Better Life With Steem | The Diary game 2, July |
সকাল |
---|
ভোরে ঘুম ভেঙে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখি বাইরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। বাইরে একদম ঘোলা হয়ে আছে। এই দৃশ্য দেখে আবারও ঘুমিয়ে পরেছিলাম। দ্বিতীয়বার ওঠে দেখি আকাশ কালো হয়ে আছে। যে কোনো মূহুর্তে নামবে। দেখে খুশি হলাম যে গতকাল থেকে যে পরিমানে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে আমার আর গাছে আর পানি দিতে হবে না।
আমি উঠার সামান্য পরেই ঝমঝম করে বৃষ্টি নামলো।কিন্তু বারান্দায় গিয়ে দেখলাম যে, বৃষ্টি হলেও বারান্দায় পানি আসে নাই তাই গাছে পানি দিতেই হবে। কি আর করা, গাছগুলোতে পানি দিলাম।
এরই মাঝে হাসবেন্ড উঠে বললো যে, আজকে দ্রুতই ব্যাংকে চলে যাবে। রুটি আর সবজি বানাতে গেলে সময় লাগবে তাই একেবারে চাল-ডাল দিয়ে প্রেশার কুকারে দিয়ে দিলাম। কিছুটা পাতলা করে খিচুড়ি রান্না করলাম। ডিম ভাজি আর আচার দিয়ে খানে এটা ভেবে। বাসায় আমরা তিনজন মানুষ। বড় ছেলে কক্সবাজার গিয়েছে, আজকে আসতেছে।
ওকে কল দিয়ে জানলাম যে কই আছে বুঝতে পারতেছে না।তবে কুমিল্লা পৌঁছাতে এখনো সময় লাগবে। ওরা নিজেরা বাস ভাড়া করে নিয়ে যাওয়ার কারনে গাড়িতে উঠেছেই ১টার পরে।এমনিতে ১১টার দিকে গাড়ি ছাড়ে আর ভোর বেলা ঢাকায় চলে আসে।কিন্তু ওদের গাড়ি ছাড়তে লেট করার জন্য রাস্তায় জ্যাম পেয়েছে সকাল বেলা।
ছোট ছেলেকে টেনে তুললাম কারন খিচুড়ি ঠান্ডা হয়ে যাবে। ও ডিম ভাজি আর আচার দিয়ে খিচুড়ি পছন্দ করে তাই চুপচাপ খেয়ে নিলো
এরপর দুপুরে কি রান্না করবো ভাবতেছিলাম।ফ্রিজ থেকে মাংস বের করে ভিজিয়ে রাখলাম। ভাবলাম যে, বৃষ্টিতো আর প্রতিদিন হয় না, তাই আবারও খিচুড়ির কথাই ভাবলাম, আর এতে ছেলেও সাপোর্ট দিলো।
সাথে বেগুন ভাজিও করলাম। বুয়া এসে জানালো যে, কাঁচা মরিচ এর দাম অনেক বেড়েছে। ও-ই দিকে আমারো মরিচ তেমন একটা নেই। তখন হঠাৎ করেই মনে পরলো যে, শীতের শেষ এর দিকে আমি অনেকগুলো মরিচ ডিপ ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখেছিলাম। এটা মনে পরার পর সেখান থেকেই কাঁচা মরিচ বের করে মাংস ও খিচুড়িতে দিলাম।
দুপুর |
---|
দুপুরে বড় ছেলের জন্য আমি আর আমার ছোট ছেলে অপেক্ষা করলাম। ২টার দিকে কল দিয়ে জানালো যে, ওরা কাঞ্চন ব্রিজে জ্যামের মাঝে বসে আছে।
৩টার আগ দিয়ে কল করার পরে বললো যে, আর খুব একটা সময় লাগবো না কারন ও তখন মানিক মিয়া এভিনিউতে চলে এসেছে ৩টার পর পরই ছেলে বাসায় চলে আসলো।
ও যেদিন থেকে কক্সবাজার গিয়েছে ওইদিন থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে আর সমুদ্র উপকূলে ৩ নাম্বার বিপদ সংকেত দেয়া ছিলো। এ ক'দিন সমানে বৃষ্টিতে ভিজেছে। দুনিয়ার ভেজা কাপড় নিয়ে এসেছে। বালু লাগানো পোশাক ছাড়া অন্যগুলো নিজেই মেশিনে দিলো ধোয়ার জন্য।
রাত |
---|
সন্ধ্যার পর- পরই কাজিন ও ভাইয়ের ছেলেরা এসে হাজির। ছেলে আচার নিয়ে এসেছে সেগুলো বের করে ওদেরকে দিলো। সবকটা মিলে মুভি দেখতেছে আর আমি ডায়েরি গেমের জন্য লেখা শুরু করলাম। এভাবেই দিনটা কাটালাম।
Camera | iPhone 14 |
---|---|
Photographer | @sayeedasultana |
Location | Dhaka,Bangladesh |
আসলে সন্তানের জন্য যদি কারোর পড়ে সেটা শুধুমাত্র মা, আপনি যেমন আপনার ছেলে লেটে আসার জন্য খুব চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন থেকে এমনটি হয় প্রত্যেকটা মায়ের ক্ষেত্রে।
যাইহোক আপনার আজকে সারাদিনই কার্যক্রমটা অনেক সুন্দর ছিল আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
একদম ঠিক বলেছেন, সন্তানের জন্য একজন মা যেভাবে ভাবে এভাবে অন্য কেউ ভাবতে পারে না। আমার ছেলেরও বাসায় ফিরতে লেট হওয়ায় কারনে খারাপ লাগছিলো।কারন ও বাসার বাইরে কোনদিনও এভাবে এতদিন থাকে নাই। আর কক্সবাজার প্রচুর পরিমানে বৃষ্টি হতেছিলো এজন্য আরো চিন্তা লাগতেছিলো।
যাই হোক, আপনার মন্তব্য পড়ে খুব ভালো লাগলো আমার।
সকাল সকাল বৃষ্টি দেখলে উঠতে ইচ্ছে করে না এটা মনে হয় অনেকের সাথেই ঘটে থাকে।। বড় ছেলে বাহিরে তাই তাকে ফোন করেছেন আসলে ছেলে মেয়ে বাইরে থাকবে মা সবসময় টেনশন করে।। আর হ্যাঁ পছন্দের জিনিস থাকলে সেটা খেতে তারা মনে হয় সমস্যা হয় না।। বর্তমান সময়ে সব জিনিসের দাম দিন দিন শুধু বেড়েই যাচ্ছে।।
এই জিনিসটা মোটামুটি সার মাঝেই খেয়াল করেছি যে, বৃষ্টির দিনে কেউ সহজে বিছানা ছাঠতে চায় না।
আসলে সন্তান বাড়ির বাইরে যতক্ষন থাকে ততক্ষন একজন মা টেনশন করেন, এটা শুধু আমািই না প্রতিটি মা'য়েরই একি অবস্থা।
একদম ঠিক বলেছেন যে, আমার ছেলেদের পছন্দের খাবার থাকলে খাওয়া নিয়ে ঝামেলা কিছুটা কম করে।
অবশ্য যেদিন ক্লাস বা অন্য কোন কাজ থাকে সেদিন অবশ্য পছন্দ এর খাবারেউ কাজ হতে চায় না।
আবার অনেকেই রয়েছে বৃষ্টি থাক আর যত ঝামেলাই থাক ঘুম থেকে সকালে উঠবে এটা তাদের একটা অভ্যাস কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ আরাম কে ছাড়তে চায় না।।