Better Life with Steem|| The Diary Game|| 18th November 2024
নমস্কার,
শুভ সন্ধ্যা, শীতের হাওয়া যেন চারিদিকে এবং একটু বেশি মনে হচ্ছে। শীতের হাওয়া শুরু হতে না হতেই যেন প্রকোপ প্রমাণাঞ্চলকে গ্রাস করতে শুরু করেছে। যদিও বিলম্ব করে ঘুম থেকে ওঠার কারণে কুয়াশা দেখার সুযোগ এখনো মেলেনি কিন্তু শীতের তীব্রতা অনুভব করছি।
আমার সকালটা শুরু হয়েছিল দশটার দিকে যখন মায়ের ডাকে ঘুম ভেঙ্গেছিল। তবে বিগত রাতে রাগের জন্য ঠিক ঠাক খাবার না খাওয়ায় সকালেই খিদে পেয়েছিল। যে কারণে সকালের কাজ সেরেই গরম গরম ডিম ভাজি খেয়ে পি সি তে বসেছিলাম। ইতিমধ্যে একটা সময় ও কাজের তালিকা তৈরি করেছি যে কারণে এখন আর অসুবিধা হচ্ছে না।
মোটামুটি কাজ শেষ করেই একটা Excel sheet এর ভিডিও দেখছিলাম তখন আমার কাকু এসে মোবাইলের চার্জারটা নিবে এটা বলার পরেই আমি চেয়ার ছেড়েছিলাম। মোবাইলটা তখনো চার্জেই লাগানো ছিল যে কারণে চার্জার দেওয়ার পরে পি সি বন্ধ করেই একটু রাস্তায় বেরিয়েছিলাম।
শীতের সময়ে পাওয়া যায় খেজুরের গুড় ও রস যেটা খুব সুস্বাদু। খেজুর গাছে এভাবে কাঁটাকে আমরা বলে থাকি খেজুর গাছ তোলা। ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলকে কেন্দ্র করে দেখা যায় অনেক নতুন নতুন নাম, কাজ এক কিন্তু নামের বৈচিত্র্যতা। তবে খেজুর গাছ এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে।
এটার আছে প্রাকৃতিক কারণ পাশাপাশি বেঁচে থাকা গাছ গুলোকে এভাতে অতিরিক্ত তোলার কারণেই কয়েক বছরের মধ্যেই মৃতপ্রায় অবস্থা। এমনকি যখন কোনো গাছ ফল না দেয় তখন কিন্তু আমাদের কাছে মূল্যহীন সেই ফল গাছটি। অনুরূপভাবে জীর্ণ শীর্ণ খেজুর গাছ গুলো ও মূল্যহীন হওয়ার পরে কেটে ফেলা হয়।
দেখে মনে হলো এবারের শীতে খেজুরের গুড় পাওয়া যাবে। তবে ছোট বেলায় চুরি করে রস খাওয়ার মজাটা আর ফিরে আসবে না। এখন আর আগের মতো খেজুর গাছ নেই। অন্যদিকে গাছি ও পাওয়া যায় না। গ্রাম ভাষায় খেজুর গাছ থেকে যারা রস বের করে এনাদেরকে গাছি বলা হয়ে থাকে।
তবে রাস্তায় দূর্দান্ত একটা গাছ পেলাম যেটা এখন দেখা য য় ন বললেই চলে। এটাকে বলা হয় দুলাল তুলসি যেটার পাতার রস কাশির জন্য খুবই উপকারী। আমি তো শৈশবে কাঁশির ওষুধ কদাচিৎ খেতাম। বরং তুলসী পাতা বা দুলাল তুলসীর পাতা দিয়েই কাজ চালিয়ে দিতাম।
এই গাছটা যদিও স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় বাড়তে পারে কিন্তু অপরিষ্কার পরিবেশে এই গাছ বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না। হয়তো ঈশ্বরের এক অন্যরকম সৃষ্টি এটা।
যদিও এই গাছের নাম আমার জানা নেই কিন্তু এই ধরনের আগাছা ও অনেক উপকারী। তবে আমরা এটার উপকারী দিক জানিনা বলেই এটাকে বারংবার আগাছাই বলি।
কিছুক্ষণ পরেই রাস্তায় ছোটভাই নয়নের সাথে দেখা স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল। আমিও ছোট ভাইয়ের সাথেই যাত্রা শুরু করলাম।
যদিও একা একা পায়ে হেঁটে গেলে মিনিট লাগে কিন্তু আজ গল্প করতে করতে প্রায় দশ মিনিট সময় লেগেছিল। অবশেষে বিদ্যালয়ের সদর দরজায় পৌঁছালাম। আজ রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়া কিন্তু সূর্যের প্রখরতা অনেক কম।
প্রধান শিক্ষকের কক্ষে পৌঁছানোর পূর্বেই জলের কল দেখলাম যেখানে জল পড়ছিল অর্থাৎ অপচয় হচ্ছিল। তাই আমরা কাজের পূর্বেই আমরা জলের কল'টা বন্ধ করলাম। তারপরে স্যারের কক্ষে গেলাম কিন্তু স্যার কক্ষে ছিলেন না। কি আর করা বাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম।
এরপরে আসার পথে আমার প্রিয় বিড়ালটি দেখতে পেয়ে কয়েকটি ছবি তুলেছিলাম। তবে আজ আর বিরক্ত করিনি, ইচ্ছে করেই নিঃশব্দে স্থান ত্যাগ করেছিলাম। যাইহোক বাড়িতে পৌঁছে স্নান সেরে দুপুরের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। আমার আজ ঘুম থেকে উঠতে উঠতেই রাত হয়ে আসছিল।
এই শীতে গরম গরম মাছ ভাজি খেতে অনেক মজা। তাই জলকরে জাল থেকে মাছ গুলো নিয়ে বাড়িতে ফিরেছিলাম। এভাবেই আমি আমার আজকের দিনটি অতিবাহিত করেছিলাম। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
thank you so much for your support