Better life with steem || The Diary Game || 28th June, 2024 ||
|
---|
Hello,
Everyone,
কেমন আছেন আপনারা সকলে?
আশা করছি সকলে ভালো আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটি বেশ ভালো কেটেছে।
আমার দিনটি আজ মোটামুটি ভালোই কেটেছে। সকালটা যতটা সুন্দর শুরু হয়েছিলো, দিনটা ততটা ভালোভাবে শেষ হয়নি। যাইহোক সারাদিন আমার কেমন কেটেছে, সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি এই পোস্টের মাধ্যমে। চলুন তাহলে শুরু করি, -
"সকালবেলা"
|
---|
ভোর বেলার দিকে ভালোই ঠান্ডা লাগছিলো। ফ্যান চলছিল ফুল স্পিডে, ঘুম চোখে কোনরকমে কাঁথাটা গায়ে দিয়েছিলাম। তবে বুঝতে পারিনি বাইরে তখন টিপ টিপ করে বৃষ্টি পড়ছিলো।
বেশ কিছুক্ষণ বাদে ঘুম ভাঙলো। একটু পরে অলসতা কাটিয়ে ঘুম থেকে উঠলাম। দরজা খুলতে দেখি ছাদ সম্পূর্ণ ভিজে এবং তখনও পর্যন্ত টুপটাপ করে বৃষ্টি পড়ছে। একটু সময় দাড়িয়ে বৃষ্টির উপভোগ করলেও, খুব বেশি সময় দাঁড়াতে পারলাম না। কারণ ততক্ষণে বাড়ির কাজ গুলো যেন পিছন থেকে তাড়া দিচ্ছে।
|
---|
যাইহোক সোজা নিচে নেমে এলাম এবং প্রতিদিনকার মতো রান্না করে গিয়ে চায়ের জল বসিয়ে দিলাম। শশুর মশাইয়ের রক্ত নিতে আসার কথা, সেই কারণে আমি উনি কিছু না খেয়ে বসে ছিলেন। তাই শুভর জন্য চা নিয়ে উপরে গেলাম। ওকে ডেকে দিয়ে আসলাম এবং শ্বশুরমশাইয়ের চা ফ্ল্যাক্সে রাখলাম। ওনার রক্ত নিয়ে চলে যাওয়ার পর,আমি ওনাকে চিড়ে দিলাম। আর চিড়ে খাওয়ার পর উনি চা খেয়ে নিলেন।
ইতিমধ্যে শাশুড়ি মা ঘুম থেকে উঠে পড়লেন। আজ
আমাদের সাপ্তাহিক বাজার করতে হবে, সেই কারণে উনি একটু সকাল সকালে বাজারে চলে যাবেন ঠিক করেছিলেন। খাওয়ার পরেও যেহেতু রক্ত দিতে হবে, তাই শ্বশুরমশাই সকালে ভাত খাবেন বলে, শাশুড়ি মা ওনার জন্য রুটি করতে বারণ করলেন, উনি একটু মুড়ি খেয়ে নেবেন বললেন।
|
---|
যাইহোক উনিও বাজারে চলে গেলেন। তারপর সময় মত শ্বশুর মশাইকে ভাত খেতে দিয়ে শুভকে ব্রেকফাস্ট দিলাম। ও অফিসে বেরিয়ে যাওয়ার পর আমি ঘরের কাজ সেরে নিলাম। গত দুদিন যাবৎ পিকলুর শরীরটাও বেশ খারাপ। কিছু খেতে চাইছে না। তাই ওকে একটা বিস্কুট খাওয়ানোর চেষ্টা করলাম। বাইরে তখনোই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি শুরু হলো, তবে খুব বেশিক্ষণ বৃষ্টি হয়নি।
কিছুক্ষণ বাদে শ্বশুরমশাইয়ের ব্লাড নিতে আসল। উনি যাওয়ার পর আমি কমিউনিটির কাজ নিয়ে বসলাম। কিছুটা কাজ এগিয়ে রাখার পর, শাশুড়ি মায়ের সাথে বাজার গোছানোর কাজে হাত লাগাতে হলো। সারা সপ্তাহের বাজার আনলে সেদিন কাজের চাপ একটু বেশি থাকে।
"দুপুরবেলা"
এইসব কাজ করতে মোটামুটি দুপুর হয়ে গেলো। আমি সবজিগুলো ফ্রিজে রাখার পর, ঘরের অন্যান্য কাজ করতে শুরু করলাম। শাশুড়ি মা রান্নাঘরে গিয়ে বাকি রান্নাটুকু শেষ করলেন। ভেবেছিলাম বৃষ্টি হওয়ায় গরম কিছুটা কমবে, কিন্তু অল্প পরিমাণে বৃষ্টি হওয়াতে গরম যেন আরও দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিলো।
|
---|
এরপর বেশ কিছুক্ষণ নষ্ট হল পিকলুকে খাবার খাওয়াতে এবং তারপর ওষুধ খাওয়াতে। ওকে ওষুধ খাওয়ানো প্রায় যুদ্ধের সমান। অবশেষে যুদ্ধ শেষ করে স্নান করতে গেলাম এবং স্নানের শেষে পুজো দিয়ে একটু শুয়ে নিলাম, বড্ড বেশি ক্লান্ত লাগছিলো।
শশুর মশাইয়ের স্নান হয়ে গেলে ওনাকে খেতে দিয়ে আমি শাশুড়ি মায়ের জন্য অপেক্ষা করলাম। উনি স্নান করে আসার পর দুইজনে মিলে লাঞ্চ করে নিলাম। খাওয়া দাওয়া শেষ করতে প্রায় চারটের বেশি বেজে গেলো। কমিউনিটিতে ঢুকে দেখলাম কয়েকটি পোস্ট আন ভেরিফাইড আছে, তাই দুটো পোস্ট ভেরিফাই করে একটু সময় বিশ্রাম নিলাম।
"সন্ধ্যাবেলা"
দেখতে দেখতে সন্ধ্যা হয়ে এলো। আজ অবশ্য সন্ধ্যা পুজো শাশুড়ি মা দিয়েছেন। সেই সময় আমি আবার শশুর মশাইয়ের সুগার চেক করছিলাম। কারণ ইদানিং উনার সুগার অনেকটাই বেশি, পুনরায় যাতে আবার ফল না করে, এই কারণে উনার শরীর একটু খারাপ লাগলেই চেক করে দেখি।
এরপর উনাকে একটু ম্যাগি করে দিলাম এবং সবশেষে উনাদের জন্য চা করে দিয়ে, আমি বুমিংয়ের কাজ নিয়ে বসলাম। পিকলুকে একটা বিস্কুট খাওয়ানোর চেষ্টা করলাম, কিন্তু সে কিছুতেই খেলো না।
"রাত্রিবেলা"
|
---|
শুভ অফিস থেকে আসার সময় রসগোল্লা নিয়ে এসেছিলো। আসলে পিকলু যখন কিছু না খায়, তখন ওকে রসগোল্লা খাওয়ানো হয়, এটা অবশ্য ডাক্তারই বলেছেন। রসগোল্লা দেখি তিনি মহা খুশি হয়েছেন। তাই তৎক্ষণাৎ ওকে একটা রসগোল্লা দিলাম।
|
---|
শুভর টিফিনের জন্য ডিম টোস্ট করলাম। বেশ রাত হয়ে গেছে, তাই একটা ডিম টোস্ট আমি এবং শুভ ভাগ করে খেয়ে নিলাম। একটু বাদে রুটি করার সময় হয়ে যাবে, তাই আমি নিজের পোস্ট লিখতে বসে পড়লাম। পোস্ট করা শেষ করে আমি রুটি করে নেবো, তারপর পিকলুকে খাওয়াতে বসবো। কারণ আজকাল ওকে খাইয়ে, ওষুধ খাওয়াতে অনেকটা সময় চলে যায়।
পিকলুর খাওয়া হলে, যথারীতি নিজেরাও ডিনার করবো। আর শেষে সমস্ত কাজ গুছিয়ে বসে যাবো কমিউনিটির কাজ নিয়ে। আজকাল এটাই আমার প্রতিদিনকার রুটিন।
যাইহোক আমার দিনটি আজকে আমি এইভাবেই কাটালাম। আপনাদের দিনটি কিভাবে কাটল অবশ্যই জানাবেন। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। শুভরাত্রি।
যাক, পোস্ট লেখার সময়টা আমার পরিবর্তন হয়েছে যেটা দিনলিপির মাধ্যমে জানতে পারলাম। বৃষ্টি আমাদের এখানে ও প্রতিদিন হচ্ছে যে কারণে একটু হলেও প্রশান্তি পাচ্ছি। ওহ এটা জেনে খারাপ লাগলো পিকলু বাবুর শরীর ভালো যাচ্ছে না।
দিনলিপির মাধ্যমে আপনার পরিবার, আবহাওয়া ও আপনার সকল কার্যক্রম সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে পারলাম। এটা শুনে ভালো লাগলো যে আপনি ডিম টোস্ট খেয়েছিলেন, কারণ আমি সবসময় আপনাকে দেখেছি খাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার প্রাধান্য অনেক কম। যেটা শরীরের জন্য ভালো না।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি আপনি আপনার সারাদিনের যেসব কাজকর্ম। করেছেন সেসব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এবং আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনি।
সকাল বেলা বৃষ্টির জন্য ঠান্ডা ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে কিন্তু দুপুরবেলা বৃষ্টি হলেও যেন গরম কমছে না। বৃষ্টি পরার রিমঝিম শব্দ শুনতে ভালো লাগে এবং বৃষ্টি দেখতেও ভালো লাগে কিন্তু সংসারের কাজের জন্য তো আপনি বেশি সময় দেখতে পারেননি।
যেহেতু আপনার শ্বশুর মশাই অসুস্থ তাকে সঠিক সময় খাবার দিতে হবে এবং আজকে তার রক্ত নিতে আসবে ।সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি মেসো তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক।
যেদিন সাপ্তাহিক বাজার করা হয় সেদিনের কাজ শেষ হয় না তাইতো সমস্ত কাজ শেষ করে দুপুরের খাবার খেতে আপনাদের বিকেল চারটার বেশি বেজে গিয়েছিল।
পিকলুর জন্য খুব খারাপ লাগছে ।আশাকরি দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে ।আপনার ব্যস্ততম একটি দিনলিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ্ আপনাদের জন্য রইল শুভকামনা ।
আসলে যখন সকাল বেলা বৃষ্টি আসে তখন ঘুম থেকে উঠতে একদম মন চায় না। এবং ভালোই লাগে ঠান্ডা ঠান্ডা অনুভব এটা উপভোগ করতে আসলে আমাদের সবার ভালো লাগে।
যাইহোক সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ছাদে গিয়ে দেখতে পেলেন ছাদ সম্পূর্ণ ভিজে গিয়েছে এবং তখন ও হালকা হালকা বৃষ্টি হচ্ছিল। আপনি বৃষ্টি উপভোগ করছিলেন কিন্তু বেশি সময় উপভোগ করতে পারেননি। কারণ কাজ আছে আপনার সংসারে অনেক যে গুলা আপনার সম্পন্ন করতে হবে।
গৃহিণীদের জন্য আসলে আনন্দের মুহূর্তে যখন মনে পড়ে তার সংসারে কাজ আছে। তখন তাদের সেই আনন্দ গুলো চলে যায়। যাই হোক আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
বর্তমান সময়ে আমাদের এখানেও বৃষ্টি হচ্ছে। আজকে প্রায় তিন চার দিন যাবৎ। তবে বেশ ভালই লাগে ঠান্ডা আবহাওয়া রাত্রি বেলা কাঁথা মুড়ি দিয়ে ঘুমাতে। আর বৃষ্টির সময় তো সকাল বেলা ঘুম ভাঙতেই চায় না। কিন্তু তারপরেও সংসারের কাজগুলো করার জন্য উঠে পড়ে লেগে যেতে হয়।
এর আগেও আপনার পোস্টে পড়েছিলাম, পিকলু কে খাবার খাওয়ানো এবং ঔষধ খাওয়ানো দুইটা নিয়ে আপনাকে যুদ্ধ করতে হয়। তবেও যেহেতু কিছু খাচ্ছে না। তাই আপনারা ওর জন্য রসগোল্লা নিয়ে এসেছেন। দুইজন মিলে ডিম টোস্ট বানিয়ে খেয়ে নিয়েছেন। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।