Better Life With Steem || The Diary game || 13- December- 2024
আসসালামু আলাইকুম। আশাকরছি সবাই ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি । ইন্ডিয়ান বাসী, বাংলাদেশ বাসী, সবাইকে জানাই আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা, ও সবার প্রতি আমার ভালবাসা রইল।
প্রতি সপ্তায়, একবার হলেও লেখার চেষ্টা করি নিজেকে নিয়ে। আমি সারাদিন কি করলাম ?
আজকে সকাল বেলায় ঘুমটা ভাঙলো একটু ভিন্ন রকমের শব্দ শুনে। আমাদের পাশের বাসায় দেখি দেয়াল ভাঙ্গতাছে, দেয়ালটি খুবই দুর্বল হয়ে গেছে, তাই নতুন করে দেয়াল তুলবে। এর জন্য সকালবেলা থেকেই ভাঙ্গা ভাঙ্গির কাজ শুরু করছে। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠলাম আটটার সময়। আজকে তেমন কোন কাজও নাই বাসায়, ফ্রেশ হয়ে বাহিরে তাকিয়ে দেখি। একটু কুয়াশা পড়ছে পরে আবার ঘরে চলে এসে। আমার ঘরের মশারি ভাজ করলাম, বিছানা, বালিশ এই সবকিছু গুছাইলাম। পরে ভালবাসার কবুতর গুলোকে খাবার দিলাম।
এরপর আমার দুষ্ট-কিউট ভাগ্নিটা আসলো আমার কাছে। এসে বলছে আমাকে চলো মামা, আমরা ছাদে যাইয়া রোদ তাপাই আর হেলিকাপটার উড়াই। তার সাথে একটা ফুল ও আনছে সে, পাশের বাসা থেকে। আমারে বলতাছে এই ফুলের ছবি উঠাও, পরে কিছু ফুলের ছবি উঠাইলাম।
পরে মামা ভাগ্নি মিলে-মিশে কিছুক্ষণ হেলিকপ্টার উড়াইলাম। ভালই লাগলো বাচ্চাদের সাথে হেলিকপ্টার উড়াইতে। কিছুক্ষণ পর নিচে নামলাম, আজকে শুক্রবার তাই তাড়াতাড়ি গোসল করতে হবে, মসজিদে যেতে হবে।
মসজিদ থেকে এসে দেখি, আম্মা আজকে আমার পছন্দের খাবার তৈরি করেছে। এই পৃথিবীর সবচাইতে দামি খাবার হলো আমার আম্মার হাতের রান্নার খাবার। আজকে পেট ভরে ভাত খাইলাম, সিমের ভর্তা, বেগুন ভাজা, সাথে মরিচ ও গরম ভাত আর একটু সরিষা, পরে একটু বিশ্রাম নিলাম। পরে বিকাল বেলা প্রাণের কবুতরগুলো আকাশে উড়িয়ে দিলাম। আম্মা বলছে আমাকে পুঁইশাক গাছ থেকে পাতা পেরে আনার জন্য। পরে আমি ছাদ থেকে কিছু পুঁইশাকের পাতা আনলাম।
আপনারা হয়তোবা অনেকেই জানেন না। যে আমি কবুতর পালন করি। আমি কবুতরকে অনেক ভালোবাসি, বেশ কয়েকদিন আগে আমার এক জোড়া বাচ্চা কবুতর কে, একটি ইঁদুর আক্রমণ করেছে। কি আর করব বুঝতে পারছিলাম না, কবুতরের বাচ্চাটি খাবার-দাবার ছেড়ে দিয়েছে। কয়েকদিন আমি নিজেই হাতে খাওয়াইলাম। দেখি বাচ্চা কবুতরটি দাঁড়াতে পারে না। আজকে বিকাল বেলায় তাকিয়ে দেখি বাচ্চা কবুতরটি মারা গেছে। আপনারা হয়তো বা ভাবতে পারেন, একটি কবুতর মারা গেছে, তাতে কি হয়েছে মিয়া, মন খারাপ করতে হয়, এই বিষয়ে। শখের জিনিস চলে গেলে, মারা গেলে, সত্যি মনটা খারাপই হয়ে যায়।
তাই সন্ধ্যার সময় চিন্তা করলাম বাসা থেকে বের হব না।
সন্ধ্যার সময়,আমি আর বাসা থেকে বের হই নাই আজকে। কেননা আজকে শরীরটা খারাপ লাগছে আর মনটাও ভালো নেই, আর বাহিরেও একটু ঠান্ডা বাতাস বইছে। এই সবকিছু মিলে আর বাইরে যাইনি আজকে। পরে কম্পিউটারের সামনে বসে seo ভিডিও গুলো দেখলাম। Seo প্র্যাকটিস করলাম। এইতো এই ভাবে আজকের দিনটি শেষ করলাম। আমি শুকরিয়া করি মহান আল্লাহতালার কাছে যে আমাকে আরেকটি দিনের বাঁচার সুযোগ করে দিল।
আমার যদি ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন।
মামা -ভাগ্নি মিলে বেশ মজা করেছেন বোঝাই যাচ্ছে।শীতের সময় ছাদে গিয়ে গায়ে রোদ লাগাতে খুবই ভালো লাগে। আগে এই কাজটা আমিও করতাম।
একদম ঠিক বলেছেন যে, পৃথিবীর সবচাইতে দামী ও মজার খাবার হলো মায়ের হাতের তৈরি খাবার।আমার মায়ের কথা মনে পরে যাচ্ছিল আপনার শিমের ভর্তার কথা পড়ে।আমার মা এই ভর্তাটা খুবই মজা করে বানাতো।
যেকোন পোষা প্রাণী মারা গেলে খুব লাগে, এই অনুভুতিটা জানা আছে আমার।
ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে।
ভালো থাকবেন সবসময়।