মেয়ের স্কুলের বাৎসরিক অনুষ্ঠানের কিছু মুহুর্ত
বন্ধুরা,
কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশাকরি সকলে ভালো আছেন,এবং আপনাদের আজকের দিনটা সকলের খুব ভালো কেটেছে।
আজ আমি এমন একটা বিষয় আপনাদের আপনাদের সাথে ভাগ করে নেব যেটা আমরাও এক সময় কাটিয়েছি।
আমাদের জিবনের সবচেয়ে সুন্দর সময় হলো আমাদের ছোট বেলা। যেই সময় আমরা ভালো খারাপ কোনটাই বুঝতে পারিনা ।
আমাদের ভালো খারাপ বাবা মাই ঠিক করে দেয়। তাদের কথা মতোই আমরা চলি।
আমার মেয়ের স্কুলের বাৎসরিক অনুষ্ঠানের কিছু মুহুর্ত আপনাদের সাথে ভাগ করে নেব।
আমার মেয়ের স্কুলের নাম রবিন মেমরিয়ল মিশন স্কুল। আমি এই স্কুলে ওকে কেজিতে ভর্তি করেছি।
করনার কারনে কেজিতে কোন অনুষ্ঠান হয়নি। এখন ও ক্লাস 1 এ পরে।
এ বছর ওদের স্কুলে বাৎসরিক অনুষ্ঠান পালন করা হয়েছে।
21সে নভেম্বর ওদের স্কুলে এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়। সকাল 8টায় ওদের স্কুলে যেতে হয়েছে সেখানে কেক কাটা হয়েছে আর সব বাচ্চাদের নিয়ে একটা ছোট অনুষ্ঠান করা হয়েছে।
এরপর ওদের 9টায় ছুটি হয়ে গেছে। সবাইকে জানানো হয়েছে বিকেল 4টে নাগাত আবার স্কুলে আসতে তখন বাৎসরিক অনুষ্ঠান শুরু হবে।
ওর বন্ধু আবু রেহান আর ওর মা, আর মেয়ের এক বান্ধবী মধুবনী মা আর আমি আর মেয়ে সবাই এক সাথে যাব ঠিক করলাম।
আবুরা যেহেতু আমাদের বাড়ির পাশেই থাকে তাই আমি মেয়ে আর ওরা দুজনে সবাই একসাথে বেরলাম।
এখান থেকে আমরা হেঁটে চলেগেলাম তাঁতকলে সেখানে মেয়ের বান্ধবী মধুবনি আর ওর মা এলো। তারপর আমরা সবাই মিলে একটা টোটো করে সবাই স্কুলে গেলাম। সেখানে গিয়ে সবাই স্কুলের প্রোগরাম দেখলাম। সব ক্লাসের বাচ্চারা নাচ, গান , আবৃতি, নাটোক করলো। আমার মেয়ে যেহেতু নাচ গান কিছুই করতে চায় না।
ও আবৃতি করতে চেয়েছিলো কিন্তু ও আগে থেকে নাম দেয়নি বলে ওকে আর করতে দেওয়া হয়নি। আবু আগে নাম দিয়েছিলো বলে ও নাচ করলো।
আর মধুবনি অসুস্থ থাকার জন্য ও কিছুই করেনি। আবুর মা বললো আমরা সবাই মিলে চলো সেলফি তুলি আমরা সবাই একটা সেলফি তুললাম।
আর ওদের স্কুলটা টুনি লাইট দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে ছিল।সেটারও একটা ছবি তুললাম।
যেহেতু টডলার থেকে ক্লাস 5 ওবদি ছাএছাএি তাই শেষ হতে অনেক সময় লেগে গেলো।
আমরা সেখান থেকে প্রায় 8টা নাগাত বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। অনুষ্ঠান 8টায় শেষ হলো তারপর আমরা ফিরলাম।
আবার একটা টোটো করে সবাই যে যার বাড়ি ফিরলাম। আমাদের স্কুলের দিনটা এই ভাবেই কাটলো।
সবাই ভালো থাকবেন আর সুস্থ থাকবেন।
শুভরাএি।
প্রত্যেকটা বাচ্চাকে খুব সুন্দর লাগছে।আপনিও আপনার মেয়েকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করাতে পারতেন দিদি।
@sanchita96ধন্যবাদ।
ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে গেলো, বার্ষিকী ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মত স্কুলে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মায়ের সাথে গিয়ে কত আনন্দই না করেছি। আজ সবটাই স্মৃতি।
@pulookছোট বেলাটা আজ আমাদের কাছে স্মৃতি হয়েই থাকে সারা জিবন।
বর্তমান প্রযুক্তির যুগে দাড়িয়ে এই ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা বেড়ে গেছে, অন্ততপক্ষে এই প্রজন্ম যন্ত্রের বাইরের জগৎ ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে জানবার ও শিখবার সুযোগ পায়।
@sduttaskitchenএকদম ঠিক বলেছেন দিদি আমাদের সময়ের মত এখন কিছু নেই।
অনেকদিন বাদে এমন স্কুলের অনুষ্ঠান দেখে ভালো লাগলো।
@baishakhi88ধন্যবাদ।