Better Life With Steem | The Diary game 9, July |
সকাল |
---|
গতকাল থেকেই মনটা খুব খারাপ ছিল। গতকাল ছিলো আমার মায়ের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী।সারাটাদিনই মনে হয়েছে যে, এখনো মা আছে, এখন মাকে খাবার দেয়া হচ্ছে,এখন মা চলে যাচ্ছে, এখন মাকে গোসল করানো হচ্ছে।
গতকাল কালকের সেই অনুভূতি থেকে আজও খুব একটা বের হতে পারি নাই।সকালে ঘুম থেকে উঠেই মনে হলো যে .আমরা এখন মাকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে গেছি।
কিন্তু এ সকল অনুভুতি একান্তই নিজস্ব। আর এগুলো নিয়ে পরে থাকলে চলবে না। এগুলোকে একপাশে রেখে সকালের নাস্তা বানাতে গেলাম। তখন মনে পরলো যে, গতকাল রাতে বড়ো ভাবি কতগুলো খিচুড়ি আর মাংস পাঠিয়ে দিয়েছিলো। তাই আর আজকে সকালে অন্য কোন নাস্তা না বানিয়ে সেগুলোকেই গরম করে দিলাম।
বড় ছেলের আজকে থেকে ছুটি শেষ, ক্লাস আছে। তাই ওকেও ডেকে তুললাম। ওর বাবা দ্রুত নাস্তা করে চলে গেল কারন ছাত্রদের আন্দোলন চলছে। তারা সবাই রাস্তায় তাই গাড়ি চলেতেই পারে না বলা যায়।
ছাত্রদের এই আন্দোলনে ব্যাক্তিগত আমার নিজেরও সাপোর্ট আছে। তাই আমিও চাই যে, সাময়িক সমস্যা হলেও তারা যেন আন্দোলন সফল করেই ঘরে ফিরে ।
নয়টার দিকে আমার ছেলেও বের হয়ে গেল।ওর ক্লাস চলবে ৪.৩০ পর্যন্ত। বাড়ি ফেরাটা অবশ্য জ্যামের ওপর নির্ভর করে।
আমি অবশ্য সকালে আম দিয়েই নাস্তা করে নিয়েছি।
এরপর দুপুরের রান্না করার দিকে মনোযোগ দেই।সকালে ঘুম থেকে উঠেই ফ্রিজ থেকে মাংস বের করে গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখেছিলাম।
রান্না শেষ করে বারান্দায় গিয়ে দেখি গাছগুলোর অবস্থা খারাপ। পানি দেয়া হয় নাই গতকালও। দুই ছেলেকে গতকাল পানি দিতে বলেছিলাম।ওরা দুইজন একসাথে থাকলে কোন কাজই ঠিক মতো হয় না।
দুইজনে মিলে ঠেলাঠেলি করতে করতে অনেক সময় দেখা যায় যে কাজটা শেষ পর্যন্ত করেই না। তাই আমিই দ্রুত পানি দিলাম। কিন্তু যা কিছুই করি না কেন মায়ের কথা মন থেকে বের করতে পারতেছিলাম না।
দুপুর |
---|
দুপুর বেলা আমি এবং আমার ছোট ছেলে একসাথেই দুপুরের খাবার খেয়ে নেই । চারটার দিকে ছোট ছেলেও কোচিং সেন্টারে চলে গেল।ও চলে যাওয়ার পরে একধরনের একাকিত্ম ও মন খারাপে আক্রান্ত হলাম। একবার ভাবলাম বাইরে থেকে ঘুরে আসি কিন্তু সেটাও ইচ্ছে করছিলো না।
তাই অটোম্যান সুলতানদের নিয়ে নির্মিত সিরিয়াল দেখতে শুরু করলাম। এই অটোম্যানদের নিয়ে আগেই কিছু কিছু পড়া ছিলো।সত্যি বলতে অটোম্যানই বলি বা অন্য রাজপরিবারের কথাই বলি না ভেতর এর ইতিহাসটা খুব বেশি রকম ষড়যন্ত্রে ভর্তি , ও রক্তাক্ত।
সুলতান সুলেমান , ইউটিউব থেকে নেয়া স্ক্রিনশট |
---|
রাত |
---|
হঠাৎ করেই, কলিং বেল এর শব্দ পেয়ে দরজা খুলে দেখি বড় ছেলে চলে এসেছে।
এরপর একে একে ওদের বাবা আর ছোট ছেলেও চলে আসে। ছোট ছেলের সাথে ভাইয়ের ছেলেও আসে। এদিকে আমিও ডায়েরি গেমের জন্য লেখা শুরু করি আর এভাবেই দিনটা কেটে যায় আজকের।
Camera | iPhone 14 |
---|---|
Photographer | @sayeedasultana |
Location | Dhaka,Bangladesh |
মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী দিন মন তো খারাপ হবে ।আপনার মায়ের আত্মার শান্তি কামনা করি। আসলে এই দিনগুলি খুবই কষ্টের হয়। মাকে তো কখনোই ভোলা যায় না। আপনার সারাদিনের কাজকর্ম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
মায়ের কথা যখনই মনে পরে তখনই মন খারাপ হয় তবে মৃত্যুবার্ষিকীর আগে পরের কয়েক দিন বেশি খারাপ লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর করে লেখার জন্য।
পৃথিবীতে যার মা নেই সেই বোঝে মা হারানোর ব্যথা, আপনার মার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী, এক বছর আগে আপনার মা মারা গেছেন, এখনও আপনার মার স্মৃতি মনের মধ্যে গেঁথে আছে, আপনার মার আত্মার শান্তি কামনা করছি।
আপনার মা একবছর আগে মারা গেছেন শুনে কস্ট পেলাম।আল্লাহ ওনাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের বাসিন্দা করে নিন। একদম ঠিক বলেছেন যে, যাদের মা-বাবা মেই শুধু তারাই জানে মা-বাবা না থাকার কস্ট।
আল্লাহ সব মা -বাবাবকেই ক্ষমা করুন।
আমার কমেন্টে একটু ভুল ছিল, আমার মা এখনও মারা যান নাই, তিনি এখনও বেঁচে আছেন, আমি আপনার মার কথা বলেছি, ধন্যবাদ।
আসলে মা জিনিসটা এমন একটা জিনিস যেটা চলে গেলে আর কখনো ফিরে পাওয়া যায় না সবকিছু ছেড়ে পাওয়া গেল মাকে আর কখনো ফিরে পাওয়া যায় না এখনো অবশ্যই মার বার্ষিকী তেল মনটা খারাপ থাকায় স্বাভাবিক।
ঠিকই বলেছেন যে, মা এমন একজন মানুষ যে চলে গেলে তার বিকল্প সারা পৃথিবী জুড়ে খুঁজে বেড়ালেও আর পাওয়া সম্ভব না।
তারপরও সে থেকেই যায় সমস্ত অস্তিত্ব জুড়ে। সে না থেকেও সে আছে আমার কল্পনাতে।