একটু অন্যভাবে কাঁঠাল রান্না করলাম
কাঁঠাল খাওয়ার ইচ্ছা
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আপনাদের দোয়ায় আমিও বেশ ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদেরকে একটি রেসিপির গল্প শোনাবো। যেটা আমি নিজে তৈরি করেছি। তাই আশা করছি সবাই আমার এই রেসিপির গল্পটি সবটুকু পড়বেন। চলুন শুরু করি।
অনেকদিন পরে আজকে একটু কাঁঠাল খেতে মন চাইলো। কিন্তু পাকা কাঁঠাল নয়। বরং কাঁচা কাঠাল একটু অন্যভাবে রান্না করার ইচ্ছা জাগল। তাই একটা কাঁচা কাঁঠাল নিয়ে আসলাম।তো কিভাবে কাচা কাঠাল রান্না করলাম সেটাই আপনাদের সাথে আজকে শেয়ার করব। তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে কিভাবে রান্না করলাম শুরু করি।
রান্না করার প্রসেস
আমি প্রথমে কাঠাঁলটাকে কেটে নিলাম। অন্যদিকে একটু ডাউল ভিজিয়ে রেখেছি। আমার যেকোনো রান্নাতে ডাউল বেশ ভালো লাগে। তাই আমি ভেবেছি যে ডাউল কাঁঠাল ও মুরগির মাংস দিয়ে রান্না করবো। আমি কাঁঠাল ছোট ছোট করে নেয়ার পরে। ডাউল ভিজে রেখেছি প্রায় চার থেকে পাঁচ ঘন্টা। তারপর মুরগির মাংস ছোট ছোট করে নিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিব। তারপর পিঁয়াজ রসুন ও আদা ছোট ছোট করে নেব।
রান্নার পদ্ধতি
আমি প্রথমে ডাউল গুলোকে একটু সেদ্ধ করে নিলাম। তারপর একটি খালি পাত্রে তেল ঢেলে দিলাম। এবং তার মধ্যে পিয়াজ কুচি, আদা কুচি, রসুন কুচি গুলোকে দিয়ে দিলাম। তারপর পরিমাণ মতো লবণ হলুদ ও মরিচের গুঁড়া দিয়ে দিলাম এবং আরো বিভিন্ন মসলা দিয়ে দিলাম। এভাবে কিছুক্ষণ হালকা তাপে জাল করে নিলাম। যখন এগুলো একটু সেদ্ধ সেদ্ধ ভাব হয়ে গেল । তার মধ্যে মুরগির মাংস ও ডাউলগুলো দিয়ে দিলাম।
এভাবে কিছুক্ষণ মুরগির মাংসগুলোকে ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিব।আর এখানে আরেকটি কথা না বললেই নয়। আমি কিন্তু এই রান্নাগুলো একদম মাটির চুলায় রান্না করেছি। কারন আমরা গ্রামে থাকি। আমরা সেই প্রাচীন যুগ থেকেই মাটির চুলায় লাকড়ি ও খড়কুটা দিয়ে রান্না করে এসেছি। মাটির চুলায় রান্নার একটা আলাদা ঘ্রাণ ও স্বাদ আছে। তাই আমরা মাটির চুলায় লাকড়ি দিয়ে রান্না করি।
মাটির চুলায় রান্না করার দৃশ্য
এভাবে কিছুক্ষণ রান্না হয়ে গেলে আমরা কাঁঠালগুলো দিয়ে দেব। কাঁঠাল দেওয়া হয়ে গেলে আরো কিছুক্ষণ রান্না করে নেব। তারপরও যখন আমরা রান্নাটি চুলা থেকে নামাবো। রান্নার উপরে কিছু গুড়া মসলা দিয়ে দেব। এবার আমাদের রান্নাটি রেডি।
রান্নাটি খাওয়ার পর বুঝতে পারলাম, এই রান্নাটির অথেন্টিক স্বাদ। আমি আপনাদেরকে বোঝাতে পারবো না। আমার এই রান্নাটি যে খেয়েছে সেই আমার প্রশংসা করেছে। কারণ এই রান্নাটি অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। এজন্যই সবাই আমার প্রশংসা করেছে। আমার মা বাবা সবাই রান্নাটি খেয়ে অনেক মজা পেয়েছে।
তো বন্ধুরা আজকে এখানেই সমাপ্তি টানছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
এখানে আরেকটি কথা না বললে নয়। আপনারা সবাই আমার এই পোস্টটিতে ভোট দিয়ে ও কমেন্ট করে আমাকে উৎসাহিত করুন। কেননা কেউ কাউকে উৎসাহিত করলে তার কাজের প্রতি আগ্রহ আরো বেড়ে যায়। তাই আমাকে উৎসাহিত করুন যেন আমি আপনাদের মাঝে আরও কিছু লিখতে পারি।
তো ধন্যবাদ সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে আবার কোন নতুন গল্প অথবা রেসিপি নিয়ে। ধন্যবাদ।
সত্যি ই এইরকম ভাবে কাঁঠাল রান্না করা যায় আমার জানা ছিল না ।তবে কাঁঠালটা দেখে মনে হচ্ছে পেকে গেছে। আমরা বাড়িতে অন্যরকম পদ্ধতিতে কাঠাল রান্না করে খাই। সত্যিই কাঠের রান্নার স্বাদ একদমই অন্যরকম। আপনার রেসিপিটা পড়ে ভালো লাগলো। আমিও বাড়িতে চেষ্টা করব ।আপনার মত করে কাঁঠাল রান্না করার।
আমি পূর্বে কাঁঠালের ইচোড় খেয়েছি যেটাতে আমার মা নারকেল দুধ এবং চিংড়ি মাছ ব্যবহার করেছিল। কিন্তু এই সর্বপ্রথম আপনার লেখাতে দেখলাম কাঁঠাল ও মুরগির মাংস।
নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল যেটা আপনার লেখার মাধ্যমে প্রকাশ করা অনুভূতিতে ফুটে উঠেছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি রন্ধন-প্রনালী আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য। আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় লেখা পরিদর্শনের অপেক্ষায় রইলাম।
আসলে কাঁঠাল রান্না আমি বহুত ভাবে খেয়েছি কিন্তু আজকে আপনার এই কাঁঠাল রান্না দেখে আমার কাছে মনে হল যে আমিও একবার আপনার এই কাঁঠালটার নাম মতন রান্না করে দেখতে পারি। এ কেমন লাগে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর কাঁঠাল রান্নার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমি এখনো এইভাবে কাঁঠাল খাইনি কিন্তু আমাদের এখানে অনেকেই রয়েছে তারা এভাবে গরুর মাংস দিয়ে কাঁঠাল রান্না করে খায়।। এভাবে কাঁঠাল রান্না করে খেলে নাকি অনেক সুস্বাদু লাগে।। আর আপনার মুখেও শুনলাম এই খাবারের সুস্বাদু। যদি কখনো সুযোগ সুবিধা হয় অবশ্যই একবার খেয়ে দেখব।।
আমার কাছে পাকা কাঁঠাল থেকে কাচা কাঁঠাল খেতে বেশি ভালোবাসি।কাঁচা কাঁঠাল বলতে এটা রান্না করে খাওয়ার কথা বলা বলছি। আমার বাড়িতে মা কাঁচা কাঁঠাল সুন্দরভাবে রান্না করে এবং খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে। আপনিও আজ কাঁঠাল রান্না করার রেসিপি নিয়ে এসেছেন আর এমনিতেই আপনি তো ভালো রান্না করতে পারেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আমার শাশুড়ি মাঝে মাঝেই কাঁঠাল রান্না করে থাকে। তবে সেটা গরুর মাংস দিয়ে অথবা গরুর হাড় দিয়ে। কিন্তু আজকে আপনি দেখলাম মুরগির মাংস দিয়ে এবং ডাল দিয়ে কাঁঠাল রান্না করেছেন। আবার শাশুড়ি ডাল দিয়ে মাছ দিয়েও মাঝে মাঝে রান্না করে থাকে। তবে আপনার রান্নাটা একটু ভিন্ন ছিল। অবশ্যই এভাবে একদিন রান্না করে ওনাদের কে খাওয়াবো। তবে আমি কাঁঠাল রান্না কখনোই খাই না। যেটা পাকা কাঁঠাল হলেও আমার তেমন একটা পছন্দ না। ধন্যবাদ চমৎকার পদ্ধতি আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।