শিক্ষা একটি প্রক্রিয়া।(Learning is a process)

একটা বাহনকে যেমন আপনি কখনোই ধাক্কা দিয়ে বেশিদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন না, যদি সেই গাড়ির যন্ত্রপাতি সঠিকভাবে কাজ না করে;
ঠিক তেমনি শিক্ষা এমন একটি বিষয় যেটি নিজের আগ্রহ এবং সদিচ্ছা ছাড়া রপ্ত বোধহয় সম্ভব নয়।

এই দু'দিন আগেই একজনকে, বেশ দামী কথা বলতে শুনলাম! নামটা এই মুহূর্তে মাথায় আসছে না, তবে নামের চাইতে কথাটা দামী, তাই মনে রেখেছি।

তিনি বললেন, আমরা যতক্ষণ নিরহঙ্কার ভাবে নিজের সবটুকু দিয়ে পরিশ্রম করে যাই, সৃষ্টিকর্তা সেই পরিশ্রমের বিনিময়ে আমাদের ফল দিতে থাকেন।

যেদিন, আমাদের মধ্যে থেকে সেই শেখার সদিচ্ছা উধাও হয়ে যায়, এবং আমরা বিকল্প পথ অবলম্বন করে সহজে উপার্জনের প্রয়াস করি পরিশ্রমকে অবহেলা করে, সেই মুহূর্তে তিনি সেই সফলতার চেয়ারে অন্য কাউকে বসিয়ে দেন।

(বাহ্যিক নয়, অভ্যন্তরীণ পুরস্কারে পুরস্কৃত করুন নিজেদের, আত্মতুষ্টি অনেক গুণ বেশি পাবেন)

একটা অফিসে একটি মানুষ নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে যখন পরিশ্রম করে যায়, একসময় পদোন্নতি পেয়ে যান, তার পরিশ্রমের বিনিময়ে; সাথে বাড়ে সম্মান।

এরপর যখন আরও অধিক পরিশ্রম করেন, পদোন্নতির সাথে উপার্জন বৃদ্ধি পায়।
যেই পরবর্তীতে সেই মানুষটি এগিয়ে যাবার পরে, এক্ মুহূর্তে পিছনের মানুষদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতে শুরু করেন;
একটা সময় দেখা যায় তার সেই সবকিছু বেহাত হয়ে গেছে, এবং তার স্থানে অন্য কেউ বসে আছে।

জীবনচক্র যেমন কর্ম অনুযায়ী ঘোরে।
ঠিক তেমনি শিক্ষা সেই মুহূর্ত থেকেও আমরা অর্জন করতে পারি।

ফলস্বরূপ ঈর্ষা, অধৈর্য্য, মিথ্যাচার, পরোহিংসাপরায়নতা, আত্মকেন্দ্রিকতা, অসৎ কার্যকলাপ ইত্যাদি ঝোলায় পড়ে থাকে।

প্রতিটি কার্য্য তার ফল দেয় আমাদের নির্ধানিত চিন্তাভাবনা তথা কার্যকলাপ অনুযায়ী।

(সময় বড় মূল্যবান, নিজেদের আবেগগুলোকে সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা উচিৎ)

অনেকেই ভাবতে পারেন এত ব্যস্ততার মাঝেও কেনো আজকে এই বিষয় নিয়ে লিখতে বসেছি, কারণ হলো, এই প্ল্যাটফর্মে বেশ কিছু বছর কাজ করে উপলব্ধি করেছি, এখানে নিজেকে উন্নত করবার প্রয়াসের পরিবর্তে মানুষ তুলনায় বেশি নির্ভরশীল!

শিক্ষার পরিবর্তে হাল ছেড়ে দেবার অভ্যেস থাকলে, আমার বিশ্বাস, তাদের জ্ঞানের পরিধি সর্বদা সীমিত হয়েই থাকবে।

আমরা সবাই সব জানবো, বুঝবো এরকমটা নয়, কিন্তু জানার ইচ্ছে না থাকা, শেখার আগ্রহ প্রকাশ না করা, পরিশ্রম এড়িয়ে যাওয়ার পরিণতি নিজেদেরকেই ভোগ করতে হবে।

(নব উদিত সূর্য্য থেকে অস্তমিত সূর্য্য - একটি গোটা দিনে নিজেকে প্রতিদিন নব শিক্ষায়, নব নির্মিত করুন)

ফাঁক

দিয়ে এক আধবার বেরিয়ে যাওয়া হয়তো সম্ভব কিন্তু, সেই পথের দিকে একজন সকলের অজান্তে দৃষ্টি রেখেছেন, তিনি আর কেউ নন সৃষ্টিকর্তা! যে নামেই তাঁকে ডাকুন না কেনো;
কর্ম অনুযায়ী ফল সবার জন্যই বরাদ্দ, সে রাজা হোক বা ফকির।

কাজেই, শেখার মধ্যে নিষ্ঠা, সততা, একাগ্রতা তথা আন্তরিকতা এবং পরিশ্রম বজায় রাখুন, কারণ কথিত আছে,

ফাঁকি দিলে, ফাঁকে পড়তে হয়।

যারাই লেখাটি পড়বেন, নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করতে ভুলবেন না মন্তব্যের মাধ্যমে, কারণ আমরা যেহেতু পৃথক;
আমাদের অভিমত পৃথক হতেই পারে। কাজেই, অপেক্ষায় রইলাম আপনাদের অভিমতের।