আমি একজন ক্রিকেট পাগল মানুষ
কেমন আছেন বন্ধুরা? আল্লাহ্র অশেষ মেহেরবানীতে আমি সুস্থ্য এবং ভালো আছি। সুস্থ্যতা আল্লাহ্ তা’লার সবচেয়ে বড় নিয়ামত। আর এই নিয়ামত পেয়ে আমি অনেক খুশি।
আজ আমি আপনাদের মাঝে “আমি একজন ক্রিকেট পাগল মানুষ” শীর্ষক একটি লিখনি তুলে ধরছি। তাহলে শুরু করা যাকঃ-
এশিয়া উপমহাদেশে ক্রিকেট কিন্তু বেশ জনপ্রিয়। বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, এই দেশগুলোতে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে ক্রিকেট খেলা।
আমিও ব্যক্তিগতভাবে একজন ক্রিকেট পাগল মানুষ। সেই ছোট্ট বেলা থেকেই নিজের দেশকে সমর্থন দিয়ে আসছি ক্রিকেট খেলায়। এছাড়াও আমিও ক্রিকেট খেলতে বেশ পছন্দ করি।
যখন প্রাইমারীতে ছিলাম, যেকোন একটি কাঠের টুকরো ব্যট হিসেবে ব্যবহার করতাম। বল হিসেবে থাকতো বাজার থেকে কিনে আনা ডিউজ বল। যেগুলোকে আমরা বলতাম ‘রবার্ট ডিউজ বল’।
এই বল বেশ টেকশই ছিলো বিধায় আমাদের সকলের এই বলের প্রতি বেশ আগ্রহ ছিলো। কিন্তু বড়রা সবসময় টেনিস বল দিয়ে খেলতো। তবে টেনিস বল বেশি টেকশই ছিলো না। দু থেকে তিন দিন খেললেই নষ্ট হয়ে যেতো।
আমরা যেহেতু ছোট ছিলাম আর আমাদের কাছে খুব বেশি টাকা ছিলো না তাই বন্ধুরা একত্রিত হয়ে যতটুকু টাকা জোগার করতে পারতাম তাই দিয়েই বল কিনে খেলতাম।
ডিউজ বলের একটি সমস্যা ছিলো, সেটি হলো খুব ধীরে মারলেও অনেক দূরে গিয়ে পরতো। তাই বল হাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি তৈরি হতো। যারা জোড়ে মারতো তাদের বলতাম, বল হাঁড়িয়ে ফেললে কিন্তু তোমাকে বল কিনে দিতে হবে।
তাই তারা মনে ভয় নিয়ে বল মারতো। অনেক সময় বল হাঁড়িয়ে যেতো। সব মিলিয়ে তখন বেশ মজা হতো ক্রিকেট খেলায়। টিভিতে যখন বাংলাদেশের খেলা দেখতাম, এক বুক আশা নিয়ে দেখতাম।
দল জিতলে বেশ খুশি হতাম এবং সবাইকে বলে বেড়াতাম। আর দল খেলায় হেরে গেলে খুব দুঃখ পেতাম। কিন্তু মনে সাহস রাখতাম যে না এরপরের খেলায় আমরা জিতবো।
যাইহোক যখন হাইস্কুলে উঠলাম তখন ক্রিকেট খেলার প্রতি ভালোবাসা আরো বেড়ে গেলো। অনেক সময় টিফিন পালিয়ে খেলতে যেতাম। খেলার কারণে স্যারের কত যে বেতের বারি খেয়েছি তার ইয়ত্তা নেই। তবুও খেলতে যেতাম।
মূলত আমি ব্যটিং আর বলিং দুটোই ভালো পারতাম। বলতে গেলে অলরাউন্ডার। তাই বন্ধুরা আমাকে সবসময় খেলতে ডাকতো। সেসময় খেলতাম টেনিস বল দিয়ে। টেনিস বলের উপর টেপ পেছিয়ে খেলতাম।
কারণ এতে করে টেনিস বল কিছুটা হলেও টেকসই হতো। সেসময় প্রতিটি এলাকায় ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট হতো। নাম দিতো টেপ-টেনিস টুর্ণামেন্ট। খুব আনন্দের সাথে প্রায় খেলাগুলোতে অংশ নিতাম।
তখন হার-জিত বিষয়টি বেশ প্রভাব ফেলতো সকলের উপর। রীতিমতন সম্মান নিয়ে টানাটানি। তাই খুব মন দিয়ে খেলতে হতো। আজ সেই দিনগুলিকে আর ফিরে পাই না।
যানি পাবোও না। তবুও যখন তরুণদের খেলতে দেখি মাঠে তখন আমিও ছুটে গিয়ে তাদের খেলা দেখি। কারণ ক্রিকেটকে আমি ভালোবাসি।
বন্ধুরা টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেট বর্তমানে চলছে। আমার দেশের ব্যাপারে আমি একশত ভাগ নিশ্চিত এবার ভালো কিছু হবে। প্রতিবারই মনে একরাশ আশা নিয়ে বসে থাকি বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম ভালো কিছু করবে।
যদিও তা হয়না কিন্তু দিনশেষে কোথাও একটা ভালোলাগা কাজ করে। আমার দেশ বিশ্বমঞ্চে নিজেদের সামর্থের জানান দিচ্ছে। বিশ্বপাকে অংশগ্রহনের মাধ্যমে অনেক দেশের মানুষ আমার দেশ সম্পর্কে জানছে। এটা ভেবে খুব ভালো লাগে।
যদিও আমরা এখনো বিশ্বকাপ পাইনি। তবে আমি আশাবাদী একদিন না একদিন আমরা চ্যাম্পিয়ান হবই হবো। এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সবগুলো ম্যাচ আমি দেখবো। অন্যকেও দেখার বিষয়ে উৎসাহী করব।
অনেকে মনে খারাপ ধারণা নেয় আমার দেশের খেলোয়ারদের প্রসঙ্গে। আমি তাদের বোঝাবো যে না, তারা তাদের সামর্থ দিয়েই চেষ্টা করছে। ভবিষ্যতেও করবে। তাই তাদের জন্য আমাদের সকলের শুভকামনা জানানো অনেক জরুরি।
তারা যদি ভালো দল না হতো তাহলে কখনই বিশ্বকাপের মতন বড় মঞ্চে যেতে পারতো না। যাদের সাম্প্রতিক পারফোমেন্স একটু খারাপ তারা নিশ্চই নিজেদের ঝালিয়ে নিয়ে আবারো ফিরে আসবে সেই প্রত্যাশায় রইলাম।
আজ আর নয় বন্ধুরা। ভালো থাকবেন সকলে। আল্লাহ্হাফেজ।
X-promotion link: https://x.com/AlRiaz76338/status/1798399910934712692
ক্রিকেট খেলা দেখে সবাই ভালবাসে না, আবার যারা ক্রিকেট খেলা দেখতে ভালোবাসে তারা সকল কিছু হলেও ক্রিকেট খেলা দেখবে। আপনি যেমন ক্রিকেট প্রেমে মানুষ ঠিক তেমনি আমিও ক্রিকেট খেলা দেখতে খুব ভালোবাসি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ক্রিকেট খেলা অনেকেই ভালোবাসে। বাড়িতে ক্রিকেট খেলা নিয়ে আমার বরের সাথে তো আমার ঝামেলা বেঁধেই থাকে। কারণ ও বাড়িতে থাকলেই শুধু ক্রিকেট খেলায় দেখে। আমি ক্রিকেট খেলার সমন্ধে অতটা বুঝিনা।
সর্বপ্রথম একটি কথা হল আপনার মত আমি একজন ক্রিকেটপ্রেমী। আপনার মত আমিও ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট খেলা পছন্দ করি। ফুটবল খেলা তেমন একটা ভালো লাগত না, ছোটবেলায় আমাদের এলাকায় বা গ্রামে ক্রিকেট খেলা হলেই সেখানে চলে যেতাম। আপনি ঠিকই বলেছেন ছোটবেলায় আমরাও এভাবে কিছু টাকা জমিয়ে সবাই মিলে একসাথে রবার ডিউস বল এবং ব্যাট কিনতাম। ব্যাট ভেঙে গেলে সেই ব্যাটে যে কতবার জোড়া লাগিয়েছে হিসাব নেই। কিন্তু এখন জীবনে সফল হয়েছি। এখন দশটা ব্যাট কেনার মতো সামর্থ্য আছে। কিন্তু সেই ছোটবেলার বন্ধু গুলো আর কেউ নেই।
ক্রিকেট খেলা নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
আপনি একজন ক্রিকেটপ্রেমী মানুষ প্রাইমারি স্কুলে পড়া কালীন সময়ে, আপনি ক্রিকেট খেলতেন এবং সেই সময়ের কিছু মুহূর্ত আপনি আমাদের সাথে উপস্থাপন করেছেন। যে বল সম্পর্কে আপনি আমাদের সাথে আলোচনা করেছেন। সেটা সম্পর্কে আমি সত্যিই জানতাম না। কিন্তু আপনার পোস্ট পরিদর্শন করে জানতে পারলাম। আসলে বাংলাদেশের মানুষ যেদিকে ভালো কিছু দেখে, ওই দিকে ছোটাছুটি করে। এটা এখন থেকে নয় সেই ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি।
প্রত্যেকটা মানুষ চেষ্টা করে নিজের দেশের নাম উজ্জ্বল করার জন্য। সে ক্ষেত্রে বলবো ক্রিকেট দলের প্রত্যেকটা প্লেয়ার চেষ্টা করে, ভালোভাবে খেলার জন্য। মাঝে মাঝে বিজয় লাভ করে আবার মাঝে মাঝে হেরে গিয়ে তাদের মন ভেঙে যায়। তবে অবশ্যই তাদেরকে সাপোর্ট করা উচিত। এতে করে তারা কিছুটা হলেও উৎসাহ পায়। ধন্যবাদ চমৎকার বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য। ভালো থাকবেন।