A day tour to Sirajganj। Travel diary । 22, June 2024।

in Incredible Indialast month
Black and Orange Aesthetic Halloween Photo Collage.png

ঈদের কয়েকদিন আগে থেকেই যমুনা নদী পাড় হয়ে সিরাজগঞ্জ ,গাইবান্ধার দিকে যেয়ে সেখানে একটা দিন থাকার প্ল্যান ছিল আগেই কিন্তু বিভিন্ন কারণে সেটা সম্ভব হয় নাই। ঐদিকে আমার হাসবেন্ড এই জন্য একদিন ছুটিও নিয়েছিলো। যাতে বৃহস্পতি ,শুক্র ও শনিবার মিলিয়ে ৩ দিন হয়। কিন্তু আজকেই তার ছুটি শেষ হয়ে যাবে আবার ছেলেরাও তাদের ক্লাস নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পরবে।
গতকাল রাত ১২টার দিকে হঠাৎ করেই আমার ছেলে এসে বলতেছে যে এখন দ্রুত ঘুমিয়ে পরো ,ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে উঠতে হবে। আমি একটু অবাক হয়েই জিজ্ঞেস করলাম যে ওই সময় কেন উঠতে হবে। ও মুচকি হেসে বললো ,এমনিই , যাও ঘুমাতে যাও এখন। তখনই ধারণা করলাম যে ওদের কোনো একটা প্ল্যান আছে কিন্তু সেটা কি আমার কোনো ধারণা নেই।

IMG_5471.JPG

যদিও একবার মনে হয়েছিল যে ,দূরে কোথাও যাবে নাতো। কারণ দূরে কোথাও গেলেই শুধু এতো ভোরে বের হয়। কিন্তু এটা না ভাবার পেছনে দুটো কারণ ছিল। একটা ,আমার হাসবেন্ডের আজকেই ছুটি শেষ এবং আরেকটা হলো ,আজকে যারা ঢাকার বাইরে গিয়েছে তারা সবাই ঢাকার দিকে ফেরত আসা শুরু করবে। কারণ রবিবার থেকে সব অফিস -আদালত খুলে যাবে। যার কারণে ঢাকায় ফেরত আসার পথে প্রচন্ড রকমের জ্যাম হবে।

কিছু বুঝতে না পেরে নিজেকে সান্তনা দিলাম যে ,কয়েক ঘন্টা পরেই দেখা যাব। ভোরে ঘুম ভেঙে দেখি বড়ো ছেলে আর তার বাবা আমার আগেই উঠে পরেছে। তখন জানতে পারলাম যে ,আমার হাসবেন্ডের প্ল্যান হলো সকালের মাঝে যমুনা পার হয়ে শাহ্জাদপুরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি দেখে দুপুরের মাঝে ঢাকার পথে ফেরত আসবে। কারণ বেলা বাড়ার সাথে সাথে জ্যাম বাড়তে থাকবে। আমি আবার এর মাঝে যোগ করলাম যে ,নবরত্ন মন্দিরও দেখে আসবো। বাসা থেকে বের হতে হতে ৬টা বেজে গেল।

IMG_5488.JPG

ঢাকা ভালোই ফাঁকা ছিল যার কারণে খুব দ্রুতই আমরা নবীনগর পৌঁছে একটা খাবারের হোটেলে ঢুকে নাস্তা করে নিলাম। এরপর চন্দ্রা হয়ে টাঙ্গাইল ক্রস করে যমুনা ব্রিজের দিকে ছুটে চললাম। এই ব্রিজ আমাদের দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্রিজ।
আমাদের দিকের রাস্তা ভালোই ফাঁকা ছিল কিন্তু রাস্তার অপরপাশে তাকিয়ে আতঙ্ক শুরু হয়ে গেলো ভোর বেলাতেই এতো জ্যাম দেখে এটা ভেবে যে আমরা ঢাকাতে ফেরত আসবো কিভাবে।

যমুনা যদি পার হলেই সিরাজগঞ্জ। আমি একবারই আগে এই দিকে এসেছিলাম। রাস্তার একপাশে একদম ফলক আরেকদিকে ভয়াবহ যানজট। রাস্তার বাইরে তাকালে দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ ফসলি কিংবা সবজি খেত। উত্তরাঞ্চলকে আমাদের দেশের খাদ্যভান্ডার বলা হয়। যদিও এই এলাকার মানুষই বোধহয় সবচেয়ে বেশি দারিদ্রপীড়িত। অবশ্য এখন আস্তে আস্তে এই অবস্থা অনেকটাই পাল্টে গেছে।

IMG_5490.JPG

খানিকটা এগুতেই আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখলাম ঘন কালো মেঘ। এমন মেঘ অনেক বছর পরে দেখলাম। এরপর শুরু হলো গুড়িগুড়ি বৃষ্টি। সামনেই নবরত্ন মন্দির ছিল কিন্তু বৃষ্টির কারণে সিদ্ধান্ত নিলাম ফেরার পথে দেখে যাবো। এরপর শুরু হলো ঝুম বৃষ্টি। আর আমরা সেই বৃষ্টির মাঝে এগিয়ে চললাম শাজাদপুরের উদ্দেশ্যে।
আমাদের এই যাত্রার পরের অংশ পরবর্তী লেখায় শেষ করবো। আজ এই পর্যন্তই থাক।



Thank You So Much For Reading My Blog

Sort:  
 last month 

আসলে যত সময় চাই ততই ঢাকা শহরে জ্যামের সংখ্যা বাড়তেই থাকে, এর কারণে যত সম্ভব দ্রুত ঢাকার ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করতে হবে,তাহলে আপনি খুব দ্রুত আপনার মূল্যবান বক্তব্য স্থানে পৌঁছাতে পারবেন। যাইহোক আজকে আপনি আপনার সারাদিনে এক কাজকর্ম আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

Loading...
 last month 

হঠাৎ করে আপনার বড় ছেলে প্লান করলো ঘুরতে যাবে আর সেই প্লান অনুযায়ী ঘুরতে যাওয়া হলো। খুব সুন্দর একটি জায়গা ঘুরেছেন এবং বেলা শেষ হওয়ার আগে আমার বাড়ি ফিরেছেন।
কারণ আপনার হাসবেন্ডের রবিবার থেকে অফিস শুরু।
ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 last month 

আপনার বিগত পোস্ট পরে জানতে পেরেছিলাম আপনাদের সিরাজগঞ্জে ঘুরতে যাওয়ার কথা। বিভিন্ন সমস্যার কারণে আপনার ঘুরতে যেতে পারেননি।
কিন্তু আপনার হাজবেন্ডের ছুটি শেষ দিনে হঠাৎ করে প্লান করে আবারো যমুনা সেতুর দিকে ঘুরতে গিয়েছেন।
এমনি দিনে ঢাকা থেকে সকালবেলা ফেরার পথে রাস্তা একদম ফাঁকাই থাকে। কিন্তু সকালবেলা ঢাকা ঢোকার সময় অপর দিকের রাস্তায় অনেক জ্যাম থাকে। ঘুরতে গিয়ে বেশ ভালই মজা করেছেন।
ঘুরতে যাওয়ার সুন্দর মুহূর্ত নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last month 

যেকোনো জায়গাতে ঘোরার মাঝে আনন্দ এর পাশাপাশি কস্টও জড়িয়ে থাকে তবে আমরা সময় এর শেষে কস্টের স্মৃতিটুকু ভুলে গিয়ে আনন্দের সময়টাকেই মনে রাখি।সিরাজগঞ্জ ভ্রমণেও তেমনি অনেক কিছুই অপূরর্ন থাকার পরেও আনন্দটাই মনে রয়েছে।
আপনার চমৎকার মন্তব্য পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন সবসময়ই।

 last month 

বহুদিনের অনেক বড় বড় প্ল্যান সার্থক না হলেও, হঠাৎ করে ছেলের দেওয়া এমন সারপ্রাইজ নিশ্চয়ই অনেক বেশি উপভোগ করেছিলেন। যদিও সম্পূর্ণটা আজ শেয়ার করেননি তথাপি যতোটুকু পড়লাম তাতেই বুঝলাম যাওয়ার পথেই আশেপাশের সৌন্দর্য্য বেশ উপভোগ্য ছিল। না জানি গন্তব্যে পৌঁছে আরো কত কি উপভোগ করেছেন। তাই পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। ব্যস্ত জীবন থেকে একদিনের ছুটি নিয়ে, সকলে মিলে এমনভাবে বেরিয়ে পড়লে ক্ষতি কি? চলতে থাকুক এমন ভালো লাগার গল্প।