শ্রী শ্রী মা সারদার তিথি পূজার কিছু মুহূর্ত
নমস্কার বন্ধুরা। শ্রী শ্রী মায়ের কাছে সকলের মঙ্গল প্রার্থনা করি। সকলে যেন সুস্থ থাকেন ভালো থাকেন।
আজ শ্রী শ্রী মা সারদা দেবীর জন্মতিথি। এই তিথিতেই তিনি আমাদের এই পৃথিবীতে আমাদের জননী রূপে মানব জনম গ্রহণ করেছিলেন। তিনি নিজ মুখে বলেছিলেন, 'আমি পাতানো মা নয় কথার কথা মা নয় আমি তোমাদের সত্য জননী।'সত্যই তিনি আমাদের সত্য জননী।
আজ সারাদিন আমরা মায়ের স্মৃতি পূজা উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে আনন্দের স্রোতে ভেসে গিয়েছিলাম। ভাবতেই পারিনি সকাল ছটা কখন বিকেল চারটেতে পরিণত হয়েছে। আজ সারাদিন আমাদের বিভিন্ন কাজে আমি ব্যস্ত থাকায় সব মুহূর্ত আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারছি না। কারণ আমি কোথায় ছিলাম আর আমার ফোন কোথায় ছিল কারোর খেয়াল ছিল না হঠাৎ সন্ধ্যেবেলায় বাড়ি আসার পর মনে পড়লো আমার ব্যাগটাই আমি নিয়ে আসিনি। তাই আবারও সন্ধ্যেবেলায় একটু মিশনে গিয়ে তারপর ব্যাগটি নিয়ে আসলাম।
শ্রী শ্রী মায়ের সব তার সকল সন্তানের প্রতি ছিল অশেষ ভালোবাসা এবং প্রত্যেকের জন্য সমতা ভাব। একবার তার এক জনৈক্য ভক্ত তার কাছে মহাপ্রসাদী চেয়েছিলেন। মা তাকে সেই মহাপ্রসাদ দেন এবং সেটি রোদে শুকিয়ে রাখতে বলেন। ভক্তটি সেটি রোদে দিয়ে কোন দরকারে সেখান থেকে একটু দূরে যায়। মা তাকে একবার সাবধান ও করেছিলেন যাতে সেই মহাপ্রসাদ এ কোন কাক মুখ না দেয়। কিন্তু জনৈক্য ভক্তের সেকথা মনে ছিল না হঠাৎ দুপুর তিনটের সময় তার সে কথা মনে পড়লে তিনি এসে দেখেন মা সেখানেই তার মহাপ্রসাদ নিয়ে রোদে বসে আছেন। তখন ভক্তটি মাকে জিজ্ঞাসা করেন মা দুপুর বেলা বিশ্রাম করেননি তার উত্তরে মা বলেছিলেন তিনি কিভাবে বিশ্রাম করবেন তিনি মহাপ্রসাদ যাতে কাকে মুখ না দেয় তাই পাহাড়া দিচ্ছেন। এমনই ছিল তার সন্তানদের প্রতি ভালোবাসা।
সেই বিশ্ব জননী জগত জননী মায়ের তিথি পূজা উপলক্ষে আজ আমর একটু নগর পরিক্রমাতে বেড়িয়েছিলাম। আমাদের সঙ্গে আমাদের গদাধর প্রকল্প বিদ্যালয় এর ছাত্র-ছাত্রীরা এবং মহারাজ ও ভক্তবৃন্দ ছিল। মায়ের পট কাঁধে নিয়ে এক সুন্দর শোভাযাত্রায় আমরা গিয়েছিলাম।
শোভাযাত্রা থেকে ফিরে বাচ্চাদের টিফিন করানোর পর আমি মায়ের ভোগ রান্নার ঘরে মায়ের ভোগ রান্না করতে পেরেছিলাম আমাকে মায়ের জন্য পনির রান্না করা ও কুমড়ো পাপড় ভাজা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
মায়ের পূজা পুষ্পাঞ্জলি হোম ইত্যাদি পূজার নানাবিধি দেখার খুব কম সুযোগ পেয়েছি কারণ বেলা বারোটা হতেই সকলে প্রসাদ পাওয়ার জন্য লাইন দিয়েছিলেন সেখানে আমার দায়িত্ব ছিল বাচ্চাদেরকে আলাদাভাবে খেতে দেওয়া।
সবমিলিয়ে সত্যিই আজ খুব সুন্দর দিন কেটেছে আমার। প্রতিবছরই এই দিনটিতে আমরা এরকম ভাবেই সময় কাটিয়ে থাকি। সামনের বছরের জন্য অপেক্ষা। এরপরে আরো অনুষ্ঠান আছে। কিন্তু মায়ের তিথি পূজা তার যেন আয়োজনই অন্যরকম। আপনাদের আমার এই মিশনে মায়ের তিথি পূজার মুহূর্ত গুলি কেমন লাগলো বলবেন।
Looks to be an interesting celebration with procession and also with nice cooking and enjoying meal together with fmaily :)