রাসেলস ভাইপার সাপ নিয়ে কিছু কথা
**রাসেল ভাইপার কি **
রাসেলস ভাইপার মূলত একটি বিষাক্ত সাপের নাম। দীর্ঘ কয়েকদিন যাবত আমরা মূলত ফেসবুকে, ইউটিউবে ও বিভিন্ন সামাজিক যেই সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমগুলো আছে,এগুলোতে ঢুকলেই দেখা যাচ্ছে আমাদের দেশের মধ্যে জেলায়, জেলায়, গ্রামে, গ্রামে এই বিষাক্ত সাপ ছড়িয়ে পড়েছে। আসলে ঘটনা কতটুকু সত্য আমি জানিনা। বা আমাদের আশেপাশে এরকম কোন বিষাক্ত সাপের খোঁজ পাওয়া যায়নি। একমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে এই বিষাক্ত রাসেলস ভাইপার নামের এই বিষাক্ত সাপ।
আজকে সকালের ঘটনা
আজকে আমি সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ব্রাশ করতে, করতে বাথরুমের পাশে দাঁড়িয়ে আছি। হঠাৎ আমার চোখে পড়লো আমাদের গোয়াল ঘরের দরজার এক কোনায়, কি যেন লেজ বের করে আছে।হঠাৎ কাছে গিয়ে দেখলাম এটি একটি সাপ। তারপর সাপটিকে মারলাম। তারপর গ্রামের কিছু মানুষ এসে সেখানে সাপটিকে দেখল । আমি তো সাপ চিনিনা সবার মতে এই সাপটির নাম নাকি খরকি সাপ
গ্রামের সবাই বলছে এই সাপগুলো মূলত নাকি গোয়াল ঘরে থাকে। আবার লাকড়ি খড় কুটোর মধ্যে থাকে ।
সবাইকে উদ্দেশ্য করে কিছু কথা
আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় যেই সাপটিকে দেখতে পাচ্ছি রাসেলস ভাইপার নামে। সেটি হয়তোবা আমাদের চোখে পড়ছে না। শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখতে পাচ্ছি। আবার অনেক অনেক জেলায় নাকি নিউজ ছড়িয়ে পড়েছে এই রাসেলস ভাইপার নামের একটি সাপ যদি কেউ ধরতে পারে তাকে নাকি অর্ধ লক্ষ টাকা পুরস্কৃত করা হবে। আসলে এটি একটি নিউজে আমি দেখতে পারলাম।
আমি জানিনা এই নিউসটি কতটুকু সত্য। এই রাসেলস ভাইপার সাপটির নামে আমি একটু পরে দেখলাম। এই রাসেলস ভাইপার সাপ নাকি মানুষকে দেখলে আরো দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসে আক্রমণ করার জন্য। আমরা সাধারণত জানি অন্যান্য সাপ মানুষ দেখলে পালিয়ে যায়। অন্যান্য সাপকে আঘাত না করা পর্যন্ত সে আপনার দিকে তেড়ে আসবে না। কিন্তু এই রাসেলস ভাইপার সাপ মানুষের ঘ্রাণ শুনলেই নাকি তেড়ে আসে আঘাত করার জন্য বা ছোবল দেওয়ার জন্য।
আরো একটি কথা জানতে পারলাম। এই রাসেলস ভাইপার সাপ নাকি অনেক বিষাক্ত। এর ছোবলে মানুষ খুব অল্প সময়ে মারা যায়। আসলে এইসবটুকু খবরই আমি নিউজ থেকে পাইলাম।
সর্তকতা অবলম্বন
আসলে এই খবরটি বা নিউজটি সত্য কিংবা মিথ্যা হোক সেটি আমাদের বিষয় নয়। যেহেতু একটি আতঙ্ক বের হয়েছে আমাদেরকে সাবধানে থাকাটাই সবচাইতে বুদ্ধিমানের কাজ হবে। কারণ বিপদ কাউকে বলে আসে না। তাই আমরা চেষ্টা করব সব সময় সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য। আমরা চেষ্টা করব সব সময় নিরাপদে থাকার জন্য।
আর তারপরও এটি হচ্ছে বর্ষাকাল এই বর্ষাকালে একটু সাপের উপদ্রপ একটু বেশি হয় অন্য ঋতুর তুলনায়। তাই আমরা সব সময় চেষ্টা করবো একটু সাবধানে থাকার জন্য।
বন্ধুরা আজকে এখানেই সমাপ্তি টানছি।
সবার কাছে একটি চাওয়া।
আমি আপনাদের মাঝে নতুন তাই আমাকে উৎসাহিত করুন আমাকে ভোট দিয়ে ও কমেন্ট করে উৎসাহিত করুন। কারণ কেউ যদি কোন কাজ করে তাকে যদি উৎসাহিত করা যায় তাহলে সেই ব্যক্তিটি সেই কাজটি আরো মনোযোগ শহীত করবে। তাই আমাকে উৎসাহিত করুন যাতে আমি আপনাদেরকে আরো কিছু লিখে উপহার দিতে পারি। ধন্যবাদ সবাইকে সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
এটা সম্পূর্ণই একটা গুজব। আমাদের বড্ড সমস্যা কিছু না কিছু নিয়ে আমাদের সমালোচনা করতেই হবে। যেমন কিছুদিন পূর্বে ছিল হিরো আলম এবং এখন আবার রাসেল ভাইপার।
হ্যাঁ, এই সাপটি বিষধর কারণ এটার ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধক পাওয়া যায় না বললেই চলে।
ভাই, ঈশ্বরের সৃষ্টি প্রতিটি জীব প্রকৃতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমি দেখলাম আপনি একটা নিরীহ সাপকে মেরেছেন। প্রথমত, জীব হত্যা মহাপাপ। এই সাপ গুলো কখনোই কারো ওপরে আক্রমণ করে না শুধু মাত্র এদের খাবার ব্যাতীত।
তাই যে কোনো সাপকে তখনই মারা উচিত যখন সেটা আপনার আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজন। আশাকরি, বিষয়টি ইতিবাচক ভাবে গ্রহণ করবেন।
রাসেল ভাইপারের আমাদের দেশীয় নাম চন্দ্রবোড়া সাপ।এটি মোটেও নতুন প্রজাতির কোন সাপ নয়। আমাদের দেশে এই সাপ পূর্ব থেকেই ছিল। এগুলো বেশিরভাগই পরিত্যক্ত ঘর ও তার আশেপাশে বাসা বাঁধে। কিন্তু অনেকেই না জেনে বর্তমানে এই সাপ সম্পর্কে অনেক বেশি কথা বলছে।
আপনি আজকে একটি সচেতনতা মূলক পোস্ট লিখেছেন। আবার আজকে নিজের বাড়িতে একটি সাপ মেরেছেন। সাপ সত্যিকার অর্থে অনেক ভয়ঙ্কর না হলেও সাপ দেখলে আমরা আসলে অতিমাত্রায় ভয় পেয়ে যাই। আমি নিজেও একই দলের।
সব মিলিয়ে আপনার পোস্টটি বেশ ভালো লেগেছে।
বর্তমান সময়ে ফেসবুক শুনলে এক ভয়ঙ্কর সাপের নাম দেখতে পাওয়া যায় এটা হল রাসেল ভাইপার।। আবার অনেকেই যেকোনো সাপ মরার পর বলছে এটির রাসেল ভাইপার আর এই ভুল করে অনেক প্রজাতির সাপ মারা পড়ছে এখন।। আর হ্যাঁ গোয়াল ঘরের পাশে এরকম সাপ থাকে আর সাপ যেহেতু মানুষকে দংশন করে তাই এটা মেরে ফেলাই ভালো।।
বর্তমান সময়ে সবচাইতে আতঙ্কের বিষয় হচ্ছে এ রাসেল ভাই পার। তবে আমার কাছে মনে হয় মানুষ এটা নিয়ে যতটা ঘাঁটাঘাঁটি করছে বা কথা বলছে। সেই সময়টা যদি আল্লাহর পথে দিত তাহলে আরো বেশি ভালো হতো। কেননা আমরা এই পৃথিবী ছেড়ে যেতে হবে সেটা যে কোন মুহূর্তেই হোক না কেন? তাই অন্ততপক্ষে যতটুকু হয় আমরা রাসেল ভাইকে পাচ্ছি ততটুকু ভয় যদি আমরা আল্লাহকে পেতাম আমাদের জীবন আরো বেশি সুন্দর হতো। তবে সবাইকেই কম বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ধন্যবাদ চমৎকার বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনি রাসেল ভাইয়ের শখ নিয়ে কিছু কথা আমাদের সাথে বলেছেন যেটা আসলে অনেক সুন্দর ছিল, ইদানিং আমি শুনতে পাচ্ছি আমাদের বাড়ির এলাকার ও রাসেল ভাইপার সাপের দেখা পাওয়া যাচ্ছে। আমি অবশ্যই দোয়া করব যাতে সবাই মানুষ সুস্থ থাকে সুন্দর থাকে ধন্যবাদ আপনাকে।