Better life with steem || The Diary Game || 03rd July, 2024 ||

in Incredible India2 days ago
IMG_20240704_112409.jpg
"গতকালের কিছু মুহুর্ত"

Hello,

Everyone,

কেমন আছেন আপনারা সকলে?
আশা করছি সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং প্রত্যেকের আজকের দিনটি ভালো কেটেছে।

অনেকদিন বাদে আজ নিজের দিন যাপনের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি। গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি যেন একেবারে কমতেই চাইছে না। কখনো জোরে, কখনো টুপটাপ করে পড়েই চলেছে, থামবার একেবারেই নাম নেই।

অতিরিক্ত কোনো কিছুই আসলে ভালো লাগে না। তবে প্রকৃতি এখন যেন প্রতিশোধ নিচ্ছে। তাই যখন যেটা ফিরিয়ে দিচ্ছে সবটা অতিরিক্ত দিচ্ছে। সেটা গরম হোক, শীত হোক অথবা বর্ষা। তবে আমি পণ করেছি, শীতের কথা আর বলবো না। কারণ এইবার যে পরিমানে গরম পড়েছে, তার থেকে শীত অনেক ভালো।

বর্ষা আমার বেশ ভালই লাগে। তবে প্রত্যেক ঋতুর মতন বর্ষারও বেশ কিছু জিনিস আমার অপছন্দ। এরমধ্যে সব থেকে বেশি অপছন্দ হল এই সময় জামা কাপড় শুকানো বড্ড বেশি কষ্টের।

যাইহোক তবু প্রকৃতির নিয়ম আমাদের সকলকে মেনে চলতে হয়। তেমন ভাবেই একটি বর্ষণমুখর দিন কিভাবে কাটালাম, সে গল্প এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি। চলুন তাহলে শুরু করি,-

1672344690977_010726.jpg

"সকালবেলা"

IMG_20240703_105927.jpg

সকালে ঘুম ভাঙলো ৬.২৪ নাগাদ। হঠাৎ করে জলের আওয়াজে ঘুম ভেঙে ছিল। ভেবেছিলাম খুব জোড়ে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। পরে দেখলাম পাশের বাড়িতে পাম্প চালিয়েছিল, ট্যাঙ্কি ভর্তি হয়ে জল উপচে পড়ছে।

এরপর আবার শুয়ে পড়লাম। তারপর যথারীতি ফোনে অ্যালার্ম শুনে ঘুম ভাঙলেও, তথন বাইরে টুপটাপ বৃষ্টি পড়ছিল, তাই ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করছিল না। তাই বেশ কিছুক্ষণ শোয়ার পর উঠে পড়লাম।

IMG_20240703_104545.jpg

বৃষ্টি পড়ার কারণে তখন গাছের ফুল তোলা সম্ভব হয়নি বলে, ফ্রেশ হয়ে নীচে চলে গেলাম। তারপর চায়ের জল বসালাম। শশুর মশাইয়ের আজকাল ব্রেকফাস্টের আগে ইনসুলিন নিতে হয়। তবে সকলে চা বিস্কুট খান, তাই ওনাকে চা দিয়ে শুভর চা দিয়ে দিলাম। তারপর নিচে গিয়ে রান্না বসালাম।

IMG_20240703_112615.jpg

কিছুক্ষণ বাদে শশুর মশায়ের ইনসুলিন দেওয়ার সময় হলে, আমাকে সেটা দিয়ে দিলাম। তারপর বাকি রান্না শেষ করে আমি শ্বশুর মশাইয়ের জন্য রুটি করলাম। তবে আজকাল ওনার রুটি খেতে ইচ্ছে করছে না বলে, রুটিগুলো হটপটে রেখে দিলাম। ওনার জন্য গতকালকে চিকেন সুপ করে রেখেছিলাম, সেই ওনাকে গরম করে দিলাম।

সেটা খেয়ে উনি আবার একটু শুয়ে পড়লেন। আজকাল বড্ড বেশি দুর্বল লাগে শরীর। যাইহোক এরপর যথারীতি শুভ ব্রেকফাস্ট সেরে অফিসে বেরোলো। যখন বেরোচ্ছিল তখন হালকা বৃষ্টি পড়ছিল, তবে রেইনকোট পড়ে বেরোতে চাইলো না। প্রতিদিনের মতন ও বেরিয়ে যাওয়ার পর আমি কমিউনিটির কাজ নিয়ে বসে পড়লাম।

1672344690977_010726.jpg

"দুপুরবেলা"

কমিউনিটির কাজ করতে করতে সকালে ব্রেকফাস্ট করে নিয়েছিলাম। তারপর আবার কাজ নিয়ে বসায় কখন দুপুর হয়েছে বুঝতে পারিনি। আজ অনেকদিন বাদে দুপুরের দিকে কিছুক্ষণের জন্য বৃষ্টি বন্ধ ছিলো। তাই গতকাল ধুয়ে রাখা জামাকাপড় গুলো ছাদে মেলে দিলাম।

তারপর ঘরের কিছু কাজ সেরে নিয়ে স্নান করতে যাবো, এমন সময় আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি আবার মেঘ জমেছে। জামাকাপড় গুলো যদিও শুকায়নি কিন্তু যতখানি জল টেনেছে, বৃষ্টি আসলে আবার পুরোটা ভিজবে, সেই আশঙ্কায় জামা কাপড় গুলো ঘরে রেখে তারপর দিলাম।

IMG_20240703_104221.jpg

এরপর স্নান সেরে পুজো দিয়ে নিলাম। লাঞ্চের জন্য বিশেষ কিছু রান্না করা হয়নি। শাশুড়ি মায়ের জন্য ভাত, মাছ সবই ছিলো। আমাদের জন্য শুধু খিচুড়ি রান্না করেছিলাম। বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি ভালোই লাগে।

1672344690977_010726.jpg

"বিকালবেলা"

খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য একটু শোবো ভেবেছিলাম, সেই মুহূর্তে ডিসকর্ডে বেশ কিছু জরুরী কথা বলছিলাম অ্যাডমিন ম্যামের সাথে। তখন ম্যামকে জানালাম আমাদের সাপ্তাহিক আর্ট ক্লাসে আজ বাকিরা উপস্থিত থাকতে পারবে না। তাই ক্লাসটা আমি একাই করবো।

IMG_20240703_110431.jpg

সেই কারণে সময় এক ঘন্টা এগিয়ে আনা হলো অর্থাৎ ছটার বদলে ক্লাস শুরু হয়েছিল বিকেল পাঁচটায়। এই বিষয়টাতে আমার সত্যিই অনেক বেশি উৎসাহ, তাই হয়তো অনেক ক্লান্ত থাকার পরেও ক্লাসটি আমি মনোযোগ দিয়েই করেছি।

আজ ম্যাম আমাকে প্রজাপতি আঁকা শিখিয়েছেন। কতখানি ভালোভাবে আঁকতে পেরেছি, সেটা অবশ্যই পরবর্তীতে কোনো একটি পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করবো।

1672344690977_010726.jpg

"সন্ধ্যাবেলা"

যাইহোক ক্লাস শেষ করার পর, একটা বিশেষ বিষয় নিয়ে ডিসকর্ডে অ্যাডমিন ম্যামের সাথে কথা হলো। তারপর আমরা আরও দুজনের সাথেও কথা বললাম। তারপর চলে গেলাম সন্ধ্যা পূজো দিতে। সন্ধ্যা পুজোর শেষ করে যথারীতি বুমিং সংক্রান্ত কাজ নিয়ে বসলাম। পাশাপাশি আরও বেশ কিছু দায়িত্ব ছিলো, সেগুলো করার চেষ্টা করলাম। শুভ আজ সেলুনে গিয়েছিল চুল কাটতে, সেখান থেকে অনেকটা রাত হয়ে গিয়েছিল কারণ, তাই সেখানে অনেক ভীর ছিলো।

1672344690977_010726.jpg

"রাত্রিবেলা"

IMG_20240703_105425.jpg

কমিউনিটির কাজ দেখতে দেখতে প্রায় অনেকটাই রাত হয়ে গিয়েছিলো। তাই শ্বশুরমশাইকে ইনসুলিন দেওয়ার পর আমি রুটি করতে গিয়েছিলাম। যদিও উনি রুটি খেতে চান না। আসলে ওনার মুখে কোনো জিনিসেরই স্বাদ পাচ্ছেন না।

IMG_20240703_104357.jpg

অন্যদিকে পিকলুও ভীষন জ্বালাতন করছে গত কয়েকদিন যাবৎ। তাই রাতে পিকলুকে অনেক কষ্ট করে একটা রুটি খাইয়ে দিয়েছিলাম। তাও সম্পূর্ণ খাওয়াতে পারিনি। যাইহোক খাওয়ার পর ওকে প্রতিদিনের সকল ওষুধ খাইয়ে দিলাম।

এরপর নিজেরা বসলাম ডিনার করতে। দিনের শেষে সব কিছু গুছিয়ে আবার পুনরায় কমিউনিটির কাজ নিয়ে বসেছিলাম। তারপর সেগুলো সেরে ঘুমিয়ে পড়লাম। এইভাবেই কেটেছিল আমার গত কালকের দিনটি। ভালো থাকবেন সকলে।

9vWp6aU4y8kwSZ9Gw15LFL3aMdhmgmBBFMpDJregpdP328TqCvhjhspw5NBPbWMShaDD4yjYoZFwyWS9XH9YcrMyqTMGHiWpaGrwDGkXYMbDHgxptYZq3ueRpXapEAPkAuu3vPaZSXJ2USdTC.png

Sort:  
Loading...
 2 days ago 

আসলে দিদি যদি সারাদিন বৃষ্টি হয় তাহলে বাসায় বসে থেকে শুধু কিছু না কিছু খেতে মন চায়, বৃষ্টির সময় ভুনা খিচুড়ি যদি করা হয় তাহলে সেগুলো অনেক মজার লাগে খেতে।

শুধু আপনাদের ওখানে বৃষ্টি হচ্ছে না আমাদের এখানেও প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছে কিছুক্ষণ পরপর থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে যেটা বলার নেই। যাইহোক আজকে আপনার সারাদিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

 yesterday 
  • জীবনের দুটো সময়ে মানুষ নিজের কাজ নিজে করতে পারে না। যখন মানুষ ছোট থাকে তখন সে নিজের কোনো কাজ নিজে করতে পারে না। খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে সব কিছু মা করিয়ে দেয়। আর মানুষ যখন বয়সের ভারে ভেঙে পড়ে তখনও সে অন্যের প্রতি নির্ভর হয়ে পড়ে। সকলকে নিয়ে অনেক ভালো থাকবেন।

  • আপনার সাথে আমি সম্পূর্ণ সহমত বৃষ্টির দিনে খিচুড়ির মতো উত্তম জিনিস আর হয় না।