বিজয় দিবসে বিজয় (দাদা) -এর জন্মদিন
নমস্কার বন্ধুরা। আপনারা সকলে কেমন আছেন। শীত আসার সাথে সাথে আমার শরীর মাঝে মাঝেই খারাপ হচ্ছে। সর্দি-কাশি তো লেগেই আছে। এই জন্যই শীতকাল আমি একেবারে পছন্দ করি না।
গরমকাল আবার ভীষণ পছন্দের ঋতু। ঘেমে নেয়ে স্নান হলেও আমার গরমকালই পছন্দ। আমার মতো গরম কালের ফ্যান বোধহয় খুব কমই আছে। প্রসঙ্গত বলে রাখি আমার বাড়িতে কিন্তু কোন এসি নেই এবং আমি যে ঘরটিতে থাকি রাত্রিবেলায় সেই ঘরে গরম পড়ে। তারপরেও বলবো গরমকাল আমার ভীষণ প্রিয়। শীতকালে কেন জানিনা খুব অলস লাগে, কেমন যেন জড়তা চলে আসে, আমি একটুও অ্যাক্টিভ ফিল করি না। তাই হাজার হাজার শীত প্রেমিকের মাঝে আমি এক গরম প্রেমিক মানুষ। আপনারা কে কে গরমকাল পছন্দ করেন অবশ্যই জানাবেন।
আজ সারাদিন ভীষণ ব্যস্ত ছিলাম। সদ্য আমার একটি পরীক্ষা ছিল যার জন্য বেশ কয়েকদিন পড়ানো কামাই হয়ে গিয়েছিল। কামাই করলে তো চলবে না সেগুলো আবার পড়িয়ে দিতেও হবে। তাই আজকে এক্সট্রা দুটো পড়ানো ছিল। আর এই এক্সট্রা পড়ানো মানে এক্সট্রা চাপ। সেই সব চাপ সামলে আবার আজকে একটি বিশেষ দিনও ছোট করে উদযাপন করা হয়েছিল। আজ সেই নিয়েই আপনাদের সাথে গল্প করব।
আজ ১৬ই ডিসেম্বর। আমরা সকলেই জানি ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস হিসেবে পালিত হয়। তবে খুব আশ্চর্যের বিষয় হলো আজ আমার দাদার জন্মদিন এবং আমার বাবা-মা অজান্তেই দাদার নাম রেখেছিল বিজয়। বিজয় দিবসে বিজয়ের জন্মদিন 🤣। এই জন্মদিন উপলক্ষে আগের দিন রাত বারোটায় উইশ করার পর প্রথমে মিটে গিয়েছিল, তবে গতকাল দাদার ফটোগ্রাফির কাজ ছিল তাই দাদা বাড়ি ছিল না। যার ফলে মধ্যরাতে কেক কাটার কোন পরিকল্পনা আমরা করে উঠতে পারিনি।
যেহেতু বেশ দূরেই দাদার কাজ ছিল তাই সকালেও বাড়ি ফিরতে পারেনি। দাদার বাড়ি ফিরতে ফিরতে দুপুর গড়িয়ে প্রায়ই বিকেল হয়ে গিয়েছিল। তখন আবার আমি বাড়িতে ছিলাম না। আজ আবার ইতু পুজোর শেষ দিন। সারা মাস ধরে যে ইতু পুজোর ঘট বসানো হয়েছিল আজ তা বিসর্জন দেবার পালা। আমাদের বাড়িতে ইতু পুজো করা হয় না। তবে আমার হবু শ্বশুর বাড়ি আবার এই ইতু পুজো করা হয় এবং শেষ দিনে অনেকে বাড়িতে আসে এবং একসাথে পুজো দেওয়ার পর সবাই মিলে আতপ চালের ভাত ,আলু সিদ্ধ, ডাল সিদ্ধ ইত্যাদি রান্না করে একজোট হয়ে কলাপাতায় খায় এবং বিকেল বেলায় সবাই মিলে একসাথে ঘাটে যায় ইতু ঘর বিসর্জন দিতে।
আজকে আমার তাড়াতাড়ি ওদের বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল তবে নানা কাজে এবং এক্সট্রা পড়ানোর চাবে ওদের বাড়ি যেতে যেতে আমার বেশ বেলা হয়ে গিয়েছিল। তখন পুজো শেষ হয়ে গিয়েছিল এবং রান্নাও হয়ে গিয়েছিল। যার ফলে আমি আর ছবি তুলে উঠতে পারিনি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। মনটা একটু খারাপ হয়ে গিয়েছিল যেহেতু ভেবেছিলাম পুজোর নানা নিয়মকানুন প্রথম থেকেই দেখব তবে এ বছর আর সেটা হয়ে উঠল না আশা করছি পরের বছর পুরোটাই দেখতে পারব ।
যাই হোক, খাবার দাবার খেয়ে খানিক রেস্ট নিয়ে ওদের বাড়ি থেকেই আমি পড়াতে চলে গিয়েছিলাম এবং রাতের বেলায় বাড়ি ফেরার পথে দাদার জন্য একটা ম্যাংগো ফ্লেভারের কেক কিনে নিয়েছিলাম। এরপর বাড়ি এসে দাদাকে কেকটা দিয়ে সারপ্রাইজ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। দাদা কতটা সারপ্রাইজড হয়েছে জানিনা তবে আমার ভাইপো বেশ মজা পেয়েছে। জন্মদিন মানেই বাচ্চাদের কাছে কেক আর বেলুন। বাবার জন্য শুধুমাত্র কেক কিনেছি দেখে তার আবার বেলুনের বায়না উঠেছিল। যাই হোক ঘরে দুটো বেলুন ছিল সেগুলোই ফুলিয়ে তাকে দেওয়া হল। তাতে তিনি একটু শান্ত হলেন।
আসার পথে সঙ্গে করে কয়েকটা ডালপুরি আর মিষ্টি কিনে এনেছিলাম। যদিও রাত্রিবেলায় ডালপুরীর সাথে তরকারি আর বিক্রি হয় না তাই তরকারিটা দোকানের স্টাইলে বাড়িতেই বানিয়ে নেওয়া হয়েছিল। বৌদি খুব ভালো এ ধরনের তরকারি বানাতে পারে। আর বিশেষ কিছু আজকে করে ওঠা সম্ভব হয়নি। এইটুকুতেই দাদা অনেক খুশি হয়েছে। দাদা আবার একটা গিফটেরও আবদার করেছে যেটা কিছুদিন পরে দেবো। কারণ ওটা অর্ডার দিলে কয়েক দিন সময় লাগবে আসতে। আমার জন্মদিনেও ও কিছু না কিছু দেয় তাই আমিও চেষ্টা করি ওর জন্মদিনেও কিছু গিফট দেওয়ার।
আজ এখানেই শেষ করছি।আপনাদের কাদের কাদের বাড়িতে ইতু পুজো হয় আপনারা অবশ্যই জানাবেন। আগামীকাল আবার অন্য কোন গল্প নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। সকলে সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন।
প্রথমে জানাই দাদাকে শুভ জন্মদিন। আপনার পোস্টটি পড়ে একটা জিনিস চোখে পড়ল, যে ১৬ ডিসেম্বরে দাদার জন্ম হয়েছে ।এর জন্য আন্টি উনার নাম রেখেছে বিজয় নামটা অনেক সুন্দর। আগের দিনের মানুষরা এভাবেই নামগুলি নির্বাচন করত কেউ যদি রবিবারে জন্মগ্রহণ করতো। তার নাম রাখতো রবি, আপনাদের ভাইবোনের ভালোবাসা দেখে খুব ভালো লাগলো। আমি দোয়া করি, আপনার পরিবার আপনারা এইভাবেই সব সময় হাসি খুশি থাকেন।ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
0.00 SBD,
0.00 STEEM,
0.00 SP
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।