বনগাঁ ঘুরতে যাওয়ার কিছু মুহুর্ত
বন্ধুরা,
আশাকরি সকলে ভালোই আছেন আর আপনাদের আজকের দিনটা ভালোই কেটেছে।
আজ আমার দিকটাও খুব ভালো কেটেছে। আজ আমি বনগাঁ ঘুরতে গেছিলাম সেখানকার কাটানো কিছু মুহুর্ত আপনাদের সাথে ভাগ করে নেব।
কাল রাতে আমার বাড়ির লোক অফিস থেকে এসে বললো ওর অফিসের এক বন্ধু বনগাঁ থাকে তার বাড়িতে ঘুরতে যাবে।শুনে মেয়েতো খুব খুশি কারন ওর পরিক্ষা শেষ ও এখন একটু ঘুরতে যেতে চায়।
তাই ওর আনন্দটা সবার থেকে বেশি ছিলো।
রাতে ৫টার এলার্ম দিয়ে শুলাম। ঠিক সকাল ৫টায় এলার্ম বাজলো আর আমি উঠে পরলাম। তারপর এক এক করে সবাই উঠলো। আমার যায়ের ছেলেও আমাদের সাথে গেলো। কাল রাতে আমরা যাব শুনে বললো বম্মা আমিও তোমাদের সাথে যাব। ওর পরিক্ষাও শেষ তাই ওকে আমাদের সাথে নিলাম।
এরপর সবাই উঠলে ব্রাশ করে রেডি হয়ে গেলো। তারপর ঠিক ৫.৩০শে আমরা সবাই বিরাটি ষ্টেশনে পৌঁছে গেলাম।
আমাদের সাথে আরও অনেকে গেলো তারা সবাই আলাদা আলাদা স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠলো। আর আমরা বিরাটী স্টেশন থেকে ৬.১৫তে ট্রেনে উঠলাম। তারপর সবাই বনগাঁ স্টেশন গিয়ে নামলাম। সেখানে নেমে আবার ম্যাজিক গাড়িতে করে প্রায় ৪৫মিনিটের রাস্তা গিয়ে ওদের বাড়িতে পৌছলাম।
ওখানে গিয়ে আমরা সবাই মিলে চা খেলাম। এবার সবাই মিলে চলে গেলো বাজারে সেখানে বাজার করে দোকান থেকে পরোটা, ঘুগনি,আর মিষ্টি নিয়ে এলো। আমরা টিফিন করে বেরিয়ে পরলাম বাংলাদেশ বর্ডার দেখতে।
সেখান থেকে ঘুরে সবাই বাড়ি ফিরে এলাম। তারপর ওরা বললো ওদের ক্ষেত দেখাতে নিয়ে যাবে যেখানে জমিতে অনেক টাটকা সবজি দেখতে পাওয়া যাবে। আমরা এরকম দৃশ্য আমাদের এখানেতো দেখতে পাইনা তাই এই সুযোগটা আর ছারলামনা।
সবাই মিলে চলে গেলাম ক্ষেতে। সেখানে গিয়ে আমরা সবাই সিম, ওলকপি, পালংশাক, বীট গাছ থেকে সব কিছু তুলে নিলাম।
আর সরষের ক্ষেতে ছেলে মেয়ে গিয়ে ফটো তুললো।
আর আমরা সবাই যে যার সবজি নিতে ব্যাস্ত। সবাই ক্ষেতের মাঝখান দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে অনেকটা দূর ওবদি পৌঁছে গেলাম।
এরপর আমিও সরষের ক্ষেতে দাড়িয়ে সেলফি তুললাম।
তারপর আমরা সবাই মিলে আনন্দ করে ওদের বাড়িতে ফিরে এলাম।
তারপর দুপুরের খাবার খেয়ে একটু বিশ্রাম করে আবার সবাই মিলে বিকেল ৫ টার ট্রেন ধরে নিজের নিজের বাড়িতে ফিরে এলাম।
এই ভাবেই আমাদের আজকের দিনটি কাটলো আনন্দের সাথে।
ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
শুভরাএি।
বাচ্চাদের ছবিগুলো দেখে ভালো লাগলো, নিজের ছোটোবেলার কথা মনে পড়লো। বীট ও ওলকপি ধরে বেশ খুশি মনে ছবি তুলেছে। ভালো লাগলো আপনাদের ঘুরতে যাওয়ার কথা পড়ে। এমন ভাবে মাঝে মধ্যে বেড়িয়ে পড়বেন। মন ভালো থাকবে।
@baishakhi88বাচ্চাদের জন্যই যাওয়া ওদের একটু ঘোরারও প্রয়োজন। মাঝে মধ্যে ওদের আনন্দ দেওয়া আমাদের দরকার। কিন্তু স্কুল আর পড়াশোনার জন্য আমরা ওদের সেটা দিতে পারিনা।
ছবি দেখেই মনে হচ্ছে বাচ্চা গুলো খুব আনন্দ পেয়েছে।ছবি গুলো খুব সুন্দর তুলেছেন।আপনার একটা ছবি দিলে আরো ভালো লাগতো দিদি।
@sanchita96ওরা এরকোম পরিবেশ কখনো দেখেনি। তাই ওদের আনন্দের সিমা ছিলোনা। আমার ছবি খুব একটা ভালো হয়নি তাই দেওয়া হয়নি।
খুব ভালো করেছেন ম্যাডাম বাচ্চাদের একটু প্রকৃতির মাঝে নিঃশ্বাস নেবার সুযোগ করে দিয়ে, এখন ঘরের চার দেয়ালে বেড়ে ওঠা ছেলে মেয়েরা জানেই না মাঠে খেলার আনন্দ কি!
@pulook হ্যাঁ স্যার আমাদের বাচ্চারা সেরকম ভাবে কোথাও ঘুরতে যেতে পারেনা। আর দুদিন বাদে রেজাল্ট বেরবে। তারপর পড়াশুনা চালু হবে। আর কোথাও বেরোন হবে না। তাই ওদের বেড়াতে নিয়ে গেছিলাম।
@piudey আপনার তোলা প্রতিটা ছবি খুব সুন্দর হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে অনেক আনন্দ করেছেন।
তবে আপনার মেয়ে ও অনেক মজা করেছে ছবি দেখে মনে হচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর ঘুরতে যাওয়ার কথা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।