চলার পথে কিছু ছবি-2।Photography Post
Edited by Canva |
---|
এই ফুলের নাম আমার আজকের আগে জানা ছিল না। এই পোস্ট লিখতে গিয়ে নাম গুগল লেন্স এ সার্চ দিয়ে এর নাম জানতে পারলাম দুরন্ত ইরেকটা। তবে সহজ বাংলাতে এই ফুল দুরন্ত ফুল নামেই পরিচিত। এই ফুল আমার চোখে একমাত্র কুমিল্লার মিয়ামি রেস্টুরেন্ট ছাড়া চোখে পড়েছে বলে মনে পরে না।
যতবারই এই রেস্টুরেন্টে যাই ততবারই সারিধরা এই ফুলের গাছ ও ফুল দেখে যত না মুগ্ধ হই ,তারচেয়েও অনেক বেশি মুগ্ধ হই এই ফুলের গাছে বিভিন্ন ধরণের প্রজাপতি ও অসংখ্য মৌমাছিদের আনাগুনা দেখে। বিশেষ করে এতো মৌমাছি উড়াউড়ি করে এই ফুলকে ঘিরে যে কাছে যেতে ভয় লাগে এই ভেবে যে ,এই বুঝি কামড়ে দিলো। কিন্তু ওরা মানুষকে পাত্তাই দেয় না। ঘুরে ঘুরে মধু পান করতেই ব্যাস্ত থাকে।
গাজীপুরের ভেতর দিয়ে ঢাকা আস্তে গিয়ে বাইপাস রোদ খুঁজতে গিয়ে গুগল ম্যাপ এ সার্চ দিলে গুগল আমাদেরকে এই রাস্তা দেখিয়ে দেয়। আমরা এক নাম না জানা গ্রামের ভেতরে ঢুকে পরি। দুইপাশ দিয়ে কোথাও আধপাকা ধানক্ষেত আবার কোথাও কৃষকরা ধানখেতে নিয়ে যাচ্ছে কিংবা ধানকাটা শেষ হয়ে যাওয়া লালচে রঙের দিগন্ত বিস্তৃত ফাঁকা মাঠ ফাঁকা পরে আছে।
গ্রামে গেলে একটা জিনিস আমাকে সব সময়ই অবাক করে আর সেটা হলো মানুষের অভাব। যেকোনো গ্রামেই যাই না কেন ,গ্রামে মানুষ অনেক কম বাস করে। মানুষ সব শহরমুখী ,বিশেষ করে ঢাকা শহর । যেখানে মানুষ এর ভিড়ে পা রাখাটাই দায়। এই গ্রামেও একই অবস্থা চোখে পরলো। আমরা যতই এই পথ ধরে যতই সামনে এগুলাম আস্তে আস্তে ফসলি জমি কমে আসতে শুরু করলো।
দুই পাশের সমতলভূমি ধীরে ধীরে কিছুটা উঁচু-নিচু হতে শুরু করলো আর সেই সাথে মাটির কালচে রং বদলে যেয়ে লালচে হতে শুরু করলো। রাস্তার পাশে যা দুই - চারটা বাড়ি-ঘর দেখা যাচ্ছিলো সেগুলিও ক্রমশ কমতে শুরু করলো। মনে হলো আমি হঠাৎ করেই কোনো পাহাড়ি অঞ্চলে ঢুকে পড়লাম।
ফসলি জমির বদলে লাল মাটির মাঝে শালবন ধাঁচের বনভূমি নজরে এলো দুই পাশে। আর এই বনভূমির মাঝখান দিয়ে সাপের মতো কালো পিচঢালা চমৎকার রাস্তা চলে গেছে।
আমরা কয়েক জায়গাতে থামলাম। দেখলাম এক গাছ থেকে আরেক গাছে লাফিয়ে লাফিয়ে কাঠবিড়ালিরা চলে যাচ্ছে। চোখের পলকে গাছের মাথায় চলে যাচ্ছে। চারপাশে পাখির শব্দ। যদিও মাঝে মাঝে এই নীরবতা ভঙ্গ করে গর্জন করতে করতে ট্রাক চলে যাচ্ছে দুই একটা। কিন্তু রাস্তায় এছাড়া আর কোনো যানবাহন নেই ,মানুষ নেই। কিন্তু এই ছবিটা যেখানে তুলেছি সেখানে মানুষ দেখতে না পেলেও মানুষের পায়ে হাঁটা সরু পথ দেখেছি। হয়তোবা কাছাকাছি কোথাও মানুষ আছে।
তবে যে জিনিসটা দেখে কষ্ট পেলাম সেটা হলো ,এমন নিরিবিলি জায়গার মাঝে মাঝেই মানুষের হাত পড়েছে। বিশাল বিশাল প্লট করে এই বনভূমি কেটে ফেলছে। হয়তো পরের বার যদি এই পথে যাই তখন অনেক জায়গাতেই হয়তো দেখবো বিশাল বিশাল ফ্যাক্টরি গড়ে উঠেছে। কারণ গাজীপুর এলাকা ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল এরিয়া। এদের হাত থেকে এই বনভূমি রেহাই পাবে বলে মনে হয় না। হারিয়ে যাবে এখানকার কাঠবিড়ালি ,পাখি ও অন্য সব জীবেরা।
Camera | iPhone 14 |
---|---|
Photographer | @sayeedasultana |
Location | Dhaka,Bangladesh |
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর লাগছে। তবে আপনার পোস্টে ফুলগুলি এই প্রথমবার দেখলাম। আমি আগে কখনো এরকম ফুল দেখিনি। নামটাও বেশ ভালোই। মানুষ এই ভাবেই বনভূমি কেটে পরিবেশে ক্ষতি করছে। বর্তমান যুগে পাখি তো আমাদের দেশ থেকে হারিয়ে গেছে। যত বড় বড় ফ্যাক্টরি কিংবা ফ্লাট তৈরি হচ্ছে ততই আমাদের পরিবেশ ক্ষতি বেড়েই চলেছে।
এই ফুলগুলি আমার এই একটা জায়গা ছাড়া অন্য কোথাও চোখে পরে নাই। তবে ফুলগুলি আসলেই খুব সুন্দর আর প্রচুর পরিমানে ফুটে। সেই সাথে মৌমাছি আর প্রজাপতির কথা তো বলছিই। একদম ঠিক বলেছেন যে ,পাখি তো প্রায় হারিয়েই গেছে।
চলতি পথে আমরা অনেক কিছুই দেখতে পাই, রাস্তার পাশে অনেক সুন্দর দৃশ্য দেখতে পাই, অনেক সুন্দর সুন্দর ফুল দেখতে পাওয়া যায়। গুগল ম্যাপের কারণ আমাদের রাস্তা চিনতে সহজ হয়। ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন যে চলার পথে আমরা অনেক কিছুই দেখতে পাই। তবে আমি ঢাকা থাকার কারণে মানুষ ,গাড়ি আর জ্যাম ছাড়া তেমন কিছু দেখি না।
অবশ্য আমার বারান্দা থেকে আকাশ দেখা যায়। বলা যায় এটাতেই আমি শান্তি খুঁজে বেড়াই। এজন্যই চেষ্টা করি ঢাকার বাইরে যেয়ে নতুন নতুন জায়গা দেখতে।
এটা ঠিক যে ,গুগল মাপের কল্যানে এখন আর আমাদেরকে নতুন রাস্তা খুঁজে পেতে সমস্যায় পড়তে হয় না আগের মতো।
ঢাকা গাড়ি আর জ্যাম থাকলেও ঢাকাতে থেকে মজা আছে, আমি দশ বছর ঢাকা থেকেছি, ঢাকাতে অনেক ঘোরার জায়গা আছে, সেগুলো সুন্দর হলেও গ্রামের মত না। ধন্যবাদ
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল এবং আমাদের মাঝে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি এবং বিষয়গুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপু ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনি এরকম পোস্ট আরো আপনার কাছ থেকে দেখতে চাই।
আমার তোলা ছবিগুলি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।আসলে আমাদের দেশটাই খুব সুন্দর কিন্তু আমরা একে অসুন্দর করে রাখি কিংবা ফেলি ।চারপাশে তাকান দেখবেন কত সুন্দর আমাদের এই দেশ।অবশ্যই আমি চেষ্টা করবো এমন আরো পপোস্ট শেয়ার করার ।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর মানুষ কতৃক নির্মিত সৌন্দর্যের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। আপনি আমাদের সামনে কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে এসেছেন। তবে আমার কাছে সব থেকে মৌমাছির মধু সংগ্রহ করার ফটোগ্রাফিটা ভালো লাগছে। এটা শুধুই একটা ফটোগ্রাফি নয় বরং মৌমাছির জীবনে লড়াই করার প্রতিচ্ছবি।
আমিও আপনার সাথে একমত যে ,প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর মানুষ কতৃক নির্মিত সৌন্দর্যের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।আমার কাছে মানুষ কতৃক নির্মিত সৌন্দর্যের থেকে প্রকৃতি সৈন্দর্যই বেশি ভালো লাগে। যার কারণে সুযোগ পেলেই প্রকৃতির কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করি।