Better Life with Steem|| The Diary Game|| 21th November 2024
![]() |
---|
দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট না হলেও আজ ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট যেটা বারংবার কাজের গতি হ্রাস করছে। অবশেষে সন্ধ্যা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত চার বার বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলো। চতুর্থ বার আর ধৈর্য্য ধরতে না পেরে পি সি'র সামনে থেকে উঠে এসে মোবাইল হাতে নিয়ে পোস্ট লেখার জন্য বসলাম। এখন আমার সম্পূর্ণ দিনের কার্যক্রম তুলে ধরবো।
![]() |
---|
আজকের সকালটা ও শুরু হয়েছিল দশটার পরে তবে সঠিক সময় দেখা হয়নি। মোটামুটি সকালের খাবার খেয়ে বাইরে বেরোতে প্রায় সকালে সাড়ে এগারোটা বেজেছিল। যখন রাস্তায় ও লোকজন কম ছিল। তবে রাস্তায় বেরিয়েই একটা দুষ্ট কুকুরের দেখা মিলেছিল, তাই ধাওয়া করেছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সামনেই একজন মধ্যবয়সী অন্ধ মানুষকে দেখে ঢিল ছুড়তে গিয়েও নিজেকে সংযত অরে নিলাম। নচেৎ ঐ ব্যক্তির ও আঘাত লাগতে পারতো।
পরক্ষনেই একটু ভালো লাগলো যে সৌভাগ্যবশত ঢিলটা ছুড়িনি। নচেৎ ঐ অসহায় মানুষটা আঘাত পেয়ে হয়তো অনেক কষ্ট পেতো। ঈশ্বর যা করেন সেটা ভালোর জন্যই করেন। তাই, আপন গতিতে পায়ে হেঁটে বাজারের দিকে যাচ্ছিলাম।
![]() |
---|
শহরে যেমন গ্যাস লাইন মানুষ ব্যবহার করে গ্রামে সেই সুযোগ নেই। তবে গ্রামের মানুষ ও এখন গ্যাসের ব্যবহার শুরু করেছে এবং এইটার জন্য গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবহার করে। এমনকি এই সুযোগে আমাদের স্থানীয় একটি ছেলে গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা ও শুরু করেছে। যে কারণে এখন আর গ্যাসের গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। মোবাইল কল করে জানালে বাড়িতে ও পৌঁছে দিয়ে যায়।
তবে যেটা ন বললেই নয় তা হলো যারা গ্যাসের রান্না করা খাবার খেতে অভ্যস্ত কখনো সুযোগ হলে কাঠের রান্না করা তরকারি খেয়ে দেখবেন। কারণ আমার ব্যক্তিগত মতামত গ্যাস বা বিদ্যুৎ এই সবকিছুর থেকে কাঠের চুলোয় রান্না করা খাবার বেশি সুস্বাদু হয়।
![]() |
---|
যেহেতু, শীতের সময় তাই সময়মতো স্নান করতে হবে আমি দ্রুত বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম। আমার দুই কাকাতো ভাই, মাটি দিয়ে শিব লিঙ্গ তৈরির কাজে ব্যস্ত ছিল। একটা বিষয় লক্ষ্য করবে যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা হয় তখন গ্রামের দিকের শিশু থেকে শুরু করে সকলের মধ্যে যেন খেলোয়াড় চরিত্রটা জেগে ওঠে।
অনুরূপভাবে সকল খেলা, বিশেষ করে ফুটবলের কথাই বলি। কারণ গ্রামে দেখবেন ফুটবল খেলার পাড়ার মাঠে প্রতিবছরই ৫/৭ জনের হাত-পা ভাঙ্গার বার্তা পাওয়া যায়। কারণ অনুশীলন না থাকায় এরা মাঠে নেমেই গোটা মাঠ দৌড়াতে চায় এবং সেই সাথে মেসির ভূমিকা অর্থাৎ গোল ও দিতে চায়। কিন্তু কিছুক্ষণ দৌড়াদৌড়ি করার পরের হাওয়া শেষ যে কারণেই এই দূর্ঘটনা বড় বড় দলের খেলার মাঠের থেকে পাড়ার মাঠেই বেশি দেখা যায়। পাশাপাশি, নিয়মাবলীতে শিথিলতা ও এটার একটা কারণ।
এটা বললাম, আমাদের পাশের এক কাকুর বাড়িতে সদ্য কালি পূজো হয়েছে যেটার পরের কাকাতো ভাইদের এই সক্রিয়তা বেশি দেখা যাচ্ছে। মোটামুটি দুপুর দুইটার মধ্যে স্নান ও দুপুরের খাবার খাওয়া সম্পন্ন করলাম।
![]() |
---|
একটু বিশ্রাম নিয়ে বিকেলের দিকে ছাদে গিয়েছিলাম। কোথাও বিন্দুমাত্র মেঘের দেখা নেই একটু অন্যরকম চিত্র। প্রকৃতি এই শীতে নিজেকে অন্যরকম সাজে সজ্জিত করেছে যেটা ক্রমশ প্রকাশ্য।
![]() |
---|
![]() |
---|
শীতের সময় গরম গরম ধোঁয়া ওঠা সাদা ভাতের সাথে লাল শাক ভাজি খেতে ভারি মজা। কিন্তু এখন আর শৈশবের মতো স্বাদ খুঁজে পাবেন না যারা বাজার থেকে শাক ক্রয় করেন। কারণ শাক দ্রুত বৃদ্ধির জন্য এতো পরিমাণে নাইট্রোজেন দেওয়া হয় অর্থাৎ রাসায়নিক ইউরিয়া সার তাতে স্বাদ থাকারই কথা না।
অন্যদিকে, শাক এনে রেখে ও খাওয়া যায় না। শৈশবে দেখেছি বাবা বাজার থেকে শাক নিয়ে আসা মাত্রই মা ঘরের চালে দিয়ে দিতো। কুয়াশা ভোরবেলা দেখে মনে হতো যেন ক্ষেতেই রয়েছে। কিন্তু এখন ফ্রিজে রাখলেও পচে যায়।
অল্প হোক তবুও এভাবে শহুরে মানুষেরাও ইচ্ছে করছে এই শীতকালীন জনপ্রিয় লাল শাক চাষ করতে পারে। যেটা স্বাদ এবং পুষ্টিকর হবে পরিবারের সকলের জন্য। আমাদের উচিত বাজারের ওপর নির্ভর না করে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিজে থেকে উদ্যোগ নেওয়া।
![]() |
---|
সন্ধ্যায় আমার বাবা ও ভাগ্নি তাদের সেই বিনোদন পর্ব চলছে। কোনোভাবেই তাঁদেরকে থামানো যাচ্ছে না। তবে আমি চিন্তায় আছি আমার প্লাস্টিকের চেয়ারটা কি ঠিক থাকবে?
এভাবেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
এই একটি ব্যামো আপনার চিরকাল অপরিবর্তিত থাকবে, এটা আমার ভবিষ্যত বানী! ভাগ্যিস বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছিল, নয়তো আপনার এত ব্যস্ততার মাঝে লেখার সময় হতো কি?
তাহলে প্রবাদটা সঠিক যা হয়, মঙ্গলের জন্য!
একটা বিষয়ে সহমত পোষন করছি, সেটা হলো শুধু শাকের ক্ষেত্রে নয়, সবজির ক্ষেত্রেও আগের স্বাদ এখন বিলীন!
আমার প্রিয় তিনটে শাক একটি পালং শাক, আরেকটি লাল শাক আরেকটি ঢেকি শাক, জানিনা শেষের শাকের নাম শুনেছেন কি না?
অথবা আপনারা হয়তো অন্য নামে চেনেন, ফার্ন গাছের কচি বাঁকা মাথাগুলো।
আমি যদিও সর্বভুক, খাওয়ার বিষয়ে নাক উঁচু নেই।
আর পরিশেষে জানতে চাই, বিনোদন পর্বের সাথে আপনার পরিচয় আছে?
আপনার বাবার কথা বলতে পারব না, তবে আপনার ক্ষেত্রে আমি বেশ সন্দিহান!🤣
আপনার ভাগ্নি কাকে দেখে অমন মিষ্টি হাসি দিচ্ছে জানিনা, তবে যদি আপনি হন সেটা বেশ অবাক করবার বিষয়!
আন্তরিকভাবে দুঃখিত, কারণ একটু বিলম্ব হলো মন্তব্যের উত্তর দিতে।
হ্যাঁ দিদি, এটা আমাদের এখানেও ঢেঁকি শাক নামে পরিচিত কিন্তু আমার খুব বেশি পছন্দ না। আমার তিতো শাক অনেক বেশি পছন্দের বাকি গুলো তেমন একটা ভালোই লাগে না।
ওটা না বললেও জানি, আপনার তেতো শাক পছন্দ, এতদিন কথা হচ্ছে তো, সবটাই অভিজ্ঞতা দ্বারা সঞ্চিত।
তেতো শাক খেয়েই কি শুধু তেতো কথাই বের হয়? একটু মধু খেয়ে নেবেন তেতো শাক খাবার পর।
🤣🤣🤣
সেইটা তো জানিনা দিদি। আচ্ছা খেয়ে নিবো দিদি।