বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া উপহার
হ্যালো বন্ধুরা |
---|
আবারো চলে আসছি আপনাদের মাঝে কিছু অব্যক্ত কথা ব্যক্ত করার জন্য। উপহার শব্দটির মাঝেই আন্তরিকতা নিহিত। আর এজন্যই মনে হয় উপহারের কোন বিনিময় মূল্য নেই। শুধু কোন দ্রব্য সামগ্রী নয় আমার কাছে মনে হয় একজনের সাথে হাসিমুখে কথা বলাটাও একটি উপহার স্বরূপ। কারণ এই হাসি মুখের কথাটি ও তার কাছে মূল্যবান একটি উপহার। আমরা পরস্পরের সাথে যখন হাসিমুখে কথা বলি বা ভাবের আদান-প্রদান করি তখন দুজনের মধ্যে একটি মিতোস্ক্রিয়া তৈরি হয়। যা একটি পর্যায়ে গভীরো থেকে গভীরোতর হতে থাকে।এমন একটি পর্যায় তৈরি হয় যখন কেউ কাউকে একটি মুহূর্তের জন্য ছাড়তে চায় না।
আমি যেহেতু শিক্ষাগতা পেশায় জড়িত, তাই আমাদের উঠাবসা শিক্ষার্থীদের সাথেই। ওদের সাথেই দিনের সিংহ ভাগ কাটাই। শিক্ষার্থীদের কোমলময়ী চেহারাগুলো দেখলেই ওদের মনের অনুভূতিগুলো বুঝতে পারি।
মাঝেমধ্যে ওরা নিজে থেকেই আমার সাথে ওদের অনেক মনের কথাগুলো শেয়ার করতে থাকে। তখন মনে হয় আমি মনে হয় ওদের হৃদয়ে স্থান করে নিতে পেরেছি বা ওদের কাছে আমি মনে হয় আস্থার একটি জায়গা। আমার কাছে মনে হয়, যে কাজে মন বসে না বা মন থেকে যে কাজটি করতে ইচ্ছে করে না সে কাজে দীর্ঘদিন টিকে থাকা যায় না।
শিক্ষার্থীদের ভালোবাসাই আমাকেএ পেশায় দীর্ঘদিন যাবত আঁকড়ে ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। কেন যেন ওদের ক্ষুদ্র ভালবাসাটাও আমার কাছে অনেক বেশি পরিমাণে মনে হয়। যেমন ধরুন ছোট্ট একটি চিরকুটে ম্যাম লেখা। এটি আমার কাছে অমূল্য একটি উপহার মনে হয় ।
আবার কোন কোন সময় কিছু বনফুল বা কিছু বাগান থেকে তুলে আনা ফুল ওদের নিষ্পাপ হাত দিয়ে যখন আমাকে উপহার দেয়, তখন আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আমি হৃদয় দিয়ে ওদের উপহারগুলো গ্রহণ করি।
যে যে পেশার সাথে জড়িত থাকুক না কেন, সে পেশাটাকে যদি মন থেকে গ্রহণ করতে না পারে তাহলে সে পেশায় কাজ করে আনন্দ পাওয়া যায় না। আর যেখানে আনন্দ নেই সেখানে টিকে থাকার প্রশ্নই উঠে না।
মানুষ সামাজিক জীব ।সামাজে টিকে থাকতে হলে নানা প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। তবে দীর্ঘক্ষণ এই প্রতিকূলতাকে ওভার কাম করা সবার পক্ষে সব সময় সম্ভব হয় না। তাই আমি বলবো যে যে পেশায় থাকে সেই পেশাটাকে মনেপ্রাণে গ্রহণ করতে হবে এবং পেশার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।
সফলকাম হতে হলে, কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছতে হবে। এবং মন প্রাণ উজাড় করে কর্মটাকে গ্রহণ করতে হবে। আমার কাছে মনে হয় শিক্ষকতা পেশা একটি আদর্শ পেশা।এটা একটি সেবামূলক পেশা আর এই পেশায় যুক্ত ব্যক্তিগণ নিষ্পাপ শিশুদের সাথে সময় কাটানোর সময় পায়। এতে করে তাদের মন ও মানসিকতা ভালো থাকতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে বলে আমার বিশ্বাস।
আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে আমি একটি কথাই বলতে চাই ,দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকলে আমার ধম বন্ধ হয়ে আসে। মনে হয় যে আর ভালো লাগছে না বাসায়। শিশুদের সাথে থাকতে আমি মন থেকে খুব পছন্দ করি আর মন দিয়ে বিষয়টাকে আমি গ্রহণ করেছি বলেই আজও এ পেশায় টিকে আছি এবং আনন্দের সাথেই দিন কাটাচ্ছি।আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহপাকের দরবারে লাখ লাখ শুকরিয়া। আল্লাহ পাক যখন যে অবস্থায় রেখেছেন তাতেই তার দরবারে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।
বন্ধুরা আজ তাহলে এখানেই আমার লেখার সমাপ্তি টানছি। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি সময় ও ধৈর্য্য নিয়ে পড়ার জন্য। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সর্ব অবস্থায় সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রাখুন। তিনিই সকল বিষয়ে সঠিক ফায়সালা দানকারী।
শিক্ষকতা মহান পেশা। আপনার শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় আপনাকে নানা ধরনের উপহার দিয়ে থাকে। এটা আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। আসলে ভালো শিক্ষকদের কোন ছাত্র-ছাত্রী ভুলতে পারেনা। আমিও আমার শৈশবের সেই সমস্ত শিক্ষকদের কথা আজও ভুলতে পারিনি। সুযোগ পেলেই তাদের সাথে কথা বলি অথবা দেখা করি। আমি মনে করি আপনি সেরকমই একজন শিক্ষিকা যাকে তার ছাত্র-ছাত্রী কখনো ভুলবে না।
চমৎকার ভাবে আপনি আপনার মনের কথা ব্যক্ত করেছেন। ভালো লাগলো আপনার লেখাটি পড়ে।
Thank you for your support 😊.
ম্যাম, আমি মনে করি আপনি সমাজের সব থেকে সম্মানীয় পদে কাজ করেন আর এজন্য আপনার গর্ব হওয়া উচিত। শিক্ষকতা করলে যে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান চক্ষু খুলে দেওয়া যায় তাই নয় সেই সাথে তাদের কাছ থেকে ভালোবাসা আর সম্মানও পাওয়া যায়।
শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া উপহার নিয়ে আজকের পোস্টটি সাজিয়েছেন। ওদের ভালোবাসা হলো পৃথিবীর সব থেকে পবিত্র ভালোবাসা। ভালো লাগলো আপনার ভিন্নধর্মী পোস্টটি। ভালো থাকবেন।
আপনি ওদেরকে উচ্চ শিক্ষা দিয়ে মানুষের মতো মানুষ হিসাবে গড়ে উঠতে সাহায্য করছেন। আপনি ওদের হয়ত খুব ভালোবাসেন এবং ভালোবাসা দিয়ে শেখানোর চেষ্টা করেন এজন্য তারাও আপনাকে খুব ভালোবাসে। আর তাছাড়া ছাত্র ছাত্রীরা ম্যামকে একটু বেশি ভালোবাসে এজন্য তারা আপনাকে উপহার দিয়ে থাকেন। ধন্যবাদ আপনাকে আমার মতামতের উওর দেওয়ার জন্য। ভালো থাকবেন।
শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া কিছু উপহার নিয়ে আজ আপনি আমাদের মাঝে চলে এসেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।শিক্ষার্থীদের মনে আপনি সেই জায়গা তৈরি করতে পেরেছেন বলে আপনার সাথে তারা সবকিছু শেয়ার করে এবং আপনাকে অনেক ভালোবাসে বলে তারা আপনাকে উপহার দিয়ে থাকে। আসলে প্রত্যেকটা স্কুলে একটি করে স্যার বা ম্যাম থাকে শিক্ষার্থীদের অনেক প্রিয় মানুষ হয়ে থাকে। আপনি হয়তো বা তার মধ্যে একজন।
আসলে আমরা মানুষ হিসেবে যেকোনো কাজ করতে পারি ।আমাদের কাছে কোন কাজকে কখনো ছোট করে দেখা উচিত নয়। প্রত্যেকটা কাজকে যদি আমরা মন থেকে ভালোবেসে করতে পারি। সেই কাজে বহু বছর ধরে টিকে থাকা সম্ভব। নিষ্পাপ এই শিশুদের কাছ থেকে পাওয়া উপহারগুলো একেবারেই অসাধারণ যার। মধ্যে বলা যায় কোন ফরমালিন নেই। এটা হচ্ছে প্রকৃত ভালোবাসা। শিক্ষা এবং শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে আপনার ব্যক্তিগত মতামত সত্যিই অসাধারণ। অসংখ্য ধন্যবাদ নিজের মনের অনুভূতিগুলো এত সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনার পেশা আপনার পছন্দের সাথে মিলে গেছে জানতে পেরে ভালো লাগলো। আসলে শিশুরা সব সময় অন্যরকম ভাবে সবাইকে যাচাই করে থাকে। সবার সাথে কিন্তু তারা মিশতে চায় না। কিন্তু যার সাথে মিশে তাকে সম্পূর্ণটা ভালোবাসা দেয়ার চেষ্টা করে। এটা আমার বেশ ভালোভাবেই উপলব্ধি করেছি। আমিও শিশুদের সাথে থাকতে অনেক বেশি ভালোবাসি। বিশেষ করে আমার ছেলেদের এবং আমার ভাগিনা ভাগ্নি দের সাথে, তার সাথে রয়েছে আমার ভাইয়ের ছেলে মেয়েরা। তারা আমাকে অনেক বেশি পছন্দ করে।
আসলে পৃথিবীর সকল মহান পেশাগুলোর মধ্যে শিক্ষকতা সবার উপরে।কেননা এই শিক্ষকের হায় ধরেই একটা মানুষের জীবন চলার পথ উন্মোচন হয়।আসলে আপনি ঠিকি বলেছেন।ভালোবাসা থাকলে তবেই একটা যায়গায় দীর্ঘদিন টিকে থাকা যায়।আপনার শিক্ষার্থীদের উপহার গুলোর মুল্য অসীম। আসলে এগুলো নি:স্বার্থ ভালোবাসার উদাহরণ। ভালো থাকবেন।ধন্যবাদ
শিক্ষকতা একটা মহান পেশা এবং ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের মাঝে যে সম্পর্ক, এই সম্পর্কের কোন তুলনা হয় না।পৃথিবীর বেশির মানুষ এর উপহারের সাথে কম বেশি স্বার্থ জড়িত থাকে কিন্তু শিশুদের কাছ থেকে পাওয়া উপহারে শুধুই তাদের ভালোবাসা ও সন্মান জড়িয়ে থাকে।
এটা ঠিকই বলেছেন আপনি যে, কোন পেশায় যদি আনন্দ না জড়িয়ে থাকে তাহলে সেখানে কাজ না করাই ভালো।
ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে। চমৎকার এই লেখা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময়ই।