Better Life With Steem | The Diary game 11, July |
সকাল |
---|
সকালে ঘুম ভেঙেই দেখি বোরো ছেলে উঠে রেডি হচ্ছে। ওর ক্লাস ৮টার সময় শুরু হবে। ছাত্র আন্দোলনের কারণে রাস্তা -ঘাট সব কিছু বন্ধ হয়ে গেছে বলা যায়। যদিও ওর ঐদিকে ঝামেলা নাই তারপরও বলা যায় যায় না কোনোদিকের পানি কোনদিকে গড়ায়। যার কারণে দ্রুতই বাসা থেকে বের হয়ে গেলো। এতদিন সিএনজি আর বাইকেই চলাচল করেছে কিন্তু ইদানিং বাসে যাচ্ছে। এতদিন বলতে গেলে বাস জার্নি করার সাহসই পেতো না।
অবশ্য দোষ ওর ছিল না কারণ ও বাসে প্রায় উঠে নাই বললেই চলে। তবে ও যে এখন সাহস করে উঠতেছে এতেই আমি খুশি। কারণ আমার কাছে মনে হয় যে ,সব কিছুতেই অভ্যস্ত থাকা প্রয়োজন। সকালে খেতে ভালো লাগে না বলে নাস্তা না করেই বের হয়ে গেল।এই সকালে খাওয়ার সমস্যায় আমরা প্রায় সবাই ভুগি একমাত্র আমার হাসবেন্ড ছাড়া।
তাই সে সকাল বেলা কি খাবে জিজ্ঞেস করতেই বললো যে আমি খাবো। আমের সিজন আসলে সে বেশির সময় সকাল বেলা আমই খায় নাস্তা হিসেবে। আমার জন্য ভালোই হয় ,ঝামেলা কমে। সারা বছর আমি অপেক্ষা করি আম কবে পাওয়া যাবে ।
ছেলে আর তার বাবা বের হয়ে যাওয়ার পরে ভাবলাম দুপুরের রান্নাটা শেষ করেই ফেলি।
হঠাৎ করেই ফোনের রিংটোন কানে যাওয়ায় খেয়াল না করেই কল রিসিভ করলাম। কয়েকটা কল আমি ভালো করে সময় না খেয়াল করে রিসিভ করি না। এর মাঝে দেশে কয়েকজন আছে। এদের কথা কখনো ঘন্টা দুয়ের আগে শেষ হয় না। এইজন্য এদের কল বিকেলে বা রাতে দিকে রিসিভ করি।
আর হলো বিদেশী কল। এরাও এদের ফাঁকা সময়ে কল দেয় কিন্তু দেখা যায় ওই সময় আমার কাজের বা ঘুমের সময় থাকে। বলে রেখেছি বেশি প্রয়োজন থাকলে যেন আমাকে মেসেজ দেয়।
প্রয়োজনীয় কথা থাকলে সময় দিলে খারাপ লাগে না। কথা বলতে আমি পছন্দ করি কিন্তু সেটা কাজ শেষ করার পরে। কিন্তু আজকে খেয়াল নাকরেই রিসিভ করলাম।
আমার এক ভাবির কল। আমার ভাগ্নের বয়স প্রায় দুই বছর। ওর সারাক্ষন ডায়াপার পরে থাকার কারণে ইনফেকশন হয়ে গেছে। ওদের ঐখানে প্রাইভেট এ ডাক্তার দেখানোটা অনেক বেশি ব্যায়বহুল তাই মানুষ সরকারি হাসপাতালেই চিকিৎসা করে কিন্তু এটা খুব বেশি জরুরি না হলে সিরিয়াল পেতে সময় লাগে।
ওরাও শুরুতে খুব একটা গুরুত্ব দেয় নাই কিন্তু এখন বেশি রকমের ইনফেকশন হয়ে গেছে। এখন ওকে ডায়াপার ছাড়া রাখতে বলছে। কিন্তু ভাবীর জন্য সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। আগের দুই মেয়েকে সে ডায়াপার পড়িয়েই বড়ো করেছে। যার কারণে এটা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে তার কাছ।
শুনে মনটাই খারাপ হয়ে গেলো। কথা বলা শেষ করে দুপুরের রান্না শেষ করলাম।
দুপুর |
---|
দুপুরের দিকে নিচে গিয়েছিলাম একটা কাজে। ফেরার সময় গেটের কাছে দেখি ভ্যানে আম বিক্রি করছে। ইদানিং ধানমন্ডিতে ভ্যানে জিনিসপত্র বিক্রি করতে দেখিই না বলা চলে। তবে আজকে মনে হলো আবারো শুরু হচ্ছে অল্প অল্প করে।
দুপুরে আমি আর ছোট ছেলে একসাথেই খাওয়া শেষ করি।
রাত |
---|
বড়ো ছেলে বাসায় ফিরে ৭টার দিকে। ক্লাস শেষ হয়ে গিয়েছিলো আগেই কিন্তু ওর ক্লাবের ইভেন্টের কাজ ছিল। আজকে নাকি সারাদিন রঙের কাজ করেছে।
রাতে ওর বাবা ফিরে ৯টার দিকে একগাদা জিনিসপত্র নিয়ে। তার মতিঝিলে অফিস। ঐখানে সবকিছুই কিছুটা কমদামে পাওয়া যায়। তাই আমার বাসার বেশির ভাগ জিনিস সে মতিঝিল থেকেই নিয়ে আসে।
রাতে ছোট ছেলে বায়না ধরে আজকে আমাকে খাইয়ে দাও। সাধারণত এরকম বায়না ধরে না কখনো। তাই তাকে আজকে খাইয়ে দিলাম অনেক দিন পরে।
সবকিছু গুছিয়ে ডায়েরি গেম লেখা শেষ করলাম।
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 4/9) Get profit votes with @tipU :)
আপনি কি অসংখ্য ধন্যবাদ আপনি আপনার সারাদিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর করে শেয়ার করেছেন, যেটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনি।