আমার হাতের তৈরি ডিম কষা
প্রিয় বন্ধুরা,
আশাকরি আপনারা সবাই সুস্থ ও ভালো আছেন।কাল রাত থেকে আমার খুব জ্বর।সকাল থেকে উঠতে পারছিলাম না।
তাই আজ সব ছাএ ছাএী গুলো আমার বাড়িতে পড়তে আসলো।ওদের এখন পরীক্ষা চলছে,তাই পড়া বন্ধ করা যাবেনা।
শুয়ে শুয়ে ওদের কে পড়ালাম।আসলে ওদের সঙ্গে সময় কাটালে আমার ও একটু ভালো লাগে।আজ শরীর খারাপ থাকার কারণে বাজার যাওয়া হয়নি।
আর আজ বাড়িতে ও কেউ নেই।আমার শাশুড়ি, ননদ,ওরা সব রানাঘাটে ঘুরতে গেছে।ওরা আজ রাতে ফিরবে।
তাই শরীর খারাপ থাকার কারণে উঠে গিয়ে রান্না করতে পারছিলাম।তবুও কষ্ট করে হলেও রান্না করতে হবে।
আজ খুব মায়ের কথা মনে পড়ছিলো।মা কাছে থাকলে আমায় বিছানা দিয়েই উঠতে দিতো না।
তাই আজ ফ্রিজে ডিম ছিলো আমার স্বামী বললো একবারে ডিম কষা করে নাও।আমি ওষুধ খেয়ে আসতে আসতে উঠে রান্না ঘরে গেলাম।
তো আসুন আজ আমি কী করে ডিম কষা রান্না করলাম তা আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো।
উপকরণ:-
১)ডিম-৬টা।
২)পিঁয়াজ-২টো মাঝারি সাইজের(ঝিড়ি ঝিড়ি করে কাটা)
৩)টমেটো-১টা(লম্বা লম্বা করে কাটা)
৪)আদা বাটা -২ চা চামচ।
৫)রসুন বাটা-২ চা চামচ।
৬)জিরের গুঁড়ো-১ চা চামচ।
৭)লঙ্কার গুঁড়ো-১ চা চামচ।
৮)হলুদ-পরিমাণ মতো।
৯)নুন-স্বাদ মতো।
১০)সরষের তেল-২ চা চামচ।
রন্ধন পদ্ধতি:-
১)প্রথমে গ্যাস জ্বালিয়ে প্রেসার কুকারে জল দিয়ে তার মধ্যে ডিম গুলো আসতে করে দিয়ে ওর মধ্যে নুন দিয়ে ঢাকণা দিয়ে সেদ্ধ করে নিলাম।
২)তারপরে ঠান্ডা হলে প্রেসার কুকার খুলে ডিম গুলো একটা পাএে নামিয়ে নিলাম।
৩)তারপরে ডিম গুলোর খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে একটা পাএে রেখে দিলাম।
৪)তারপরে ডিম গুলোর মধ্যে নুন মাখিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিলাম।
৫)গ্যাসের ওপর আঁচ কমিয়ে একটা কড়াই বসিয়ে দিলাম।
৬)কড়াই গরম হলে সরষের তেল দিয়ে দিলাম।
৭)তেল গরম হলে ডিম গুলো হালকা ভাবে ভেজে নিয়ে একটা পাএে তুলে নিলাম।
৮)তারপরে কড়াইতে অবশিষ্ট তেলের মধ্যে সামান্য পরিমাণ কালোজিরে দিয়ে দিলাম।
৯)কালোজিরের মধ্যেই পিঁয়াজ কুঁচি, টমেটো গুলো দিয়ে সামান্য নুন দিয়ে নাড়িয়ে একটু ভাজা ভাজা করলাম।
১০)ভাজা ভাজা হলে ওর মধ্যে আদা বাটা,রসুন বাটা দিয়ে আবার একটু ভালো ভাবে মিশ্রিয়ে নিলাম।
১১)তারপরে মশলা গুলোর মধ্যে নুন,হলুদ,জিরের গুঁড়ো, লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে ভালো ভাবে মিশ্রিয়ে নিলাম।
১২)তারপরে ভালো ভাবে কষানো হলে হাফ কাপ গরম জল ঢেলে দিলাম।
১৩)তারপরে ডিম গুলো ওর মধ্যে দিয়ে দিলাম।
১৪)তারপরে ভালো ভাবে ফুটিয়ে জলটা শুকিয়ে গেলে একটা পাএে নামিয়ে নিলাম।
গরম গরম ভাত,রুটি দিয়ে ডিম কষা খেতে দারুন লাগে।আপনাদের কেমন লাগলো আমার রান্নাটি অবশ্যই জানাবেন কিন্তু।আজ এখানেই শেষ করলাম।
শুভ রাত্রি।
ম্যাডাম শুরুতে দেখলাম ৬ টা ডিম, রান্না সম্পূর্ন হতে হতে গিয়ে দাঁড়ালো ৩ টে! বলছি কি রান্না করতে করতে কি বাকিগুলো পেটে চালান করে দিয়েছিলেন! হাহা😂
আমার ছেলের আর আমার পছন্দের রান্না এটি। ডিম আমাদের ভীষন প্রিয়।
ম্যাডাম, বলছি একদিন নিমন্ত্রণ করে খাওয়াতেও তো পারেন, রোজ রোজ এইসব খাবার এখানে দিয়ে আমাদের ক্ষিদে বাড়িয়ে দিচ্ছেন।