবা ও মা কেউ নাই আর এই পৃথিবীতে। পরের বাসায় কাজ করে তার জীবিকা উপার্জন করতে হয়। মেয়েটাও খুবই অসহায়।
এভাবেই করিম মিয়ার সংসার চলতে থাকলো এক বছর পর করিম মিয়া অনেক একা একা ফিল করতে লাগলো। আসলে জীবনসঙ্গিনী ছাড়া বেঁচে থাকা খুবই কষ্টকর। অনেক পরিশ্রমের করার পর ঘরে ফিরে যদি জীবনসঙ্গিনী এক গ্লাস পানি দেয় তার তৃপ্তি টাই আলাদা।
করিম মিয়া অনেক ভেবেচিন্তে দেখলো যে মেয়েটিকে কাজের জন্য রেখেছে সেও অনেক অসহায় এবং আমিও অসহায় দুজনেরই দুঃখ একই রকম। অনেক কিছু ভাবার পর মেয়েটির বড় চাচাকে গিয়ে বলল আমি শীলাকে বিয়ে করতে চাই। মেয়েকে নাম শিলা আমি হয়তো বা আগে প্রকাশ করি নাই।
যাই হোক মেয়ের বড় চাচাকে প্রস্তাব দিল করিম মিয়া। মেয়ের বড় চাচা ,মেয়েকে বলল, তুমি কি করিম মিয়াকে বিবাহ করতে রাজি আছো, মেয়েটি বলল করিম মিয়া অনেক ভালো মানুষ তার বাড়িতে এক বছর যাবত কাজ করছি কোনদিন আমাকে বড় কথা বলি নাই। কোন কাজের জন্য আমাকে বলা বকা দিই নাই। শিলা অনেক ভেবে দেখল এবং সে রাজি হয়ে গেল বিবাহের জন্য।
পরের সপ্তাহের শুক্রবার করিম মিয়া ও শিলার বিবাহ সম্পন্ন হল। পরিস্থিতি এবং নিজের জীবনে হতাশা কাটানোর জন্য জীবনসঙ্গিনী খুবই প্রয়োজন।
এখন করিম মিয়া খুবই সুখে শান্তিতে সংসার করছে এবং তার সংসারে কোন কষ্ট নাই। সন্তান দুটিও ভালোভাবে মানুষ হচ্ছে। তারা একটি নতুন মা পেয়েছে । তো বন্ধুরা করিম মিয়ার তিনটা বিয়ের গল্প এখানেই গল্প শেষ হয়েছে।
আশা করি আমার এই গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশাই করি আল্লাহ সবার মঙ্গল করুন।
অসংখ্য ধন্যবাদ আমার সকল বন্ধুদের যারা নিয়মতই আমার লেখাটি পরিদর্শন করেন।
With great emotion we notify you that this article has been curated by @radjasalman, member of team 2. Your content is amazing, keep working hard to opt for the weekly top.
Thank you so much for supporting me .
বিভিন্ন চিন্তা এবং টেনশনে তার শরীরের অবস্থা খুবই খারাপ কিন্তু তাকে যে বেঁচে থাকতে হবে তার দুই সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য এই মনোবল নিয়েই করিম মিয়ার এখনো বেঁচে আছে। করিম মিয়া তার স্ত্রীদেরকে খুবই ভালোবাসতো কোন কিছুর অভাব বুঝতে দিত না । আর এই ভালোবাসার মানুষগুলো পৃথিবী থেকে বিদায় নিলে নিজে বেঁচে থাকার কোন মানেই হয় না এটাই ভাবে অনেকেই যারা প্রিয় মানুষদেরকে অধিক ভালোবাসো।
করিম মিয়া তার সংসার দেখভাল করার জন্য একজন কাজের মেয়ে রেখে দিল। কাজের মেয়েকে প্রত্যেক মাসে ৫০০০ টাকা করে দিতে হতো। তার বাড়ির সমস্ত কাজ করে দিত এবং তার সন্তানদেরকে দেখভাল করতো পাশাপাশি তাদেরকে পড়াতো।
করিম মিয়ার মতো আমাদের সমাজে অনেকে আছে এখনো এভাবে সংসার হাল ধরে রয়েছে।