"ভিন্ন স্বাদের চিকেন রেসিপি"
|
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের প্রত্যেকের আজকের দিনটি অনেক ভালো কাটুক এই প্রার্থনা করে আজকের লেখা শুরু করছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে খুবই সিম্পল একটি চিকেনের রেসিপি শেয়ার করবো। যেটা চটজলদি, খুব কম উপকরণ দিয়ে বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারবেন।
শীতকালে বিশেষত এই রেসিপিটি আমি বানিয়ে থাকি কারণ, বেশিরভাগ দিনে রাতে রুটি খাওয়া হয়। আর এই রেসিপিটি রুটি বা পরোটার সাথে খেতেই সব থেকে বেশি ভালো লাগে। যাইহোক চলুন আগে আপনাদেরকে বলি এই রেসিপিটি তৈরি করতে আমি কি কি উপকরণ ব্যবহার করি।
|
---|
নং | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১. | বোনলেস চিকেন | ৩০০ গ্রাম |
২. | আদা | ১ ইঞ্চি |
৩. | রসুন | ১০ কোয়া |
৪. | কর্নফ্লাওয়ার | ২ চা চামচ |
৫. | ধনেপাতা কুচি | হাফ কাপ |
৬. | কাঁচালঙ্কা | ১ টি |
৭. | টমেটো সস | ৩ চা চামচ |
৮. | সয়া সস | ২ চা চামচ |
৯. | গোলমরিচ গুঁড়ো | ২ চা চামচ |
১০. | লবন | ১ চা চামচ |
১১. | ভিনিগার | ১½ চা চামচ |
১২. | বাটার | ৫ চা চামচ |
|
---|
এবার আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো এই রেসিপিটি তৈরি করার পদ্ধতি। যদিও রেসিপিটি তৈরি করতে আমি বোনলেস চিকেন ব্যবহার করি এবং বোনলেস চিকেন দিয়েই এই রেসিপিটি যদি তৈরি করেন, তবে খেতে বেশি ভালো লাগে।
প্রথমে চিকেন গুলোকে ভালো করে ধুয়ে একটা ঝুড়ির মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে, যাতে জলটা ভালো করে ঝরে যায়। এরপর পরিমাণ মতো লবণ ও গোলমরিচের গুঁড়ো দিয়ে চিকেন গুলো মেখে নিতে হবে। যেহেতু আমি রেসিপিতে কাঁচা লঙ্কা ব্যবহার করেছি, তাই আপনারা যেমন ঝাল খেতে পছন্দ করেন, ঠিক তেমন পরিমাণ গোলমরিচ গুঁড়ো ব্যবহার করবেন। কারন গোলমরিচেও যথেষ্ট ঝাল হয়।
এরপর আদা, রসুন ও কাঁচালঙ্কাকে একসাথে ভালো করে বেটে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে এবং গোলমরিচ দিয়ে মেখে রাখা মাংসের মধ্যে দিয়ে সমস্ত মশলার সাথে ভালো করে ম্যারিনেট করে, বেশ কিছুক্ষণ ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে।
আমি অবশ্য ম্যারিনেট করার জন্য বেশি সময় পাইনি বলে সামান্য ভিনিগার দিয়েছিলাম, যাতে মাংসগুলো তাড়াতাড়ি নরম হয়ে যায়। আপনারা যদি না চান তাহলে ভিনিগার ব্যবহার নাও করতে পারেন, তার বদলে চাইলে পাতিলেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন।
বেশ কিছুক্ষণ ম্যারিনেট করার ফাঁকে আমি কিছুটা আদা এবং কয়েকটি রসুনের টুকরোকে খুব ভালো করে কুচি করে কেটে নেবো। এরপর মেখে রাখা চিকেনের মধ্যে সামান্য পরিমাণ কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে ভালো করে মেখে নিতে হবে।
এরপর গ্যাস জ্বালিয়ে, কড়াই বসিয়ে, তাতে বেশ কিছুটা বাটার দিয়ে ভালো করে গরম করে নিতে হবে। আপনারা চাইলে এই ক্ষেত্রে সাদা তেলও ব্যবহার করতে পারেন। তবে আমি এই রেসিপিটা কেবলমাত্র বাটার ব্যবহার করে তৈরি করি। এরপর ম্যারিনেট করে রাখা মাংসগুলোকে ঐ বাটারের মধ্যে, কম আঁচে, ভালো করে উল্টেপাল্টে ভেজে নিতে হবে।
মাংসগুলো ভাজা হয়ে গেলে, আরও কিছুটা পরিমাণ বাটার দিয়ে, তার মধ্যে আগে থেকে কুচি করে কেটে রাখা আদা, রসুন ও সামান্য পরিমাণে গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে ভেজে নিতে হবে।
এরপর একটি পাত্রে সামান্য জল নিয়ে, তার মধ্যে সয়া সস ও টমেটো সস দিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করে নিতে হবে। রেসিপিটায় খুব বেশি ঝোল থাকে না, তাই বেশি জল ব্যবহৃত হবে না। যতটুকু পরিমাণে জলের মধ্যে সস গুলো গোলা হবে ততটুকু জলই ব্যবহার করতে হবে। তাই সসগুলো গোলানোর সময় জলের পরিমাণটা একটু বুঝে নিতে হবে।
যাইহোক জলটা সামান্য ফুটে এলে আগে থেকে ভেজে রাখা মাংস গুলো দিয়ে, কড়াইটা একটু ঢাকা দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ মাংসটা ফুটতে দিতে হবে। যেহেতু কর্নফ্লাওয়ার দিয়েই মাংসটা ম্যারিনেট করা ছিলো, তাই আলাদা করে আমি আর রেসিপিটিতে কর্নফ্লাওয়ার ব্যবহার করিনি। ঝোলটা এমনিতেই গাঢ় হয়ে যাবে বেশ কিছুক্ষণ ফোটানোর পর।
এরপর নামানোর আগে উপর থেকে কুচি করে কেটে নেওয়া ধনেপাতা ছড়িয়ে দিতে হবে। তারপরেই রেডি হয়ে যাবে চিকেনের এই রেসিপিটি।
এটি খেতে আমি এবং শুভ দুজনেই খুব পছন্দ করি। শীতকালে প্রায়শই এটি করা হয়ে থাকে। সল্প সময়ে, স্বল্প উপকরণ দিয়ে তৈরি এই রেসিপিটি বেশ স্বাস্থ্যকরও বটে, কারণ এতে খুব বেশি তেল মশলার প্রয়োজন হয় না।
যাইহোক আমার এই নতুন রেসিপিটি আপনাদের কেমন লাগলো, অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। সকলে খুব ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
বাবাগো কি সাধের মুরগি রান্না দুই পিস হলে গরম ভাত দিয়ে মোস পাকিয়ে খেতে পারতাম। বাটা মসলা দিয়ে মুরগি ভেজে রান্না করলে তার স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
মাঝেমধ্যে আমিও মুরগি ভেজে রান্না করি তবে শুধু হলুদ আর গোলমরিচ দিয়ে ভাজি তাতেই যে স্বাদ লাগে আর আপনি তো এর ভিতর অনেক কিছু দিয়েছেন। যাই হোক ভিন্ন স্বাদের এই মুরগির মাংস রান্না একদিন করে খেয়ে দেখব।
দিদি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রতিটি ধাপে ধাপে মুরগির মাংসের রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।
Thank you so much for your support @wirngo. 🙏
ভিন্ন স্বাদের চিকেন রান্নার পদ্ধতি আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন। এটা দেখে মনে হলো খেতে অনেক সুস্বাদু ও মজাদার হয়েছে । এবং আপনারা অনেক মজা করে খেয়েছেন অবশ্য দাওয়াত পেলে আমরাও একসাথে গিয়ে খেতে পারতাম যাইহোক এতো সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।