পরকীয়া! পার্ট ১

in Incredible India5 months ago (edited)

বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন! আপনাদের দোয়ায় আমিও ভাল আছি। আজকে আমি কথা বলব পরকীয়া নিয়ে।পরকীয়া এমন একটি জিনিস যা আপনাকে আপনার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিবে। আজকে এই পরকীয়া নিয়ে কথা বলব চলুন শুরু করি। আমার বন্ধু লিটন এর জীবন কাহিনী আমার চোখের সামনে ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আমার বন্ধু লিটন এর পরিচয়

আমার খুব কাছের একজন বন্ধু নাম হচ্ছে লিটন। খুব নম্র ভদ্র একজন মানুষ। কারো সঙ্গে মিশে না। একজন ছেলে যেখানে মারামারি ও নষ্ট ছেলেপেলেদের আড্ডা সেখানে লিটন কখনোই যেত না। গ্রামের চোখে সবার কাছে সে ভালো। সে তেমন কোন কাজ করত না। এভাবে যেতে যেতে কিছুদিন পর একটি কোম্পানিতে ডেলিভারি ম্যান এর চাকরি নেয়।

IMG_20231121_165023_360.jpgআমার বন্ধু লিটন এর ছবি

লিটনের বাবা মা লিটনকে বিয়ে করাবে। কিন্তু লিটন এখন বিয়ে করতে চায় না। লিটনের ইচ্ছা সে দূর প্রবাসে যাবে। বিদেশে গিয়ে বাড়িতে টাকা পাঠাবে বাড়ি গাড়ি করবে তারপরে বিবাহ করবে। লিটন বিদেশে যাওয়ার জন্য এপ্লাই করে। কিন্তু তারপর লিটনের বাবা-মা লিটনকে বুঝিয়ে শুনিয়ে বিবাহ করায়।

মেয়ে দেখতে সুন্দর। লিটনের বৈবাহিক জীবন ভালোই চলছিল। বিয়ের দের মাস পর লিটন এর বিদেশে যাওয়ার জন্য ভিসা চলে আসে। লিটনের অনেক শখ সে বিদেশ যাবে। অবশেষে তার সুন্দরী বউ বাবা মা আত্মীয়-স্বজন সবাইকে ছেড়ে লিটন প্রবাসে চলে যায়। লিটন প্রবাসে যাওয়ার দুই বছর পর্যন্ত লিটনের স্ত্রীর সাথে তার সম্পর্ক ভালোই ছিল। ভিডিও কলে তাদের মধ্যে প্রতিদিন কথা হতো।

দুই বছর লিটনের স্ত্রী ভালই ছিল। দুই বছর পর লিটনের স্ত্রী তার এক বন্ধুর সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু লিটন দূর প্রবাসে থাকার কারণে তা বুঝতে পারেনি। লিটনের স্ত্রী ও লিটন কে বুঝতে দেয়নি। এভাবে চলে যায় দীর্ঘদিন। লিটনের ইস্ত্রি তার সেই প্রেমিককে নিয়ে দিনের পর দিন তার রুমে নিয়ে থাকতো। এদিকে লিটনের সাথেও সম্পর্ক ভালো রেখে লিটনের থেকে টাকা নিয়ে তার সেই প্রেমিককে দিত।

Picsart_24-07-02_11-35-30-914.jpg

এভাবে যেতে যেতে লিটন দেশে আসার জন্য ছুটি পায়।লিটন ছুটি পেয়ে তার সুন্দরী বউ এর জন্য,
অনেক গহনা কেনে। অনেক পোশাক আশাক ও কসমেটিক কেনে। কিন্তু লিটন ছুটি পেয়েও তার বউকে জানায় না। কারণ লিটন ভেবেছে হঠাৎ এসে তার বউকে সারপ্রাইজ দেবে।

IMG_20231206_191349_450.jpg

এমত অবস্থায় লিটন দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিন্তু লিটনের স্ত্রী তো একজনের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছে। লিটনের স্ত্রী তার সেই প্রেমিকের সঙ্গে রুমের মধ্যে একান্ত সময় পার করছেন। ঠিক সেই সময় লিটন বিদেশ থেকে বাসায় চলে আসে, ও দরজায় নক দেয়। দরজায় নক দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার বউ চমকে ওঠে।

সে ভাবে এই সময় কে আসলো। দরজার ওপর পাশ থেকে ভয়ে ভয়ে লিটনের স্ত্রী বলে কে? তারপরও লিটন দরজা নক দিতেই থাকে। লিটনের স্ত্রী উপায় না পেয়ে তার প্রেমিককে খাটের নিচে যেতে বলে। তারপর লিটনের স্ত্রী দরজা খুলেই লিটনকে দেখে চমকে ওঠে।

চলবে,,,,,,,

বন্ধুরা আজকের মত এখানেই সমাপ্তি টানছি। দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে আসছি আগামীকাল। ধন্যবাদ সবাইকে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

Sort:  
Loading...
 5 months ago 

বর্তমান সময়ে পরকীয়া এক পরিচিত নাম।। প্রতিনিয়তই পরকীয়ার জালে হাজারো সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায় হাজারো পরিবার হতাশায় পরছে। লিটন প্রবাসে থাকা অবস্থায় তার স্ত্রী এবং কাজ করা কখনোই উচিত হয়নি।। আপনার পরবর্তী পর্ব পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।।

 5 months ago 

যত দিন যাচ্ছে সমাজে পরকীয়া যেন বেড়েই চলেছে। এরকম পরকীয়ার জন্য কত মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। পরকীয়ার শোক মেনে নিতে না পেরে ছেলেমেয়েরা, আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। তবে যে স্বামীরা বাইরে কাজ করেন তার স্ত্রীরা সত্যিই এরকম কাজ বেশি করে। আজকাল টিভি ,খবরের কাগজ এইসব ঘটনায় বেশি দেখা যায় । তবে আপনার পোস্টে লিটনের স্ত্রী এরকম কাজ করা একদমই উচিত নয়। কারণ তার স্বামী রোজগারের জন্যই বাইরে ছিল। আজ বর্তমান যুগে পরকীয়ার জেরে হাজার হাজার সম্পর্ক নষ্ট হচ্ছে।

 5 months ago 

I am completely agree with the comment of @mou.sumi
What Litton's wife is doing is a pure example of infidelity, and such wives make people suspicious who go abroad to earn money for their families, this is a grave betrayal towards Litton. The poor guy is trying to surprise his wife by buying jewellery to make her happy while being away from her and he is about to get a terrible surprise from under his wife's bed.
You should finish your story in one go friend, no one has the time or the curiosity to read your second part. Everyone is very busy in their daily chores.

 5 months ago 

আসলে পরক্রিয়া নিয়ে আপনি যে কথাগুলো আমাদের মাঝে বলেছেন সেগুলো আসলে ঠিকই বলেছেন কিন্তু, এখানে আমি মনে করি আপনার বন্ধুর বিয়ে পরে দূর করে বসে না যাওয়াটাই উচিত ছিল, কারণ একটি সবসময়ের জন্য চায় তার স্বামী পেতে তার সাথে সব সময় থাকে তাকে সময় দেয়। কিন্তু আপনার বন্ধু সে কাজটি করে নাই এতে আমি একমত কারণ একটি মেয়ে কতদিন একা একা থাকতে পারে তারও তো একটি নিজের ইচ্ছা কিংবা চাওয়া-পাওয়া আছে। আমি মনে করি যারা বিবাহিত আছে তারা বউ বাড়িতে রেখে বিদেশ যাওয়াটা সবচেয়ে বোকামি। বিদেশ যেতে ইচ্ছা করে তাহলে বিয়ের আগেই যাওয়াটা উচিত ছিল।

যাইহোক আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে ভালই লাগলো ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।