প্রয়োজনে প্রিয়জন! (Always honor the emotions of others and nurture their trust.)
আচ্ছা! কেনো বিদ্রোহ করে মুখের উপরে আর পাঁচটা মানুষের মত অনেক ক্ষেত্রে না বলতে অক্ষম কিছু মানুষ? কাজ মিটে গেলে মুখ ঘুরিয়ে অচেনা মানুষের মতো পাশ কাটিয়ে চলে যেতে পারে না কিছু মানুষ?
এটা কি তাদের দুর্বলতা না শালীনতা?
কত নিঃশব্দ চোখের জলের একমাত্র সাক্ষী বালিশটা মাঝেমধ্যেই এই প্রশ্ন করে বসে আমাকে, জানেন?
কেনো বলে দিস না তুইও মানুষ? তোর অনুভূতি নিয়ে, ভালবাসা, বিশ্বাস আর আস্থার সুযোগ নিয়ে তোর অন্তরটা যারা প্রতিনিয়ত ঝাঁঝরা করে দিয়ে যায়?
কেনো পারিস না তাদের কৃতকর্মের উচিত জবাব দিতে? কর্মক্ষেত্রে এত শক্ত, ব্যাক্তি জীবনে কেনো এত দুর্বল তুই?
এই যে, রাতের পর রাত জেগে কষ্ট গুলোকে বছরের পর বছর আমার কাছে জমা করে চলেছিস, মানুষের মত কি আমার অনুভূতির সমাধান করার ক্ষমতা আছে?
বিগত দু'দিন মন খারাপের একাধিক ব্যাক্তিগত কারণ জমা হয়েছে, আর ঠিক সেই কারণে আজকাল আমার ঘুমের ওষুধ খেয়েও,
রাত জেগেই কেটে যায়।
(আকাশের জমা মেঘ সময়ের সাথে কেটে গেলেও, মনের মেঘ আজও কাটেনি) |
---|
মুশকিল হলো, যে ভাবনা, অথবা অনুভূতি মাথার দ্বারা পরিচালিত,
সেক্ষেত্রে, আবেগ খুব একটা বেশি থাবা বসিয়ে আঁচড় কাটতে পারে না মনে উপর;
কিন্তু, অন্তর সে কথা বুঝতে নারাজ! সে যাদের একবার জায়গা দিয়ে দেয়, তাদের বিরূপ প্রতিক্রিয়া পেলেই আবেগের উপর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না।
অথচ, যে মানুষগুলো একপ্রকার আবেগ গুলোকে আত্ম-স্বার্থে ব্যবহার করে থাকে, আমি খেয়াল করে দেখেছি;
তাদের মানসিকতার কোনো পরিবর্তন হয়না কোনোদিনই। আজকে একজন, কালকে অন্যজনকে এরা ব্যবহার করতে সিদ্ধহস্ত।
অদ্ভুত বিষয়! একবার নয় বারংবার, কিছু কিছু মানুষ আমাকে নিজ স্বার্থে কাজে লাগিয়ে, কাজ মিটে গেলে অবলীলায় মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে।
কই আমি তো তারা পুনরায় ফিরে আসলে মুখের উপরে বলতে পারিনি, কেনো দুর্ব্যবহার করেছিল তারা বিনা দোষে আমার সাথে?
ভুলে গেছে সেইসব দিনগুলো?
(বেলাশেষের প্রতীক্ষায়) |
---|
সত্যিই তো, সময়ের সাথে একাধিক বার যারা আঘাত হেনেছে আমার মনে তাও বিনা দোষে, তাদেরকে তো আর পাঁচজন হলে ফিরিয়েই দিতো, তবে আমি সেটা করতে অক্ষম কেনো?
কারণ, আমার জীবন আরো অনেক মানুষের থেকে ভিন্ন! সমস্ত সম্পর্ক হারিয়ে ফেলা যেসব অনাথ মানুষ আছেন আমিও তাদেরই দলে।
আর এটা বুঝেই বোধহয় কিছু মানুষ আমার সাথে মিথ্যে সম্পর্কের নামে, আমার অনুভূতি ব্যবহার করে, আত্মস্বার্থ চরিতার্থ করে নেয়!
(রিক্ত তথা সিক্ত মন নিয়ে, একাকিনী পথ চলছি) |
---|
নিজেকে নিঃস্ব করে নিজের সমস্ত সঞ্চয় বিলিয়ে আজ বুঝেছি, কিছু সম্পর্ক হারিয়ে গেলে, নিজেকে শিখিয়ে নিতে হয়, নিজের আর কেউ নেই, এখন একাই বাঁচা শিখতে হবে।
সেটা না করে মানসিক অবলম্বন খুঁজতে গেলে, সকলে নিজের মতো করে আমাদের আবেগকে ব্যবহার করে, কাজ ফুরোলেই, পিঠ দেখিয়ে চলে যাবে!
জীবনে সবচাইতে বিশ্বস্ত মানুষদের থেকেই এইরকম ব্যবহার এবং অভিজ্ঞতা সঞ্চিত হয়ে থাকে বেশি।
অন্ততঃপক্ষে, আমার সাথে তো তেমনটাই হয়েছে! কত কঠিন পরিস্থিতির সাথে একাই লড়ে গেছি, যারা মুখ ফিরিয়ে ছিল সেই সময়, তাদের বিপদে আমাকে পাশে থাকতে বললে, এড়িয়ে যেতে পারি না!
আমার তখন একটা কথাই মনে কাজ করে এখন সে বিপদে। অতীতের সমস্ত কিছু মনে থাকলেও মুখে প্রকাশ করতে পারি না অথবা বলা বাহুল্য করতে পারি না।
নিজের প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে যারা মুখ ঘুরিয়ে নিতে অভ্যস্ত, ক্ষতি সাধন করতে সিদ্ধহস্ত তারা বোধহয় ভুলে যান, সময় পরিবর্তনশীল।
Upvoted. Thank You for sending some of your rewards to @null. It will make Steem stronger.
আপনার লেখাটা পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল। মানুষের স্বভাবই বোধহয় এমন যে, আনন্দের কিছু জানতে পারলে আনন্দিত হয় আবার খারাপ কিছু জানলে বা পড়লে মন খারাপ হয়ে যায়। এই বিষয়গুলো ছোঁয়াচে হয়তোবা।
আপনি কাদের কথা বলেছেন আমি জানি না তবে আমিও ব্যাক্তিগতভাবে দেখেছি যাদের জন্য সবচেয়ে বেশি করেছি তাদের কাছ থেকেই বেশি আঘাত পেয়েছি।
আবার তারা ফেরতও এসেছে। যদিও ইচ্ছে করে সম্পর্কচ্ছেদ করি তারপরও কেন জানি করতে পারি নাই।
আপনি ঠিকই লিখেছেন যে, অর্থবলই সবকিছু না, মানসিক সাহস যোগানোর জন্যও মানুষ প্রয়োজন।
বাস্তব কথায় পরিপূর্ণ লেখাটি মনকে ছুয়ে গেল।সবকিছু ঠিক হয়ে যাক এই কামনা করি।
ভালো থাকবেন সবসময়।