Betterlife with steem|| A Day in my life||09 th June
সকাল বেলা ঘুম থেকে ঊঠে প্রতিদিনের মত বারান্দায় গিয়ে রীতিমতো চমকে গেলাম। এর আগে আমার ছোট নয়নতারা গাছে ফুল এলেও একসাথে ৩ টির বেশি ফুল ফুটতো না, তব্র আজকে এক সাথে ৫ টা ফুল ফুটেছে। সকাল সকাল এমন দৃশ্য দেখা মানে যাস্ট চোখের শান্তি।
বারান্দার গাছ গুলো তাদের মত করে বড় হচ্ছে। এখন আর আগের মত যত্ন নেয়া হয় না। বারান্দার গাছ গুলোতে পানি দেয়া শেষে ঘড়িতে চোখ পড়তেই দেখলাম সময় প্রায় ৮ টা। চলমান কোটা আন্দোলন এর কারণে এখন রাস্তায় কখন কোথায় জ্যাম লেগে যায় বলা মুশকিল, তাই তারাতারি অফিসে যাবার জন্য প্রস্তুতি নিবো, এমন সময় মিনে পড়লো শার্ট আয়রণ করতে হবে। খুব ই ঝামেলার আর বিরক্তিকর কাজ এই আয়রণ করা।
কোন রকম তাড়াহুড়ো করে জামা আয়রণ করলাম। অফিসের পথে রওনা দিতে একটু লেইট হলেও রাস্তা সকাল সকাল ফাকা থাকায় তারাতারি অফিসে চলে গেলাম।
অফিসে প্রতিদিনের মত ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে কাটিয়ে সন্ধ্যাবেলা বাসার পথে রওনা দিলাম। পথিমধ্যে বাইকের তেল ফুড়িয়ে গেল। ভাগ্যিস রিজার্ভ ছিল, তাই তেমন একটা সমস্যা হলো না। লিংক রোডের সাম্নের তেলের পাম্প থেকে তেল ভরলাম বাইকে।
বাইকের এক্সিলেটর কেবল চেঞ্জ করার পর একটু বেশি ফ্রি মনে হচ্ছে, তাই আজকে আবার মেকানিকের কাছে গেলাম, ওই যে আমার এলাকার সেই মেকানিক ভাই। আজকে সে আমাকে আইস্ক্রিম অফার করলো, আমিও না করতে পারলাম না। এলাকার মানুষের সাথে কত দ্রুত সম্পর্ক হয়ে যায়, অচেনা থেকে কত চেনা।
বাসায় আসার সময় সেলুনে গিয়ে চুল কাটালাম। চুল গুলো বড় হলে কেমন যেন কবি কবি ভাব আসে, তাই কেটে একটু ভদ্র সাজা। মানুষ জাতটাই এমন, লেবাস ধরতে পছন্দ করে, কেউ পাঞ্জাবি টুপি পড়ে প্রশ্ন ফাস করছে, কেউবা মানবতার ফেরিওয়ালা সেজে টাকা পয়সা আত্মসাৎ করছে। মানুষের প্রতি মানুষের বিশ্বাস দিন দিন কমতে কমতে তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে। এই সমাজে সবাই ভদ্র সাজার চেষ্টায় নিয়োজিত, অনেক ভদ্র লোকের ভেতরের খবর প্রকাশ পায় যখন এই ছদ্মবেশী ভদ্র লোক গুলোর মুখোশ কোন কারণে উন্মোচিত হয়।
দুদিন ধরে ফেসবুক টেলিভিশন সবাখানেই তেমন ই একজন ছদ্মবেশী লোকের খবর দেখতে দেখতে হাপিয়ে ঊঠেছি। একজন ড্রাইভার প্রশ্নফাঁস চক্রের মূলহোতা, যে কিনা এখন ৫০ কোটি টাকার মালিক ভাবা যায়?
রাতে বাসায় ফিরতে ফিরতে দেরি হয়ে গেল অনেক। রান্না বান্নায় আর মিন নেই, তাই বাদাম আর চানাচুরের ভর্তা বানালাম, সাথে ডিম ভাজি ও আগের দিনের ডাল ছিল। রাতের খাবার টা মোটেও মন্দ হয় নি কিন্তু।
তো এই ছিল আমার গতকালের কাটানো দিনটি। কেমন লাগলো আজকের ডায়েরি অবশ্যই মতামত জানাবেন। ভালো থাকবেন সবাই।
আপনার সারাদিনই কার্যক্রম অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে আপনি শেয়ার করেছেন এবং আপনার এই পোস্টটি পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে আপনাকে অসংখ্য ভাবে ধন্যবাদ জানাই আপনি এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার দিনালিপি আপনি পড়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আরো ভালো লাগলো এটা জেনে যে আমার দিনালিপিটি আপনার ভালো লেগেছে। সব সময় এভাবে পাশে থেকে সাপোর্ট দিবেন। অনেক অনে ভালো থাকবেন সব সময়।
আপনার সারাদিনের কার্যক্রম দেখে খুব ভাল লাগল, আপনার বাড়ির বারান্দায় পাঁচটি ফুল ধরেছে, এটা দেখে আপনি অনেক আনন্দিত হয়েছেন, তার মানে বোঝা যাচ্ছে যে, আপনি ফুল অনেক বেশি ভালবাসেন। ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ফুল ভালো বাসে না এমন মানুষ খুব কম ই পাওয়া যায়। বারান্দায় লাগানো ছোট গাছে যখন এখন সাথে এত গুলো ফুল ফুটে তখন তো ভালো না লেগে আর উপায় নেই। কারন এই গাছের পেছনে অনেক পরিশ্রম ছিল।
ধন্যবাদ আমার দিনালিপি পড়ে সুন্দর মিন্তব্যের জন্য।
বাগান করা আপনার শখ এটি আমি আপনার আগের পোস্টগুলো পড়ে জেনেছি। তাই নয়নতারা গাছে তিনটির জায়গায় পাঁচটি ফুল দেখার পর আপনি যে কতটা খুশি হয়েছেন তা উপলব্ধি করতে পারছি। শার্ট আয়রন করা আমার কাছেও খুব বিরক্তিকর একটা কাজ মনে হয়। তাই যতটা পারি আমি দোকান থেকে করানোর চেষ্টা করি। আর ঠিক বলেছেন ভাই, মানুষ যে কতটা বহুরূপী হতে পারে। দাঁড়ি, টুপির লেবাস ধরে কত বড় বড় অপরাধ করে যাচ্ছে। এজন্যই বলা হয়, Don't judge a book by it's cover. যাহোক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার দিনলিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
বাগান আসলে আমাকে মানসিক একটা প্রশান্তি দেয়, এই কারণে ই গাছের পরতি আলাদা একটা টান আছে। আর আমার গাছ গুলোতে যখন এমন ফুল ফোটে তখন অনেক বেশি খুশি লাগে।
আসলে মানুষ লেবাস ধরে অন্য মানুষকে বোকা বানায়, ভুলে যায় একদিন তাকে মরতে হবে। মরণের কথা স্মরণ করে না বলে মানুষ এগুলো করে।
আপনার নয়নতারা গেছে এই প্রথম পাঁচটা ফুল এসেছে জন্য আপনি অনেক খুশি আসলে শখের জিনিস এ হঠাৎ করে এরকম দেখলে আনন্দ লাগবে।। আর হ্যাঁ বর্তমান সময়ে কোটা নিয়ে বেশ আন্দোলন চলছে।। অফিস থেকে আসার পথে চুল কেটেছেন জেনে ভালো লাগলো কারণ চুল বড় হলে একটু অন্যরকম দেখায়।।
কোটা নিয়ে যে আন্দোলন চলছে এই আন্দোলন এর প্রয়োজন পড়তো না যদি বাংলাদেশ সরকার কথার খেলাপ না করতো। এর আগেও এই আন্দোলন হয়েছে, তখন সব কিছু সলভ হয়েছে। নতুন করে কেন আবার এই ইস্যু নিয়ে ঝামেলা পাকাতে গেল আসলে বুঝে আসে না। সরকার যে কখন কি চায় তা তারাই ভালো জানেন।
আসলে আমাদের বাংলাদেশের কথা কি বলবো কথার সাথে কাজের মিল থাকেনা।।। আসলে আমাদের পাবলিকদের দেখা ছাড়া অনেক সময় কিছু করার থাকে না।। দেখা যাক আন্দোলনের ফলাফল কি আসে।।
বেলকনির ফুল গুলো দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগতেছে ৷ যাই হোক সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে কাপড় আয়রন করলেন তারপর অফিসে গেলেন ৷ সব কাজ সেরে বাড়িতে আসলেন রাতে রান্না বান্না নেই জন্য চানাচুর মাখা তৈরি করে রাতের খাবার খেয়ে নিলেন ৷
যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সারাদিনের কার্যক্রম গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷
আসলে বাসায় একা থাকলে কাজ অনেক বেরে যায়। অনেক দিন ধরে একা বাসায় আছি। একদিন রান্না করে দু তিন দিন ধরে খাই। এর ফাকে বারান্দার গাছ গুলোর যত্ন নেই। অফিস করি। এভাবেই কেটে যাচ্ছে সময়। বারান্দার গাছে ফুল ফুটলে অনেক ভালো লাগে, খুশি খুশি লাগে। চানাচুর আর মুড়ি মাখা খেতে কার না ভালো লাগে বলুন।
আপনি বারান্দার গাছের আগের মতো যত্ন নেন না এটা বিশ্বাস হতে চায় না। কোটা বিরোধী আন্দোলনের সাথে আমি নিজেও একমত। যদিও সাময়িক সমস্যা হচ্ছে তবুও চাই ওরা সফল হয়ে ঘরে ফিরুক। একদম ঠিক নামাজ আর টুপির ভেতর কে যে চোর আর কে যে ভাল মানুষ বোঝা বড় কষ্ট।
বারান্দার গাছের আসলে যত্ন এখন অনেক কমে গিয়েছে। আর এখন ক্যাকটাস গুলো অটোমেটিক মানিয়ে নিয়েছে। ৭ দিন পর পর পানি দিলেও এরা সুস্থ থাকে।
কোটা সংস্কারের আন্দোলন সফল হবে কি না জানিনা, তবে যা হচ্ছে তা আসলে কোন মানুষ মেনে নিতে পারবে না। অমানুষের মত আচরণ করছে কিছু কুলাংগার লীগ