Better Life with Steem|| The Diary Game||30 June 2024||
![]() |
---|
Hello friends |
---|
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন, আশা রাখি যে যেখানে আছেন ভালো আছেন এবং পরিবার-পরিজনদের সাথে ভালো একটি সময় অতিবাহিত করছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি এবং পরিবার পরিজনদের নিয়ে সুন্দর সময় কাটাচ্ছি।
আজ আমি শেয়ার করব আমার আজকের কার্যক্রম গুলো। যে সমস্ত কর্মকান্ডের মাধ্যমে আমার আজকের দিনটি অতিবাহিত হয়েছে ।তার কিছু অংশ বিশেষ এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করছি। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
সকালের কার্যক্রম সমূহ |
---|
আজ থেকে এইচ,এস,সি পরীক্ষা চলছে সারা বাংলাদেশে। তাই এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার জন্য আমাদের স্কুল বেলা দুটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত ।সেজন্য ঘুম থেকে উঠেই প্রথমে ওয়াশিং মেশিনে কাপড় গুলো ধৌত করতে দিয়েছি ।ওয়াশিং মেশিনে কাপড় গুলো ধুতে দিয়ে কিচেনে যেয়ে নাস্তা রেডি করে ফেলেছি ।
![]() |
---|
![]() |
---|
নাস্তা রেডি করার সাথে সাথেই দুপুরে রান্নাটা ও সেরে ফেলেছি। কারণ ২ টা থেকে স্কুলে যাব। রান্নার ফাঁকে ফাঁকে রুম গুলো গোছানোর কাজটা ও সম্পন্ন করে ফেলেছি। কারণ হাতে সময় খুবই কম। তাছাড়া স্কুল থেকে আসব সেই বিকেল বেলা ,তখন কোন কিছু করার এই আসলে সময় থাকবে না। রান্না শেষ করে ওয়াশিং মেশিন থেকে কাপড় গুলো বের করে ছাদে দিয়ে এসেছিলাম,সেগুলো নিয়ে আসলাম কাপড় গুলো ছাদ থেকে নিয়ে এসে গোসল করে জোহরের নামাজ আদায় করে, দুপুরের খাবার খেয়ে স্কুলের জন্য রওনা হলাম।
দুপুরের কার্যক্রম সমূহ |
---|
স্কুলে এসে নিয়মিত ক্লাস করলাম ক্লাস শেষ করে, একটু আশুগঞ্জে গিয়েছিলাম , প্রয়োজনীয় একটু কাজ ছিল খুব একটা সময় ব্যয় করিনি। আর আসার মুহূর্তে একটি স্কুলের পাশে পুকুরের মধ্যে কিছু ছেলেরা গোসল করতে ছিল যা দেখে আমার খুব ভালো লাগলো।
![]() |
---|
![]() |
---|
তাই ক্যামেরা বন্দি করে রাখলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আমি আশাবাদী যে আমার এই ফোটোগ্রাফি গুলো আপনাদের ভালো লাগবে ,আপনাদের হৃদয়ে আনন্দের দোলা দিবে। তারপর বাসায় চলে আসলাম বাসায় আসতে আসতে প্রায় সন্ধ্যায় হয়ে গিয়েছিল ।অবশ্য আমি আশুগঞ্জ থেকে নাস্তা কিনে নিয়ে এসেছিলাম ,বাসায় তো শুধু ছেলে একাই থাকে তাই নাস্তা এখন আর বাসায় বানানো খুব একটা হয় না।
আজকাল বেশিরভাগ সময় বাইরে থেকে নাস্তা কিনে এনে ফেলি।এর কারণ হলো একজনের জন্য নাস্তা বানাতে সেরকম একটা উৎসাহ লাগে না ।ছেলে মেয়েরা বাইরে চলে গেলে সব কিছুতেই একটা একঘেয়েমিয়ে ভাব চলে আসে ,এখন আমি তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। একটা সময় নাস্তা বানাতে খুব ইচ্ছে করত এখন ইচ্ছে করলেও করতে ইচ্ছে করে না। মনে হয় ছেলেমেয়েগুলো নাই একা একা খাব কেমন যেন একটা একা একা লাগে অস্থিরতা কাজ করে মনের ভিতরে। এরই নাম মনে হয় জীবন, এরই নাম মনে হয় আপনজন।
সন্ধ্যা ও রাতের কার্যক্রম সমূহ |
---|
যেহেতু নাস্তা কিনে নিয়ে এসেছিলাম বাহির থেকে তাই নাস্তা বানানোর খুব একটা ঝামেলা ছিল না। একটু রুমগুছিয়ে ঝাড়ু দিয়ে নিলাম আমি সন্ধ্যার পর প্রতিদিনই ঘর ঝাড়ু দেই তা না হলে আমার কাছে ভালো লাগে না। তাছাড়া বাসার খালাদের কাজের মধ্যে আর আমাদের কাজের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। ওরা তো আসলে কাজ করার জন্যই করে ,পরিষ্কার হলো না হলো সেদিকে খুব একটা খেয়াল রাখে না। তারপরও প্রয়োজনীয় কাজটা চালানো যায় সেটাই বড় কথা।
![]() |
---|
তারপর রাতের খাবার টেবিলে দিয়ে পোস্ট লেখার জন্য প্রস্তুতি নিলাম। পোস্ট লেগে খুব খারাপ লাগছিল। বুঝতেছিলাম না হঠাৎ করে কেন এত খারাপ লাগছিল ।কখন যে ঘুমিয়ে গেছি নিজেই বুঝতে পারিনি ।তাই আমার গতকালকের কার্যক্রমের বেশ কিছু অংশ গল্প আকারে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম। আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনাদের ভালোলাগাই আমার মূল কাম্য। আজ তাহলে বন্ধুরা এখানেই শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ ।
আসলে একটি মা কোনদিন তার ছেলে মেয়েকে রেখে একা একা খেতে পারে না আর যদি ছেলে মেয়েরা বাসায় থাকে তাহলে অবশ্যই খেতে মন চায়।
আপনি যেমনটা আপনার ছেলে মেয়ে যখন বাসায় থাকে না তখন আপনার নাস্তা খেতে মন চাইলেও আপনি খান না ঠিক এমনই অনেক মা করে থাকে যে তাদের মনের ইচ্ছে গুলো বিসর্জন দিয়ে থাকে ইচ্ছে করলেও সে জিনিসটা করতে পারে না।
যাই হোক আপনি আজকে আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সংসার জীবন যতটা না কঠিন, তার চেয়ে সুন্দর বটে বেশি। সংসার তখনই পরিপূর্ণতা পায় যখন একটি সংসারে সন্তানাদি থাকে। আর মা তো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ।
আর একজন মা সন্তানদেরকে আগে না খাইয়ে কখনো খেতে পারে না। সকল শিশুই মায়ের কাছে সন্তানের সমান। যেমন আপনি অন্য শিশুরা পুকুরে স্নান করতে দেখে ছুটে চলে গেলেন তাদের আনন্দগুলি দেখার জন্য।
একজন মা সন্তান ও পরিবারের সকল লোকজনদেরকে কিভাবে ভালো রাখা যায় সব সময় সেই চিন্তায় মগ্ন থাকে। এর ফলে মা তার জীবনের সকল স্বাদ আহ্লাদ ছেড়ে সাংসারিক কার্যক্রমে সর্বদা ব্যস্ত থাকে। মা এর মত এই দুনিয়ায় কেউ আপন হতে পারে না।
আপনার সারাদিনের কার্যক্রম এত সুন্দর করে ব্যক্ত করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।