প্রত্যেকের জীবনেই একজন কাছের মানুষ রয়েছে
কেমন আছেন বন্ধুরা? আল্লাহ্র অশেষ মেহেরবানীতে আমি সুস্থ্য এবং ভালো আছি। সুস্থ্যতা আল্লাহ্ তা’লার সবচেয়ে বড় নিয়ামত। আর এই নিয়ামত পেয়ে আমি অনেক খুশি।
আজ আমি আপনাদের মাঝে “প্রত্যেকের জীবনেই একজন কাছের মানুষ রয়েছে” শীর্ষক একটি লিখনি উপস্থাপন করছি।
কাছের মানুষ বলতে আমরা কি বুঝি। যেই মানুষটা আমাকে সবথেকে বেশি বুজবে সেই কিন্তু আমার কাছের মানুষ। আপনার সমন্ধে কেউ যদি মন্দ কথা সমাজে রটিয়ে বেড়ায় তাহলে অনেকেই কিন্তু সেই কথাগুলি বিশ্বাস করে নেবে।
কিন্তু কাছের মানুষ এক্ষেত্রে ভিন্ন। সে কখনোই বিশ্বাস করবে না আপনার সম্বন্ধে যে মন্দ কথাগুলি রটানো হচ্ছে। বরং অট্টহাসি দিয়ে সব ঊড়িয়ে দেবে আর বলবে ও এরকম হতেই পারে না।
আবার আপনার কৌতুক শুনে হয়তো কখনো কেউ হাসেনি। কিন্তু ঐ কৌতুক যদি কাছের মানুষকে শোনানো যায় তাহলে সে পাগলের মত হাসতে শুরু করবে। কেন হাসবে তার উত্তর কিন্তু সে নিজেও জানে না।
কিন্তু তার কাছে বড় হলেন আপনি। আপনার হাসিতে তার হাসি, আপনার খুশিতে তার খুশি। তাই কাছের মানুষ সবসময় এবং সব জায়গায় আপনাকে বড় করার আপ্রাণ চেষ্টা করবে।
আমরা অনেকেই কাছের মানুষকে না বুজে কষ্ট দিয়ে ফেলি। তাদের মনে যে দুঃখগুলো রয়েছে সেগুলো কখনোই শোনার চেষ্টা করি না। এই দুঃখগুলোই একদিন কাছের মানুষ থেকে আমাদের আলাদা করে দেয়।
আমরা যারা বিবাহিত আছি তাদের প্রত্যেকের কাছের মানুষ নিশ্চই আমাদের জীবনসঙ্গী। পুরুষদের স্ত্রী আর মেয়েদের স্বামী। এর থেকে কাছের মানুষ আর হয় না। কেননা প্রতিটা দিন একই ছাদের নিচে আমাদের বসবাস করতে হয়।।
সুখ দুঃখ ভাগ করে এগিয়ে যাওয়ার প্রয়াস আমাদের দুজনকেই সমানভাবে করতে হয়। যেকোন কাজে দুজন দুজনকে সমর্থন যোগাতে হয়। তাই আমার মতে স্বামী বা স্ত্রী ব্যতিত কাছের মানুষ হয়তো খুব কম হয়।
যারা অবিবাহিত রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এই কথা অযৌক্তিক। যাইহোক আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই কাছের মানুষের অনেকখানি গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু অবহেলায় বিভিন্ন সময় আমরা কাছের মানুষকে হারিয়ে ফেলি।
সবথেকে বড় অবহেলা হলো সময় না দেয়া। আমরা পুরষরা হয়তো বাইরে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকি। দিনশেষে বাড়ি ফিরে যখন স্ত্রী এবং বাচ্চাদের হাসিমাখা মুখ দেখি তখন কিন্ত পৃথিবীর সবথেকে বেশি সুখ আমরাই অনুভব করি।
কিন্তু পরক্ষণেই যদি স্ত্রী বলে ওঠে আজ এত দেড়ি করে আসলে কেন? আজ না আমাদের বাইরে যাওয়ার কথা ছিলো। এই কথাতেই বেজে যায় বিপত্তি।
আমরা হয়ত অনেকেই বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বউয়ের কথা পাশ কাটানোর চেষ্টা করি, আবার কেউ কেউ রাগান্বিত কন্ঠে বলি অফিসে অনেক কাজ ছিলো তাই আসতে পারিনি। এরপর শুরু হয় তর্ক বিতর্ক।
স্বামী স্ত্রী দুজনের মধ্যে তর্ক চলতেই থাকে। কিন্তু একটু বুদ্ধি খাটিয়ে যদি আমরা পুরুষরা বলি চলো এখন বের হবো। এক ঘন্টার যায়গায় দুই ঘন্টা ঘুরবো। তোমার যা মন চায় তাই তোমাকে খাওয়াবো।
তাহলে দেখবেন কাছের মানুষটি কত না খুশি হয়। যদি সেসময় বাইরে যাওয়া সম্ভব হয় তাহলে তো হলোই, কিন্তু অনেক রাত হলে সেই মানুষটি কিন্তু আপনাকে বলবে থাক আজ না কাল যাবো।
এই একটি কথা বলার কারণে কিন্তু দুজনই খুশি থাকলো। দুজনের মাঝে আর কোন তর্ক বিতর্ক হলো না।
আমি আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে কথাগুলি আজ লিখলাম। আমরা হয়তো খুব কষ্ট করে কাছের মানুষকে জীবন সঙ্গী হিসেবে পাই কিন্তু কিছু ছোট ছোট ভুলের কারণে এই কাছের মানুষই একদিন আমাদের বিরুদ্ধে অন্যের কাছে নালিশ করে বসে।
অথচ আমার অনেক বড় ভুল একদিন এই কাছের মানুষ ঢেকে রেখেছিলো। সবথেকে বড় কথা হলো বিশ্বাস ও ভালোবাসা। এই দুটি থাকলে কাছের মানুষ সবসময় কাছের মানুষ হিসেবেই আমাদের জীবনে থাকবে।
আজ আর নয় বন্ধুরা। ভালো থাকবেন সকলে। আল্লাহ্হাফেজ।
X-promotion link: https://x.com/AlRiaz76338/status/1806004227606798733
অবশ্যই প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে একটি কাছের মানুষ রয়েছে, যে মানুষকে তার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবেসে থাকো। এবং এই কাছের মানুষকে আছে বলে আজকে ভালোভাবে চলাফেরা করতে পারছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বাহ আপনি কাছের মানুষ সম্পর্কে কি বুঝি সেটা খুব ভালোভাবেই উপস্থাপনা করেছেন আমি ওটাই মনে করি যেটা আপনি ইতিমধ্যেই উল্লেখ করছেন ছোটবেলায় বাবা-মায়ের পরে। প্রাপ্ত বয়স হলে কিন্তু কাছের মানুষ নিজের স্ত্রী একমাত্র সুখ দুঃখে সব সময় সে পাশে থাকে এমনকি মানসিক বিভিন্ন চাপ থেকে দূরে থাকতে সহায়তা করে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ নিজের জীবন সম্পর্কে সুন্দর একটি আর্টিকেল আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।
এটা ঠিক যে প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে একটি কাছের মানুষ থাকে। তার কাছে গিয়ে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন ধরনের কথা বললে ও সে কখনো বিশ্বাস করতে চায় না। সে অন্য কথা বলে সেই কথা গুলো এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে কাছের মানুষ হতে হলে বিশ্বাস থাকা খুবই প্রয়োজন বিশ্বাস না থাকলে কখনো কাছের মানুষ হওয়া যায় না।
যাইহোক আপনার আজকের লেখা পড়ে অনেক কিছু শিখতে পারলাম এবং জানতে পারলাম এবং এতো সুন্দর লেখা উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি খুব সুন্দরভাবে কাছের মানুষ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।আসলে কাছের মানুষ আমাদের সম্পর্কে খারাপ কিছু শুনলেও তা বিশ্বাস করবে না।কারণ তাদের পরিপূর্ণ আস্থা রয়েছে।কিন্তু যারা আপনার কাছের না তারা অবশ্যই এটিকে সিরিয়াস হিসেবে নিবে।এটাই সাভাবিক। যাই হোক আপনার ওয়াইফ আপনাকে ঈদের সময় খুব সুন্দরভাবে মেহেদী পড়িয়ে দিয়েছে।এটা অনেক সুন্দর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। ভালো লাগলো আপনার মুল্যবান বিষয়টি সম্পর্কে পড়ার পর।
আপনার লেখাটা একদিকে যেমন আকর্ষণীয় ছিল, রোমান্টিক ছিল অন্যদিকে আমাদের দাম্পত্য জীবনের অনেক কিছু শিক্ষণীয় বিষয় ও তুলে ধরেছেন। সত্যি তো আমরা এভাবে পাশ কাটিয়ে না গেলেই তো পারি। আপনজনকে কষ্ট দেবার কোন মানেই হয় না। ভালো থাকুক সবার কাছের মানুষ গুলি।