Better life with steem || The Diary Game || 26th june, 2024 ||

in Incredible Indialast month
সবাইকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি

আশা করি যারা আমার ব্লগটি পড়া শুরু করেছেন সবাই অনেক ভালো আছেন। অনেকদিন পর আজকে আবারো ডায়েরি গেইম নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমি শেয়ার করবো ২৬ তারিখের কাটানো দিনটি।

20240626_072654.jpg
কভার ফটো

ঈদে গ্রাম থেকে শরীর টা ঢাকা এসেছে ঠিক কিন্তু মনটা যেন এখনো গ্রামে পড়ে আছে। প্রথম দুদিন তো অফিস করতেই মনে চাচ্ছিল না। আজকে সকাল বেলা ঘুম থেকে ঊঠে মেয়ের সাথে ফোনে কথা বললাম প্রায় ১০ মিনিট। সে যখন আমার সাথে কথা বলে তখন তার ঢাকা আসতে ইচ্ছে করে আবার কথা বলা শেষে সে গ্রামেই থাকার জন্য কান্না করে। বুঝতে পেরেছি সেও মধুর সমস্যায় পড়েছে।

মেয়ের সাথে কথা শেষ করে বেলকনিতে গিয়ে গাছ গুলোতে পানি দিলাম। ঈদে বাড়ি গিয়ে এবার গাছের তেমন ক্ষতি হয় নি, শুধু পুদিনা গাছটা মারা গেছে। বাকি গুলো সব ঠিক আছে। ১০ দিন এরা একা ছিল কোন প্রকার যত্ন ছাড়া, ভাবা যায়? যদি আকাশের পানি না পেত তাহলে হয়তো সব গুলোই মারা যাত।

20240627_072006.jpg
20240626_072110.jpg

অনেকদিন বাদে আমার আবারো ব্যাচেলর জীবন কাটছে। সকাল ৯ টার দিকে অফিসে চলে গেলাম। আগে বাসা থেকে নাস্তা করে বের হলেও এখন কয়েকদিন যাবত বাহিরেই নাস্তা করা হচ্ছে। এই যেমন আজকে গুলশান ১ এর ১৩৬ নাম্বার রোডের মোল্লার ভ্রাম্যমান হোটেলে ছোলা আর নুডলস খেলাম।

20240626_112125.jpg

সকালের নাস্তা

অফিসে আবারো কাজের চাপ শুরু হয়ে গিয়েছে। জুন মাসের ৩০ তারিখ অর্থ বছরের শেষ দিন। ৩০ তারিখকে সামনে রেখে কয়েকটা দিন ভীষণ ব্যস্ততায় কাটবে। যত প্রকার রিপোর্ট, এডজাস্টমেন্ট সব এই দুই দিনেই হবে।

দুপুরের দিকে ঝুম বৃষ্টি নামলো। ঢাকায় এমন বৃষ্টি সচারাচর দেখা যায় না। এই বৃষ্টির মাঝেই একবার সিটি ব্যাংক থেকে ঘুরে এলাম।

অফিস শেষে বাসায় ফেরার পথে মাগরিবের নামাজ টা এতদিন বাড্ডার ইবনে সিনার সাম্নের মসজিদে পড়তাম। তবে আজকে ভাব্লাম নতুন একটা মসজিদে পড়ি। ১০০ ফিটের ইউনাইটেড বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সুন্দর একটা মসজিদ হয়েছে। মাগরিবের নামাজ আজকে সেখানেই আদায় করলাম। খুবই চমৎকার ভাবে নির্মাণ করা হয়েছে এই মসজিদ টি। এত সুন্দর মসজিদ বাংলাদেশে হাতে গোনা কয়েকটা আছে। এই মসজিদ নিয়ে আলাদা একটা ব্লগ নিয়ে হাজির হবো।

20240626_191359.jpg
20240626_190624.jpg

নামাজ শেষে বাসায় চলে এলাম। বাসায় এসে রান্না করতে হবে। চাকুরীজীবি মেয়েরা অফিস +রান্না কিভাবে সামলায় মাথায় ধরে না। সারাদিন অফিস করে এসে রান্নাঘরে যেতেই ভয় লাগে। যাইহোক খেতে তো হবে, মাংস আর আলুর ঝোল রান্না করলাম।

20240626_204659.jpg

রাতের খাবার খেয়ে গ্রাম থেকে নিয়ে আসা আম কাটলাম। ভাব্লাম শুধু আম না খেয়ে খই দিয়ে আম খাই। খই-আম দারুণ মজার খেতে। মেলাদিন পর আম খই খাওয়া হলো। এটাকে রাতের ডেজার্ট বলা যেতে পারে।

20240626_192854.jpg

খাবার খেতে খেতেই ১১ টা বেজে গেল। তাই আর দেরি না করে তারাতারি ঘুমিয়ে পড়লাম। এভাবেই আরো একটি দিন কেটে গেল। সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত শেষ করছি। ভালো থাকবেন সবাই।

Sort:  
Loading...
 last month 
  • সব বাবা মেয়ের মতোনই মেহেকের সাথে আপনার বন্ডিংটা এতটাই ভালো যে, আপনার সাথে কথা বলাকালীন শুধু নয়, অন্য সময়ও সে আপনাকে মিস করে, কিন্তু গ্রামে থাকার আনন্দ এতটাই অন্যরকম যে, সে সেখানেও থাকতে চায়। সত্যিই বেচারা বড়ই দোটানায় আছে।

  • গ্রামে থাকার এই এক আনন্দ। যা উপভোগ করার পর বড়দের যদি এমন অবস্থা হয়, তাহলে ভাবুন ছোট বাচ্চাগুলো খোলা জায়গা পেয়ে ঠিক কতখানি আনন্দ করে।

  • অফিস, বাড়ি সমস্ত কিছু একার হাতে সামলাতে হচ্ছে, সেই সাথে আবার অফিসের কাজের চাপ, সবকিছু মিলিয়ে বেশ ব্যস্ততম দিন পার করেছেন। তবে রাতের খাবার শেষ করার পরে আম এবং ঘই খেতে খেতে নিশ্চয়ই গ্রামের স্মৃতি রোমন্থন করেছেন। ধন্যবাদ আপনার দিনটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 last month 

আলহামদুলিল্লাহ বাবা মেয়ের খুব ভালো বন্ডিং আছে আমাদের। অন্য সব বাবা মেয়ের মতই বলা যায়। অফিস আর বাড়ি এক হাতে সামলানো আসলেই অনেক কষ্টসাধ্য একটা ব্যাপার। যদিও আমি বাড়ির কিছুই সামলাচ্ছি না সব জমা রাখছি ছুটির দিনের জন্য।

আম আর খই দারুণ ডেজার্ট, আমি এর প্রেমে পড়ে গেছি। ধন্যবাদ দিদি সুন্দর মন্তব্যের জন্য

 last month 

আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার মেয়ে এখনো গ্রামে আছে এবং তার সাথে যখন আপনি ফোনে কথা বলেন তখন সে ঢাকায় আসতে চাই। এবং যখন কথা বলা শেষ হয়ে যায় তখন সে গ্রামে থেকে যেতে চাই। ছোট মানুষের মন বোঝা অনেক বড় দায়। যাইহোক দিনশেষে সে অবশ্যই আপনার কাছে চলে আসবে।

ঈদের সময় ১০ দিন পানি না পেয়ে গাছ এখনো বেঁচে আছে এটাই অনেক বড় কথা ভাই। কিন্তু একটি গাছ মারা গিয়েছে শুনে খারাপ লাগলো। আসলে তাদের যত্ন নেয়ার মানুষ যদি থাকত তাহলে হয়তো বা ওই গাছটি মারা যেতো না। কি আর করার আবার গাছ রোপন করবেন এবং সুন্দর গাছ হবে আশা রাখি।

 last month 

ধন্যবাদ ভাই আমার দিনালিপি পড়ে মন্তব্যের জন্য। আসলে গাছ গুলো বেচে ছিল কারণ দুদিন পর পর ঢাকায় বৃষ্টি হচ্ছিল। যার কারণে পানির অভাব তেমন হয় নি। মেয়ের জন্যে আমারো মন খারাপ খুব শীঘ্রই তাকে নিয়ে আসতে হবে। ভালো থাকবেন ভাই।

TEAM 7

Congratulations! Your post has been upvoted through steemcurator09.

Curated by : @sduttaskitchen
 last month 

ম্যাম, অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। এরকম সমর্থন পেতে সব সময় ই একটু বেশি ভালো লাগে।

 last month 

গ্রামের মত শহর কখনোই হবে না আর গ্রামের সবার সাথে থাকার পর শহরে এসে থাকতে কিছুদিন কষ্টই হবে।। এখন ভাবি কাছে নেই এখন একটু বোঝুন প্রয়োজনীয়তা।। আর হ্যাঁ কাজ শেষ করে এসে রান্না করা অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার কয়েকদিন ব্যাচেলার জীবন পার করেন ভাই।।

 last month 

গ্রাম এর মজা আসলে যারা গ্রামে থাকে তারা ঠিক মত বুঝলেও অনুধাবন করতে পারে না যত দিন না তারা শহরে বসবাস করা শুরু করে। আমার ক্ষেত্রেও এমন হয়েছে। একটা সময় ভাবতাম কবে শহরে যাবো আর এখন গ্রামের জন্য মন কাদে

 last month 

মানুষ যেখানে থাকে সেটার আনন্দ তখনই বুঝতে পারে যখন এটা ছেড়ে অন্য কোথাও যায়।। আগে গ্রামে থাকতেন তখন গ্রামের মর্ম বুঝতে পারেননি আর এখন বুঝতে পারছেন গ্রাম এর ভালোবাসা।।

 last month 

অফিসে আবারো কাজের চাপ শুরু হয়ে গিয়েছে। জুন মাসের ৩০ তারিখ অর্থ বছরের শেষ দিন। ৩০ তারিখকে সামনে রেখে কয়েকটা দিন ভীষণ ব্যস্ততায় কাটবে। যত প্রকার রিপোর্ট, এডজাস্টমেন্ট সব এই দুই দিনেই হবে।

ব্যাংকের কাজে সারা বছরই কম বেশি একটু কাজের চাপ থাকে। তবে এই জুন মাসে সেই তুলনায় কাজের চাপ অনেকটা বেশিই থাকে। কারণ আমার এক মেসো আছে ব্যাংকে কর্মরত। জুন মাসের ত্রিশ তারিখে তিনি বাড়িতেই আসেন না। অর্থাৎ কতোটা কাজের চাপ থাকে।

যাইহোক, আপনার সম্পূর্ণ দিনের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি দিনলিপি আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।

 29 days ago 

আর্থিক বছরের শুরু হয় ১লা জুলাই থেকে, তাই জুন মাসের ৩০ তারিখ বছরের শেষ দিন, এই দিনে আগের আর্থিক বছরের যাবতিয় হিসাব মিলিয়ে তার পর বাসায় ফিরতে হয়, তাই মূলত এই দিনে একটু কাজের প্রেসার বেশি থাকে। হক সেটা ব্যাংক বা অন্য যে কোন প্রতিষ্ঠান, যদি হিসাব বিভাগে কাজ করে তাহলে ৩০ জুন মানেই কাজ আর কাজ।

 last month 

অনপক দিন পর ঈদের ছুটিতে গ্রামে গিয়েছিলেন এবং সেখানে অনেকটা দিন কাটিয়েছেন। তাই ঢাকায় এসে হয়ত আপনার মন টিকছে না। কাছর মানুষের থেকে দুরে গেলে এমনই মনে হয়। গাছপালাকে যত্ন না করলে সেগুলো ঠিক থাকে না। অনেক দিন ওদের যত্ন করতে পারেন নি তাই একটা গাছ মারাও গিয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 last month 

এটা একেবারে ঠিক ঢাকা থেকে যারা একবার গ্রামে আসে। তারা গ্রামের স্বাদ গ্রহণ করার পরে ঢাকায় গিয়ে তাদের তেমন কিছুই ভালো লাগেনা। এবার তাহলে আপনি সেটা হলে অনুধাবন করতে পেরেছেন। যারা চাকরি করেন মেয়েরা তারা কিভাবে সংসার এবং অফিস দুইটাই সামলায়, কতটা কষ্ট করতে হয়। তার উপরে যদি বাচ্চা থাকে তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। আম দিয়ে খই খাওয়া আমি কখনো দেখিনি। তবে অবশ্যই একবার খাওয়ার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ আপনার কাটানো ব্যাচেলর দিনের কিছু মুহূর্ত আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।