গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া রেসিপি (মানকচুর পাতা বাটা )

in Incredible Indiayesterday (edited)

নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি আপনারা সকলেই ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। সকলের সুস্থতা কামনা করে আমি আমার আজকের ব্লগটি শুরু করছি। আশা করছি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে। প্রতিদিন নতুন নতুন গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করে আমারও বেশ ভালো লাগে।

আজ আমি আপনাদের সাথে একটা রেসিপি শেয়ার করবো। সেটি হলো মানকচু পাতা বাটা। এই ধরনের রান্না আমাদের বাড়িতে‌ প্রায়শই হয়। আমরা বেশ ভালোবাসি এইরকম ঝাল ঝাল ভর্তা বা পাতা বাটা খেতে। আমাদের বাড়ির আশেপাশেই এমন অনেক জিনিস পাওয়া যায়,যেগুলো জঙ্গলে হয়। আমাদের অজ্ঞতার কারণেই সেগুলো কিভাবে রান্না করতে হয় আমরা জানি না। আবার আমাদের অনীহার ফলেই ঠাকমা দিদার হাতের তৈরি যে সব সুস্বাদু রেসিপি গুলি আজ হারিয়ে যাচ্ছে।

1000114533.jpg

চলুন তাহলে জেনে নিই আমি কিভাবে মানকচুর পাতা বাটা বানিয়েছিলাম।

উপকরণ
নংসামগ্রীপরিমাণ
মান কচুর কচি পাতাবেশ খানিকটা
নুনপরিমাণ মতো
হলুদপরিমাণ মত
কাঁচা লঙ্কা১০টা
রসুন১ টা
কালো জিরা২চামচ
সর্ষের তেল৭৫ গ্রাম

1000114530.jpg

পদ্ধতি
পদ্ধতি

ধাপ ১ :

প্রথমে মানকচু পাতাগুলোকে ভালো করে বেছে পরিষ্কার জলে ধুয়ে নিয়েছিলাম।

1000114535.jpg

ধাপ ২ :

এরপর ওভেনে কড়াই চাপিয়ে, করাই গরম হয়ে এলে তাতে ধুয়ে রাখা মান কচু পাতা, কাঁচা লঙ্কা ও রসুন কুচি দিয়ে দিয়েছিলাম।

1000114537.jpg

ধাপ ৩ :

এরপর একটুও নাড়াচাড়া করলে দেখা যাবে পাতা থেকে খানিকটা জল বেরিয়েছে। এরপর কিছুক্ষণ ঢাকা দিয়ে রেখে দিতে হবে তাহলেই জল শুকিয়ে যাবে।

1000114539.jpg

ধাপ ৪ :

এরপর জল শুকিয়ে এলে পাতাগুলো মিক্সচারে নিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে নিতে হবে। কেউ চাইলে শিলনোড়াতেও বেটে নিতে পারে।

1000114541.jpg

ধাপ ৫:

এরপর আবার ওভেনে কড়াই চাপিয়ে কড়াই গরম হয়ে এলে তাতে বেশ খানিকটা সরষের তেল দিয়ে দিতে হবে।

1000114543.jpg

ধাপ ৬:

তেল গরম হয়ে এলে তার মধ্যে বেঁটে রাখা পাতা দিয়ে দিতে হবে। তার সাথে হলুদ অ্যাড করতে হবে।

1000114545.jpg

ধাপ ৭:

এরপর কিছুক্ষণ বেশ ভালোভাবে পাতাটাকে নাড়িয়ে চাড়িয়ে রান্না করতে হবে।।

ধাপ ৮:

এরপর ভালোভাবে রান্না করে নিলেই আমাদের মানকচু পাতা বাটা তৈরি ।

1000114548.jpg

ফাইনাল লুক-----

1000114549.jpg

তাহলে আজকে আমার ব্লগটি আমি এখানেই শেষ করছি। আগামীকাল আবার অন্য কোন ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। আপনারা সকলে ভালো থাকবেন আর অবশ্যই জানাবেন আমার এই রেসিপিটি আপনাদের কেমন লাগলো।

Sort:  
 19 hours ago 

কচু শাক আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার নিয়ে আসে। এবং এটা গ্রাম বাংলার একটি ঐতিহাসিক খাদ্য। দুঃখের বিষয় আমি কচু শাকের কোনটাই খেতে পারি না। কারণ আমার ভয় লাগে গাল চুলকানোর। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে খাওয়ার আগ্রহ অনেক বেড়েছে। যদি কখনো সম্ভব হয় তাহলে অবশ্যই একবার খেয়ে দেখব। যাইহোক সুন্দর একটি রেসিপি তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 18 hours ago 

হ্যাঁ, অনেকেরই গলা চুলকানোর ভয় হয়, তবে একটু লেবু দিয়ে খেলে আর কোনো সমস্যা হয় না।

 yesterday 

আশা করি রান্নাটি খুব ভালোই হবে কারণ এটি একটি খুব লোভনীয় এবং সুস্বাদু একটি রেসিপি যেটি বেশিরভাগ মানুষই খুব পছন্দ করবে।

 18 hours ago 

অনেক অনেক ধন্যবাদ তোমাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

Loading...
 2 hours ago 

দিদি আমাদের এলাকায় এই কচুর পাতাগুলো দত্তা কচু বলে থাকে । আমার ভুল না হলে মনে হয় শুকনার সময় এই কচুর গোড়া থেকে লম্বা লম্বা লাল ও কালো ধরনের মুখি বের হয় এগুলো খেতে অনেক স্বাদ।

যাইহোক কচুর পাতা আমার প্রিয় একটি খাবার যদি চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না হয় তাহলে তো কথাই নাই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ খুব ভালো হবেই কচুর পাতার রেসিপিটা আমাদের কাছ থেকে উপস্থাপনা করার জন্য। ভালো থাকবেন

 1 hour ago 

শুধু গ্রাম বাংলার মানুষ বলেই নয় শহরের মানুষও এখন কচু পাতা খেতে ভালোবাসে। ওই পাতাগুলো হয়তো চিনা কচু। আমিতো চিনা কচু হিসাবেই চিনি। এইসব খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। কিন্তু সময়ের অভাবে আমাদের একদমই করা হয় না। আমি খেতে তো ভীষণ ভালোবাসি। দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করছে। খুব সুন্দর ভাবে ছবিসহ প্রত্যেকটা ধাপে ধাপে শেয়ার করেছ। আমরাও বাড়িতে ঠিক এইভাবে রান্না করে খাই। তবে শিলে বেটে খেলে আরো সুস্বাদু লাগে। সুন্দর রেসিপিটা শেয়ার করার জন্য তোমাকে অনেক ধন্যবাদ।