Better Life With Steem | The Diary game 27, June|
Edited by Canva |
---|
সকাল |
---|
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই মনটা খারাপ হয়ে গেলো এটা মনে পড়ে যে ,আজকে বড়ো ছেলে কক্সবাজার যাবে বন্ধুদের সাথে। জিজ্ঞেস করেছিল রাজি কিনা ,না করলে যাবে না। আসলে ও প্রথমবার আমাদেরকে ছেড়ে এতদূর যাচ্ছে। একবার ভেবেছিলাম না করে দেই ,পরে ভাবলাম কতদিন আমি আটকে রাখবো।
ওর বন্ধুরা দেশের বাইরে চলে গেছে পড়ার জন্য আর ওতো দেশের ভেতরেই থাকবে। এটা ভেবে রাজি হয়ে গেলাম। যদিও বলে রেখেছি যে একটু খারাপ লাগলেই যেন ঢাকার পথে রওনা দেয়।
সকালের নাস্তাতে রুটি আর আলু ভাজি করেছিলাম। ছেলেদেরকেও ডেকে তুললাম নাস্তার জন্য। ইদানিং বিশেষ করে ছোট ছেলে নাস্তা নিয়ে ঝামেলা সামান্য কমিয়েছে। এরপর দুপুরের রান্নাও করে ফেললাম একেবারেই। আজকে পুঁই শাক চিংড়ি দিয়ে , ডাল ,ঢেড়শ ভাজি ,আর দই কাতল মাছ রান্না করেছিলাম ।
Edited by Canva |
---|
দুপুর |
---|
এর পর বাসার আরো কিছু টুকিটাকি কাজ শেষ করলাম। বড়ো ছেলে ডেকে নিয়ে কি কি জিনিস নিয়ে যাবে সেগুলি দেখালো। ওর মাঝে আমি আরো কয়েকটা জিনিস ঢুকিয়ে দিলাম। এরই মাঝে উইন্সকোর্ট থেকে বড়ো ছেলেকে কল দিয়ে ইনভিজিলেশন করতে বলায় ও চলে গেলো দ্রুত। আমি অবশ্য মানাই করেছিলাম আজকে যেতে কিন্তু ও তারপর গেলো। যার কারণে ওর ব্যাগ আমিই গুছিয়ে দিলাম।
বারান্দায় গিয়ে দেখলাম গাছগুলি একদম শুকিয়ে আছে। গতকাল বৃষ্টি হতে দেখে গাছে পানি দেয় নাই। কিন্তু গাছের চেহারা দেখে মনে হলো বৃষ্টির পানি বারান্দায় আসে নাই ।
ও বাসায় আসলো ৫টার দিকে। ও বের হয়ে যাবে ৮তার দিকে। তাই দ্রুত ওর জন্য রাতের খাবার তৈরী করে দিলাম।
রাত |
---|
Edited by Canva |
---|
এরই মাঝে ওর বাবাও চলে আসলো। হিমসাগর আমের সথে এক ধরণের লম্বা লম্বা আমি নিয়ে এসেছে ,আর সবাইকে জিজ্ঞেস করছে আমের নাম। আমি ভেবেছিলাম লক্ষণভোগ।
বললো হয় নাই এটার নাম ব্যানানা ম্যাংগো। দোকানদার মামা নাকি তাকে বলে দিয়েছে , এটা একদম চিনির মতো মিষ্টি হয় খেতে। । কেটে দেখি মারাত্মক রকমের টক।
যার কারণে এটাকে জুস বানিয়ে ফেললাম। জুসের জন্য আম ,পাউডার দুধ ও চিনি দিয়ে একসাথে ব্লেন্ড করলেই সুস্বাদু ম্যাংগো জুস্ তৈরি হয়ে যায়।
আম মিষ্টি হলে চিনি না দিলেও চলে কিন্তু আমার আজকের আম অনেক বেশি টক থাকায় চিনিও দিতে হয়েছে অনেকটাই। ভাইয়ের ড্রাইভার এর সাথে বড়ো ছেলে চলে গেল বসুন্ধরার দিয়ে। ঐদিক থেকেই গাড়িতে উঠবে ওদের ।
একটু পরেই ভাইয়ের ছেলেমেয়ে সহ সবকটা এসে হাজির। ওদেরকেও আম কেটে দিলাম। ওদের বাসায় যেতে যেতে সাড়ে এগারোটার বেশি বেজে গেলো।
ঐদিকে স্টিমিটের জন্য লেখা কমপ্লিট করা হয় নাই। ওরা যাওয়ার পরে লেখাটাকে শেষ করতে বসলাম। লেখা শেষ করে ঘুমাতে গেলাম।
বিচিত্র রকমের আম রয়েছে হয়তো অনেক আমের নাম ও আমরা জানি না। অনুরূপভাবে এই আমের নামটিও আমার জানা ছিল না। তবে আম সহ আমের নাম আপনার লেখার মাধ্যমে জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো।
জুস প্রস্তুতির জন্য টকস্বাদ যুক্ত আমই উত্তম। যেহেতু অন্যভাবে খাওয়াটা মুশকিল তাই আপনি ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এছাড়াও আপনার সম্পূর্ণ দিনের কার্যক্রম সম্পর্কে জেনে খুবই ভালো লাগলো। আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় লেখা পরিদর্শনের অপেক্ষায় রইলাম আপু।
ইদানীং অনেক নতুন নতুন প্রজাতির আম বের হচ্ছে।এগুলোর স্বাদে যেমন ভিন্নতা রয়েছে তেমন নামও বিভিন্নরকম এর।ব্যানানা ম্যাংগো আমিও প্রথমবারই দেখলাম।
কলার মতো লম্বা লম্বা দেখতে বলেই হয়তো এমন নাম এর। তবে খেতে একদমই ভালো না।
শুধু টক হলেও এমন কথা লিখতাম না কিন্তু আমের যে একটা সুগন্ধ থাকে, সেটাও নেই।
এত চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময়।
একটা বয়সের পর সন্তানদেরকে কিছুটা হলেও ছাড় দিতে হয়, যাতে তারা নিজেদের মতো করে জীবনকে উপভোগ করতে পারে। ছেলের লাগেজ গোছাতে গিয়ে আরও কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে দিয়েছেন। আসলে সন্তানের প্রয়োজনটা মায়েরাই সব থেকে ভালো বোঝে, এ বিষয়ে কোনো দ্বিমত নেই। আমের অনেক নাম শুনেছি তবে ব্যানানা ম্যাংগো এই প্রথম শুনলাম। মিষ্টি হবে জেনে আম কিনে আনার পর যদি এমন টক হয়, তখন কিন্তু বড্ড বেশি বিরক্ত লাগে। যাইহোক আশা করছি আপনার ছেলের কক্সবাজার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা অনেক ভালো হবে এবং সে সুস্থ অবস্থাতে আবার আপনার কাছে ফিরে আসবে। মা হিসেবে দুশ্চিন্তা হয় ঠিকই, তবে ঈশ্বর সব কিছু ঠিক রাখবেন, এই বিশ্বাস রাখুন। ভালো থাকবেন।
ছেলেমেয়েরা বড় হলে তাদেরকে আর আটকে রাখা যায় না। তাদের মন মত করে তাদেরকে চলতে দিতে হয়। আপনিও ঠিক তাই করেছেন। আশা করি আপনার ছেলে ওখানে ভালো থাকবে। আপনার হাসবেন্ড আপনাদের জন্য লম্বা লম্বা আম কিনে নিয়ে এসেছে। আসলে এই আমগুলো একেবারেই টক। ঐদিন আমি দুই কিলো কিনে নিয়ে এসেছিলাম একটু খেতে পারিনি। এত পরিমানে টক আম খাওয়া যায় না। আপনি জুস বানিয়ে ফেলেছেন বেশ ভালো কাজ করেছেন। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।